সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর মাসায়েল



কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ

কুরবানী শব্দটি আরবী قربان কুরবান হতে উৎপন্ন। যার অর্থ হল, নিকটবর্তী হওয়া বা নৈকট্য লাভ করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় কুরবানী বলতে যে পশু ঈদের দিন জবেহ করা হয় তাকেই বুঝানো হয়।
এটাকে আবরীতে أضحية উযহিয়াও বলা হয়। এই أضحية আরবী শব্দটিকে চার ভাবে পড়া যায়।
(১) أضحية (উযহিয়্যাহ)
(২) إضحية (ইযহিয়্যাহ) এ দুটি শব্দের বহুবচন আসে أضاحي)
(৩)  ضحية (যহিয়্যাহ্) বহুবচনেঃ ضحايا যাহায়া
(৪) أضحاه (আযহাহুন) বহু বচনেঃ أضحى এ থেকে কুরবানীর দিন কে আরবী ভাষায় يوم الأضحي (ইয়ামুল আযহা) বলা হয়। (লেসানুল আরাবের বরাতে ফিকহুল উযহিয়্যাহ ৭ পৃঃ)
ইমাম ছানআনী বলেন:
কুরবানীকে আরবী পরিভাষা বলা হয়,  أضاحي আযাহী যা أضحية শব্দের বহুবচন। আর এই শব্দটির হামযায় যের দিয়েও পড়া যায় আবার হামযা বাদ দিয়ে ض এ যবর দিয়ে (ضحية) ও পড়া যায়। (এর শাব্দিক অর্থ অপরাহ্ন) ইহা যেন সে সময়ের নাম থেকেই নেয়া হয়েছে যে সময় উক্ত কুরবানীর পশুকে যবেহ করা বিধেয়। (আর তা হল, অপরা‎হ্নে) (সুবুলু সালামের (৪/১৬০) এর বরাতে ফিকহুল উযহিয়্যাহ্ঃ ৭)

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

জিলহজের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান

জিলহজের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান



জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান

• জিলহজ মাসের দশদিনের ফযীলত :

আল্লাহ তা‌’আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি নেককার বান্দাদের জন্য এমন কিছু মৌসুম করে দিয়েছেন, যেখানে তারা প্রচুর নেক আমল করার সুযোগ পায়, যা তাদের দীর্ঘ জীবনে বারবার আসে আর যায়। এসব মৌসুমের সব চেয়ে বড় ও মহত্বপূর্ণ হচ্ছে জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন।

• জিলহজ মাসের ফযীলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের কতক দলীল :

১. আল্লাহ তা‌’আলা বলেন :
﴿ وَالْفَجْرِ، وَلَيَالٍ عَشْرٍ ﴾ [الفجر:1-2]
কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের। (সূরা ফাজর : ১-২) 
ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য জিলহজ মাসের দশ দিন।
২. আল্লাহ তা‌আলা বলেন :
﴿ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ ﴾ [الحج:28]
তারা যেন নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (হজ : ২৮) 
ইবনে আব্বাস বলেছেন : অর্থাৎ জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন।
৩. ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
এ দিনগুলোর তুলনায় কোনো আমল-ই অন্য কোন সময় উত্তম নয় । তারা বলল : জিহাদও না ? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি। (বুখারী)

১০টি ইসলাম ধ্বংসকারী বিষয়

১০টি ইসলাম ধ্বংসকারী বিষয়



সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত। দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক সেই মহান নবীর উপর যার পরে আর কোন নবী নেই। আরো নাযিল হোক তাঁর পরিবার বর্গ, সহচর বৃন্দ এবং তাঁর হেদায়াতের অনুসারীদের উপর।
অত:পর হে মুসলিম ভাই! এ কথা জেনে নিন যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সকল বান্দার উপর ইসলামে প্রবেশ করা, উহা আঁকড়ে ধরা এবং উহার পরিপন্থী বিষয় থেকে সতর্ক থাকা ফরজ করেছেন। আর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সে দিকে আহবান করার জন্যই প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ্‌ এই মর্মে ঘোষণা দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ করবে সে হেদায়াত প্রাপ্ত হবে পক্ষান্তরে যে তাঁর থেকে বিমুখ হবে সে পথভ্রষ্ট হবে। তিনি বহু আয়াতে মুরতাদ হওয়ার মাধ্যম, শির্ক ও কুফরীর সকল প্রকার হতে সতর্ক করেছেন।
বিদ্যানগণ মুরতাদের বিধি-বিধান অধ্যায়ে এই মর্মে উল্লেখ করেছেন যে, একজন মুসলমান ব্যক্তির রক্ত ও ধন-সম্পদ হালাল কারী বিভিন্ন ইসলাম বিধ্বংসী কার্য কলাপ সম্পদনের মাধ্যমে মুরতাদ ও ইসলাম হতে বহিস্কার হয়ে যায়।
ইসলাম বিধ্বংসী কাজ হল সর্ব মোট ১০টি যা শাইখুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান আত তামীমী (রহিমাহু্মুল্লাহ) ও অন্যান্য বিদ্বানগণ উল্লেখ করেছেন। আমরা ঐ সকল ইসলাম বিধ্বংসী কাজ গুলো নিন্মে সংক্ষিপ্ত ভাবে কিঞ্চিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সহ আপনার জন্য উল্লেখ করছি। যাতে আপনি উক্ত বিষয়গুলো থেকে সতর্ক থেকে অপরকে সতর্ক করতে পারেন।

