সম্পাদকীয়
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجميين.
দু`আ মুসলিমের অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ ইবাদাত। দু`আর মাধ্যমে মুসলিম আল্লাহর কাছে তার আকাক্ষা পেশ করতে পারে এবং আম্লাহ তাআলার তাওফীকে দুনিয়া ও আখিরাতে অপার নিয়ামত, সামর্থ্য ও কাজের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং অর্জন করতে পারে প্রভূত সাওয়াব। বাংলা ভাষায় দু'আর অনেক বই রয়েছে। এর মধ্যে প্রফেসর ড সাঈদ আল-কাহতানী কর্তৃক সংকলিত ‘হিসনুল মুসলিম গ্রন্থটি খুবই প্রণিধানযোগ্য। এ বই থেকে বেশ কিছু দু`আ নির্বাচন করে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক প্রবাসী জনাব ডাঃ মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দীক বাংলাভাষী মুসলিম ভাইবোনদের জন্য একটি পকেট সাইজের ছোট বই প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। আমি তাকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছি এবং তার সংকলিত সকল দু'আ আমি ও আমার সাথে তাইবাহ একাডেমির রিসার্চ টিমের সদস্যগণ দেখে দিয়েছি। এই দু'আসমূহ যাচাই-বাছাই করে আমরা কেবল সহীহ ও হাসান হাদীসসমূহে উল্লেখিত দু`আ এ বইয়ে স্থান দিয়েছি। আমরা আশা করি দু'আর এই ছোট বইয়ের মাধ্যমে দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ দু'আসমূহ প্রত্যেকেই পাঠ করতে পারবেন এবং সবসময় বইটি পকেটে বহন করতে পারবেন। ফলে পাঠক যেকোনো সময় বিশুদ্ধ দু`আ পাঠের আগ্রহ মেটাতে পারবেন। আল্লাহ রাব্বল আলামীন এ বইয়ের সংকলক এবং যারা এ বইয়ের পেছনে অবদান রেখেছেন, তাদের প্রত্যেককে কবুল করুন, বেশি বেশি ভালো কাজ সম্পাদনের তাওফীক দান করুন এবং এ ভালো কাজসমূহকে কিয়ামতের দিন তাদের আমলের পাল্লায় যুক্ত করে দিন।
هذا وصلى الله وسلم على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين
ড, মুহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
১৭ রমাদান ১৪৪৩
১৯ এপ্রিল ২০২২
সূচিপত্র
ক্রমিক নং |
শিরোনাম |
১ |
দু‘আসমূহ |
২ |
ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের দু‘আসমূহ |
৩ |
অযুর পূর্বে দু‘আ |
৪ |
অযু শেষ করার পর দু‘আ |
৫ |
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের দু‘আ |
৬ |
ঘরে প্রবেশের সময় দু‘আ |
৭ |
মাসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দু‘আ |
৮ |
মাসজিদে প্রবেশের দু‘আ |
৯ |
মাসজিদ থেকে বের হওয়ার দু‘আ |
১০ |
আযানের যিকিরসমূহ |
১১ |
সালাম ফিরানোর পর দু‘আসমূহ |
১২ |
ইসতিখারার সালাতের দু‘আ |
১৩ |
ঘুমানোর যিকিরসমূহ |
১৪ |
বিতরের কুনূতের দু‘আ |
১৫ |
বিতরের সালাত থেকে সালাম ফিরানোর পরের দু‘আ |
১৬ |
দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দু‘আ |
১৭ |
দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দু‘আ |
১৮ |
কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে |
১৯ |
ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দু‘আ |
২০ |
ঋণ থেকে মুক্তির দু‘আ |
২১ |
সালাতে ও কিরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দু‘আ |
২২ |
কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দু‘আ |
২৩ |
মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দু‘আ |
২৪ |
ইফতারের সময় সাওম পালনকারীর দু‘আ |
২৫ |
খাওয়ার পূর্বে দু‘আ |
২৬ |
আহার শেষ করার পর দু‘আ |
২৭ |
আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দু‘আ |
২৮ |
সাওম পালনকারীকে কেউ গালি দিলে যা বলবে |
২৯ |
স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দু‘আ |
৩০ |
ক্রোধ দমনের দু‘আ |
৩১ |
বৈঠকের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) |
৩২ |
যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি’ -তার জন্য দু‘আ |
৩৩ |
সফররে দু‘আ |
৩৪ |
তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীল |
৩৫ |
কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন? |
৩৬ |
কুরআনের দু‘আসমূহ |
তাওবার গুরুত্ব
কুরআন ও সহীহ হাদীসে বহু জায়গায় তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার কথা উল্লেখিত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে যারা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছে, তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ
وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাহকারীদের ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা
অর্জনকারীদের ভালোবাসেন’ (সূরা আল-বাকারাহ : ২২২) ।
আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَلّٰهُ
أَشَدُّ فَرَحًا
بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ حِيْنَ يَتُوبُ إِلَيْهِ، مِنْ أَحَدِكُمْ كَانَ عَلَى
رَاحِلَتِهِ بِأَرْضِ فَلَاةٍ، فَانْفَلَتَتْ مِنْهُ وَعَلَيْهَا طَعَامُهُ
وَشَرَابُهُ، فَأَيِسَ مِنْهَا، فَأَتَى شَجَرَةً، فَاضْطَجَعَ فِي ظِلِّهَا، قَدْ
أَيِسَ مِنْ رَاحِلَتِهِ، فَبَيْنَا هُوَ كَذَلِكَ إِذَا هُوَ بِهَا، قَائِمَةً
عِنْدَهُ، فَأَخَذَ بِخِطَامِهَا، ثُمَّ قَالَ مِنْ شِدَّةِ الْفَرَحِ :
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ عَبْدِيْ وَأَنَا رَبُّكَ، أَخْطَأَ مِنْ شِدَّةِ
الْفَرَحِ"
‘বান্দা
যখন আল্লাহর নিকট তাওবাহ করে তখন তিনি তার তাওবায় ঐ ব্যক্তির চাইতেও বেশি খুশি হন
যে নিজ বাহনের উপর মরুভূমীতে সফররত অবস্থায় ছিল, হঠাৎ তার সাওয়ারী হারিয়ে যায়,
এমনকি তার খাবার ও পানীয় সাওয়ারীর
পিঠের উপরেই ছিল। অতঃপর সন্ধান করে তা হতে নিরাশ হয়ে গিয়ে একটি গাছের তলায় এসে তার
ছায়ায় শুয়ে পড়ে। এই নিরাশ অবস্থায় হঠাৎ দেখে যে, তার সাওয়ারী ফিরে এসে তার নিকট দাঁড়িয়ে আছে। তখন সে
বাহনের লাগাম ধরে খুশির চোটে বলে ফেললো, হে আল্লাহ, তুমি আমার বান্দা আর আমি তোমার রব! সে এই ভুল অধিক খুশির কারণে করে ফেলেছিল’
(মুসলিম, হা/২৭৪৭)।
আব্দুল্লাহ মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لتَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ،
كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ
‘গুনাহ
হতে তাওবাহকারী ঐ ব্যক্তির মতো হয়ে যায়, যার কোনো গুনাহই নেই’ (ইবনু মাজাহ,
হা/৪২৫০)।
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
كُلُّ ابْنِ آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ
الخَطَّائِيْنَ التَّوَّابُوْنَ
‘প্রত্যেক আদম সন্তান ভুল করে থাকে,
আর ভুলকারীদের মধ্যে উত্তম সেই
ব্যক্তি, যে
তাওবাহ করে নেয়’ (তিরমিযী, হা/২৪৯৯)।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوْ لَمْ تُذْنِبُوْا لَذَهَبَ اللهُ بِكُمْ، وَلَجَاءَ بِقَوْمٍ يُذْنِبُوْنَ، فَيَسْتَغْفِرُوْنَ اللهَ فَيَغْفِرُ لَهُمْ
আল্লাহর শপথ করে বলছি, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা যদি গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের সরিয়ে দিয়ে এমন এক জাতিকে নিয়ে আসবেন, যারা
গুনাহ করে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তখন তিনি তাদের ক্ষমা করবেন’ (মুসলিম,
হা/২৭৪৯)।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
وَاللهِ
إِنِّىْ لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ فِى الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِيْنَ
مَرَّةً
‘আল্লাহর
শপথ! আমি আল্লাহরর নিকট প্রতিদিন সত্তর বারের বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাওবাহ
করি’ (বুখারী, হা/৬৩০৭)।
উল্লিখিত হাদীসসমূহ দ্বারা জানা যায় যে, পাপী ব্যক্তি তাওবাহ ও ক্ষমাক্ষামা প্রার্থনার মাধ্যমে নিজ গুনাহের বোঝা থেকে মুক্ত হতে পারে। তারপর যত বেশি সৎ কাজ করবে তার দ্বারা সে আল্লাহর তত বেশি নৈকট্য লাভ করতে পারবে। এভাবে যখন সে মহান আল্লাহর নিকট কোনো কিছু চায় তখন তার দু‘আ আল্লাহ কবুল করে নেন।
অনুরূপ যদি কোনো ব্যক্তি নিজ গুনাহ হতে তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করার পরিবর্তে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ) ও তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পাঠ করে, তাহলে সে নিজ অবস্থার প্রেক্ষাপটে অনুপযুক্ত কাজ করল।
এ সম্পর্কে ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ময়লাযুক্ত কাপড়ে সুগন্ধি ব্যবহারের পরিবর্তে তা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। অর্থাৎ পাপী ব্যক্তি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে সর্বপ্রথম নিজেকে গুনাহের ময়লা হতে পরিষ্কার করে এরপর তাসবীহ ও তাহলীলের দ্বারা সুগন্ধিময় করবে।
তাওবাহ কবুলের শর্তাবলি
কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে আলেমগণ তাওবাহ কবুলের জন্য নিম্নের শর্তাবলি আরোপ করেছেন-
১. গুনাহ পরিত্যাগ করতে হবে।
২. গুনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে।
