প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (২য় পর্ব)
১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
১৭শ অধ্যায়
বিবিধ মাস্আলা
প্রঃ ১৮২- আমরা জানি যে, শিশুদের উপর হজ্জ ফরজ নয়। কিন্তু তারা হজ্জ করলে তা কি শুদ্ধ হবে?
উঃ- হাঁ। শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সাওয়াব পাবে শিশুর মাতা-পিতা। তবে বালেগ হওয়ার পর যদি পূর্বে বর্ণিত চারটি শর্ত (প্রশ্ন নং-১০) পূরণ হয় তবে তাকে আবার ফরজ হজ্জ আদায় করতে হবে।
প্রঃ ১৮৩- মেয়েরা কি একাকী হজ্জে যেতে পারবে?
উঃ- না। মেয়েলোক হলে তার সাথে পিতা, স্বামী, ভাই, ছেলে বা অন্য মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে। দুলাভাই, দেবর, চাচাতো-মামাতো-খালাতো-ফুফাতো ভাই তথা গায়রে মাহরাম হলে চলবে না।
প্রঃ ১৮৪- মৃত ব্যক্তি যার উপর হজ্জ ফরজ ছিল বা মান্নতী হজ্জ ছিল এমন ব্যক্তির হজ্জ পালনের বিধান কি?
উঃ- মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ দিয়েই তার পরিবারের লোকেরা কাযা হজ্জ করিয়ে নিবে।
প্রঃ ১৮৫- সুস্থ অবস্থায় হজ্জ ফরজ হওয়ার পর বিলম্ব করার কারণে পরে যদি অসুস্থ বা রোগাগ্রস্ত হয়ে অক্ষম হয়ে যায় তাহলে কিভাবে হজ্জ করবে?
উঃ- অন্য কাউকে পাঠিয়ে ফরজ হজ্জ কাযা করিয়ে নিতে হবে।
প্রঃ ১৮৬- নিজে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন অবস্থায় কাউকে পাঠিয়ে বদলী হজ্জ করিয়ে নেয়ার পর যদি আবার সুস্থতা ফিরে আসে তাহলে কি নিজে আবার হজ্জে যাওয়া লাগবে?
উঃ- না, আর যেতে হবে না। কেননা, ফরজ তার আদায় হয়ে গেছে।
প্রঃ ১৮৭- যে কেউ কি বদলী হজ্জ করতে পারবে?
উঃ- না। যে ব্যক্তি কারোর বদলী হজ্জে যাবে তার নিজের হজ্জ আগে করে নিতে হবে। (আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ)
প্রঃ ১৮৮- বদলী হজ্জ হলে কোনটি উত্তম-তামাত্তু, কিরান, নাকি ইফ্রাদ?
উঃ- যিনি বদলী হজ্জ করাবেন তাঁর পক্ষ থেকে কোন শর্ত না থাকলে যেকোনটি করা যায়।
প্রঃ ১৮৯- কর্জ করে হজ্জ করা কেমন?
উঃ- স্বচ্ছলতা না থাকলে কর্জ করে হজ্জ করার অনুমতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেননি। (বাইহাকী)
প্রঃ ১৯০- হারাম টাকা দিয়ে হজ্জ করলে তা আদায় হবে কিনা?
উঃ- অধিকাংশ আলেমের মতে হজ্জের ফরয আদায় হয়ে যাবে, তবে মাল হারাম হওয়ার কারণে গোনাহ হবে। তবে হাম্বলী মাযহাবে হারাম টাকা দিয়ে হজ্জ হবে না।
প্রঃ ১৯১- হজ্জে গিয়ে ব্যবসা করা কেমন?
উঃ- এটা জায়েয আছে।
প্রঃ ১৯২- হজ্জ শেষে কেউ কেউ বেশী বেশী উমরা করে। এর বিধান কি?
