মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

কাফেরের দেশে থাকা কিংবা নাগরিকত্ব নেয়া জায়েজ নয়

  কাফেরের দেশে থাকা কিংবা নাগরিকত্ব নেয়া জায়েজ নয়

 



মাসজিদে নববীতে এক ভদ্রলোকের সাথে দেখা হলো। কেতাদুরস্ত মাশাআল্লাহ। পরিচয় হলো, সাথে ছিল মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর ও একাধিক মেধাবী ছাত্র। তো ভদ্রলোক বললেন, তিনি আমেরিকায় সেটেল্ড। উমরা করেন, হজ করেন, নিজের পরিবারের সকলেই আমেরিকান।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

যে সব ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয

যে সব ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয 


 

গীবত একটি ভয়াবহ কবীরা গুনাহ। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য গীবত বা পরিন্দা হারাম করেছেন। কারণ গীবতের মাধ্যমে অপর ভাইয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। তবে কতিপয় ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়। ইমাম হায়তামী (রহঃ) বলেন, নিরুপায় হয়ে গেলে বেঁচে থাকার তাকীদে যেমন সাময়িকভাবে মৃত প্রাণী ও শূকরের গোশত খাওয়া জায়েয, ঠিক তেমনি মুসলমানদের বৃহত্তর কল্যাণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয।[1] ইমাম নববী, গাযালী, শাওক্বানী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম বৈধ গীবতের ছয়টি ক্ষেত্র বর্ণনা করেছেন। আলোচ্য নিবন্ধে সেই ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করা হ’ল।-

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

ইসলামে নার্সিং পেশার বিধান

ইসলামে নার্সিং পেশার বিধান



প্রশ্ন: ইসলামে নার্সিং পেশার বিধান কী?

উত্তর:

ইসলামে রোগীর পরিচর্যা করার বিষয়টি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হলে আমাদের কর্তব্য, তার দেখাশোনা ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা। এটি ইসলামের পাঁচটি পারস্পারিক হকের মধ্য অন্যতম। [সহিহ বুখারি ও মুসলিম] বাড়িতে সাধারণত: আত্মীয়-স্বজন এ কাজটি করে থাকে। কিন্তু জটিল রোগের ক্ষেত্রে মানুষকে অনেক সময় হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণের আবশ্যকতা দেখা দেয়। তখন চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীর বিশেষ সেবা-যত্নেরও প্রয়োজন হয়। ফলে যুগের প্রয়োজনে নার্সিং একটি পেশায় রূপান্তরিত হয়।

বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪

যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি

যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি




আমাদের সমাজে যৌতুক গ্রহণের অপর কারণটি হচ্ছে, আল্লাহর প্রতি ভয়হীনতা এবং শরীয়তের বিধানের প্রতি অবজ্ঞা ও উদাসীনতা। নারীর মর্যাদা দান ও নারীর আর্থিক অধিকার সুরক্ষায় ইসলাম যে বিধিবিধান দিয়েছে তার প্রতি সাধারণ পর্যায়ের সম্মানবোধ থাকলে কোনো বরের পরিবারের পক্ষেই যৌতুক গ্রহণের কোনো উদ্যোগ থাকার কথা ছিল না। অথচ যৌতুক গ্রহণের সঙ্গে এ সম্মানবোধের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষত যৌতুকের নামে ‘দেনা-পাওনা ধার্য করা এবং তা উসূল করার নির্মম পর্যায়গুলোতে ন্যূনতম স্তরের মানুষির কোনো আলামত দৃশ্যত থাকে না। এটা শরীয়তের বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। তাই অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে এটা সম্ভব হওয়ার কথা নয়।

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্ব

 আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্ব

 


ভূমিকা

 

  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টটা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনও সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।

শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩

হারাম উপার্জন

হারাম উপার্জন  

 


ভূমিকা : হালাল জীবিকা উপার্জন করা ইসলামে অত্যাবশ্যকীয়। হালাল জীবিকা আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম উপায়। পক্ষান্তরে হারাম উপার্জনে মানবজাতির ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত প্রশান্তি দূরীভূত হয়। ফলে কারূণী অর্থনীতির ধনকুবেররা টাকার বিছানা-বালিশে শয়ন করেও অশান্তির দাবানলে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। অপরদিকে হালাল উপার্জনকারী খেটে খাওয়া মানুষ দুচারটে ডাল-ভাত খেয়েও নিশ্চিন্ত মনে শান্তিতে দিনাতিপাত করে। তাই দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ লাভের জন্য হালাল জীবিকা অর্জনে ব্রতী হওয়া প্রত্যেক মুসলিমের উপর অবশ্য কর্তব্য। শরী‘আতে হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জনের জন্য যেমন বিভিন্নভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। তেমনি হারাম উপার্জনের ভয়াবহ পরিনতির ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে হারাম উপার্জনের কারণ, ক্ষতিকর দিক সমূহ এবং এর স্বরূপ সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩

সফরে থাকা অবস্থায় নামাযের নিয়ম

সফরে থাকা অবস্থায় নামাযের নিয়ম

 


প্রশ্নঃ সফরে থাকা অবস্থায় নামাযের নিয়ম কি? 

