রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

ইউনুস ‘আলাইহিস সালামের ঘটনা

ইউনুস ‘আলাইহিস সালামের ঘটনা 



ইউনুস ‘আলাইহিস সালামের ঘটনা

পূর্ববর্তী নবী ‘আলাইহিমুস সালামগণের ঘটনাবলিতে রয়েছে শিক্ষা ও উপদেশ। তারা আমাদের আলোকবর্তিকা ও আলোর মিছিল। আল্লাহ বলেন, 
﴿ لَقَدۡ كَانَ فِي قَصَصِهِمۡ عِبۡرَةٞ لِّأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِۗ مَا كَانَ حَدِيثٗا يُفۡتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصۡدِيقَ ٱلَّذِي بَيۡنَ يَدَيۡهِ وَتَفۡصِيلَ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ ١١١ ﴾ [يوسف: ١١١]  
‘তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা, এটা কোনো বানানো গল্প নয়, বরং তাদের পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ। আর হিদায়াত ও রহমত ঐ কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।’ {সূরা ইউসূফ, আয়াত : ১১১}

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

কিয়ামতের বড় আলামত

কিয়ামতের বড় আলামত



কিয়ামতের বড় আলামত

১. ইমাম মাহদীর আগমন

   সহীহ হাদীছের বিবরণ থেকে অবগত হওয়া যায় যে, আখেরী যামানায় ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ কিয়ামতের সর্বপ্রথম বড় আলামত। তিনি আগমণ করে এই উম্মাতের নের্তৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ইসলাম ধর্মকে সংস্কার করবেন এবং ইসলামী শরীয়তের মাধ্যমে বিচার-ফয়সালা করবেন। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন। উম্মাতে মুহাম্মাদী তাঁর আমলে বিরাট কল্যাণের ভিতর থাকবে। 
ইমাম ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ তখন ফল-ফলাদীতে প্রচুর বরকত হবে, মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, ইসলাম বিজয়ী হবে, ইসলামের শত্রুরা পরাজিত হবে এবং সকল প্রকার কল্যাণ বিরাজ করবে।[1]

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪

ইমাম মাহদীর আগমন

ইমাম মাহদীর আগমন



ইমাম মাহদীর আগমন

সহীহ হাদীছের বিবরণ থেকে অবগত হওয়া যায় যে, আখেরী যামানায় ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ কিয়ামতের সর্বপ্রথম বড় আলামত। তিনি আগমণ করে এই উম্মাতের নের্তৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ইসলাম ধর্মকে সংস্কার করবেন এবং ইসলামী শরীয়তের মাধ্যমে বিচার-ফয়সালা করবেন। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন। উম্মতে মুহাম্মাদী তাঁর আমলে বিরাট কল্যাণের ভিতর থাকবে। 
ইমাম ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ তখন ফল-ফলাদীতে প্রচুর বরকত হবে, মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, ইসলাম বিজয়ী হবে, ইসলামের শত্রুরা পরাজিত হবে এবং সকল প্রকার কল্যাণ বিরাজ করবে।[1]

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

যে ব্যক্তি ধৈর্য হারিয়ে যেনা করতে চায়

যে ব্যক্তি ধৈর্য হারিয়ে যেনা করতে চায়



 যে ব্যক্তি ধৈর্য হারিয়ে যেনা করতে চায়

প্রশ্ন: আমি যেনা করতে চাই! আমি আর নিজেকে সামলাতে পারছি না। দশ বছর যাবৎ ধৈর্য ধরে আছি। আলহামদু লিল্লাহ আমি নামায পড়ি, রোজা রাখি। কিন্তু যখনই আমি কোন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আমি যেনা করতে চাই! আমি যেনা করতে চাই! আমি দোয়া করি; কিন্তু দুআ কবুল হয় না। আমি কি করব? আমি আর পারছি না।

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

এক:

আপনি আমাদের সাথে যেমন স্পষ্টবাদী হয়েছেন আমরাও আপনার সাথে স্পষ্টবাদী হব। আপনি কি আমাদের কাছে এজন্য মেইল করেছেন যে, আমরা আপনাকে যেনা করার অনুমতি দিব?! আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার জন্য কাউকে অনুমতি দেয়ার অধিকার তো আমাদের নেই। নাকি আপনি চাচ্ছেন যে, আমরা আপনাকে ব্যভিচার বৈধ বলে ফতোয়া দিব?! কোন মুসলমানের পক্ষে এ ফতোয়া দেয়া সম্ভব নয়। যেনা কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতেই যেনার শাস্তি বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা নির্ধারণ করেছেন এবং এ গুনাহর সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিধান আরোপ করেছেন। যেমন- যেনাকারী তওবা না করা পর্যন্ত তাকে বিয়ে করতে দেয়া হবে না। এ গুনার কারণে আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে শাস্তির কিছু বর্ণনা উল্লেখ করেছেন: আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের একটি চুল্লিতে ব্যভিচারী নর-নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় একত্রিত করবেন। সেখানে জাহান্নামের আগুন তাদেরকে পোড়ানো হবে। তাদের বিকট শব্দ শুনা যাবে। অতএব, যে ব্যক্তি যেনা করতে চায় আমাদের কাছে তার জন্য অনুমতি নেই। আমাদের কাছে যেনা বৈধ মর্মে কোন ফতোয়া নেই।

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল



চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহূ
বসে সালাত করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকে। কারণ অনেকেই এর বিবিধ অবস্থা ও চেয়ারে বসে সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। তাই নিম্নে তার কিছু বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৪

কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল

কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল

নবুয়্যাতের প্রদীপ থেকে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى: مَنْ عَلِمَ أَنِّي ذُو قُدْرَةٍ عَلَى مَغْفِرَةِ الذُّنُوبِ، غَفَرْتُ لَهُ وَلا أُبَالِي مَا لَمْ يُشْرِكْ بِي شَيْئًا» . (صحيح الجامع الصغير و زيادته: 4206).
“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, আমিই গুনাহ মাফ করার ক্ষমতাবান, তাকে আমি ক্ষমা করে দেই এবং যতক্ষণ সে আমার সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করে, ততক্ষণ (তাকে ক্ষমা করার ব্যাপারে) আমি কোনো কিছুর পরওয়া করি না।” [সহীহুল জামে‘ আস-সাগীর ওয়া যিয়াদাতুহু: ৪২০৬]।

ইখলাস

الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على سيدنا محمد، وعلى آل وصحبه وسلم. وبعد:

দীন ইসলামের অন্যতম মৌলিক নীতি হলো, সব কাজে ইখলাস বাস্তবায়ন করা এবং ইখলাসের বিপরীত যা কিছু আছে যেমন: লৌকিকতা, সুনাম সুখ্যাতির প্রত্যাশা, অহমিকা ইত্যাদি বর্জন করা।
আল্লাহ জনৈক আলেমের উপর রহমত নাযিল করুন যিনি বলেছেন: “আমি  মনে করি, যেসব ফকিহ মানুষকে মাকাসিদুশ শরি‘আহ তথা শরি‘আতের বিধিবিধানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তারা যদি ইখলাস ব্যতীত মানুষকে এগুলো শিক্ষা দিয়ে থাকেন তবে তাদের সেসব কাজ বিফলে যাবে, কোনো সাওয়াব হবে না”

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

কুর‘আন ও হাদীস থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ

কুর‘আন ও হাদীস থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ



কুর‘আন ও হাদীস থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ

• কুরআনের নির্বাচিত দো‘আ:

১- رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
১। হে আমাদের প্রভু! দুনিয়াতে আমাদের কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও। আর আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও।১

বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৪

বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায



বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এ নামায আদায় করতে মহানবী (সাঃ) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘বিত্‌র ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, “অবশ্যই আল্লাহ বিত্‌র (জোড়হীন), তিনি বিত্‌র (জোড়শূন্যতা বা বেজোড়) পছন্দ করেন। সুতরাং তোমরা বিত্‌র (বিজোড়) নামায পড়, হে আহলে কুরআন!” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫৮৮নং)

মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার



স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার 

আল্লাহ তায়ালা বলেন: “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ।” (সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৮৭।)