উঃ- হজ্জ শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম নিজ মাতা-পিতা ও আপনজনদের জন্য কোন উমরা করেননি। অতএব নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুসরণই আমাদের কর্তব্য।
প্রঃ ১৯৩- হারাম শরীফের সামনে কবুতরগুলোকে খাবার দেয়ার বিশেষ কোন সওয়াব আছে কি?
উঃ- এ বিষয়ের কোন ফযীলত হাদীসে নেই।
প্রঃ ১৯৪- উমরা করার পর তামাত্তু হাজীরা মদীনায় গিয়ে পুনরায় মক্কায় ফেরার পথে স্বাভাবিক পোশাকে নাকি ইহরাম বেঁধে আসবে?
উঃ- উমরা অথবা হজ্জ করার নিয়তে ইহরাম বেঁধেই মক্কায় প্রবেশ করতে হবে।
প্রঃ ১৯৫- ১০ যিলহজ্জ তারিখে হজ্জের চারটি কার্যক্রমে তারতীব বা ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার হুকুম কি?
উঃ- হানাফী মাযহাবে ওয়াজিব। অন্যান্য উলামাদের মতে ভুলক্রমে তারতীব ছুটে গেলে হজ্জ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
প্রঃ ১৯৬- ট্রাফিকজ্যাম, প্রচণ্ড ভীড় বা অন্য যে কোন জটিলতার কারণে ফজরের পূর্বে মুযদালিফায় পৌঁছতে না পারলে কী করব?
উঃ- পথেই মাগরিব এশা পড়ে ফেলবেন। যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকায় এ অনিচ্ছাকৃতি ত্রুটির জন্য কোন প্রকার দম দেয়া লাগবে না।
প্রঃ ১৯৭- কী কী কারণে হজ্জ ভঙ্গ হয়ে যায়?
উঃ (ক) হজ্জের কোন রুক্ন ছুটে গেলে।
(খ) স্ত্রী সহবাস করলে।
প্রঃ ১৯৮- হজ্জ পালনে অজানা ও অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটির জন্য কি একটা 'দম' দিয়ে দিলে ভাল হয়?
উঃ না। এ ধরনের দম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম দেননি।
প্রঃ ১৯৯। হাজীরা কি হজ্জ পালন অবস্থায় ঈদের নামায পড়বে?
উঃ- না, পড়বে না।
১৮শ অধ্যায়
طواف الوداع
বিদায়ী তাওয়াফ
প্রঃ ২০০- বিদায়ী তাওয়াফ কখন করতে হয়?
উঃ- হজ্জ শেষে মক্কা শরীফ থেকে যখন বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নেবেন তখন বিদায়ী তাওয়াফ করবেন। বিদায়ী তাওয়াফের পর মক্কায় আর অবস্থান করবেন না। এ তাওয়াফে রম্ল নেই। এ তাওয়াফ হল হজ্জের সর্বশেষ কাজ। বিস্তারিত দেখুন পূর্ববর্তী ৭ম অধ্যায়ে।
প্রঃ ২০১- হানাফী মাযহাবে বিদায়ী তাওয়াফের হুকুম কি?
উঃ- ওয়াজিব। এটা ছুটে গেলে দম দিতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
لاَ يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ
"কাবাঘরে বিদায়ী তাওয়াফ" করা ছাড়া যেন কেউ দেশে ফিরে না যায়।" (মুসলিম ১৩২৭)
প্রঃ ২০২- বিদায়ী তাওয়াফের সময় যদি মেয়েদের হায়েয শুরু হয়ে যায় তাহলে কি করবে?
উঃ- হায়েযওয়ালী মেয়েদের বিদায়ী তাওয়াফ করা লাগবে না। ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত "হায়েযওয়ালী মেয়েদেরকে এ বিষয়ে রুখসত দেয়া হয়েছে।" (বুখারী ও মুসলিম)
প্রঃ ২০৩- বিদায়ী তাওয়াফ কি হজ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন কাজ নাকি পৃথক ইবাদত?
