শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

ফাত্‌ওয়া নং : 9036


তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

প্রশ্ন : আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন কারণ আমি এর কোনো সন্তোষজনক জবাব পাই নি। প্রশ্নটি হলো তারাবীহ সম্পর্কে, তা কি ১১ রাক্‌‘আত নাকি ২০ রাক্‌‘আত? সুন্নাহ মতে তো তা ১১ রাক্‌‘আত । শাইখ আল-আলবানী –রহিমাহুল্লাহ –“আল-ক্বিয়াম ওয়া আত-তারাউয়ীহ”-বইতে বলেছেন (তা) ১১ রাক্‌‘আত । কেউ কেউ সেই মাসজিদে যায় যেখানে ১১ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় হয়, আবার অনেকে সেই মাসজিদে যায় যেখানে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়। তাই এই মাসআলাটি এখানে যুক্তরাষ্ট্রে সংবেদনশীল হয়ে গেছে। যে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করে সে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায়কারীকে দোষারোপ করে; আবার এর বিপরীতটিও হয়। তাই (এই ব্যাপারটি নিয়ে) ফিতনাহ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আল-মাসজিদ আল-হারামেও ২০ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় করা হয়।
কেন আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ীতে সুন্নাহ থেকে বিপরীত করা হয়? কেন তারা আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ী-তে ২০ রাক্‌‘আত তারাউয়ীহ-এর সালাত  আদায় করেন?

উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আমরা মনে করি না যে ‘আলিমগণের মধ্যে ইজতিহাদী মাসআলাসমূহ নিয়ে একজন মুসলিমের এ ধরনের সংবেদনশীল আচরণ করা উচিত যা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ ও ফিতনাহ সৃষ্টির কারণ হয়।

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০১৪

বইঃ কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান - ফ্রি ডাউনলোড

বইঃ কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান - ফ্রি ডাউনলোড

বইঃ কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান - ফ্রি ডাউনলোড

বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
নাম: কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান
লেখক: শাইখ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
ডাইরেক্টর, শিক্ষা ও দাওয়াহ বিভাগ, রিভাইভ্যাল ওব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি, কুয়েত, বাংলাদেশ অফিস
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স, হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা।

বইটিতে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো :
• শবে বরাতের শাব্দিক তৎত্পর্য
• শারী’আতে ইসলামিয়াহর এই রাতের ভিত্তি
• অর্ধ শাবানের রাতের ফযীলতের উপর পর্যালোচনা
• শবে বরাতের ইবাদাত কিভাবে চালু হয়?
• সংশয় ও তার নিরসন
• অর্ধ শাবানের রাতে প্রচলিত বিদআত প্রভৃতি।

রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ

বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ



বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ

যে সকল ভাইয়েরা/বোনেরা বিবাহ উপযুক্ত বা যাহারা বিবাহ নিয়ে ভাবছেন তাদের অথবা যারা অভিবাবক আছেন তারা জেনে নিন:

বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ

(১) মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা। (তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ৩৬১২)

(২) সৎ ও খোদাভীরু পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পূর্বে পয়গাম পাঠানো। কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য। (বুখারী হাদিস নং-৫০৯০, ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪: ২০০)

বিয়ের অপর নাম প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া

বিয়ের অপর নাম প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া



বিয়ের অপর নাম প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া

কিশোর বয়স থেকে বিয়ের ব্যাপারে আমার একটা প্রশ্ন ছিলো মনে, সেই প্রশ্নটা যাদের করেছিলাম, তাদের উত্তর কিছু খুবই নিম্নমানের। তাই আদতে আমার কৌতুহল নিবৃত্ত হয়নি। প্রশ্নটি ছিলো, দু’জন মোটামুটি অপরিচিত মানুষ কীভাবে সারাটা জীবন একসাথে কাটিয়ে দিতে পারে? মোটামুটি অপরিচিত বললাম এই কারণে যে, বিয়ের আগে থেকে আসলে তেমন একটা জানাজানি একদমই সম্ভব না। একসাথে থাকতে গেলে তখন টের পাওয়া যায় যে অনেকে অনেক ছোট-ছোট বিষয়েই বিরক্ত হয়। আর তার উপরে যখন একটা বয়স পরে অনেকের শরীরে রোগবালাই ভর করে, তখন তো অপরজন অপার ভালোবাসায় আর যত্নে তার দেখাশোনা করেন — এমনটাই বা কী করে সম্ভব?