স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের পোশাকের মতো। পোশাক যেমন আমাদের ইজ্জত-আব্রু হেফাজত করে ও আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকাও তেমনি। আমাদের কারো পোশাক যদি কখনো ময়লা হয়ে সেটা যেমন আমরা একেবারে ফেলে না দিয়ে যত্ন করে পরিষ্কার করি, ঠিক তেমনি স্বামী বা স্ত্রীর কারো কোন ত্রুটি থাকলে সেই কারনে তার পুরোটাই খারাপ, তার সাথে আর ভালো ব্যবহার করা যাবে না, এমন না। বরং, স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজন সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু হবে, একজন আরেকজনকে নেকীর কাজে সাহায্য করবে – তাহলেই সম্ভব একটা সুখী পরিবার গড়ে তোলা।

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

মুহাররম মাসের সুন্নাত ও বিদ‘আত

মুহাররম মাসের সুন্নাত ও বিদ‘আত



মুহাররম মাসের সুন্নাত ও বিদ‘আত

ভূমিকা 

আল্লাহ তা‘আলা বার মাসের মধ্যে মুহাররম, রজব, যুলক্বা‘দাহ ও যুলহিজ্জাহ এই চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। এই মাসগুলো ‘হারাম’ বা সম্মানিত মাস হিসাবে পরিগণিত। ঝগড়া-বিবাদ, লড়াই, খুন-খারাবী ইত্যাদি অন্যায়-অপকর্ম হ’তে দূরে থেকে এর মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। যেমন আল্লাহ বলেন, 
فَلاَ تَظْلِمُوْا فِيْهِنَّ أَنْفُسَكُمْ 
‘এই মাসগুলিতে তোমরা পরস্পরের উপরে অত্যাচার কর না’ (তওবা ৯/৩৬)। 
রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক আশূরার ছিয়াম পালন ও এর ফযীলত বর্ণনার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই এ মাসের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হ’ল, রাসূল (ছাঃ) যে উদ্দেশ্যে আশূরার ছিয়াম পালন করেছেন, আমরা তাঁর উদ্দেশ্যের কথা ভুলে গিয়ে এমন উদ্দেশ্যে ছিয়াম পালন করছি যা কুরআন ও সুন্নাতের সম্পূর্ণ বিরোধী। সাথে সাথে এমন সব বিদ‘আতে লিপ্ত হয়েছি যা থেকে বেঁচে থাকা একান্ত যরূরী। 
নিম্নে মুহাররম মাসের সুন্নাত ও বিদ‘আত সম্পর্কে আলোকপাত করা হ’ল।-

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৪

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে



ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে

নামাযী যখন নামায পড়ে তখন সে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করে। আল্লাহর সাথে নিরালায় যেন কানে কানে কথা বলে। (মুঅত্তা, মুসনাদে আহ্‌মদ ২/৩৬, ৪/ ৩৪৪)

নামাযের মাঝেই আব্দ (দাস) মাবুদের (প্রভুর) ধ্যনে ধ্যানমগ্ন থাকে। যেন সে তাকে দেখতে পায়। যতক্ষণ সে নামাযে থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে কথা বলে। তিনি তার প্রতি মুখ ফিরান এবং সালাম না ফিরা পর্যন্ত তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন না। (বাইহাকী, সহীহুল জামে’১৬১৪ নং)

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৪

জুম‘আর নামায

জুমআর নামায



জুমআর নামায

জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।
মহান আল্লাহ বলেন,
(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (কুরআন মাজীদ ৬২/৯)

শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৪

আল্লাহর দিকে দাওয়াতের সম্বল

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

ভূমিকা
সব প্রশংসা আল্লাহর, আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, তাঁর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি, তাঁর কাছে তাওবা করছি। তাঁর কাছে আমাদের অন্তরের সব কলুষ ও সব পাপ কাজ থেকে পানাহ চাই। তিনি যাকে হিদায়াত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না, আর তিনি যাকে পথ-ভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন, যাতে তা সব দ্বীনের উপর বিজয় লাভ করে। তিনি তাঁর রিসালাহ (দাওয়াত) পৌঁছে দিয়েছেন, আমানত আদায় করেছেন, উম্মতকে উপদেশ দিয়েছেন, আল্লাহর পথে যথাযথ প্রচেষ্টা করেছেন। তাঁর উম্মতকে সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণের উপর রেখে গেছেন, যার দিবারাত্রি সমানভাবে উজ্জল, একমাত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত ছাড়া কেউ সে পথ থেকে সরে যায় না। তাই আল্লাহর সালাত ও সালাম তাঁর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন, সাহাবীগণ ও কিয়ামত পর্যন্ত একনিষ্ঠার সাথে যারা তাঁর অনুসরণ করবে সকলের উপর বর্ষিত হোক। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাকে ও আপনাদেরকে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব কাজে তাঁর অনুসারী করেন, তিনি যেন তাঁর নবী (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) দলের অন্তর্ভুক্ত করে আমাদেরকে মৃত্যু দান করেন, তাঁর উম্মতের কাতারে যেন হাশরের দিনে একত্রিত করেন, তাঁর শাফায়াতের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং তিনি যেন আমাদেরকে চিরস্থায়ী জান্নাতে তাঁর সাথে ও সে সব নবী রাসূল, সিদ্দিকীন, শুহাদা ও সালেহীন বান্দাদের সাথে একত্রিত করেন যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন। 

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৪

ধর্ষকের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করা কি ওয়াজিব?

ধর্ষকের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করা কি ওয়াজিব?

 ধর্ষকের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করা কি ওয়াজিব?

প্রশ্ন: কেউ যদি কোন নারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয় তখন সেই নারীর উপর আত্মরক্ষা করা কি ওয়াজিব? আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র ব্যবহার করা জায়েয হবে কি?

উত্তর: 

যে নারীর সাথে জোরপূর্বক যেনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে নারীর উপর আত্মরক্ষা করা ফরজ। তিনি কিছুতেই দুর্বৃত্তের কাছে হার মানবেন না। এজন্য যদি দুর্বৃত্তকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচাতে হয় সেটা করবেন। এই আত্মরক্ষা ফরজ। ধর্ষণ করতে উদ্যত ব্যক্তিকে হত্যা করার কারণে তিনি দায়ী হবেন না। এর সপক্ষে দলিল হচ্ছে- ইমাম আহমাদ ও ইবনে হিব্বান কর্তৃক সংকলিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস, 
“যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি তার জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি তার ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ।” 
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় এসেছে- “যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ” অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী অথবা অন্য কোন নিকটাত্মীয় নারীর ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল (সে শহীদ)।

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৪

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান



কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

ভূমিকা
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পাঠের পর আজকের আলোচনা শুরু করছি। 
ইবাদতের ব্যাপারে একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে, প্রতিটি ইবাদতের জন্য শরী‘আতপ্রবর্তক আল্লাহ তা‘আলা একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা সে সময়েই আদায় করতে হয়, যদি না সেটাকে তার সময় থেকে বিশেষ আবশ্যকতা বা প্রয়োজনের কারণে বের করে অন্য সময়ে করার ব্যাপারে দলীল-প্রমাণাদি পাওয়া যায়। 
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 
﴿ ٱلَّذِينَ هُمۡ عَن صَلَاتِهِمۡ سَاهُونَ ٥ ﴾ [الماعون: ٥]  
“যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বেখবর” [সূরা আল-মা‘উন, ৫] 
অর্থাৎ তারা সালাতকে তার সময় থেকে পিছিয়ে দেয়। 

বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৪

পিতামাতার অবাধ্যতা: কারণ, কিছু বাহ্যিক চিত্র ও প্রতিকারের উপায়

পিতামাতার অবাধ্যতা: কারণ, কিছু বাহ্যিক চিত্র ও প্রতিকারের উপায়


পিতামাতার অবাধ্যতা: কারণ, কিছু বাহ্যিক চিত্র ও প্রতিকারের উপায়

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আর দুরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সঙ্গী-সাথী ও যারা তাঁকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রতি।
অতঃপর,
পিতামাতার অধিকারের বিষয়টি অনেক বড় ও মহান এবং দীনের মধ্যে তাদের মর্যাদা ও অবস্থান অনেক উপরে; সুতরাং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার বিষয়টি তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের মতই গুরত্বপূর্ণ; আর তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার বিষয়টি আল্লাহ তা‘আলার প্রতি কৃতজ্ঞতার সাথে সম্পৃক্ত; আর তাদের প্রতি ইহসান করা সবচেয়ে মহান কাজের অন্তর্ভুক্ত এবং মহান আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿۞ وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا ﴾ [النساء: ٣٦]
আর তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং কোনো কিছুকে তাঁর শরীক করো না; আর পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো।[1]