উঃ- হানাফী মাযহাবে এটা হজ্জের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা ওয়াজিব। কোন কোন মাযহাবে এটাকে হজ্জের বহির্ভূত পৃথক ইবাদত হিসেবে পালন করা হয়। তাদের মতে মক্কাবাসী বা মক্কায় অবস্থানরত ভিন দেশী এবং বহিরাগত লোকেরা মক্কা থেকে সফরে বের হলে বিদায়ী তাওয়াফ করা লাগবে এবং এটা বছরের যে কোন সময়েই হোক না কেন।
প্রঃ ২০৪- বিদায়ী তাওয়াফ কাদের উপর ওয়াজিব?
উঃ- এ তাওয়াফটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা মীকাতের বাইরে থেকে আসবেন এবং আবার নিজ দেশে চলে যাবেন।
এ বিষয়ে সর্বসম্মত রায় হল, যারা মক্কাবাসী অথবা বাহিরের লোক মক্কায় বসবাস করেন তাদের বিদায়ী তাওয়াফ করা লাগবে না। হানাফী মাযহাবের মতে মীকাতের ভিতরে অবস্থানকারী লোকজনেরও বিদায়ী তাওয়াফ নেই। যেমন হাদ্দা, বাহরা ও জেদ্দার লোকজনের।
প্রঃ ২০৫- বিদায়ী তাওয়াফের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ কি কি ভুল হাজীরা করে থাকে?
উঃ- ভুলগুলো নিম্নরূপ :
(১) বিদায়ী তাওয়াফ না করেই মক্কা ত্যাগ করে এতে ওয়াজিব ছুটে যায়।
(২) ১১ই যিলহজ্জে কেউ কেউ মক্কা ত্যাগ করে চলে যায়। যেতে হবে ১২ তারিখের দুপুরের পর কংকর নিক্ষেপ শেষ করে।
প্রঃ ২০৬- বিদায়ী তাওয়াফের পর সাঈ করা লাগে কি?
উঃ- না।
১৯শ অধ্যায়
মসজিদে নববী যিয়ারত
প্রঃ ২০৭- মদীনা শরীফে মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়মাবলী জানতে চাই?
উঃ- এ বিষয়ে সুন্নত তরীকাগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
(১) মসজিদে নববী যিয়ারতের সাথে হজ্জ বা উমরার কোন সম্পর্ক নেই। এটা আলাদা ইবাদত। বছরের যে কোন সময় এটা করা যায়। এটা হজ্জের রুক্ন, ফরয বা ওয়াজিব কিছুই নয়। এটা স্বতন্ত্র মুস্তাহাব ইবাদত। একটি কথা আমাদের মাঝে বহুল প্রচলিত আছে, সেটা হল- "যে ব্যক্তি হজ্জ করল অথচ আমার যিয়ারতে এল না সে আমার প্রতি জুলুম করল।" এ বাক্যটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন হাদীস নয়। এটি মওদূ অর্থাৎ মানুষের তৈরী বানোয়াট কথা।
(২) পবিত্র মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়তে মদীনা মুনাওয়ারা রওনা দেবেন। সেখানে পৌঁছে সালাত আদায়ের পর আপনি নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করবেন। কিন্তু আপনার সফরটি কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে হবে না। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কষ্টসাধ্য সফর করা শরীয়তে জায়েয নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ -صلى الله عليه وسلم- وَمَسْجِدِ الْأَقْصَى
অর্থাৎ, (ইবাদতের নিয়তে) মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আকসা ব্যতীত কঠিন ও কষ্টসাধ্য সফরে যেও না। (বুখারী ১১৮৯)
এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কঠিন সফরে যাওয়া বৈধ নয়। কিন্তু সফররত অবস্থায় পথিমধ্যে আপনার কোন আত্মীয় বা কোন অলী-আওলিয়ার কবর সামনে পড়লে আপনি তা যিয়ারত করতে পারেন। মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলত রয়েছে। হাদীসে আছে :
صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ
অর্থাৎ, আমার এ মসজিদে নববীতে সালাত আদায় অপরাপর মসজিদের এক হাজার সালাতের চেয়েও বেশী সাওয়াব। (ইবনে মাজাহ ১৪০৪)
