মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

কাফেরের দেশে থাকা কিংবা নাগরিকত্ব নেয়া জায়েজ নয়

  কাফেরের দেশে থাকা কিংবা নাগরিকত্ব নেয়া জায়েজ নয়

 



মাসজিদে নববীতে এক ভদ্রলোকের সাথে দেখা হলো। কেতাদুরস্ত মাশাআল্লাহ। পরিচয় হলো, সাথে ছিল মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর ও একাধিক মেধাবী ছাত্র। তো ভদ্রলোক বললেন, তিনি আমেরিকায় সেটেল্ড। উমরা করেন, হজ করেন, নিজের পরিবারের সকলেই আমেরিকান।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

যে সব ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয

যে সব ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয 


 

গীবত একটি ভয়াবহ কবীরা গুনাহ। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য গীবত বা পরিন্দা হারাম করেছেন। কারণ গীবতের মাধ্যমে অপর ভাইয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। তবে কতিপয় ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়। ইমাম হায়তামী (রহঃ) বলেন, নিরুপায় হয়ে গেলে বেঁচে থাকার তাকীদে যেমন সাময়িকভাবে মৃত প্রাণী ও শূকরের গোশত খাওয়া জায়েয, ঠিক তেমনি মুসলমানদের বৃহত্তর কল্যাণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয।[1] ইমাম নববী, গাযালী, শাওক্বানী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম বৈধ গীবতের ছয়টি ক্ষেত্র বর্ণনা করেছেন। আলোচ্য নিবন্ধে সেই ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করা হ’ল।-

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

ইসলামে নার্সিং পেশার বিধান

ইসলামে নার্সিং পেশার বিধান



প্রশ্ন: ইসলামে নার্সিং পেশার বিধান কী?

উত্তর:

ইসলামে রোগীর পরিচর্যা করার বিষয়টি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হলে আমাদের কর্তব্য, তার দেখাশোনা ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা। এটি ইসলামের পাঁচটি পারস্পারিক হকের মধ্য অন্যতম। [সহিহ বুখারি ও মুসলিম] বাড়িতে সাধারণত: আত্মীয়-স্বজন এ কাজটি করে থাকে। কিন্তু জটিল রোগের ক্ষেত্রে মানুষকে অনেক সময় হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণের আবশ্যকতা দেখা দেয়। তখন চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীর বিশেষ সেবা-যত্নেরও প্রয়োজন হয়। ফলে যুগের প্রয়োজনে নার্সিং একটি পেশায় রূপান্তরিত হয়।

বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪

যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি

যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি




আমাদের সমাজে যৌতুক গ্রহণের অপর কারণটি হচ্ছে, আল্লাহর প্রতি ভয়হীনতা এবং শরীয়তের বিধানের প্রতি অবজ্ঞা ও উদাসীনতা। নারীর মর্যাদা দান ও নারীর আর্থিক অধিকার সুরক্ষায় ইসলাম যে বিধিবিধান দিয়েছে তার প্রতি সাধারণ পর্যায়ের সম্মানবোধ থাকলে কোনো বরের পরিবারের পক্ষেই যৌতুক গ্রহণের কোনো উদ্যোগ থাকার কথা ছিল না। অথচ যৌতুক গ্রহণের সঙ্গে এ সম্মানবোধের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষত যৌতুকের নামে ‘দেনা-পাওনা ধার্য করা এবং তা উসূল করার নির্মম পর্যায়গুলোতে ন্যূনতম স্তরের মানুষির কোনো আলামত দৃশ্যত থাকে না। এটা শরীয়তের বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। তাই অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে এটা সম্ভব হওয়ার কথা নয়।