শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না



নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

প্রশ্ন: নামায না পড়ে সিয়াম পালন করা কি জায়েয?

উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

বে-নামাযীর যাকাত, রোজা, হজ্জ ইত্যাদি কোনো আমলই কবুল হয় না।

ইমাম বুখারী (৫২০) বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
( مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ )
“যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।”

“তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়” এর অর্থ হল: তা বাতিল হয়ে যায় এবং তা তার কোনো কাজে আসবে না। এ হাদিস প্রমাণ করে যে, বেনামাযীর কোনো আমল আল্লাহ কবুল করেন না এবং বেনামাযী তার আমল দ্বারা কোন ভাবে উপকৃত হবে না। তার কোনো আমল আল্লাহর কাছে উত্তোলন করা হবে না।

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০১৫

বইঃ তাফসীর আহসানুল বায়ান - ফ্রি ডাউনলোড

বইঃ তাফসীর আহসানুল বায়ান - ফ্রি ডাউনলোড



বইঃ তাফসীর আহসানুল বায়ান - ফ্রি ডাউনলোড

তাফসীরটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:

শিরোনাম: তাফসীর আহসানুল বায়ান
ভাষা: বাংলা
লেখক: সালাহউদ্দীন ইউসূফ
সম্পাদনা: শায়খ আব্দুল হামীদ আল ফাইযী আল-মাদানী (লিসান্স, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদিআরব)
প্রকাশনায়: কমিউনিটি কেন্দ্রিক দাওয়াহ ও শিক্ষা প্রচার মূলক সহযোগী অফিস, মাজমাআ, সৌদিআরব
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১১৪(২০.১এমবি)

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?



ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

১-বিষয়টি অবতারণার কারণঃ
আমরা জানি, আমাদের সমাজে নামায শিক্ষার সময় সাধারণতঃ এই শিক্ষা নেওয়া হয় বা দেওয়া হয় যে, ফরয স্বালাতে সালাম ফিরানোর পর প্রথমে এক বার সশব্দে আল্লাহু আকবার বলতে হবে অতঃপর নিরবে তিন বার আস্তাগফিরুল্লাহ এবং আমাদের আহলুল হাদীস সমাজের বিভিন্ন মসজিদে মুস্বল্লীগণকে জোর শব্দে এই আমলটি করতেও দেখা যায়। এছাড়া সালাফী আলেমগণের প্রচলিত প্রসিদ্ধ বাংলা স্বালাত শিক্ষার বই-পুস্তকেও এই মাসআলা দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্য হলাম, যখন সউদী আরবের সমাজে মুস্বল্লীদের নামাযান্তে ১বার উচ্চ কন্ঠে আল্লাহু আকবার বলতে শুনলাম না; অথচ এখানে সালাম শেষে উচ্চ স্বরে কিছুক্ষণ যিকর ও দুআ পড়ার প্রচলন রয়েছে। আর না এখানকার বিজ্ঞ উলামাদের বই-পুস্তকে এবং ফতোয়ায় এই বিধানটি লক্ষ্য করলাম। আরো আশ্চর্য হলাম যখন প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকহের বই পুস্তকেও সালাম শেষে এক বার জোর শব্দে আল্লাহু আকবার বলতে হবে বলে কোনো বিধান অবলোকন করলাম না; বরং তারা সকলে প্রথমে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ বলার কথা উল্লেখ করেছেন, যা লেখার শেষ পয়েন্টে দেখা যেতে পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বহু পূর্বে মনে কৌতুহল জেগেছিল। সাম্প্রতি সাধ্যানুযায়ী এ সম্বন্ধে দলীল-প্রমাণগুলির সাধারণ অধ্যয়ন করার চেষ্টা করলাম। অবশেষে যা অবগত হলাম, তা আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা ভাল মনে করছি। ওয়াল্লাহু হুআল্ মুআফ্ফিক্ ওয়াল্ মুস্তাআন। বক্ষ্যমাণ লেখাটির মূল বিষয় হল, সালাম ফিরানোর পর সর্ব প্রথম কি বলতে হবে এবং কত বার বলতে হবে?

শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৫

শার‘ঈ মানদণ্ডে তাবীয-কবচ এবং ঝাড়-ফুঁক

শার‘ঈ মানদণ্ডে তাবীয-কবচ এবং ঝাড়-ফুঁক

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্‌র জন্য। ছালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর উপর।
যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা করে না, তার ঈমান নেই। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٢٣ ﴾ [المائ‍دة: ٢٣] 
    ‘আর তোমরা আল্লাহর উপরই ভরসা কর- যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক’ (আল-মায়েদাহ, ২৩)। 
তিনি অন্যত্র বলেন,
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَإِذَا تُلِيَتۡ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٢ ﴾ [الانفال: ٢] 
‘যারা মুমিন, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তখন তাদের অন্তরসমূহ ভীত হয়ে পড়ে। আর যখন তাদের সামনে তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন সেই আয়াতসমূহ তাদের ঈমানকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে’ (আল-আনফাল ৩)। 

বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

ইসলামে দাস বিধি

ইসলামে দাস বিধি



ইসলামে দাস বিধি

بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জনগণ ও রষ্ট্রের সংশোধন ও সংস্কারের জন্য শরী‘য়ত অবতীর্ণ করেছেন; সালাত ও সালাম তাঁর উপর, যিনি মানুষকে যুলুম ও দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছেন; শান্তি বর্ষিত হউক তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবী ও তাবে‘য়ীগণের উপর, যাঁরা যমীনে আল্লাহর একত্ববাদ, স্বাধীনতা ও জ্ঞানের নীতিমালা প্রচার করেছেন; তাঁদের প্রতিও শান্তি বর্ষিত হউক, যাঁরা কিয়মতের দিবস পর্যন্ত তাঁদের দা‘ওয়াত দ্বারা অন্যকে দা‘ওয়াত দান করেন এবং তাঁদের পথনির্দেশের দ্বারা যথাযথভাবে হেদায়েত লাভ করেন।

মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫

পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়

পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়



পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়

স্নায়ুবিজ্ঞান (Neuroscience) এখন স্বীকার করে যে, মানুষের মস্তিষ্ক অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন। অর্থাৎ, অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যদিয়ে মস্তিষ্কে পরিবর্তন ঘটে এবং আমরা যা দেখি, শুনি বা জানি, তার সবকিছুর সাথেই মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে ওঠে। দর্শন ক্লাসের আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নতুন কোনো শহরের পথঘাট চেনা, এমনকি আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থেকে কোনো গান শোনা কিংবা টিভি দেখা — আমাদের প্রতিটি কাজের সাথেই মস্তিষ্কের তাৎক্ষনিক সংযোগ গড়ে ওঠে এবং মানুষ হিসেবে আমরা কে, কেমন, এই সংযোগগুলোই সেটা নির্ধারণ করে দেয়। পর্নোগ্রাফী দেখা একটি নীরব অথচ ভয়ঙ্কর সমস্যা যা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে নারীদের চাইতে পুরুষরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।