উত্তরঃ সফরের সময় ৪ রাকাত ফরয (যোহর+আসর+ইশা) নামায ২ রাকাত পড়তে হয়, কিন্তু ২/৩ রাকাত ফরয নামায ২/৩ রাকাতই পড়তে হয়। একে নামায “কসর” বা সংক্ষিপ্ত করা বলা হয়। 

আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফরে থাকা অবস্থায় ৫ ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নত নামাযগুলো পড়তেন না, ফযরের ২ রাকাত সুন্নত আর বিতির নামায ছাড়া। তাই আমাদেরও উচিত হবেনা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যা করেন নি সেটা করা। 

আর সফরে থাকা অবস্থায় তাড়া থাকলে বা অসুবিধা থাকলে যোহর+আসর এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে এক সাথে পড়া যায়। অর্থাৎ যুহরের ওয়াক্ত হলে যুহর পড়ে আসর নামাযকে এগিয়ে নিয়ে এসে যুহর ও আসর এক সাথে পড়া যায় অথবা, আসরের ওয়াক্তে যুহরকে পিছিয়ে দিয়ে যুহর ও আসর একসাথে পড়া যায়। অনুরূপ করা যায়, মাগরিব ও ইশা এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে একসাথে পড়া যায়। একে নামায “জমা করা” বলে। 

উল্লেখ্য, নামায এক সাথে পড়ার যে নিয়ম বর্ণনা করা হলো এর বাইরে করা যাবেনা, যেমন ফযর+যোহর অথবা আসর+মাগরিব এক সাথে করা যাবেনা। 

এছাড়া কেউ ইচ্ছা করলে নফল নামায পড়তে পারবেন, তবে সুন্নত নামাযের নিয়তে না। বা এটা মনে করা যাবেনা যে নামায কম পড়ছি বাঁ সুন্নত নামায পড়ছিনা তাই নফল পড়ে পূরণ করে দেই। কারণ, এই নামাযের নিয়ম আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার, তাই বাড়িতে থাকতে যে যত রাকাত নামায পড়ে অভ্যস্ত আল্লাহ তার সমপরিমান নামাযের সওয়াবই দিবেন - সুবহা'নাল্লাহ! 

দলীল জানতে চাইলে দেখুনঃ সুরা নিসাঃ ১০১, বুখারী ও মুসলিম - মিশকাতঃ ১৩৩৬।

সহীহ আল-বুখারীর সালাত অধ্যায়ের নামায সংক্ষিপ্ত করার অনুচ্ছেদ দেখুন, সবগুলো হাদীস পেয়ে যাবেন। 

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ঈমান দুর্বলতার আলামত, কারণ ও চিকিৎসা

ঈমান দুর্বলতার আলামত, কারণ ও চিকিৎসা

 


ক্রম              বিষয়    

প্রথমত:  ঈমান দুর্বলতার কতিপয় আলামত (১৯টি)   

        পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া   

        অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া    

        মজবুতভাবে ইবাদত না করা    

        ইবাদতে অলসতা করা     

        অন্তরে সংকীর্ণতা অনুভব করা       

        কুরআনের আয়াত, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, আযাব-গযব এবং কিয়ামতের বিবরণ শুনে প্রভাবিত না হওয়া 

        আল্লাহর যিকির-আযকার, দুয়া ইত্যাদির ব্যাপারে অমনোযোগী থাকা        

        আল্লাহ বিধান লঙ্ঘিত হতে দেখলেও মনে রাগ বা ক্ষোভ সৃষ্টি না হওয়া    

        নিজেকে লোক সমাজে প্রকাশের মনোবাসনা সৃষ্টি হওয়া

১০       প্রচণ্ড অর্থলিপ্সা ও কৃপণতা করা      

১১       এমন কথা বলা যা সে নিজে করে না।        

১২       কোন মুসলিমের বিপদ দেখে আনন্দিত হওয়া 

১৩      কল্যাণকর কাজকে তুচ্ছ মনে করা বা ছোট ছোট নেকীর কাজকে গুরুত্ব না দেয়া    

১৪       মুসলিমদের বিভিন্ন ঘটনাবলীতে গুরুত্ব না দেয়া         

১৫      বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া     

১৬      বিপদাপদ বা সমস্যায় মুষড়ে পড়া   

১৭       তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়াঝাঁটি করা       

১৮      দুনিয়ার প্রেমে মগ্ন থাকা    

১৯       খাদ্য-পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদিতে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া 

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

ব্যাধি ও মহামারী রোগ হতে পরিত্রাণের দুর্গ

ব্যাধি ও মহামারী রোগ হতে পরিত্রাণের দুর্গ





بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ
অনন্ত করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ عَلَّمَ الْإنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ، وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى خَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ، وَعَلَى آله وَأَصْحَابِهِ، وَأَتْبَاعِهِ، أَمَّا بَعْدُ:
অর্থ: সকল প্রশংসা সব জগতের সত্য প্রভু আল্লাহর জন্য, যিনি মানব জাতিকে তাদের অজানা জ্ঞান দান করেছেন এবং শেষ নাবী ও রাসূল, তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ বা সহচারীগণ ও তাঁর অনুসরণকারীগণের জন্য অতিশয় সম্মান ও শান্তি নির্ধারিত হোক।

অতঃপর ঘৃণিত ব্যাধি বা মহামারী রোগ থেকে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার কতকগুলি উপাদান রয়েছে উক্ত উপাদানগুলির মধ্যে থেকে একটি উপাদান হলো সর্বশক্তিমান সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা ও তাঁর স্মরণে মগ্ন থাকা। তাই নিম্নে কতকগুলি দোয়া ও জিকির উস্থাপন করা হলো:

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০

করোনা ভাইরাস ও আল্লাহ তা‘আলার হিকমাহ

করোনা ভাইরাস ও আল্লাহ তা‘আলার হিকমাহ 



করোনা ভাইরাস ও আল্লাহ তা‘আলার হিকমাহ 

মাসজিদে নববীর জুমার খুতবার বাংলা অনুবাদ [তাং 27.03.2020]
খতীব: শাইখ ড. আলী বিন আব্দুর রহমান হুযাইফা

হে মানবজাতি! আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, পৃথিবীবাসীর উপর দুর্যোগ নেমে এসেছে। তারা রোগাক্রান্ত হচ্ছে। শুনতে পাচ্ছেন যে, একটি ভাইরাস মানুষকে আকস্মিকভাবে আক্রান্ত করছে ও দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা খুবই ভায়াবহ। এই ভাইরাসটি যে কোনো বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। তা মানবসভ্যতাকে হুমকি দিচ্ছে।

হে আল্লাহ্! আমাদের সাথে আপনি আপনার দয়া, বদান্যতা, করুণা, ইহসান ও ক্ষমার আচরণ করুন। আমাদের সাথে বদলা ও হিসাব গ্রহণকারীর ন্যায় আচরণ করবেন না। আপনি নিজগুণে আমাদের প্রতি সদয় হোন। আমরা পাপ ও অনিষ্টতার কারণে- যা আমাদের প্রাপ্য সে অনুযায়ী শাস্তি দিবেন না। হে পরিপূর্ণ দয়া ও উদারতার মালিক, হে মহামহিম ও সম্মানের অধিকারী।

সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

বীর্য, কামরস ও সাদা স্রাব এর মধ্যে পার্থক্য

বীর্য, কামরস ও সাদা স্রাব এর মধ্যে পার্থক্য



প্রশ্ন: আমি জানি না নারীদের থেকে নির্গত তরলকে কখন বীর্য ধরা হয়; যার ফলে গোসল ফরয হয়। আর কখন সেটাকে সাধারণ স্রাব ধরা; যার ফলে ওজু ফরয হয়। আমি একাধিকবার বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আমাকে যথাযথ জবাব দেয়নি। তাই আমি নির্গত সকল তরলকে সাধারণ স্রাব ধরি; যা বের হলে গোসল ফরয হয় না। আমি শুধু সঙ্গম করা ছাড়া গোসল করি না। আশা করব, আপনার এ দুটোর মধ্যকার পার্থক্য পরিস্কারভাবে উল্লেখ করবেন।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

দোয়া করার কিছু আদব-কায়দা

দোয়া করার কিছু আদব-কায়দা



দোয়া করার কিছু আদব-কায়দা

প্রশ্ন: দোয়া করার আদবসমূহ কি কি? এর পদ্ধতি কি? এর ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ কি কি? দোয়া কিভাবে শুরু করতে হয় ও কিভাবে শেষ করতে হয়? আখেরাতের বিষয়াবলির আগে দুনিয়াবী বিষয়ে দোয়া করা যায় কি? দোয়া করার সময় হাত তোলার শুদ্ধতা কি; শুদ্ধ হলে এর পদ্ধতি কি?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

এক:

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর কাছে চাওয়াটা ও সবকিছু তাঁর থেকে প্রত্যাশা করাটা পছন্দ করেন। যে ব্যক্তি তাঁর কাছে চায় না তিনি তার ওপর রাগ করেন। তিনি তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর কাছে চাওয়া বা প্রার্থনা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন: “আর তোমাদের রব বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব” [সূরা গাফির, আয়াত: ৬০]

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯

যাদুটোনা থেকে নিরাময়ের উপায়

যাদুটোনা থেকে নিরাময়ের উপায়



যাদুটোনা থেকে নিরাময়ের উপায়

প্রশ্ন: যিনি বিদ্বেষন, বশীকরণ বা অন্য কোন যাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত তার চিকিৎসার উপায় কি? মুমিন ব্যক্তি যাদুটোনা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন অথবা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে যাদুটোনা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কুরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কিত কোন দুআ-দরুদ বা যিকির-আযকার আছে কি?