প্লাস্টিক সার্জারি করার হুকুম

প্লাস্টিক সার্জারি করার হুকুম



المكتب التعاوني للدعوة وتوعية الجاليات بالربوة بمدينة الرياض

প্রশ্ন: আমি আমার নাকে প্লাস্টিক সার্জারি সম্পন্ন করতে চাই। এটা কি হারাম হবে? আমি নাক নিয়ে মানসিক যাতনায় কালাতিপাত করি, আমার জীবনের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন আমার অপারেশন করা জরুরি। 

উত্তর:
আলহামদু লিল্লাহ । 

প্লাস্টিক সার্জারি দু’ভাগে ভাগ করা যায়: 
১. প্রয়োজনীয় সার্জারি 
অর্থাৎ এমন অপারেশন যা কোনো ত্রুটি সারাতে চলানো হয়, যেমন অসুস্থতা থেকে উদ্ভূত ত্রুটি, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ট্রাফিক এক্সিডেন্ট অথবা আগুনে পুড়ে গেলে কোনো ত্রুটির উন্মেষ, ইত্যাদি। অথবা কোনো জন্মগত ত্রুটি সারাতে চালিত অপারেশন, যেমন অতিরিক্ত অঙ্গুলি ফেলা দেওয়া, অথবা অকেজো অঙ্গুলি ফেলে দেওয়ার জন্য অপারেশন ইত্যাদি
এ প্রকৃতির অপারেশন অনুমোদিত। হাদিস থেকে এ ধরনের অপারেশনের পক্ষে সমর্থন পাওয়া যায়। উপরন্তু যে ব্যক্তি এ ধরনের অপারেশন করতে চায় আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করা তার উদ্দেশ্য নয়।

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মিলাদুন্নবী পালনের বিধান

মিলাদুন্নবী পালনের বিধান


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


মিলাদুন্নবী পালনের বিধান

সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, কল্যাণ ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নবীজী মুহাম্মাদ(সঃ) এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের ওপর।

কুরআন এবং সুন্নাহতে খুব স্পষ্টভাবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নির্দেশাবলী অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ধর্মীয় ব্যাপারে নতুন কিছু সূচনা করাকে স্পষ্টত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:

ভাবার্থ:

“বলুন [হে নবী]: যদি তোমরা সত্যিই আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।” (সূরা আলে ইমরান, ৩:৩১)

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ লেন-দেন

ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ লেন-দেন


ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ লেন-দেন

আলহামদু লিল্লাহ, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মাবাদ,
সুপ্রিয় পাঠক!  ঋণ-কর্জ মানুষের তথা সমাজের একটি প্রয়োজনীয় লেনদেন। সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তি জিবন-যাপন করার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো সময় ঋণ নেওয়ার কিংবা অন্যকে দেওয়ার সম্মুখীন  হতে হয়। তবে এই মানবীয় সুন্দর নিয়ম এবং অপরকে সহযোগিতা করার এই ইসলামী সুপ্রথাও অনেক সময় কুমতলবীর চক্রান্তে ও মায়াজালে ফেঁসে বিদ্বেষ, ঝগড়া-ঝাঁটি এমনকি বড় রকমের শত্রুতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর অনেকে তো এই ঋণ প্রথাকেই পুঁজি জমা করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বে পুঁজিপতি হয়েছে ও হচ্ছে। আর দরিদ্র সম্প্রদায় তাদের মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে ঋণের জাঁতায় পিষ্ট হচ্ছে। আমরা এই প্রবন্ধে ইসলামে ঋণের বিধি-বিধান সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যেন ঋণের সঠিক বিধান জানতে পারি এবং বেঠিক বিধান হতে নিরাপদে থাকতে পারি। ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি



সূচীপত্র
ভূমিকা 

অনুবাদকের কথা 

যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত ও আমল 
১-যিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত 
২-যিলহজ মাসের প্রথম দশকে নেক আমলের ফজিলত 

যিলহজের প্রথম দশ দিনে যে সকল নেক আমল করা যেতে পারে 
১-খাঁটি মনে তওবা করা 
২-তওবা কবুলের শর্ত 
৩-হজ ও ওমরাহ আদায় করা 
৪-নিয়মিত ফরজ ও ওয়াজিব সমূহ আদায়ে যত্নবান হওয়া 
৫-বেশি করে নেক আমল করা 
৬-আল্লাহ তাআলার জিকির করা 
৭-উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করা 
৮-সিয়াম পালন করা 
৯-কোরবানি করা 
১০-ঈদের সালাত আদায় করা 

আরাফাহ দিবস
১-আরাফাহ দিবসের ফজিলত 
২-আরাফাহ দিবসে যে সকল আমল শরিয়ত দ্বারা প্রমাণিত 

কোরবানির দিন 
১-কোরবানির দিনের ফজিলত 
২-কোরবানির দিনের করণীয় 

আইয়ামুত-তাশরীক ও তার করণীয়
১-আইমুত তাশরীক এর ফজিলত 
২- আইমুত তাশরীকে করণীয় 

ঈদের তাৎপর্য ও করণীয় 
১-ঈদের সংজ্ঞা 
২-ইসলামে ঈদের প্রচলন 
৩-ঈদের তাৎপর্য 
৪-ঈদের দিনের করণীয় 
(১) ঈদের দিন গোসল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সুগন্ধি ব্যবহার 
(২) ঈদের দিনে খাবার গ্রহণ প্রসঙ্গে 
(৩) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া 
(৪) ঈদের তাকবীর আদায় 

ঈদের সালাত 
১- ঈদের সালাতের হুকুম 
২-ঈদের সালাত আদায়ের সময় 
৩-ঈদের সালাত কোথায় আদায় করবেন ?
৪-ঈদের সালাতের পূর্বে কোন সালাত নেই 
৫- ঈদের সালাতে কোন আজান ও একামত নেই 
৬- ঈদের সালাতে মহিলাদের অংশ গ্রহণের নির্দেশ 
৭-ঈদের সালাত আদায়ের পদ্ধতি 
৮-ঈদের খুতবা শ্রবণ 
৯-ঈদের সালাতের কাজা আদায় প্রসঙ্গে 
১০-ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষা 
১১-আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর নেয়া ও তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া 

ঈদে যা বর্জন করা উচিত 
১-কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখে এমন ধরনের কাজ বা আচরণ 
২-পুরুষ কর্তৃক মহিলার বেশ ধারণ ও মহিলা কর্তৃক পুরুষের বেশ ধারণ 
৩-ঈদের দিনে কবর জিয়ারত 
৪-বেগানা মহিলা পুরুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ 
(ক) মহিলাদের খোলা-মেলা অবস্থায় রাস্তা-ঘাটে বের হওয়া 
(খ) মহিলাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ 
৫-গান-বাদ্য 

কোরবানি : তাৎপর্য ও আহকাম 
কোরবানির অর্থ ও তার প্রচলন 
কোরবানির বিধান 
কোরবানির ফজিলত 
কোরবানির শর্তাবলি 

কোরবানির নিয়মাবলি 
১-কোরবানির পশু কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা 
২-কোরবানির ওয়াক্ত বা সময় 
৩-মৃত ব্যক্তির পক্ষে কোরবানি 
৪-অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করা 
৫-কোরবানি দাতা যে সকল কাজ থেকে দূরে থাকবেন 
৬-কোরবানির পশু জবেহ করার নিয়মাবলি 
৭-জবেহ করার সময় যে সকল বিষয় লক্ষণীয় 
৮-কোরবানির গোশত কারা খেতে পারবেন 

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান

কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান



কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান

মহান আল্লাহ মানব জাতিকে একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তবে সেক্ষেত্রে তিনি কিছু ইবাদত ফরজ করেছেন, আর কিছুকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন। মুসলিমগণের উচিত একনিষ্ঠভাবে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সেগুলো সম্পন্ন করা। কুরবানী সে ধরনের একটি ইবাদত যার বিধান আদম (আ.) এর যুগ থেকেই চলে আসছে। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঠিক ইতিহাস ও বিধানাবলী সম্পর্কে আমরা খুব কমই অবগত আছি। আলোচ্য নিবন্ধটি এ বিষয়ে আমাদের অনেক সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

(ক) কুরবানীর ইতিহাস :