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৪

ইসলামে হিজাবের বিধান আরোপের কারণ যৌন কামনা রোধ করা নয়

ইসলামে হিজাবের বিধান আরোপের কারণ যৌন কামনা রোধ করা নয়



 ইসলামে হিজাবের বিধান আরোপের কারণ যৌন কামনা রোধ করা নয়

প্রশ্ন: আপনাদের ধর্ম বা সংস্কৃতিতে নারীদের যে আবরণ পরতে হয় আমি সে ব্যাপারে জানতে আগ্রহী। এই পোশাক আমাদের খ্রিষ্টানদের কাছে সত্যিই খুব অসার মনে হয়। কারণ এটি এমন ইঙ্গিত করে যেন একজন নারী ভাবে সে এই পোশাক না পরলে প্রতিটা পুরুষ তাকে কামনা করবে। আরও ইঙ্গিত করে যে সৌন্দর্যের কারণে আপনার ধর্মের বা সংস্কৃতির অনুসারী কোন নারীর ক্ষেত্রে পুরুষদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। কারণ আপনি মনে করছেন যে আপনাকে কামনা করা হবে। কিন্তু কেউ সুন্দর হতেই পারে; তাই বলে প্রতিটা পুরুষ তাকে কামনা করবে এমন তো নয়। আপনি কি এ ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করতে পারেন? আমি আপনাকে সত্য করেই বলব আমি যখন এই পোশাক পরা কোন নারীকে দেখি আমার মনে হয়, “কত অসার তুমি?” উত্তরের জন্য আপনাকে আগেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি।

উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

প্রথমেই আমরা আপনাকে আপনার অকপটতা, সুস্পষ্ট প্রশ্ন ও প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আশা করি নিচে যে সামান্য কিছু কথা আমরা তুলে ধরব এর মাঝে আপনি আপনার উত্তর খুঁজে পাবেন।

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

আল্লাহ তা‘আলা দয়ালু। তাই তিনি আপন বান্দাদের তওবার সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। তিনি চান বান্দারা ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের জন্য বছরে কিছু বরকতময় ও কল্যাণবাহী দিন রেখেছেন- যাতে আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমরা পরীক্ষার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই সবচে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য। তবে কেন আখেরাতের জন্য এসব পরীক্ষার দিনগুলোতেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা ব্যয় করব না? এ দিনগুলোতে আমল করা তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি নেকী ও কল্যাণ বয়ে আনে। এমন দিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিলহজ মাসের এই প্রথম দশদিন। এ দিনগুলো এমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাতে আমলের প্রতি তিনি সবিশেষ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে আল্লাহ তা‘আলা এর কসম করেছেন।

কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান

কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান



কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান

• কুরবানীর বিধি-বিধান:

কুরবানী মূলত: জীবিত মানুষের জন্য। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের পক্ষ থেকে এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করতেন। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে কুরবানী কেবল মৃতদের সাথে সংশ্লিষ্ট। এর আদৌ কোন ভিত্তি নাই।
মৃত মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানী করা তিনভাগে বিভক্ত। যথা:
১) জীবিতদের সাথে মৃতদেরকেও শরীক করা। যেমন, নিজের এবং নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে কুরবানীতে মৃতদেরও নিয়ত করা। এর দলীল হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের পক্ষ থেকে এবং তাঁর পরিবারের জীবিত ও মৃত সবার পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন।
২) মৃত মানুষের ওসীয়ত মোতাবেক কুরবানী করা। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَمَن بَدَّلَهُ بَعْدَ مَا سَمِعَهُ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى الَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُ
“যদি কেউ ওসীয়ত শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন করে, তবে যারা পরিবর্তন করে তাদের উপর এর পাপ পতিত হবে।” (সূরা বাকারা: ১৮১)

শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

কুরবানী: ফযিলত ও আমল

কুরবানী: ফযিলত ও আমল

إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد
কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক  বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা বান্দাহ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কুরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাধ্যম হল কুরবানী তাই এর নাম কুরবানীর ঈদ। এই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে এজন্য একে কুরবানীর ঈদ বলে। এ ঈদের অপর নাম ঈদুল আদ্বহা। আরবি শব্দ আদ্বহা অর্থ কুরবানীর পশু, যেহেতু এই দিনে কুরবানীর পশু যবেহ করা হয়, তাই একে ঈদুল আদ্বহা বলা হয়।

আল-কোরআন ও সুন্নাহ হতে সংকলিত শরীয়তসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক

শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী

১- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আল্লাহর কোরআন অথবা, তাঁর নামসমূহ  অথবা তাঁর গুনাবলীসমূহ দ্বারা
২- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আরবী বা অন্য যে কোনো ভাষায়, যার অর্থ জানা যায়
৩- এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (রোগ চিকিৎসায়) ঝাড়-ফুঁকের কোনোই ক্ষমতা নাই, বরং রোগ শিফা’র সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই
৪- ঝাড়-ফুঁক যেন হারাম অবস্থায় না হয় অর্থাৎ নাপাক অবস্থায় অথবা, কবর বা পায়খানায় বসে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

 স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইআর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

অতঃপর
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের জন্য লেনদেনের ব্যাপারে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সুস্পষ্ট পরিপূর্ণ নিয়ম-পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন, অন্য কোন ব্যবস্থা বা পদ্ধতিই তার সমকক্ষ হবে না; আর লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি তা সুদের সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তা হবে যুলুম এবং ন্যায় ও সঠিক পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার অন্তর্ভুক্ত; যে সুদ থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবের মধ্যে এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছেন; আর সকল মুসলিম তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪

কুর‘আন-সুন্নাহ্‌ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ

কুর‘আন-সুন্নাহ্‌ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ



কুর‘আন-সুন্নাহ্‌ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ

• কুরআনের নির্বাচিত দোআ:

- ﴿ رَبَّنَا ظَلَمۡنَآ أَنفُسَنَا وَإِن لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٢٣ ﴾ [الاعراف: ٢٣] 
(১) হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুল্ম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে রহম না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।[1]

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে



গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

الحمد لله رب العالمين، وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، أما بعد:
আল্লাহ তাআলা মানব জাতীকে অতীব সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। চোখ, কান ও অন্তর দ্বারা মানবজাতীকে সৌন্দর্য মন্ডিত করেছেন। আর ক্বিয়ামতের দিন মানব জাতির প্রত্যেককে আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজির হতে হবে এবং জিজ্ঞাসার সম্মূখীন হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে স্বীয় মাখলুকের মধ্যে চিন্তা-ফিকির করার যে নির্দেশ মানুষকে দিয়েছেন সে অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর মাখলুক সম্পর্কে চিন্তা- ফিকির করে, তবে সে অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টির মহত্ব, তার সৌন্দর্য মন্ডিত কারীগরি ও নিঁখুত আবিস্কারের পরিপূর্ণতা প্রত্যক্ষ করবে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,
((وَفِي أَنفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ)) (الذاريات:২১).
তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না? (জারিয়াত: ২১)

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) এর বিধান

ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) এর বিধান

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা বহুজাত বিশিষ্ট পণ্য বাজারজাত পদ্ধতি বাংলাদেশে নতুন হলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অর্ধ শতকের বেশি সময় আগে এটি চালু হয়েছিল। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং, ডিরেক্ট সেলিং ও রেফারেন্স মার্কেটিং হিসাবেও এটি পরিচিত। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং মূলত ডিস্ট্রিবিউটরদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রি করার একটি প্রক্রিয়া। আধুনিক অভিধানে এর সংজ্ঞা এভাবে দেয়া হয় : 
(Multi-level marketing, also known as MLM or network marketing, is a business
structure where products are sold through a networking process as opposed to a
storefront. ... is a way of selling goods and services through distributors)
 

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত



তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ (الاسراء: ٧٩) 
অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,
﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ (السجدة: ١٦) 
অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সেজদা ১৬ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,   
﴿ كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧ ﴾ (الذاريات: ١٧) 
অর্থাৎ তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। (সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত)