কুরবানীর মাসায়েল
কুরবানীর মাসায়েল
কুরবানীর শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ
কুরবানী শব্দটি আরবী قربان কুরবান হতে উৎপন্ন। যার অর্থ হল, নিকটবর্তী হওয়া বা নৈকট্য লাভ করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় কুরবানী বলতে যে পশু ঈদের দিন জবেহ করা হয় তাকেই বুঝানো হয়।
এটাকে আবরীতে أضحية উযহিয়াও বলা হয়। এই أضحية আরবী শব্দটিকে চার ভাবে পড়া যায়।
(১) أضحية (উযহিয়্যাহ)
(২) إضحية (ইযহিয়্যাহ) এ দুটি শব্দের বহুবচন আসে أضاحي)
(৩) ضحية (যহিয়্যাহ্) বহুবচনেঃ ضحايا যাহায়া
(৪) أضحاه (আযহাহুন) বহু বচনেঃ أضحى এ থেকে কুরবানীর দিন কে আরবী ভাষায় يوم الأضحي (ইয়ামুল আযহা) বলা হয়। (লেসানুল আরাবের বরাতে ফিকহুল উযহিয়্যাহ ৭ পৃঃ)
ইমাম ছানআনী বলেন:
কুরবানীকে আরবী পরিভাষা বলা হয়, أضاحي আযাহী যা أضحية শব্দের বহুবচন। আর এই শব্দটির হামযায় যের দিয়েও পড়া যায় আবার হামযা বাদ দিয়ে ض এ যবর দিয়ে (ضحية) ও পড়া যায়। (এর শাব্দিক অর্থ অপরাহ্ন) ইহা যেন সে সময়ের নাম থেকেই নেয়া হয়েছে যে সময় উক্ত কুরবানীর পশুকে যবেহ করা বিধেয়। (আর তা হল, অপরাহ্নে) (সুবুলু সালামের (৪/১৬০) এর বরাতে ফিকহুল উযহিয়্যাহ্ঃ ৭)