পৃথিবীর সর্বপ্রথম কুরবানী:
কুরবানীর ইতিহাস খুবই প্রাচীন। সেই আদি পিতা আদম (আ.) এর যুগ থেকেই কুরবানীর বিধান চলে আসছে। আদম (আ.) এর দুই ছেলে হাবীল ও কাবীলের কুরবানী পেশ করার কথা আমরা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে জানতে পারি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা বলেন,
﴿ ۞وَٱتۡلُ عَلَيۡهِمۡ نَبَأَ ٱبۡنَيۡ ءَادَمَ بِٱلۡحَقِّ إِذۡ قَرَّبَا قُرۡبَانٗا فَتُقُبِّلَ مِنۡ أَحَدِهِمَا وَلَمۡ يُتَقَبَّلۡ مِنَ ٱلۡأٓخَرِ قَالَ لَأَقۡتُلَنَّكَۖ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡمُتَّقِينَ ٢٧ ﴾ [المائ‍دة: ٢٧] 
অর্থাৎ, আদমের দুই পুত্রের (হাবিল ও কাবিলের) বৃত্তান্ত তুমি তাদেরকে যথাযথভাবে শুনিয়ে দাও, যখন তারা উভয়ে কুরবানী করেছিল, তখন একজনের কুরবানী কবুল হলো এবং অন্যজনের কুরবানী কবুল হলো না। তাদের একজন বলল, ‘আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অপরজন বলল, ‘আল্লাহ তো সংযমীদের কুরবানীই কবূল করে থাকেন।[সূরা মায়িদা (৫):২৭]।

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সৎ মানুষের হৃদয়ে শয়তান প্রবেশের ধরণ ও প্রকৃতি

সৎ মানুষের হৃদয়ে শয়তান প্রবেশের ধরণ ও প্রকৃতি



সূচীপত্র

১- ভূমিকা
২- শয়তান কী ?
৩- শয়তানের কৌশল
৪- শয়তানের প্রবেশপথ
এক. মুসলিমদের পরস্পরকে পরস্পরের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া এবং অন্যের সম্পর্কে কু-ধারণা সৃষ্টি করা
দুই. বেদ‘আতকে মানুষের জন্য সুসজ্জিত করা
তিন. এক দিককে অন্যদিকের তুলনায় অধিক প্রাধান্য দেয়া
চার. করব-করছি, এরকম কাল বিলম্ব করা
পাঁচ. কৃত্রিম পূর্ণতা
ছয়. নিজের সত্ত্বা ও তার সামর্থ্যের সঠিক মূল্যায়ন না করা
সাত. সন্দেহ সৃষ্টি
আট. ভীতি প্রদর্শন
৫- শয়তানের কর্তব্য পালনে সহায়ক স্বভাবসমূহ

ঐতিহাসিক আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা ও তার শিক্ষা

ঐতিহাসিক আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা ও তার শিক্ষা



ঐতিহাসিক আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা ও তার শিক্ষা

সূরা কাহফের ৯ থেকে ২৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এ ঘটনা আলোচনা করেছেন।
(তাওহীদের আলোয় পথ খুঁজে পাওয়া একদল যুবকের বিষ্ময়কর কাহিনী)

ভূমিকা:

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তায়ালা যে সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করেছেন, তার প্রত্যেকটি ঘটনাতেই আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেকেই সেই ঘটনাগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করেন, যাতে শিক্ষণীয় বস্তুগুলো সুস্পষ্ট হয়ে উঠে না। বক্তাগণ এ সমস্ত ঘটনা বলে শ্রোতাদেরকে কখনও হাসান আবার কখনও কাঁদান ঠিকই, কিন্তু যেই উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ্ ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন, সেই সুমহান উদ্দেশ্যগুলো অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্টই থেকে যায়। কুরআনে বর্ণিত আসহাফে কাহাফ বা গুহাবাসীর আশ্চর্যজনক ঘটনাও কুরআনের শিক্ষণীয় ঘটনাসমূহের অন্যতম একটি ঘটনা। আসুন আমরা তাফসীরে ইবনে কাছীর ও কাসাসুল কুরআনের আলোকে এই শিক্ষণীয় ঘটনা এবং তার শিক্ষণীয় বিষয়গুলো জেনে নেই।