৩. ঐ পাপ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হব।
৪. আর মানুষের হক নষ্ট করলে বা কাউকে কষ্ট দিলে অবশ্যই সেই ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কোনো জিনিস চুরি করলে তা ফেরত দিতে হবে। নতুবা তাওবাহ শুদ্ধ হবে না।
যদি উল্লিখিত
কোনো একটি শর্ত পূরণ না করেই তাওবাহ করা হয় তাহলে সেই তাওবাহ কবুল হবে না (নববী,
রিয়াযুস সালেহীন,
‘তাওবাহ’ অনুচ্ছেদ)।
দু‘আ করার ফযীলত
দু‘আ (دُعَاء)
শব্দের অর্থ ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি। বিনয়ের সাথে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হলো দু‘আ। আল্লাহ বলেন বলেন, ‘তোমরা আমার নিকট দু‘আ করো,
আমি তোমাদের দু‘আ কবুল করব’ (সূরা
আল-মুমিন : ৬০)।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি আল্লাহর নিকট দু‘আ করে এবং সে দু‘আর মধ্যে পাপ ও আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা না থাকে, তবে আল্লাহ উক্ত উক্ত দু‘আর বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোনো একটি দান করেন। যথা-
(১) তার দু‘আ দ্রুত কবুল করেন।
অথবা
(২) তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদানের জন্য জমা রাখেন।
অথবা
(৩) তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূরীভূত করেন।
এ কথা শুনে সাহাবীগণ বললেন, তা হলে আমরা বেশি বেশি দু‘আ করব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ আরও আরও বেশি দু‘আ কবুলকারী’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত, হা/২২৫৯)।
দু‘আ করার কতিপয় নিয়ম বা বৈশিষ্ট্য
১. আল্লাহর প্রতি ইখলাস ও একনিষ্ঠতা।
২. দু‘আর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ পাঠ করা এবং দু‘আর শেষেও পুনরায় দরূদ পাঠ করা।
৩. একাগ্রতা ও দৃঢ়তার সাথে দু‘আ করা এবং কবুলের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা।
৪. দু‘আ কবুলের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো না করা।
৫. সুখে-দুঃখে সবসময় দু‘আ করা।
৬. আল্লাহ ব্যতীত ব্যতীত অন্য কারও নিকট প্রর্থনা না করা।
৭. বার বার দু‘আ করা।
৮. পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি ও নিজের উপর বদ দু‘আ না করা।
৯. মধ্যম স্বরে বিনয়ের সাথে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা।
১০. ছন্দবদ্ধ বা মিলযুক্ত গদ্য দিয়ে কৃত্রিমভাবে দু‘আ না করা।
১১. ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে দু‘আ করা।
১২. আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের অসীলায় দু‘আ করা।
১৩. ওযূ করে কিবলামুখী হয়ে দু‘আ করা।
১৪. নেক আমলের মাধ্যমে গভীর আগ্রহের সাথে দু‘আ করা।
১৫. হারাম খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র বর্জন করে দু‘আ করা।
১৬. দুই রাকাত সালাত আদায় করে দু‘আ করা।
১৭. দু‘আয় সীমালঙ্ঘন না করা।
১৮. অন্যের জন্য দু‘আ করলে প্রথমে নিজের জন্য দু‘আ করা।
১৯. অপরাধ স্বীকার করে বিশুদ্ধ নিয়তে দু‘আ করা।
২০. যাবতীয় পাপাচার থেকে বিরত থাকা।
দু‘আ কবুলের উত্তম সময় ও স্থান
১. সালাতে সিজদায় এবং শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর।
২. কদরের রাতে ও আরাফার দিনে।
৩. রমাদান মাসে দু‘আ করা।
৪. আযানের সময়, আযান ও ইকামতের মধ্যকার সময় এবং যুদ্ধের সময়।
৫. জুমু‘আর দিনে ইমামের মিম্বরে বসা হতে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়।
৬. শেষ রাতে এবং ফরয সালাতের পর।
৭. বৃষ্টির সময়।
৮. কারও মৃত্যুর পর মানুষের দু‘আ।
৯. পবিত্র হয়ে ঘুমানোর পর রাতে উঠে দু‘আ করা।
১০. অনুপস্থিত মুসলিম ভাইয়ের জন্য দু‘আ করা।
১১. যুলুমকারীর উপর মাযলুমের দু‘আ।
১২. সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দু‘আ।
১৩. মুসাফিরের দু‘আ।
১৪. সিয়াম পালনকারীর ইফতারের সময় দু‘আ।
১৫. বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দু‘আ।
১৬. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু‘আ।
১৭. ছোট ও মধ্য জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের দু‘আ।
১৮. কা‘বার ভেতরে দু‘আ করা।
১৯. সাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপর দু‘আ করা।
২০. আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদ) সৈন্যদের অগ্রসর হওয়ার সময়।
মূলত মুমিন ব্যক্তি যেখানেই থাকুক যে অবস্থাতেই থাকুক সদা-সর্বদা আল্লাহর নিকট বিনয়ের সাথে দু‘আ করবে। তবে উল্লিখিত সময়, স্থান ও অবস্থা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দু‘আ সমূহ
ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের দু‘আ সমূহ
الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ
مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত (জাগ্রত) করলনে,
আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান’
(বুখারী, হা/৬৩১২)।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ، وَلَا إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ
بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ «رَبِّ اغْفرْ لِيْ»
‘আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তাঁর কোনো শরীক নেই;
রাজত্ব তাঁরই,
প্রশংসাও তাঁরই;
আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
আল্লাহ পবত্রি-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই।
আল্লাহ সর্বমহান। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার)
কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব,
আমাকে ক্ষমা করুন’ (ইবনু মাজাহ,
হা/৩৮৭৮)।
الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ فِي جَسَدِيْ، وَرَدَّ
عَلَيَّ رُوحِيْ، وَأَذِنَ لِيْ بِذِكْرِهِ
‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন,
আমার রূহকে আমার নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন
এবং আমাকে তাঁর যিকির করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন’ (তিরমিযী,
হা/৩৪০১)।
إِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآيَاتٍ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ¤ الَّذِيْنَ
يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِهِمْ
وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ
هَذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ¤ رَبَّنَا إِنَّكَ
مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ أَنْصَارٍ
¤ رَبَّنَا إِنَّنَا
سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا
وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ ¤ رَبَّنَا وَآتِنَا
مَا وَعَدْتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا
تُخْلِفُ الْمِيعَادَ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّيْ لَا أُضِيْعُ عَمَلَ
عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ فَالَّذِيْنَ
هَاجَرُوا وَأُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأُوْذُوا فِيْ سَبِيْلِي وَقَاتَلُوا
وَقُتِلُوا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ
تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَاللهُ
عِنْدَهُ حُسْنُ الثَّوَابِ ¤ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوا فِي
الْبِلَادِ ¤ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ثُمَّ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ
وَبِئْسَ الْمِهَادُ ¤ لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ
جَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا نُزُلًا مِنْ
عِنْدِ اللهِ وَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِّلْأَبْرَارِ ¤ وَإِنَّ مِنْ
أَهْلِ الْكِتَابِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَا
أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ لَا يَشْتَرُوْنَ بِآيَاتِ اللهِ ثَمَنًا
قَلِيْلًا أُولٰئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللهَ سَرِيْعُ
الْحِسَابِ ¤ يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اصْبِرُوا
وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
‘নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিতে,
রাত ও দিনের পরর্বিতনে নিদর্শন রয়েছে
বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদরে জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও জমিনের
সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে আর বলে, “হে আমাদের রব, আপনি এগুলো অর্নথক সৃষ্টি করেননি,
আপনি অত্যন্ত পবত্রি,
অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে
রক্ষা করুন। হে আমাদের রব, তুমি
যাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে, তাকে
অবশ্যই তুমি অপমান করবে আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব,
আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের ঘোষণা
করতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো’। সে অনুযায়ী
আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং হে আমাদের রব, আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের থেকে আমাদের
মন্দ কাজগুলো বিদূরিত করে দাও আর নেককার বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে আমাদের মৃত্যু
ঘটাও। হে আমাদের রব, তুমি
স্বীয় রাসূলদের মাধ্যমে আমাদেরকে যেসব বস্তুর ওয়াদা শুনিয়েছো,
তা আমাদের দান করো এবং কিয়ামতের দিন
আমাদের লাঞ্ছিত কোরো না, নিশ্চয়ই
তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।” তখন তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন,
“তোমাদের মধ্যে পুরুষ হোক কিংবা নারীই
হোক কারওই কর্মফল আমি নষ্ট করি না, তোমরা একে অপরের অংশ। সুতরাং যারা হিজরত করবে,
স্বীয় গৃহ হতে বিতাড়িত হবে এবং আমার
পথে নির্যাতিত হবে, যুদ্ধ
করবে ও নিহত হবে, নিশ্চয়ই
আমি তাদের গুনাহসমূহ দূর করে দেবো এবং নিশ্চয়ই তাদেরকে এমন জান্নাতে দাখিল করবো,
যার নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদ-নদী,
আল্লাহর নিকট হতে পুরস্কার হিসেবে,
বস্তুতঃ আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম
বিনিময়।” দেশে দেশে কাফিরদের সদম্ভ পদচারণা তোমাকে যেন বিভ্রান্ত না করে। সামান্য
ভোগ, তারপর
জাহান্নাম তাদের আবাস, আর
তা কতই না নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে,
তাদের জন্য আছে জান্নাত,
যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত,
তারা তাতে চিরকাল থাকবে,
এ হলো আল্লাহর নিকট হতে আতিথ্য আর
আল্লাহর নিকট যা আছে, তা
সৎকর্মপরায়ণদের জন্য অতি উত্তম। আহলে কিতাবদের মধ্যকার কিছু লোক নিঃসন্দেহে এমনও
আছে, যারা
আল্লাহর উপর এবং তোমাদের উপর অবতীর্ণ কিতাব ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের উপর
ঈমান রাখে, তারা
আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত, তারা
আল্লাহর আয়াতকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রয় করে না, এরাই তারা যাদের জন্য তাদের কর্মফল নির্ধারিত রয়েছে তাদের
প্রতিপালকের নিকট, আল্লাহ
হিসাব গ্রহণে ত্বরিতগতি। হে মুমিনগণ, ধৈর্য অবলম্বন করো, দৃঢ়তা প্রদর্শন করো, নিজেদের প্রতিরক্ষাকল্পে পারস্পরিক বন্ধন মজবুত করো এবং
আল্লাহকে ভয় করো, যাতে
তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৯০-২০০)।
অযুর র্পূবে দু‘আ
بِسْمِ
اللهِ
‘আল্লাহর নামে’ (আবূ দাঊদ, হা/১০১)।
অযু শেষ করার পর দু‘আ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ
أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ..
‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ
ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল’
(মুসলিম, হা/২৩৪)।
اَللّٰـهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ، أَوْ أُضَلَّ،
أَوْ أَزِلَّ، أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ، أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ، أَوْ
يُجْهَلَ عَلَيَّ
‘হে আল্লাহ, আপনি
আমাকে তাওবাহকারীদের অর্ন্তভুক্ত করুন এবং পবত্রিতা র্অজনকারীদেরও অর্ন্তভুক্ত
করুন’ (তিরমিযী, হা/৫৫)।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়রে দু‘আ
بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى
اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
‘আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি), আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া
(পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারও নেই” (আবূ
দাঊদ, হা/৫০৯৫)।
اَللّٰـهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً، وَفِي لِسَانِي نُوراً، وَفِي
سَمْعِي نُوراً، وَفِي بَصَرِي نُوراً، وَمِنْ فَوْقِي نُوراً، وَمِنْ تَحْتِي
نُوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُوراً، وَعَنْ شِمَالِي نُوراً، وَمِنْ أَمَامِي نُوراً،
وَمِنْ خَلْفِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً، وَأَعْظِمْ لِي نُوراً،
وَعَظِّم لِي نُوراً، وَاجْعَلْ لِي نُوراً، وَاجْعَلْنِي نُوراً، اَللّٰـهُمَّ
أَعْطِنِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي عَصَبِي نُوراً، وَفِي لَحْمِي نُوراً، وَفِي
دَمِي نُوراً، وَفِي شَعْرِي نُوراً، وَفِي بَشَرِي نُوراً».
«[ اَللّٰـهُمَّ اجْعَلْ لِي نُوراً فِي قَبْرِي...
وَنُوراً فِي عِظَامِي]» [«وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً»] [«وَهَبْ لِي نُوراً عَلَى نُورٍ»[.
‘হে আল্লাহ, আপনি
আমার অন্তরে নূর (আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন,
আমার র্দশনশক্তিতে নূর দান করুন,
আমার ওপর নূর দান করুন,
আমার নিচে নূর দান করুন,
আমার ডানে নূর দান করুন,
আমার বামে নূর দান করুন,
আমার সামনে নূর দান করুন,
আমার পেছনে নূর দান করুন,
আমার আত্মায় নূর দান করুন,
আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন,
আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন,
আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন,
আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ,
আমাকে নূর দান করুন,
আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন,
আমার গোশতে নূর দান করুন,
আমার রক্তে নূর দান করুন,
আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায়
নূর দান করুন’ (বুখারী, হা/৬৩১৬)।
[‘হে
আল্লাহ, আমার
জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার
হাড়সমূহেও নূর দিন’ (তিরমিযী, হা/৩৪১৯)], [‘আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন,
আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন’
(আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৯৫)।],
[‘আমাকে নূরের ওপর নূর দান
করুন’ (ফাতহুল বারী, ১১/১১৮)]।
মাসজিদে প্রবেশের দু‘আ
ডান পা দিয়ে ঢুকবে (হাকিম, ১/২১৮; সিলসিলাতুল আহাদীস আস-সহীহা, হা/২৪৭৮) এবং বলবে,
اَللّٰـهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
আমার জন্য আপনার রহমতরে দরজাসমূহ খুলে দিন’ (মুসলিম, হা/৭১৩)।
মাসজিদ থেকে বের হওয়ার দু‘আ
বাম পা দিয়ে শুরু করবে (হাকিম, ১/২১৮) এবং বলবে
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ
فَضْلِك
‘হে আল্লাহ, আমার
জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাসমূহ খুলে দিন’ (মুসলিম, হা/৭১৩)।
আযানের দু‘আসমূহ
মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে “হাইয়া ‘আলাসসালাহ” ও “হাইয়া ‘আলাল ফালাহ” -এর সময় বলবে,
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ
بِاللهِ
‘আল্লাহর
সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি
কারও নেই’ (বুখারী, হা/৬১১)।
মুয়াযযিন তাশাহহুদ (আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ) উচ্চারণ করার পরই শ্রোতারা নিচের যিকিরটি বলবে (ইবনু খুযাইমাহ, ১/২২০),
وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ
وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللهِ رَبَّاً،
وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً، وَبِالْإِسْلاَمِ دِينَاً
‘আমি
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র
আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে
রাসূল এবং ইসলামকে দীন হিসাবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট’ (মুসলিম,
হা/৩৮৬)।
সালাম ফিরানোর পর দু‘আসমূহ
أَسْتَغْفِرُ اللهَ (তিনবার)
‘আমি
আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি’।
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ
يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ
‘হে আল্লাহ, আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি
বরকতময়, হে
মহমিাময় ও সম্মানের অধকিারী।’ (মুসলিম, হা/৫৯১)।
আয়াতুল কুরসী। প্রত্যেক সালাতরে পর একবার। আর তা হচ্ছে-
﴿اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ ۚ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا
نَوْمٌ ۭ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ
ۭ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ
ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ
ۚ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا
بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَۚ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَاۚ وَهُوَ
الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ﴾
‘আল্লাহ, তিনি
ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও র্স্পশ করতে পারে না,
নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও
জমিনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারশি করবে?
তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা
তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা
পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও জমিনকে পরব্যিাপ্ত করে আছে,
আর এ দুটির রক্ষণাবক্ষেণ তাঁর জন্য
বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান’ (সিলসিলাতুল আহাদীস আস-সহীহাহ,
হা/৯৭২; সূরা আল-বাকারাহ : ২৫৫)।
নবী করীম
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যহ ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী
নিয়মিত পাঠ করে, তার
জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু বাধা দিতে পারে না।’
(সহীহাহ, হা/৯৭২)।
সায়্যিদুল ইসতগিফার :
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ،
خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ،
أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ
بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
আমার রব, আপনি
ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আর
আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির ওপর
রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে আপনার যে
নিয়ামত দিয়েছেন তা আমি স্বীকার করছি, আর আমি স্বীকার করছি আমার অপরাধ। অতএব আপনি আমাকে মাফ করে
দিন। নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করে না।’ (বুখারী,
হা/৬৩০৬)।
ফযীলত : নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি উক্ত দু‘আ দিনে পাঠ করে সন্ধ্যার আগে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে পাঠ করে সকাল হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (বুখারী,
হা/৬৩০৬)।
সকালবেলা বলবে-
اَللّٰهُمَّ
إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً
نَافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
‘হে
আল্লাহ, আমি
আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র
রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি’ (ইবনু মাজাহ,
হা/৯২৫)।
سُبْحَانَ اللهِ
وَبِحَمْدِهِ: عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ
كَلِمَاتِهِ (তিন বার)
‘আমি
আল্লাহর প্রশংসাসহ পবত্রিতা ও মহমিা ঘোষণা করছি তাঁর সৃষ্ট বস্তুসমূহরে সংখ্যার
সমান, তাঁর
নিজের সন্তোষের সমান, তাঁর
আরশের ওজনের সমান ও তাঁর বাণীসমূহ লেখার কালি পরমিাণ (অগণিত-অসংখ্য)’ (মুসলিম,
হা/২৭২৬)।
বিকালবেলা বলবে-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (তিন বার)
‘আল্লাহর
পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের অসীলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই’ (মুসনাদে
আহমাদ, হা/৭৮৯৮)।
بِسْمِ اللهِ الَّذِي
لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ
الْعَلِيمُ(তিন বার)
‘আল্লাহর
নামে, যার
নামের সাথে আসমান ও জমিনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি র্সবশ্রোতা,
মহাজ্ঞানী’ (আবূ দাঊদ,
হা/৫০৮৮)।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [তিন বার]
اَللّٰهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ
لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ
‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
হে আল্লাহ,
আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার
কেউ নেই, আর
আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির
অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না’ (বুখারী,
হা/৮৪৪)।
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمدُ،
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ, لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ
الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُونَ
‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তাঁর কোনো শরীক নেই,
রাজত্ব তাঁরই,
সমস্ত প্রশংসাও তাঁর,
আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো
শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদাত করি, নিয়ামতসমূহ তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া
কোনো সত্য ইলাহ নেই, আমরা
তাঁর দেওয়া দীনকে একনষ্ঠিভাবে মান্য করি যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে’ (মুসলিম,
হা/৫৯৪)।
(৩৩ বার)
سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلهِ، وَاللهُ أَكْبَرُ (৩৩ বার)
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
একমাত্র আল্লাহ
ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর
কোনো শরীক নেই, রাজত্ব
তাঁরই, সকল
প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান’ (মুসলিম,
হা/৫৯৭)।
সূরা আল-ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস।
প্রত্যেক
সালাতের পর একবার; তবে
সকাল ও সন্ধ্যায় তিনবার (আবূ দাঊদ, হা/১৫২৩)।
﴿ قُلۡ هُوَ
ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ ٢ لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ ٣ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ
كُفُوًا أَحَدُۢ ٤﴾ [الاخلاص: ١، ٤]
‘বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারও মুখাপক্ষেী
নন, সকলইে
তাঁর মুখাপক্ষেী)। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তাঁর
সমতুল্য কেউই নেই’ (সূরা আল-ইখলাস : ১-৪)।
﴿ قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ ١ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ٢ وَمِن
شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ٣ وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ ٤ وَمِن شَرِّ
حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ٥ ﴾ [الفلق: ١، ٥]
‘বলুন,
আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি উষার রবের
নিকট, তিনি
যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট হতে,
যখন তা গভীর হয়,
আর সমস্ত নারীদের অনিষ্ট হতে,
যারা গিরায় ফুঁক দেয়,
আর হিংসুকের অনিষ্ট হতে,
যখন সে হিংসা করে’ (সূরা আল-ফালাক :
১-৫)।
﴿ قُلۡ أَعُوذُ
بِرَبِّ ٱلنَّاسِ ١ مَلِكِ ٱلنَّاسِ ٢ إِلَٰهِ ٱلنَّاسِ ٣ مِن شَرِّ ٱلۡوَسۡوَاسِ ٱلۡخَنَّاسِ
٤ ٱلَّذِي يُوَسۡوِسُ فِي صُدُورِ لنَّاسِ ٥ مِنَ ٱلۡجِنَّةِ وَٱلنَّاسِ 6 ﴾ [الناس: ١، ٦]
‘বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের,
মানুষের অধিপতির,
মানুষের ইলাহর নিকট,
আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট
থেকে, যে
কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে’ (সূরা আন-নাস :
১-৬)।
মাগরিব ও ফজরের সালাতরে পর ১০ বার-
لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ
لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى
كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তাঁর কোনো শরীক নেই,
রাজত্ব তাঁরই এবং সকল প্রশংসাও তাঁর।
তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান’ (তিরমিযী,
হা/৩৪৭৪)।
ইসতিখারার সালাতের দু‘আ
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ইসতিখারা (তথা কল্যাণ কামনার সালাত ও দু‘আ) শিক্ষা দিতেন, যেরূপ আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করার ইচ্ছা করে তখন সে যেন ফরয সালাত ব্যতীত দুই রাকাত নফল সালাত পড়ে। অতঃপর যেন বলে-
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ، وَأَسْتَقْدِرُكَ
بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ؛ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ
أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلاَّمُ الغُيُوبِ، اَللّٰهُمَّ
إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأمْرَ - وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ - خَيْرٌ لِي فِي
دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي – أَوْ قَالَ:
عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ،
وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي
وَعَاقِبَةِ أَمْرِي – أَوْ قَالَ: عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ – فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ
حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ
‘হে
আল্লাহ, আমি
আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। আপনার কুদরতের সাহায্যে
আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার মহান অনুগ্রহের প্রার্থনা করছি। কেননা
আপনিই শক্তিধর, আমি
শক্তিহীন। আপনি জ্ঞানবান, আমি
জ্ঞানহীন এবং আপনি গায়েবী বিষয় সম্পর্কে মহাজ্ঞানী। হে আল্লাহ,
এই কাজটি (এখানে উদ্দিষ্ট কাজ বা
বিষয়টি মনে মনে উল্লেখ করবে) আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যদি আমার দীন,
আমার জীবিকা এবং আমার কাজের পরিণতির
দিক দিয়ে, (অথবা
বলেছেন) ইহকাল ও পরকালরে জন্য কল্যাণকর হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারিত করে দিন এবং তা আমার জন্য সহজ
করে দিন, তারপর
তাতে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর এই কাজটি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যদি আমার দীন,
আমার জীবিকা এবং আমার কাজের পরিণতির
দিক দিয়ে, (অথবা
বলেছেন) ইহকাল ও পরকালরে জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং যেখানেই
কল্যাণ থাকুক আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দিন। অতঃপর তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন’
(বুখারী, হা/১১৬২)।
আর যে ব্যক্তি স্রষ্টার কাছে কল্যাণ চাইবে, মুমিনদের সাথে পরামর্শ করবে এবং যেকোনো কাজ করার আগে খোঁজ-খবর নিয়ে করবে, সে কখনো অনুতপ্ত হবে না। কেননা আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলা বলেন,
وَشَاوِرْھُمْ فِي الْاَمْرِۚ فَاِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَي اللهِ
‘আর আপনি কাজে-র্কমে তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তারপর আপনি কোনো দৃঢ় সংকল্প হলে আল্লাহর ওপর নির্ভর
করুন’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৫৯)।
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، لَا
إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ
الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ،
رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَخَيْرَ مَا بعْدَهُ، وَأَعُوذُ
بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِى هَذَا الْيَوْمِ وَشَيْ مَا بَعْدَه، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ
مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ
وَعَذَابِ فِي الْقَبْرِ
‘আমরা সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে, আল্লাহর জন্য। সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
হে রব, এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু কল্যাণ আছে আমি আপনার নিকট তা প্রার্থনা করছি। আর এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অকল্যাণ আছে, তা হতে আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই।
হে রব,
আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও
খারাপ র্বাধক্য থেকে। হে রব, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে এবং কবরের