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যাদুটোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে: 

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জান্নাত ও জাহান্নাম এর সংবাদপ্রাপ্ত নারী-পুরুষগণ

জান্নাত ও জাহান্নাম এর সংবাদপ্রাপ্ত নারী-পুরুষগণ



দুনিয়াতে যাদের জান্নাতি বা জাহান্নামী বলে ঘোষণা দেয়া হয়

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে যে সব নারী ও পুরুষদের জান্নাতি বা জাহান্নামী বলে ঘোষণা করেছেন বা যারা দুনিয়াতে জীবিত থাকতেই জান্নাতলাভের সু-সংবাদ অথবা জাহান্নামের দুঃসংবাদ পেয়েছেন এ নিবন্ধে আমরা তাদের নাম দলিল-প্রমাণ সহকারে উল্লেখ করতে চেষ্টা করব। একটি হাদিসে একত্রে দশজন সাহাবীর কথা উল্লেখ করে তাদের জান্নাতি বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা দিয়েছেনঅনেকে মনে করেন, দুনিয়াতে কেবল এ দশজন সাহাবীকেই জান্নাতের সু-সংবাদ দেয়া হয়েছে আর কাউকে জান্নাতের সু-সংবাদ দেয়া হয়নিকিন্তু না, এ দশজনের বাহিরেও আরও কতক পুরুষ ও নারী সাহাবী আছেন, যাদের আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন না কোন কারণে দুনিয়াতে জান্নাতের সু-সংবাদ দিয়েছেনতিনি তাদের কাউকে জান্নাতি, জান্নাতের সরদার, জান্নাতের বয়স্ক লোকদের সরদার ইত্যাদি বলে ঘোষণা করছেননিম্নে আমরা দুনিয়াতে যাদেরকে জান্নাতের সু-সংবাদ এবং জাহান্নামের দুঃসংবাদ দেয়া হয়েছে, এমন পুরুষ ও নারীদের  বিষয়ে একটি আলোচনা দলীল-প্রমাণ সহকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আল্লাহই তাওফিক দাতা।

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

যে প্রেমের শেষ পরিণতি হচ্ছে বিয়ে; সেটা কি হারাম?

যে প্রেমের শেষ পরিণতি হচ্ছে বিয়ে; সেটা কি হারাম?



যে প্রেমের শেষ পরিণতি হচ্ছে বিয়ে; সেটা কি হারাম?

প্রশ্নঃ যে প্রেমের শেষ পরিণতি হচ্ছে বিয়ে; সেটা কি হারাম?

উত্তরঃ
আলহামদু লিল্লাহ।

এক:

একজন পুরুষ ও বেগানা নারীর মাঝে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেটাকে মানুষ “প্রেম” নামে অভিহিত করে থাকে; সেটা কতগুলো হারাম কাজ এবং শরিয়ত ও চরিত্র পরিপন্থী বিষয়ের সমষ্টি।

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯

মুয়াজ্জিন ফজরের আযান দিচ্ছিলেন সে সময় যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত ছিলেন

মুয়াজ্জিন ফজরের আযান দিচ্ছিলেন সে সময় যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত ছিলেন





মুয়াজ্জিন ফজরের আযান দিচ্ছিলেন সে সময় যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত ছিলেন

প্রশ্ন: রমজান মাসে ফজরের আযানের আগ থেকে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করছিলাম। আযান চলাকালীন সময়েও আমি সহবাসরত ছিলাম। তবে আযান শেষ হওয়ার আগেই আমরা বিরত হয়েছি। আমার ধারণা ছিল যে, মুয়াজ্জিনের আযান শেষ করার পূর্ব পর্যন্ত সহবাস করা জায়েয। এখন আমার করণীয় কি?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

এক:
যদি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে মুয়াজ্জিন আযান দেন, তাহলে ওয়াজিব হল ফজরের ওয়াক্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ (মুফাত্তিরাত) থেকে বিরত থাকা। তাই মুয়াজ্জিন ‘আল্লাহু আক্‌বার’(আল্লাহ মহান) বলার সাথে সাথে খাদ্য, পানীয়, সহবাস ও সকল রোযা ভঙ্গকারী বিষয় (মুফাত্তিরাত) থেকে বিরত থাকা আবশ্যক হয়ে যায়।