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত বিধানাবলি
যে সুন্নতগুলোর তাৎপর্য অনেক কিন্তু আমরা তার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেই না আকীকা তার অন্যতম। ইসলাম পূর্বকাল থেকে চলে আসা এই আমলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তিনি একে অনুমোদন করেছেন, নিজে করেছেন এবং অন্যদের করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এ সুন্নতটি আজ বিস্মৃতপ্রায়। মুসলিমগণ এর আমল বাদ দিয়ে এর স্থলে চালু করেছেন নানা বিজাতীয় ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন রীতিনীতি।
অথচ ইসলামী মনস্তত্ত্ব বিবেচনায় আকীকার গুরুত্ব অপরিসীম। এর প্রতি আমরা উন্নাসিকতা দেখিয়ে নিজেদেরই বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি। হাদীসের ইঙ্গিত থেকে যেমন অনুমিত হয়, এর সঙ্গে শিশুর পার্থিব ও অপার্থিব কল্যাণ জড়িত। আমরা দেখি নব জাতকের এটা-সেটা রোগ-বালাই লেগেই থাকে। রোজই তার চিকিৎসার পেছনে, পথ্য ও ওষুধ কিনতে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। হাজার হাজার টাকা আমরা অসন্তুষ্টি আর অভিযোগ নিয়ে শিশুর অসুখ-বিসুখের পেছনে ব্যয় করতে পারি অথচ আকীকার মতো চমৎকার একটি আমল করতে পারি না, একটি বা দু’টি ছাগল জবাইয়ের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে অনেক বিপদাপদ থেকেই বেঁচে যেতে পারে আমাদের প্রিয় আত্মজ।
সাধারণ মুসলিম তো নস্যি মোটামুটি দীনদার ও ইসলামের আদর্শ চর্চাকারী ভাইয়েরাও এ সুন্নতটিকে বড় অযত্ন অনাদরে উপেক্ষা করেন। হয়তো গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে না জানার কারণে অথবা যাপিত জীবনে হাজারো সুন্নতের প্রতি উদাসীনতারই অংশ হিসেবে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
এ নিবন্ধের মাধ্যমে আমি আমাদের অনাদর ও উপেক্ষায় অনালোচিত ও অচর্চিত এই সুন্নতের কথাই সবাইকে স্মরণ করে দেবার প্রয়াস পেতে চাই। নিচের বিন্যাসে আমি এ সংক্রান্ত বেশ-কিছু বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছি। বিশেষভাবে যে কিতাবটির কথা না বললে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেয়া হয়, তা হলো- ড. হিসামুদ্দীন আফফানা কর্তৃক সংকলিত ‘আহকামুল আকীকা’ নামক গ্রন্থ এবার চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক :

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দীনে ইসলামে বিদআত : ক্ষতি ও কুপ্রভাব

দীনে ইসলামে বিদআত : ক্ষতি ও কুপ্রভাব



দীনে ইসলামে বিদআত : ক্ষতি ও কুপ্রভাব

আল্লাহ তাআলা বলেন :
অতঃপর সত্যের পর ভ্রষ্টতা ছাড়া কী থাকে? (সূরা ইউনুস আয়াত : ৩২)
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. এ আয়াতে হক তথা সত্য বলতে দীনে ইসলামকে বুঝনো হয়েছে।
দুই. ইসলাম পূর্ণতা লাভ করার পর ইসলামের নামে দীনের মধ্যে যা কিছু সংযোজিত, আবিস্কৃত ও প্রচলিত হবে সব কিছুই ভ্রান্ত বলে প্রত্যাখ্যাত হবে। আর তা বিদআত বলে গণ্য হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
আমি এ কিতাবে কোন কিছু বাদ রাখিনি। (সূরা আনআম, আয়াত : ৩৮)
আয়াত থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সব কিছু যখন বলে দিয়েছেন তখন ধর্মে নতুন কোন বিষয় সংযোজন বা বিয়োজন করার প্রয়োজন নেই। যে কোন ধরনের সংযোজন ও বিয়োজনই বিদআত বলে গণ্য হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

প্রশ্নঃ মৃতের বাড়ীতে কুরআনখানী অনুষ্ঠান করার বিধান কি?

প্রশ্নঃ মৃতের বাড়ীতে কুরআনখানী অনুষ্ঠান করার বিধান কি?




প্রশ্নঃ মৃতের বাড়ীতে কুরআন খানী অনুষ্ঠান করার বিধান কি?

