মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

আল্লাহ তা‘আলা দয়ালু। তাই তিনি আপন বান্দাদের তওবার সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। তিনি চান বান্দারা ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের জন্য বছরে কিছু বরকতময় ও কল্যাণবাহী দিন রেখেছেন- যাতে আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমরা পরীক্ষার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই সবচে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য। তবে কেন আখেরাতের জন্য এসব পরীক্ষার দিনগুলোতেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা ব্যয় করব না? এ দিনগুলোতে আমল করা তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি নেকী ও কল্যাণ বয়ে আনে। এমন দিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিলহজ মাসের এই প্রথম দশদিন। এ দিনগুলো এমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাতে আমলের প্রতি তিনি সবিশেষ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে আল্লাহ তা‘আলা এর কসম করেছেন।

কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান

কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান



কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান

• কুরবানীর বিধি-বিধান:

কুরবানী মূলত: জীবিত মানুষের জন্য। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের পক্ষ থেকে এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করতেন। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে কুরবানী কেবল মৃতদের সাথে সংশ্লিষ্ট। এর আদৌ কোন ভিত্তি নাই।
মৃত মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানী করা তিনভাগে বিভক্ত। যথা:
১) জীবিতদের সাথে মৃতদেরকেও শরীক করা। যেমন, নিজের এবং নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে কুরবানীতে মৃতদেরও নিয়ত করা। এর দলীল হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের পক্ষ থেকে এবং তাঁর পরিবারের জীবিত ও মৃত সবার পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন।
২) মৃত মানুষের ওসীয়ত মোতাবেক কুরবানী করা। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَمَن بَدَّلَهُ بَعْدَ مَا سَمِعَهُ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى الَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُ
“যদি কেউ ওসীয়ত শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন করে, তবে যারা পরিবর্তন করে তাদের উপর এর পাপ পতিত হবে।” (সূরা বাকারা: ১৮১)