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

সফর অবস্থায় নামায এবং গাড়ির মধ্যে তা পড়ার পদ্ধতি

সফর অবস্থায় নামায এবং গাড়ির মধ্যে তা পড়ার পদ্ধতি




সফর অবস্থায় নামায এবং গাড়ির মধ্যে তা পড়ার পদ্ধতি

প্রশ্ন: 
ক. গাড়িতে বসে কিভাবে সালাত আদায় করতে হয়?
খ. সফর অবস্থায় নামাযের পদ্ধতি কি? 
গ. যদি ওযু না থাকে এবং গাড়ি থেকে নেমে ওযু করা সম্ভব না হয় বা তায়াম্মুম করারও সুযোগ না পাওয়া যায় তাহলে কিভাবে সালাত আদায় করব?
ঘ. কিবালার দিকে ফিরে সালাত আদায় করা সম্ভব না হলে কিভাবে সালাত আদায় করব?

উত্তর:

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৯

চার ইমামের আকীদাহ


চার ইমামের আকীদাহ



চার ইমামের আকীদাহ: আল্লাহ তাদের সবার ওপর রহম করুন
(আবূ হানীফা, মালেক, শাফে‘ঈ ও আহমাদ ইবন হাম্বল)

সুচীপত্র
শাইখ সালাহ আল-বুদায়ের এর ভূমিকা:
লেখকদের ভূমিকা:
প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়: তোমার রব কে?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার রবকে কিভাবে চিনতে পেরেছ?
প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার দীন কি?
প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ঈমানের রুকনগুলো কী কী?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আল্লাহু সুবহানাহুর প্রতি ঈমান কিভাবে হয়?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ফিরিশতাদের প্রতি ঈমান কিভাবে আনা হয়?
প্রশ্ন: তোমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান কীভাবে আনয়ন করতে হয়?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয় নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান কিভাবে আনা হয়?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে বলা হয়, পরকাল দিবসের প্রতি ঈমান কিভাবে আনা হয়?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে বলা হয়, কবরের আযাব ও তার শান্তি কি কুরআন ও সুন্নাহে প্রমাণিত?
প্রশ্ন: যখন তোমাকে বলা হয়, আখিরাতে মুমিনরা কি তাদের রবকে দেখবে?
প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ক্বাযা ও কাদার বা তাকদীর এর প্রতি ঈমান কিভাবে আনা হয়?
প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছায় চালিত না ইচ্ছাধীন?

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (৩য় পর্ব)

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (৩য় পর্ব)



১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

জুম'আ

জুমআর নামায

জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।

মহান আল্লাহ বলেন,

(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (কুরআন মাজীদ ৬২/৯)

মহানবী (সাঃ) বলেন, “দুনিয়াতে আমাদের আসার সময় সকল জাতির পরে। কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা সকলের অগ্রবর্তী। (সকলের আগে আমাদের হিসাব-নিকাশ হবে।) অবশ্য আমাদের পূর্বে ওদেরকে (ইয়াহুদী ও নাসারাকে) কিতাব দেওয়া হয়েছে। আমরা কিতাব পেয়েছি ওদের পরে। এই (জুমআর) দিনের তা’যীম ওদের উপর ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা তাতে মতভেদ করে বসল। পক্ষান্তরে আল্লাহ আমাদেরকে তাতে একমত হওয়ার তওফীক দান করেছেন। সুতরাং সকল মানুষ আমাদের থেকে পশ্চাতে। ইয়াহুদী আগামী দিন (শনিবার)কে তা’যীম করে (জুমআর দিন বলে মানে) এবং নাসারা করে তার পরের দিন (রবিবার)কে।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত)

সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (২য় পর্ব)

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (২য় পর্ব) 



১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

তাশাহহুদের বৈঠক

দ্বিতীয় রাকআতের সকল কর্ম (শেষ সিজদাহ) শেষ করে মহানবী (সাঃ) দুই সিজদার মাঝের বৈঠকের মত বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসে যেতেন এবং ডান পায়ের পাতাকে খাড়া করে রাখতেন। (বুখারী, আবূদাঊদ, সুনান ৭৩১নং)

তাশাহহুদের জন্য বসতে আদেশ দিয়ে নামায ভুলকারী সাহাবীকে তিনি বলেছেন, “--- অতঃপর তুমি যখন নামাযের মাঝে বসবে, তখন স্থির হবে এবং বাম ঊরুকে বিছিয়ে দিয়ে তাশাহহুদ পড়বে।” (আবূদাঊদ, সুনান ৮৬০ নং, বায়হাকী)

আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমার দোস্ত (সাঃ) আমাকে কুকুরের মত (দুই পায়ের রলাকে খাড়া রেখে, দুই পাছার উপর ভর করে ওহাত দু’টিকে মাটিতে রেখে) বসতে নিষেধ করেছেন। (আহমাদ, মুসনাদ ২/২৬৫, ত্বায়ালিসী, ইবনে আবী শাইবা) উক্ত প্রকার বসাকে তিনি শয়তানের বৈঠক বলে অভিহিত করেছেন। (মুসলিম, সহীহ ৪৯৮নং, আহমাদ, মুসনাদ)

তাশাহ্‌হুদে বসে তিনি ডানহাতের চেটোকে ডান ঊরু (জাং) বা হাঁটুর উপর রাখতেন, আর বামহাতের চেটোকে রাখতেন বাম জাং বা হাঁটুর উপর বিছিয়ে। (মুসলিম, সহীহ ৫৮০নং, আহমাদ, মুসনাদ) ডানহাতের কনুই-এর শেষ প্রান্ত ডান জাং-এর উপর রাখতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৯৫৭নং, নাসাঈ, সুনান) অর্থাৎ কনুইকে পায়ের রলার উপর না রেখে ঊরুর উপর পাঁজরে লাগিয়ে রাখতেন।

এক ব্যক্তি নামাযে বাম হাতের উপর মাটিতে ঠেস দিয়ে বসলে তিনি তাঁকে বারণ করে বলেছিলেন, “এরুপ হল ইয়াহুদীদের নামায।” (বায়হাকী,হাকেম, মুস্তাদরাক, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩৮০নং) “এরুপ বসো না। কারণ, এটা তো তাদের বৈঠক, যাদেরকে আযাব দেওয়া হবে।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩৮০নং) “এটা হল তাদের বৈঠক, যাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত।” (আবূদাঊদ, সুনান ৯৯৩ নং, আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ)

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (১ম পর্ব)

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (১ম পর্ব) 



১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

শুরুর কথা 

মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ‘স্বালাতে মুবাশ্‌শির’-এর দ্বিতীয় খন্ড পাঠকের হাতে উপস্থিত হল। তার জন্য তাঁর দরবারে লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করি। দ্বীনের অন্যতম খুঁ টির একটি কাঠামো পেশ করতে পেরে আমি নিজেকে যেমন ধন্য মনে করছি, তেমনি আশা করছি দুআ ও সওয়াব লাভের।

কেবল সহীহ হাদীসকে ভিত্তি করেই, অধিক ক্ষেত্রে কে কি বলেছেন তা উল্লেখ না করেই কেবল সহীহ দিকটা তুলে ধরেছি আমার এই পুস্তিকায়। মানুষের মনে সহীহ শিক্ষার চেতনা ও বাসনার কথা খেয়াল রেখেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আল্লাহ যেন তা কবুল করেন, তাই আমার কামনা।

বিভিন্ন বিতর্কিত মাসায়েলে আমি বর্তমান বিশ্বের প্রধান ৩টি রত্ন; বর্তমান বিশ্বের অদ্বিতীয় মুহাদ্দিস আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ নাসেরুদ্দ্বীন আলবানী, আল্লামা শায়খ ইবনে বায এবং আল্লামা ও ফকীহ্‌ শায়খ ইবনে উষাইমীন (রাহিমাহুমুল্লাহু জামীআন)গণের হাদীস লব্ধ ও সহীহ দলীল ভিত্তিক মতকে প্রাধান্য দিয়েছি। আর এ কথা অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আমি তাঁদের প্রত্যেকের; বরং প্রত্যেক হ্‌ক-সন্ধানী রব্বানী আলেমের ভক্ত ও অনুরক্ত। তা বলে কারো অন্ধভক্ত নই। পক্ষান্তরে প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য অধিকারীর অধিকার সঠিকরুপে আদায় করা। উলামার যথার্থ কদর করা। প্রত্যেক হ্‌ক-সন্ধানীর অনুরক্ত হওয়া; যদিও বা তাঁদের কোন কোন অভিমত আমার-আপনার বুঝের অনুকূল নয়। বলা বাহুল্য, খাঁটি সোনা স্বর্ণকারই চিনতে পারে; স্বর্ণ-ব্যবসায়ী নয়।

‘নামায’ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ‘নামায’ শব্দটি ফারসী, উর্দু , হিন্দী ও আমাদের বাংলা ভাষায় আরবী ‘সালাত’ অর্থেই পরিপূ র্ণ রুপে ব্যবহৃত বলেই আমি ‘সালাত’-এর স্থানে ‘নামায’ই ব্যবহার করেছি। তাছাড়া বাংলাভাষীর অধিকাংশ মানুষ ‘সালাত’ শব্দটির সাথে পরিচিত নয়। তাই পরিচিত ও প্রসিদ্ধ শব্দই ব্যবহার করতে আমি প্রয়াস পেয়েছি। আর এতে শরয়ী কোন বাধাও নেই। সুতরাং এ বিষয়ে সুহৃদ পাঠকের কাছে আমার ইজতিহাদী  কৈফিয়ত পেশ করে সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত
আব্দুল হামীদ আল-মাদানী
  আল-মাজমাআহ
সঊদীআরব