উত্তরঃ নিঃসন্দেহে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে কোরানখানী মাহফিল করা একটি বিদআত। কেননা ইহা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা তাঁর ছাহাবায়ে কেরামের যুগে প্রচলিত ছিল না। কুরআন দ্বারা দুঃখ-চিন্তা হালকা হয়- যদি কোন ব্যক্তি উহা নীচু স্বরে তেলাওয়াত করে থাকে। জোরে চিৎকার করে বা মাইক্রোফোনের মাধ্যমে পাঠ করলে এরূপ হয় না। কেননা উচ্চস্বরে পাঠ করলে সমস্ত মানুষ তা শুনে থাকে এমনকি খেলা-ধুলায় লিপ্ত লোকদের কানেও তা পৌঁছে কিন্তু তারা তার প্রতি গুরুত্বারোপ করে না।এমনকি আপনি দেখবেন যারা গান-বাদ্য শুনে তাদের কাছেও ঐ কুরআনের আওয়াজ পৌঁছে। তারা গানও শুনছে কুরআনও শুনছে। ফলে তারা যেন এই কুরআনকে ঠাট্টা ও তাচ্ছিল্যের বিষয়ে পরিণত করেছে। কুরআনের অবমাননা করছে।

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নবী-রাসূল, অলী-আউলিয়া, বুজুর্গ, আলেম প্রমুখের নিকট কি শাফায়াত প্রার্থনা করা যায়? অথবা তাদের অসীলায় কি আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়া জায়েজ আছে?

নবী-রাসূল, অলী-আউলিয়া, বুজুর্গ, আলেম প্রমুখের নিকট কি শাফায়াত প্রার্থনা করা যায়? অথবা তাদের অসীলায় কি আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়া জায়েজ আছে?


১ম প্রশ্ন: অনেকে বলে, আমরা অলী-আউলিয়া ও বুজুর্গ লোকদের নিকট বিপদাপদ থেকে উদ্ধার কামনা করি। তবে তাদের নিকট আমরা যা চাই তা হল কিয়ামতের দিন যেন তারা আল্লাহর দরবারে আমাদের জন্য শাফায়াত করে। কারণ তারা সৎ লোক। আল্লাহর নিকট তাদের বিশাল মর্যাদা রয়েছে। তাই এই মর্যাদার কারণে আমরা চাই তারা আমাদের সুপারিশ করে পরকালে কঠিন বিপদ থেকে আল্লাহ আমাদেরকে উদ্ধার করবেন। এটা কি ঠিক?
——————————————————————-
উত্তর: আরবের মুশরিকরা তো তাদের শিরকের স্বপক্ষে হুবহু এ কথাই বলত। তার পরে ও মহান আল্লাহ তাদেরকে-কাফের মুশরিক বলে অবিহিত করেছেন। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ
“আর তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন জিনিসের উপাসনা করে যা তাদের লাভ-ক্ষতি কিছুই করতে পারে না আর বলে, তারা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করবে।” (সূরা ইউনুস: ১৮)
সৎ ব্যক্তিগণ কিয়ামতের দিন পাপী বান্দা সুপারিশ করবে। কিন্তু সুপারিশের মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন:
قُلْ لِلَّهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيعًا
“বলুন, শাফায়াতের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব কেবল আল্লাহর।” (সূরা যুমারঃ ৪৪)

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা

বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা

বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবাহ করা নবীগণের (আলাহিসসালাতু আসসালাম) সুন্নাত।
রাসুল(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে বাক্তি বিয়ে করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (দারিমী-কিতাবুন নিকাহ)
ইমাম রাগিব বলেনঃ
বিয়েকে দুর্গ বলা হয়েছে,কেননা(বিয়ে) স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সকল প্রকার লজ্জাজনক কাজ থেকে দুর্গবাসীদের মতোয় বাচিয়ে রাখে। (মুফরাদাত)
তবে এই পবিত্র কর্ম পালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে কিছু কু-প্রথা মানা হয়।যা কিনা অনুচিত।আসুন নবীগণের(আলাহিসসালাতু আসসালাম)  এই সুন্নাত কে সুন্নাত তরীকায় পালন করি।

বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা: 

১. চন্দ্র বর্ষের কোন মাসে বা কোন দিনে অথবা বর/কনের জন্ম তারিখে বা তাদের পূর্ব পুরুষের মৃত্যুর তারিখে বিবাহ শাদী হওয়া অথবা যে কোন শুভ সৎ কাজ করার জন্য ইসলামী শারী’য়াতে বা ইসলামী দিন তারিখের কোন বিধি নিষেধ নেয়। বরং উপরিউক্ত কাজগুলো বিশেষ কোন মাসে বা যে কোন দিনে করা যাবে না মনে করাই গুনাহ।
২. বিবাহ উৎসবে অথবা অন্য যে কোন উৎসবে পটকা-আতশবাজি ফুটান,অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা, রংবাজী করা বা রঙ দেওয়ার ছড়াছড়ি ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ ও অপচয়।
আল্লাহু-তা’য়ালা বলেনঃ
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا 
“নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” (বানী ইসরাঈল-২৭)

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নারীর হজ ও উমরা

নারীর হজ ও উমরা




সূচীপত্র
ভূমিকা 

হজের অর্থ : 
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত : 
মহিলাদের হজের গুরুত্ব: 
হজের শর্তসমূহ: 
এক. আর্থিক সক্ষমতা 
আর্থিক সংগতি বলতে কি বুঝায়? তার পরিমাণ কত ?