আযাব থেকে’ (মুসলিম, হা/২৭২৩)।
বিকালে
বলবে-
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، لَا إِلَهَ
إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ
اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ
اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ
الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ فِي النَّارِ وَعَذَابِ فِي الْقَبْرِ
‘আমরা
আল্লাহর জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও বিকালে উপনীত হয়েছে,
আল্লাহর জন্য। সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর
জন্য। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর,
আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। হে
রব, এই
রাতের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু কল্যাণ আছে আমি আপনার নিকট তা প্রার্থনা করি। আর এই
রাতের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অকল্যাণ আছে, তা থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই। হে রব্ব,
আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও
খারাপ বার্ধক্য থেকে। হে রব্ব, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে এবং কবরের
আযাব থেকে।
اَللّٰهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ
نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ
“হে আল্লাহ! তোমার হুকুমে আমরা ভোরে উপনীত হই এবং তোমার
নির্দেশেই সন্ধ্যায় উপনীত হই।
তোমার নির্দেশেই আমরা জীবন ধারণ করি এবং তোমার নির্দেশেই মারা যাই। তোমার
দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।”
বিকাল হলে বলবে-
اَللّٰهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا
وَبِكَ نَمُوْتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ.
‘হে
আল্লাহ, আমরা
আপনার জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা
আমরা জীবিত থাকি, আপনার
দ্বারাই আমরা মারা যাবো; আর
আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবো’ (তিরমিযী, হা/৩৩৯১)।
اللَّهُمَّ إنّ أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ،
وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ، وَمَلَا بِكَتِكَ، وَجَمِيعَ خَلْقِكَ، أَنَّكَ
أَنْتَ اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لا شَرِيكَ لَكَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا
عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ
(৪ বার)
“হে আল্লাহ, আমি সকালে উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি,
আরও সাক্ষী রাখছি আপনার আরশ
বহনকারীদের, আপনার
ফিরিশতাগণ ও আপনার সকল সৃষ্টিকে (এর উপর) যে- নিশ্চয়ই আপনিই আল্লাহ,
একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ
নেই, আপনার
কোনো শরীক নেই, আর
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) আপনার বান্দা ও রাসূল' (আবূ দাউদ, হা/৫০৭১)।
اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ نِ مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ
فَمِنْكَ وَحْدَكَ لا شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
‘হে আল্লাহ্, যে নিয়ামত আমার সাথে সকালে উপনীত হয়েছে অথবা আপনার
সৃষ্টির অন্য কারও সাথে, এসব
নিয়ামত কেবল আপনার নিকট থেকেই, আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল
কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য' (আবূ দাউদ, ৪/৩১৮,
নং ৫০৭৫)।
اَللّٰهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اَللّٰهُمَّ عَافِنِي فِي
سَمْعِي، اَللّٰهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي،
لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ. اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ،
وَالفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ» (৩ বার)
‘হে আল্লাহ, আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শরীরে। হে আল্লাহ,
আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার
শ্রবণশক্তিতে। হে আল্লাহ, আমাকে
নিরাপত্তা দিন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। হে আল্লাহ,
আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কুফর ও
দারিদ্র্য থেকে আর আমি আপনার আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে। আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য
ইলাহ নেই’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৯২)।
حَسْبِيَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ
الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
“আল্লাহই আমার জন্য যথষ্টে,
তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। আমি
তাঁর ওপরই ভরসা কর। আর তিনি মহান ‘আরশরে রব” (৭
বার) (আবূ দাঊদ, হা/৫০৮১)।
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي
الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ:
فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي، وَمَالِي، اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي،
وَآمِنْ رَوْعَاتِي، اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي،
وَعَنْ يَمِينِي، وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ
أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي
‘হে
আল্লাহ, আমি
আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ,
আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা
চাচ্ছি আমার দীন, দুনিয়া,
পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ,
আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন,
আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন
নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ, আপনি
আমাকে হিফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার
মহত্বের অসীলায় আশ্রয় চাই আমার নিচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে’ (আবূ দাঊদ,
হা/৫০৭৪)।
اَللّٰهُمَّ عَالِمَ
الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ
وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ
نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطانِ وَشَرَكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءاً، أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ
‘হে আল্লাহ, হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও জমিনের স্রষ্টা,
হে সব কিছুর রব ও মালিক,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। আমি
আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্ট থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে,
আমার নিজের ওপর কোনো অনিষ্ট করা অথবা
কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে’ (তিরমিযী, হা/৩৩৯২)।
رَضِيتُ بِاللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلاَمِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ ﷺ نَبِيّاً (৩ বার)
‘আল্লাহকে রব, ইসলামকে দীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবীরূপে গ্রহণ করে আমি সন্তুষ্ট’ (আবূ দাঊদ, হা/১৫৩১)।
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغيثُ أَصْلِحْ لِي
شَأْنِيَ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ
‘হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী, আমি আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে উদ্ধার কামনা করি,
আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে
দিন, আর
আমাকে নিমিষের জন্যও আমার নিজের কাছে সোর্পদ করবেন না’ (হাকেম,
১/৫৪৫; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব ১/২৭৩)।
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، اَللّٰهُـمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا
الْيَوْمِ:فَتْحَهُ، وَنَصْرَهُ، وَنورَهُ، وَبَرَكَتَهُ، وَهُدَاهُ، وَأَعُوذُ
بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ
‘আমরা সকালে উপনীত হয়ছে, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়ছে সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য। হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ, বিজয়, সাহায্য, নূর, বরকত ও হিদায়াত। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এ দিনের এবং এ দিনের পরের অকল্যাণ থেকে’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৮৪)।
أَصْبَحْنا عَلَى
فِطْرَةِ الْإِسْلاَمِ، وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلاَصِ، وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا
مُحَمَّدٍ ﷺ، وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ،
حَنِيفاً مُسْلِماً وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشرِكِينَ
‘আমরা
সকালে উপনীত হয়েছি ইসলামের ফিতরাতের ওপর, নিষ্ঠাপূর্ণ বাণী (তাওহীদ) -এর ওপর,
আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনের ওপর, আর আমাদের পিতা ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামের মিল্লাতের ওপর-
যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’ (মুসনাদে
আহমাদ, হা/১৫৩৬০)।
سُبْحَانَ اللهِ
وَبِحَمْدِهِ (১০০ বার)
‘আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি’
(মুসলিম, হা/২৬৯২)।
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ،
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(১০ বার) অথবা (অলসতা
লাগলে এক বার)
‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তাঁর কোনো শরীক নেই,
রাজত্ব তাঁরই,
সমস্ত প্রশংসাও তাঁর,
আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান’
(নাসাঈ, আমালুল
ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, হা/২৪,
আবূ দাঊদ,
হা/৫০৭৭)।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তাঁর কোনো শরীক নেই,
রাজত্ব তাঁরই,
সমস্ত প্রশংসাও তাঁর,
আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান’
(বুখারী, হা/৩২৯৩)।
أَسْتَغْفِرُ اللهِ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ (প্রতিদিন ১০০ বার)
‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁরই
নিকট তাওবাহ করছি’ (বুখারী, হা/৬৩০৭)।
ঘুমানোর দু‘আসমূহ
﴿آمَنَ
الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ
بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ
وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ ¤
لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا
اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا
تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا
وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا
أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ﴾
‘রাসূল তার রবের পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা
হয়েছে তার ওপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর ওপর,
তাঁর ফিরিশতাগণ,
তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের
ওপর। (তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে,
আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের
রব, আপনার
নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। আল্লাহ কারও ওপর এমন
কোনো দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত। সে ভালো যা উপার্জন করে তার প্রতিফল
তারই, আর
মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। (বলো,)
‘হে আমাদের রব,
যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি তবে
আপনি আমাদের পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের পূর্ববর্তীগণের ওপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন
আমাদের ওপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। হে আমাদের রব,
আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না
যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন,
আমাদেরকে ক্ষমা করুন,
আমাদের প্রতি দয়া করুন,
আপনিই আমাদের অভভিাবক। অতএব কাফির
সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন’ (সূরা আল-বাকারাহ : ২৮৫-২৮৬)।
اَللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
‘হে আল্লাহ, আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন,
যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে
পুনর্জীবিত করবেন’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৪৫)।
بِاسْمِكَ اللّٰهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا
‘হে
আল্লাহ, আপনার
নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো’ (বুখারী,
হা/৬৩২৪)।
সূরা আল-মুলক পড়বে। কেননা তা কবরের আযাব হতে রক্ষাকারী এবং কিয়ামতের দিন
শাফা'আতকারী (সহীহ
আল-জামি' আস-সগীর,
হা/৩৬৪৩,
সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব,
হা/১৪৭৪)।
বিতরের কুনূতের দু‘আ
اَللّٰهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ
هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ
لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ؛ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ
يُقْضَى عَلَيْكَ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، [وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ]،
تَبارَكْتَ رَبَّنا وَتَعَالَيْتَ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে শামিল করে আমাকেও হিদায়াত দিন,
আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন
তাদের মধ্যে শামিল করে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন,
তাদের মধ্যে শামিল করে আমার
অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি
আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে
রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চূড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব
করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না [আর আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয়
না]। হে আমাদের রব, আপনি বরকতপূর্ণ, আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান’ (আবূ দাঊদ,
হা/১৪২৫)।
বিতরের সালাত থেকে সালাম ফিরানোর পরের দু‘আ
سُبْحَانَ
المَلِكِ القُدُّوسِ
‘কতই
না পবত্রি-মহান সেই মহা পবিত্র বাদশাহ!’
তিনবার পড়বে;
তন্মমধ্যে তৃতীয়বার টেনে পড়বে (নাসাঈ,
হা/১৭৩৪)।
দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দু‘আ
اَللّٰهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ،
ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ،
أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ
أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ
اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ
رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي
‘হে
আল্লাহ, আমি
আপনার বান্দা, আপনারই
এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে,
আমার ওপর আপনার নির্দেশ কার্যকর,
আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা
ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের অসীলায়,
যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন
অথবা আপনার কিতাবে আপনি নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকে শিখিয়েছেন অথবা
নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন, আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি,
আমার বক্ষের জ্যোতি,
আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং
দুশ্চিন্তা দূরকারী’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৭১২)।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ
وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ
الدِّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
‘হে
আল্লাহ, নিশ্চয়ই
আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে’ (বুখারী,
হা/২৮৯৩)।
দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দু‘আ
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ الْعَظِيمُ
الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لاَ إِلٰهَ
إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
‘আল্লাহ
ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি
মহান ও সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের রব। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তিনি আসমানসমূহের রব,
জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব’
(বুখারী, হা/৬৩৪৫)।
اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلَا تَلْنِي إِلى نَفْسِى طَرْفَةَ
عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ
‘হে
আল্লাহ, আমি
আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমিষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোর্পদ
করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ
নেই’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৯০)।
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي
كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ
‘আপনি
ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আপনি
পবত্রি-মহান, নিশ্চয়ই
আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত’ (তিরমিযী, হা/৩৫০৫)।
اَللهُ
اَللهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً
‘আল্লাহ,
আল্লাহ, (তিনি) আমার রব, আমি তাঁর সাথে কোনো কিছু শরীক করি না’ (আবূ দাঊদ,
হা/১৫২৫)।
কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে
اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন’ (মুসলিম,
হা/৩০০৫)।
ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দু‘আ
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং বলবে-
أَعُوْذُ بِاللّٰه
‘আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই’ (বুখারী, হা/৩২৭৬)।
যে সন্দেহে নিপতিত হয়েছে তা দূর করবে (বুখারী হা/৩২৭৬)। আর বলবে,
آمَنْتُ بِاللهِ وَرُسُلِهِ
‘আমি
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের ওপর ঈমান আনলাম’ (মুসলিম, হা/১৩৪)।
আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী পড়বে,
هُوَالْأوَّلُوَالْآخِرُوَالظّاهِرُوَالْباطِنُوَهُوَبِكُلِّشَيْءٍعَلِيمٌ
‘তিনিই
সর্বপ্রথম, তিনিই
সর্বশেষ, তিনিই
সকলের উপরে, তিনিই
সকলের নিকটে এবং তিনি সব কিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ’ (আবূ দাঊদ,
হা/৫১১০)।
ঋণ থেকে মুক্তির দু‘আ
اَللّٰهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ،
وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার
অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন’ (তিরমিযী,
হা/৩৫৬৩)।
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ
وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ
الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
‘হে
আল্লাহ, নিশ্চয়ই
আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে’ (বুখারী,
হা/২৮৯৩)।
সালাতে ও কিরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দু‘আ
বলবে-
أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرَّجِيمِ
‘বিতাড়িত
শয়তান থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি’
অতঃপর বাম দিকে
তিন বার থুতু ফেলবে (মুসলিম, হা/২২০৩)।
কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দু‘আ
اَللّٰهُمَّ لاَ سَهْلَ إِلاَّ مَا جَعَلْتَهُ
سَهْلاً، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا شِئْتَ سَهْلاً
‘হে
আল্লাহ, আপনি
যা সহজ করেছেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নয়। আর যখন আপনি ইচ্ছা করেন তখন কঠিনকেও সহজ
করে দেন’ (সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/২৪২৭)।
মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দু‘আ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ،
وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِعَ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ
بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِهِ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
তাকে ক্ষমা করুন, তাকে
দয়া করুন, তাকে
পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে
মাফ করে দিন, তার
মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে ধৌত
করুন পানি, বরফ
ও শিলা দিয়ে এবং আপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে
ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন। আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর,
তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার
সঙ্গীর (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম সঙ্গী প্রদান করুন। আর আপনি তাকে জান্নাতে
প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন’ (মুসলিম,
হা/৯৬৩)।
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا،
وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبيرِنَا، وَذَكَرِنَا
وَأُنْثَانَا.اَللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى
الْإِسْلاَمِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِيمَانِ، اَللّٰهُمَّ
لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلاَ تُضِلَّنَا بَعْدَهُ.
‘হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং নর ও নারীদের ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ,
আমাদের মধ্যে যাদের আপনি জীবিত রাখবেন
তাদেরকে ইসলামের ওপর জীবিত রাখুন এবং যাদেরকে মৃত্যু দান করবেন তাদেরকে ঈমানের
সাথে মৃত্যু দান করুন। হে আল্লাহ, আমাদেরকে তার (মৃত্যুতে ধৈর্যধারণের) সাওয়াব থেকে বঞ্চিত
করবেন না এবং তার (মৃত্যুর) পর আমাদের পথভ্রষ্ট করবেন না’ (আবূ দাঊদ,
হা/৩২০১)।
ইফতারের সময় সাওম পালনকারীর দু‘আ
ذَهَبَ
الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللهُ
‘পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ চান তো সাওয়াব সাব্যস্ত
হয়েছে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৫৯)।
اللّٰهُمَّ إِنِّي
أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي.