প্রয়োজনের তাকীদে যা কিছু লিখি, সবই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। আল্লাহ যেন তা আমাকে দান করেন এবং কাল কিয়ামতে এরই অসীলায় আমাকে, আমার শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা ও ওস্তাযগণকে, আর এ বই-এর উদ্যোক্তা, প্রকাশক ও সকল আমলকারী পাঠককে তাঁর মেহ্‌মান-খানা বেহেশ্তে স্থান দেন। আমীন।

বইঃ মুখতাসার যাদুল মা‘আদ - ফ্রি ডাউনলোড

বইঃ মুখতাসার যাদুল মা‘আদ - ফ্রি ডাউনলোড


বই: মুখতাসার যাদুল মা‘আদ
মুল রচনা: ইবনুল কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ (রহ)
সংক্ষেপায়নে: মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ)
অনুবাদ: আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামীয়া লাইব্রেরী

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

বদ নজর লাগা ও বদ নজরের কুপ্রভাব

বদ নজর লাগা ও বদ নজরের কুপ্রভাব



বদ নজর লাগা ও বদ নজরের কুপ্রভাব

• কুরআন থেকে (বদ নজরের) দলীলঃ

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ
وَقَالَ يَا بَنِيَّ لَا تَدْخُلُوا مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ وَادْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ، وَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ حَيْثُ أَمَرَهُمْ أَبُوهُمْ مَا كَانَ يُغْنِي عَنْهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا حَاجَةً فِي نَفْسِ يَعْقُوبَ قَضَاهَا وَإِنَّهُ لَذُو عِلْمٍ لِمَا عَلَّمْنَاهُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ এবং (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) বললেন হে আমার প্রিয় সন্তানগণ! তোমরা সবাই (শহরে) কোন এক প্রবেশ পথে প্রবেশ করো না বরং বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করিও । আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কোন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব না। কেননা প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী কেবল আল্লাহ। তার উপর আমার আস্থা রয়েছে। ভরসাকারীকে ভরসা করলে তার প্রতিই করতে হবে। আর যখন তারা দিয়েছিলেন অথচ আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত কোন কিছু থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। তবুও ইয়াকুবের (আলাইহিস সালাম) অন্তরে একটি আশা ছিল যে, তিনি তা পূর্ণ করেছেন। নিশ্চয় তিনি ইলমে (নবুওয়াতের) বাহক ছিলেন। অথচ অনেক লোক তা জানে না। (সূরা ইউসুফঃ ৬৭-৬৮)

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার



স্ত্রীর উপর স্বামীর অনস্বীকার্য অধিকার

স্ত্রীর উপর স্বামীরও অনস্বীকার্য অধিকার রয়েছেঃ-

প্রথম অধিকার হল বৈধ কর্মে ও আদেশে স্বামীর আনুগত্য। স্বামী সংসারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সংসার ও দাম্পত্য বিষয়ে তার আনুগত্য স্ত্রীর জন্য জরুরী। যেমন কোন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক, অফিসের ম্যানেজার বা ডিরেক্টর প্রভৃতির আনুগত্য অন্যান্য সকলকে করতে হয়।

স্ত্রী সাধারণতঃ স্বামীর চেয়ে বয়সে ছোট হয়। মাতৃলয়ে মা-বাপের (বৈধ বিষয়ে) আদেশ যেমন মেনে চলতে ছেলে-মেয়ে বাধ্য, তেমনি শবশুরালয়ে স্বামীর আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলাও স্ত্রীর প্রকৃতিগত আচরণ। তাছাড়া ধর্মেও রয়েছে স্বামীর জন্য অতিরিক্ত মর্যাদা। অতএব প্রেম, সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলতা বজায় রাখতে বড়কে নেতা মানতেই হয়। প্রত্যেক কোম্পানী ও উদ্যোগে পার্থিব এই নিয়মই অনুসরণীয়। অতএব স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে তা নারী-পরাধীনতা হবে কেন। তবে অন্যায় ও অবৈধ বিষয়ে অবশ্যই স্বামীর আনুগত্য অবৈধ। কারণ যাদেরকে আল্লাহ কর্তৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে অবৈধ ও অন্যায় কর্তৃত্ব দেননি। কেউই তার কর্তৃত্ব ও পদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে পারে না। তাছাড়া কর্তা হওয়ার অর্থ কেবলমাত্র শাসন চালানোই নয়; বরং দায়িত্বশীলতার বোঝা সুষ্ঠুভাবে বহন করাও কর্তার মহান কর্তব্য।

যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পতিব্রতা সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.
‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।[1]

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার



স্বামীর উপর স্ত্রীর অনস্বীকার্য অধিকার

স্বামীর উপর স্ত্রীর বহু অধিকার আছে, যা পালন করা স্বামীর পক্ষে ওয়াজেব। সেই সমস্ত অধিকার নিম্নরূপঃ- 

১- আর্থিক অধিকারঃ-

ক- স্বামী বিবাহ-বন্ধনের সময় বা পূর্বে যে মোহর স্ত্রীকে প্রদান করবে বলে অঙ্গীকার করেছে তা পূর্ণভাবে আদায় করা এবং তা হতে স্ত্রীকে বঞ্চিতা করার জন্য কোন প্রকার টাল-বাহানা না করা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً﴾
‘‘সুতরাং তাদেরকে তাদের ফরয মোহর অর্পণ কর।’’[6]

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু‘আ (দু‘আ-এ মাসূরাহ্‌)

সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু (দুআ-এ মাসূরাহ্‌) 



সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু (দুআ-এ মাসূরাহ্‌)

নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) নামাযে বহু প্রকার দুআ (প্রার্থনা) করতেন। এক এক সময়ে এক এক প্রকার দুআ তিনি পাঠ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতেন। সাহাবাগণকে ‘তাহিয়্যাত’ শিখানোর পর বলেছিলেন, “এরপর তোমাদের মধ্যে যার যা ইচ্ছা ও পছন্দ সেই দুআ বেছে নিয়ে দুআ করা উচিৎ।” (বুখারী ৮৩৫, মুসলিম, মিশকাত ৯০৯নং) অবশ্য সেই দুআ অপেক্ষা আর কোন্‌ দুআ অধিকতর পছন্দনীয় হতে পারে, যা তিনি নিজে পড়েছেন বা অপরকে শিখিয়েছেন? তাঁর ঐ সকল দুআকে ‘দুআয়ে মাসূরাহ্‌’ বলা হয়, যা নিম্নরুপ:-

এক:
اَللّهًمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَ مِنَ الْمَغْرَمِ।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল মা’সামি অ মিনাল মাগরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পাপ ও ঋণ হতে পানাহ চাচ্ছি। (বুখারী, মুসলিম, প্রভৃতি, মিশকাত ৯৩৯নং)

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ 



ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ 

এক:
أَسْتَغْفِرُ الله 
উচ্চারণ:- আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, 
অর্থ:- আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি (৩ বার) 

দুই:
اَللّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্‌কাস সালা-মু তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।
অর্থ:- হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কি ঘটেছিল কারবালায়? কারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুকে হত্যা করেছে?

কি ঘটেছিল কারবালায়? কারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুকে হত্যা করেছে?
(কারবালার ঘটনা সম্পর্কে একটি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ-যা অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিবে ইনশাআল্লাহ)


এই প্রবন্ধে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
১) ভূমিকা
২) কারবালার প্রান্তরে রাসূলের দৌহিত্র হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু নিহত হওয়ার প্রকৃত ঘটনা।
৩) ফুরাত নদীর পানি পান করা থেকে বিরত রাখার কিচ্ছা।
৪) কারবালার প্রান্তরে হুসাইনের সাথে আরও যারা নিহত হয়েছেন।
৫) কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত ধারণা ঠিক নয়।
৬) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বের হওয়া ন্যায়সংগত ছিল কি?
৭) কারবালার ঘটনাকে আমরা কিভাবে মূল্যায়ন করব?
৮) মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপ করার ক্ষেত্রে শিয়া মাজহাবের মতামত।
৯) আশুরার দিনে আমাদের করণীয় কী?
১০) শিয়াদের বর্ণনায় আশুরার রোযা।
১১) আশুরার দিনে মাতম করার ভিত্তি কোথায়?
১২) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যায় ইয়াযীদ কতটুকু দায়ী?
১৩) তাহলে কে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যা করল?
১৪) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যাকারী নির্ধারণে ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর অভিমত।
১৫) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর ভাষণই প্রমাণ করে যে ইয়াযীদ তাঁর হত্যার জন্য সরাসরি দায়ী নয়।
১৬) আলী ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা হুসাইনকে হত্যার জন্য কুফাবাসীদেরকে দায়ী করেছেন?
১৭) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মাথা কোথায় গিয়েছিল?
১৮) যেমন কর্ম তেমন ফল।
 ১৯) ইয়াযীদ সম্পর্কে একজন মুসলিমের ধারণা কেমন হওয়া উচিত।
২০) উপসংহার।