মাহরাম কারা?
এক. বংশীয় মাহরাম 
দুই. দুধ খাওয়া জনিত মাহরাম 
তিন. বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে মাহরাম 
মাহরাম-এর কিছু শর্ত: 

হজের আদবসমূহ: 
আল্লাহর দরবারে আমল কবুল হওয়ার জন্য শর্ত সমূহ 
হজ শুরু করার আগে যা করণীয় 
এক. হজ শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে 
দুই. হজের সফরে আপনাকে কয়েকটি জিনিস সাথে নিতে হবে 
তিন. হজের সফরে যাওয়ার সময় আপনার বিশেষ করণীয় 
মহিলা হাজী সাহেবার জন্য যা বর্জনীয় 
এহরামের আগে ও পরে সর্বাবস্থায় বর্জনীয় বিষয়সমূহ 

এহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ 
যদি কেউ নিষিদ্ধ বিষয়গুলো করে ফেলে তার কি করা উচিত ?
মহিলা হাজী সাহেবার এহরামের পোশাক 
মহিলা হাজী সাহেবারা কীভাবে হজ এবং উমরা সম্পন্ন করবেন 
উমরা অথবা হজের এহরাম হওয়ার আগে মহিলাদের
জন্য যা কিছু মুস্তাহাব 
এহরাম অবস্থায় মহিলাদের পোশাক 
তাওয়াফের ব্যাপারে মহিলাদের বিশেষ কিছু নির্দেশনা 
তামাত্তু হজকারী হাজী সাহেবার জন্য হজের কার্যাবলী 
তামাত্তু হজ আদায়কারী হাজী সাহেবাদের কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ 
'ইফরাদ' অথবা 'কিরান'
হজ আদায়কারী হাজী সাহেবাদের কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ 
'কিরান' হজ আদায়কারী এবং 'ইফরাদ' হজ আদায়কারীর মধ্যে পার্থক্য 

কিরান হজ আদায়কারীর কর্মকাণ্ড 
ইফরাদ হজ আদায়কারীর কর্মকাণ্ড 
হায়েয বা নেফাস ওয়ালী মহিলা হাজী সাহেবানদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড 
হজে মহিলাদের সৌন্দর্যচর্চা সংক্রান্ত বিভিন্ন হুকুম আহকাম 
হজে মহিলা ও তার সন্তান-সন্ততি 
একনজরে মহিলা ও পুরুষ হাজীদের মধ্যে পার্থক্যসমূহ 
শরিয়ত নিষিদ্ধ কিছু কর্মকাণ্ড থেকে সাবধানকরণ 
মহিলা হাজীসাহেবা ও মদিনা শরীফের যিয়ারত 
আল্লাহর দরবারে কবুল না হওয়ার ভয় থাকা 
মহিলা হাজী সাহেবার জন্য সহিহ হাদিস থেকে নির্বাচিত কিছু মাসনুন দো'আ 

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]



ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। পবিত্র ও বরকতময় অগণিত স্ত্ততি আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা যিনি সম্মানিত ঘরকে মানুষের মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে পরিণত করেছেন, যে ঘরের প্রতি রয়েছে আল্লাহর মু’মিন বান্দাদের হৃদয়ের আকর্ষণ।
দরূদ ও সালাম প্রিয় নবী মুস্তাফার উপর যিনি ঔ সকল ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোত্তম যারা আল্লাহর ঘরে হজ ও উমরা পালন করেছেন, যাকে সারা জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আমানতের দায়িত্ব আদায় করেছেন, উম্মাতকে নসীহত করেছেন, আল্লাহর পথে সর্বাত্মক জিহাদ করেছেন, আল্লাহ তাঁকে দ্বীন ইসলাম সহকারে পাঠিয়েছেন। তা দিয়ে তিনি বান্দাহদেরকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন এবং কুফর ও শির্কের অন্ধকার থেকে তাদেরকে মুক্ত করে ইসলামের প্রদীপ্ত সূর্যালোকে নিয়ে এসেছেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেন :
﴿ وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحٗا مِّنۡ أَمۡرِنَاۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورٗا نَّهۡدِي بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَاۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٥٢ ﴾ [الشورى: ٥٢] 
‘‘আর এভাবে আমি আপনার কাছে অহী প্রেরণ করেছি যা আমার নির্দেশের অন্তর্গত। আপনি তো জানতেন না কিতাব কি এবং ঈমান কি ! কিন্তু আমি একে এমনই এক আলোকবর্তিকায় পরিণত করেছি যদ্বারা আমার বান্দাদের থেকে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করি। আর আপনিতো নিশ্চয়ই সরল পথের দিকে পথ প্রদর্শনই করেন।’’[সুরা আশ্ শুরা: ৫২]
হে আল্লাহ আপনি যে শরীয়ত প্রদান করেছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা। আপনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা। আপনি যা সহজ করেছেন এবং নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা।