‘হে আল্লাহ, আপনার যে রহমত সকল কিছু পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে তার অসীলায়
আবেদন করছি- আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন’ (ইবনু মাজাহ, হা/১৭৫৩)।
খাওয়ার র্পূবে দু‘আ
খাওয়ার শুরুতে বলবে-
بِسْمِ اللهِ
‘আল্লাহর
নামে’।
بسمِ
اللهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ
আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে বলবে-
بسمِ اللهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ
‘এর
শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৭৬৭)।
এ ছাড়াও বলবে-
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْراً
مِنْهُ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
আমাদের জন্য এই খাদ্যে বরকত দিনদিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান’।
আর দুধ পান করার ক্ষেত্রে বলবে-:
اللَّهُمَّ
بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
আমাদের জন্য এই খাদ্যে বরকত দিনদিন এবং আমাদের তা থেকে আরও বেশি দিন।” (তিরমিযী,
হা/৩৪৫৫)।
আহার শেষ করার পর দু‘আ
الْحَمْدُ لِلَّهِ
الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ
حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ
সমস্ত প্রশংসা
একমাত্র ঐ আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে আমার কোনো প্রকার সামর্থ ও অবলম্বন ছাড়াই এটি
খাইয়েছেন। আর এটিকে আমার রিযিক হিসেবে দান করেছেন।
আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দু‘আ
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ
لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ
‘হে
আল্লাহ, আপনি
তাদের যে রিযিক দান করেছেন তাতে
তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন’ মুসলিম,
হা/২০৪২)।
সাওম পালনকারীকে কেউ গালি দিলে যা বলবে
إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ
‘নিশ্চয়ই
আমি সাওম পালনকারী, নিশ্চয়ই আমি সাওম পালনকারী’ (বুখারী, হা/১৮৯৪)।
স্ত্রী-সহবাসের পূর্বের দু‘আ
بِسْمِ اللهِ، اَللّٰهُمَّ
جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
‘আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ,
আপনি আমাদের থেকেআমাদের থেকে শয়তানকে
দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদের যে সন্তান দান করবেনকরবেন তার থেকেওথেকেও শয়তানকে দূরে
রাখুন’ (বুখারী, হা/১৪১)।
ক্রোধ দমনের দু‘আ
أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ
الرَّجِيمِ
‘বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট
আশ্রয় চাই’ (বুখারী, হা/৩২৮২)।
বৈঠকের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ)
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ،
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
‘হে আল্লাহ, আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি
সাক্ষ্য দেই যে, আপনি
ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট
তাওবাহ করি’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৮৫৮)।
যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি’ -তার জন্য দু‘আ
أَحَبَّكَ
الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ
‘যার
জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন’ (আবূ দাঊদ,
হা/৫১২৫)।
কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন?
আব্দুল্লাহ ইবন
‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি আঙুল
ভাঁজ করে তাসবীহ গুনতে’। অপর বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে,
‘তাঁর ডান হাতে’ (আবূ দাঊদ,
১৫০২)।
তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীরের ফযীলত
আল্লাহ বলেন, 'হে ঈমানদারগণ, তোমরা
আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো' (সূরা আল-আহযাব : ৪১)।
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দুটি কালেমা যা মুখে উচ্চারণে অতি হালকা মীযানের
পাল্লায় ভারী, আল্লাহর
নিকট খুব পছন্দনীয়। তা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ،
سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
'আমি আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি তাঁর প্রশংসা সহকারে,
আমি আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা করছি'
(বুখারী, হা/৬৬৮২)।
২. রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতের রত্নভান্ডারের একটি হলো-
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ
‘আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো
উপায় এবং (সৎকাজ করার কোনো শক্তি কারো নেই' (বুখারী হা/৬৩৮৪)।
৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে,
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِ
“আমি আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি তাঁর প্রশংসা সহকারেতার
অপরাধসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়'
(বুখারী হা/৬৪০৫)।
৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'যে ব্যক্তি প্রত্যহ ১০০ বার বলবে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اَللهُ، وَحْدَهُ
لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
“আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই,
তিনি এক,
তাঁর কোনো শরীক নেই,
রাজত্ব তাঁরই,
প্রশংসাও তাঁরই,
আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান ।
সে ১০ জন দাস মুক্ত করার সমান সাওয়াব পাবে, তার জন্য ১০০টি নেকী লেখা হবে,
১০০টি অপরাধ ক্ষমা করা হবে,
ঐ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে
নিরাপদ থাকবে এবং সে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী হবে'
(বুখারী, হা/৩২৯৩)।
৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় বাক্য চারটি। আর এ
চারটি বাক্য পাঠ করা তাঁর নিকট সমগ্র পৃথিবী অপেক্ষা প্রিয়তর। বাক্য চারটি হলো-
(১)
سُبْحَانَ اللهِ (আমি আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি)
(২) اَلْحَمْدُ لِهِٰ (সকল
প্রশংসা আল্লাহর)
(৩) لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
(আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই)
(৪) اَللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ
সর্বমহান)
(মুসলিম,
হা/২১৩৭)
কুরআনের দু‘আসমূহ
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً
وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের রব, দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জীবনে আমাদের কল্যাণ দান করুন। আর জাহান্নামের আযাব হতে আমাদের রক্ষা করুন’ (সূরা আল-বাকারাহ :২০১)
(২)
رَبَّنَا
ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ
الْخَاسِرِينَ
‘হে
আমাদের রব, আমরা
আমাদের নিজেদের ওপর যুলুম করেছি। এখন যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন ও দয়া না করেন,
তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ব’ (সূরা আল-আ‘রাফ: ২৩)।
(৩)
رَبَّنَا
لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً
إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
‘হে
আমাদের রব, আপনি
আমাদের সুপথ প্রদর্শনের পর আমাদের অন্তরসমূহকে বক্র করবেন না। আর আপনার পক্ষ হতে
আমাদের অনুগ্রহ দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বাধিক দানকারী’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ৮)।
(৪)
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ
أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
হে আমাদের রব,
আপনি আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তানদের
মাধ্যমে চক্ষুশীতলকারী বংশধারা দান করুন এবং মুত্তাকীদের জন্য আমাদের আদর্শ বানিয়ে
দিন’ (সূরা আল-ফুরকান : ৭৪)।
(৫)
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ
ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
‘হে রব, আমাকে আপনার পক্ষ হতে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি
প্ৰাৰ্থনা শ্রবণকারী' (সূরা আলে ইমরান : ৩৮)।
(৬)
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
‘হে রব, আপনি আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন'
(সূরা সফফাত : ১০০)
(৭)
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا
فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে
আমাদের রব, নিশ্চয়ই
আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব হতে
আমাদের রক্ষা করুন' (সূরা আলে ‘ইমরান
: ১৬)।
বংশধারা দান করুন এবং মুত্তাকীদের জন্য আমাদের আদর্শ বানিয়ে দিন'
(সূরা আল- ফুরকান : ৭৪)।
(৮)
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا
إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
“হে
আমাদের রব, আপনি
আমাদের পক্ষ হতে এটি কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ'
(সূরা আল-বাকারাহ : ২৭)।
(৯)
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا
فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ¤ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের রব, এই যালেম কওমের হাতে আমাদেরকে ফিতনায় নিক্ষেপ
করবেন না এবং আপনার নিজ অনুগ্রহে এই কাফির সম্প্রদায়ের হাত থেকে
আমাদের উদ্ধার করুন' (সূরা ইউনুস : ৮৫-৮৬)।
(১০)
وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ
أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
‘আর
আমাদের তাওবাহ কবুল করুন, , নিশ্চয়ই আপনি অধিক তাওবাহ কবুলকারী ও দয়াময়' (সূরা আল-বাকারাহ : ২৮)।
(১১)
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي
وَلِوَالِدَى وَلِلْمُؤْمِنِينَ
يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
‘হে আমাদের রব, আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল ঈমানদারকে হিসাব-নিকাশের
দিন ক্ষমা করুন' (সূরা ইবরাহীম : ৪১)।
(১২)
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
‘হে
রব, আমার
জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন’
(সূরা ত্ব-হা : ১১৪)।
(১৩)
رَبِّ اشْرَحْ لِي
صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي
أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةٌ مِنْ لِسَانِ يَفْقَهُوا
قَوْلِى
‘হে রব, আমার বক্ষ প্রসারিত করে দিন এবং আমার কর্ম সহজ করে দিন। আর
আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন। যাতে তারা আমার কথা ভালোভাবে বুঝতে পারে'
(সূরা ত্ব-হা : ২৫-২৮)।
(১৪)
رَبِّ إِن أَعُوذُ
بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ
مَا لَيْسَ لِي
بِهِ عِلْمٌ وَإِلَّا
تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ
الْخَاسِرِينَ
‘হে
রব, আমি
আপনার নিকট এমন বিষয়ে আবেদন করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি,
যে বিষয়ে আমার কোনো জ্ঞান নেই। এখন
যদি আপনি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন,
তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত
হয়ে যাবো' (সূরা
হূদ : ৪৭)।
(১৫)
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ
لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيْنُ
لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رشدا
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনি নিজের পক্ষ হতে বিশেষ অনুগ্রহ দান করুন এবং
আমাদের কাজসমূহ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করে দিন'
(সূরা আল-কাহফ : ১০)।
(১৬)
لا إِلَهَ إِلَّا
أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي
كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
'আপনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা
করছি। নিশ্চয়ই আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত' (সূরা আল-আম্বিয়া : ৮৭)।
(১৭)
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ
الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
‘হে রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার সন্তানদের
মধ্য থেকেও। হে আমাদের রব, আপনি
দু'আ কবুল করুন
(সূরা ইবরাহীম : ৪০)।
(১৮)
رَبِّ لَا تَذَرْنِي
فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ
الْوَارِثِينَ
‘হে রব, আমাকে নিঃসন্তান হিসাবে রাখবেন না,
আর আপনি তো উত্তম ওয়ারিশকারী'
(সূরা আল-আম্বিয়া : ৮৯)।
(১৯)
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ
مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوْذُ بِكَ
رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
‘হে রব, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা
করছি। আর আমার নিকট ওদের উপস্থিতি থেকেও আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি হে
রব’ (সূরা
আল-মুমিনূন : ৯৭-৯৮)।
(২০)
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ
لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ
خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি
অনুগ্রহ করুন। আর আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ'
(সূরা আল- মুমিনূন : ১০৯)।
(২১)
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ
وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
‘হে রব, আমাকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন। আপনিই
তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু' (সূরা আল-মুমিনূন : ১১৮)।
(২২)
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا
عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ
عَذَابَهَا كَانَ غَرَا مَا
إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا
‘হে আমাদের রব, আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি সরিয়ে দিন। কেননা এর
শাস্তি তো হবে একটানা-অবিরত। নিশ্চয়ই তা অবস্থান ও আবাস হিসাবে অতি নিকৃষ্ট স্থান'
(সূরা আল- ফুরকান : ৬৫-৬৬)।
(২৩)
ربِّ إِلَّى ظَلَمْتُ
نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي
‘হে রব, আমি তো নিজের ওপর যুলুম করে ফেলেছি। অতএব আমাকে ক্ষমা করে
দিন’
(সূরা আল-কাসাস : ১৬)।
(২৪)
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا
أَنزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ
فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
‘হে আমাদের রব, আমরা সে বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছি,
যা আপনি নাযিল করেছেন। আর আমরা
রাসূলের আনুগত্য করেছি। অতএব আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্যদাতাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন'
(সূরা আলে ইমরান : ৫৩)।
(২৫)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا
ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي
أَمْرِنَا وَثَيْتُ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى
الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
“হে আমাদের রব, আমাদের গুনাহসমূহ ও আমাদের বাড়াবাড়িসমূহ ক্ষমা করুন।
আমাদের পদযুগল দৃঢ় রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের ওপর আমাদের সাহায্য করুন’
(সূরা আলে ইমরান: ১৪৭)।
(২৬)
الَّذِیۡنَ یَذۡکُرُوۡنَ
اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِهِمۡ وَ یَتَفَکَّرُوۡنَ فِیۡ
خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ
سُبۡحٰنَکَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿۱۹۱﴾ رَبَّنَاۤ اِنَّکَ مَنۡ تُدۡخِلِ النَّارَ فَقَدۡ اَخۡزَیۡتَهٗ ؕ وَ مَا
لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ اَنۡصَارٍ ﴿۱۹۲﴾ رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعۡنَا مُنَادِیًا یُّنَادِیۡ لِلۡاِیۡمَانِ اَنۡ
اٰمِنُوۡا بِرَبِّکُمۡ فَاٰمَنَّا ٭ۖ رَبَّنَا فَاغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ
کَفِّرۡ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الۡاَبۡرَارِ ﴿۱۹۳﴾ۚ رَبَّنَا وَ اٰتِنَا مَا وَعَدۡتَّنَا عَلٰی رُسُلِکَ وَ لَا تُخۡزِنَا
یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِنَّکَ لَا تُخۡلِفُ الۡمِیۡعَادَ ﴿۱۹۴﴾
‘হে আমাদের রব, আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি,
আপনি অত্যন্ত পবিত্র,
অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে
রক্ষা করুন। হে আমাদের রব, তুমি
যাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে, তাকে
অবশ্যই তুমি অপমান করবে আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব,
আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের ঘোষণা
করতে শুনেছি যে, “তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো”। সে
অনুযায়ী আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং হে আমাদের রব, আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের থেকে আমাদের
মন্দ কাজগুলো বিদূরিত করে দাও আর নেককার বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে
আমাদের মৃত্যু ঘটাও। হে আমাদের রব, তুমি স্বীয় রাসূলদের মাধ্যমে আমাদেরকে যেসব বস্তুর ওয়াদা
শুনিয়েছো, তা
আমাদের দান করো এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছিত কোরো না,
নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।”
(সূরা আলে
‘ইমরান : ১৯১-৯৪)।
(২৭)
ربَّنَا لا
تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ
الظَّالِمِينَ
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে অত্যাচারী সম্প্রদায়ের সাথী করবেন না’ (সূরা আল- আ‘রাফ : ৪৭)।
(২৮)
رَبِّ اجْعَلْ
هَذَا الْبَلَدَ
آمِنًا وَاجْنُبْنِي
وَبَنِى أَنْ
نَعْبُدَ الاصنام
‘হে রব, এ শহর (মক্কা) –কে শান্তিময় করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের
মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখুন' (সূরা ইবরাহীম: ৩৫)।
(২৯)
رَبِّ إِلى
لِمَا أَنْزَلْتَ
إِلَى مِنْ
خَيْرٍ فَقِيرٌ
‘হে রব, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন আমি তার মুখাপেক্ষী'
(সূরা আল- কাসাস : ২৪)
(৩০)
رَبِّ انْصانِي
عَلَى الْقَوْمِ
الْمُفْسِدِينَ
‘হে রব, অন্যায়-ফাসাদ সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
আমাকে সাহায্য করুন' (সূরা আল- “আনকাবূত
: ৩০)।
(৩১)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا
وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُونَا
بِالْإِيْمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوْبِنَا غِلَّا
لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا
إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভাইদেরকে ক্ষমা করুন।
ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব,
নিশ্চয়ই আপনি অতি দয়ালু,
পরম করুণাময়'
(সূরা আল-হাশর : ১০)।
(৩২)
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا
فِتْنَةٌ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوا
وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا
إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবেন
না। আপনি আমাদের ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহা পরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময়'
(সূরা আল- মুমতাহিনাহ : ৫)।
(৩৩)
رَبَّنَا أَثْبِمُ لَنَا
نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا
إِنَّكَ عَلَى
كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
হে আমাদের রব, আমাদের
জ্যোতিকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদের ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর
সর্বশক্তিমান’ (সূরা আত-তাহরীম : ৮)।
সমাপ্ত
সংকলক
ডা. মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক
নিউ ইয়র্ক, আমেরিকা
সম্পাদনায়
ড. মুহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর
নিবন্ধটি ডাউনলোড করুন (পিডিএফ ভার্সন)
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
আলহামদুলিল্লাহ্ প্রিয় লেখকের বইটি হাতে পেয়েছি এবং বইটি পড়ে অনেক কিছু শিখছি। আল্লাহ্ সুবাহানাল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় লেখক এর জন্য অনেক দোয়া রইলো। আল্লাহ্ যেন উনাকে সুস্থ রাখে এবং নেক হায়াত দেয় যেন উনি আমাদের মত গুনাহগার বান্দাদের জন্য এভাবে ভালো কিছু শিখার জন্য আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় রাসূলের নির্দেশিত পথে চলার জন্য এই বইয়ের মত আরো কিছু বই লিখতে পারে।
উত্তরমুছুন