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলী

بسم الله الرحمن الرحيم

ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি পরিপূর্ণতার গুণাবলী দ্বারা অনুগ্রহ করেছেন এবং তাদের একের উপর অন্যের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন; যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করা যায় সেসব বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে, যা থেকে তাদেরকে দেয়া হয়েছে; আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তার রয়েছে বিরাট রাজত্ব, আর তিনি সুউচ্চ; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, যাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে সর্বোত্তম চরিত্র ও সুন্দর কর্মের পরিপূর্ণতা বিধান করার জন্য; রাত-দিন আল্লাহ রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবার-পরিজনের প্রতি, তাঁর সাহাবীগণের প্রতি এবং তাঁদের সর্বোত্তম অনুসরণকারী তাবে‘য়ীগণের প্রতি ...।

অতঃপর:
আল্লাহ তা‘আলা মহান রিসালাতের দায়িত্ব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অর্পণ করেছেন; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ حَيۡثُ يَجۡعَلُ رِسَالَتَهُۥۗ ﴾ [الانعام: ١٢٤]
আল্লাহ তাঁর রিসালাত কোথায় অর্পণ করবেন তা তিনিই ভাল জানেন - [ আল-আন‘আম: ১২৪ ]। তিনি তা এমন এক ব্যক্তির নিকট অর্পণ করেছেন, যাঁকে তিনি সৃষ্টিগত, চরিত্রগত[1] ও আকৃতি-প্রকৃতিগতভাবে পূর্ণতা দান করেছেন, যাতে তিনি এই মহান রিসালাতের দায়িত্ব বহন করতে পারেন; সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টিগত ও চরিত্রগতভাবে সবচেয়ে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন।  
* * *

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ইমাম বুখারী (রহ.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

ইমাম বুখারী (রহ.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


ইমাম বুখারী (রহ.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

 ভূমিকা
ইমাম বুখারী। কাল প্রবাহে একটি বিস্ময়ের নাম। স্মৃতির প্রখরতা, জ্ঞানের গভীরতা, চিন্তার বিশালতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, অটুট সততা আর বিশাল পর্বত সম হিম্মতের এক মূর্ত প্রতীক এই মহাপুরুষ। তিনি ইলমে হাদীসের এক বিজয়ী সম্রাট। তার সংকলিত হাদীসের মহামূল্যবান সংকলন সহীহুল বুখারী বিশুদ্ধতার ক্ষেত্রে আল্লাহর কিতাব মহা গ্রন্থ আল কুরআনের পরেই যার অবস্থান। কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মুসলিম উম্মাহ তার সাধনার কাছে ঋণী। আসুন, খুব সংক্ষেপে আমরা এই মনিষীকে জানার চেষ্টা করি।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

জান্নাতে একজন লোকের জন্য স্ত্রী ও হূর থাকার আপত্তিকারী মহিলার জবাব

জান্নাতে একজন লোকের জন্য স্ত্রী ও হূর থাকার আপত্তিকারী মহিলার জবাব



জান্নাতে একজন লোকের জন্য স্ত্রী ও ডাগর নয়না হূর থাকার আপত্তিকারী মহিলার জবাব

প্রশ্ন: জান্নাতে স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারে কী ঘটবে? শুনেছি একজন স্ত্রী ছাড়াও স্বামীর জন্য সত্তরটি হূর থাকবে তার খেদমতের জন্য, এটা আমার জন্য ইনসাফের বিষয় হতে পারে না, যদি স্বামীর সম্ভাগে এ পদ্ধতিতে অন্যকে শরীক করা হয়।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ,

প্রথমত:

একজন মুমিনের উপর কর্তব্য হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলার শরী‘আতগত বিধি-বিধান ও তাকদীরগত বিধি-বিধানসমূহকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয়া। 
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٥١ ﴾ [النور: ٥١]
“মুমিনদের উক্তি তো এই---যখন তাদের মধ্যে বিচার-ফয়সালা করে দেয়ার জন্য আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম এবং আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম।” [সূরা আন-নূর: ৫১]