(৩) মুস্তাহাব হল প্রথমে ডান পা আগে দিয়ে মসজিদে নববীতে প্রবেশ করবেন এবং পড়বেন :
أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ - بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ - اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ -
এ দোয়াটি অন্যান্য যে কোন মসজিদে ঢুকার সময়ও পড়া যায়।
(৪) মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকআত দুখুলুল মসজিদ অথবা অন্য যে কোন সালাত আপনি আদায় করতে পারেন। অতঃপর আপনার ইচ্ছা মোতাবেক দোয়া মুনাজাত করতে থাকবেন। উত্তম হলো এগুলো রিয়াদুল জান্নাতে বসে করা। আর এ স্থানটি হলো মসজিদটির মিম্বর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মধ্যবর্তী অংশের জায়গাটুকু। এ স্থানটি সাদা কার্পেট বিছিয়ে নির্দিষ্ট করা আছে। ভীড়ের কারণে সেখানে জায়গা না পেলে মসজিদের যে কোন স্থানে বসে সালাত আদায় ও দোয়া-দরূদ পড়তে পারেন।
(৫) সালাত আদায়ের পর কবর যিয়ারত করতে চাইলে আদব, বিনয়-নম্রতা ও নিচু স্বরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে এভাবে তাঁকে সালাম দিন :
السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ - اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ - اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
অথবা এতদসঙ্গে আপনি এভাবেও বলতে পারেন :
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
রাসূলুল্লাহ ব নিজেই বলেছেন :
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلاَّ رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ
অর্থাৎ "যে কেউই আমাকে সালাম দেয় তখনই আল্লাহ তা'আলা আমার রূহকে ফেরত দেন, অতঃপর আমি তার সালামের জবাব দেই।" (আবূ দাউদ ২০৪১)
(৬) এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।
(৭) যিয়ারতের সময় অত্যন্ত সাবধান থাকবেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোন সাহায্য চাওয়া যাবে না। রোগমুক্তি বা কোন মকসূদ পূরণের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা মৃত কবরবাসীদের কাছে কোন কিছু যাওয়া যায় না। চাইতে হবে শুধু আল্লাহ গাফূরুর রাহীমের কাছে। কবরবাসীদের কাছে চাইলে শির্ক হয়ে যাবে। শির্ক করলে সব নেক আমল বাতিল হয়ে যায়। বেহেশত হারাম হয়ে যায়। ফলে জাহান্নামে চিরকাল থাকতে হবে। তবে তাওবাহ করলে আল্লাহ মাফ করে দেবেন। তাছাড়া কবর ও রওজার দেয়াল বা গ্রীল বা অন্য কিছু ভক্তি ভরে স্পর্শ করবেন না। কুরআন ও হাদীসে যা আছে শুধু তাই করবেন। এর চেয়ে কম-বেশী কিছু করা যাবে না।
(৮) মহিলাদের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবর যিয়ারত জায়েয নয়, তাছাড়া অন্য কোন কবরও না।
নবীজি বলেছেন :
لَعَنَ اللهُ زَائِرَاتِ القٌبُوْرِ
"যে সব মহিলা কবর যিয়ারত করবে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হয়।" (তিরমিযী ৩২০)
মহিলারা মসজিদে নববীতে নামায পড়তে যাবে এবং নিজ জায়গায় বসেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিবে। যে কোন জায়গা থেকে সালাম পাঠালেও তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রওজায় পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। (ক) হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا وَلاَ تَجْعَلُوا قَبْرِيْ عِيدًا وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ
অর্থাৎ, তোমাদের বাড়ীগুলোকে কবর সদৃশ বানিও না এবং আমার কবরকে উৎসবের কেন্দ্রস্থল করো না। আমার প্রতি তোমরা দুরূদ ও সালাম পেশ কর। কেননা যেখানে থেকেই তোমরা দুরূদ পেশ কর তাই আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। (আবূ দাঊদ ২০৪২)
(খ) অন্য আরেক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
إِنَّ للهِ مَلاَئِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلاَمَ
অর্থাৎ, আল্লাহ তা'আলার একদল ফেরেশতা রয়েছে যারা পৃথিবী জুড়ে বিচরণ করছে। যখনই আমার কোন উম্মত আমার প্রতি সালাম জানায় ঐ ফেরেশতারা তা আমার কাছে তখন পৌঁছিয়ে দেয়। (নাসায়ী ১২৮২)
(৯) সম্মানিত হাজী ভাই! যেহেতু আল্লাহ আপনাকে মদীনা মুনাওয়ারায় পৌঁছার তাওফীক দিয়েছেন সেহেতু আমাদের পুরুষদের জন্য সুন্নাত হল "জান্নাতুল বাকী" কবরস্থান যিয়ারত করা। এটা মদীনার কবরস্থান। সেখানে শায়িত আছেন উসমান রাদিআল্লাহু আনহুসহ অসংখ্য সাহাবায়ে কিরাম। হামযা রাদিআল্লাহু আনহুসহ উহুদ যুদ্ধের শহীদগণ উহুদ প্রান্তে শায়িত আছেন। যিয়ারতের সময় তাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। তাদের কবর যিয়ারতের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের এ দোয়াটি পড়তেন যা সহীহ মুসলিমে আছে :
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاূءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ يَرْحَمُ اللهُ المستقدمين منا والمستأخرين نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ
কবর যিয়ারতে আমাদেরকে উৎসাহিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
زُورُوا الْقُبُورَ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُكُمُ الآخِرَةَ
"তোমরা কবর যিয়ারত কর, কেননা এ যিয়ারত তোমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"(মুসলিম ৯৭৬)
কবর যিয়ারতের মূল উদ্দেশ্য হল, আখেরাতের কথা স্মরণ করা এবং দোয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির উপকার করা। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে যে, কোন অবস্থাতেই মৃত ব্যক্তির কাছে কিছুই চাওয়া যাবে না। চাইলে শির্ক হয়ে যাবে আর শির্ক ঈমান থেকে বহিস্কার করে দেয়। ফলে সে আর মুসলিম থাকে না। অতএব যাই আপনি চাইবেন তা শুধু আল্লাহর কাছেই চাইবেন।
(১০) মদীনা শরীফ গমনকারীদের জন্য মুসতাহাব হল "মসজিদে কুবা" যিয়ারত করা এবং সেখানে সালাত আদায় করা। কেননা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কিছুতে আরোহণ করে বা পায়ে হেঁটে যখনই এখানে আসতেন তখন তিনি এখানে দু'রাক'আত সালাত আদায় করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِه، ثُمَّ أَتٰى مَسْجِدَ قُبَاءَ فَصَلَّى فِيهِ صَلاَةً كَانَ لَه، كَأَجْرِ عُمْرَةٍ
"যে ব্যক্তি তার বাড়ীতে পবিত্রতা অর্জন করল, অতঃপর মসজিদে কুবায় এসে সালাত আদায় করল সে একটি উমরা করার সাওয়াব অর্জন করল।" (ইবনে মাজাহ ১৪১২)
প্রঃ ২০৮ : মসজিদে নববী যিয়ারতকালীন সময়ে হাজীদের মধ্যে যেসব ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় সেগুলো কি কি?
উঃ- নিম্নবর্ণিত ত্রুটি বিচ্যুতি চোখে পড়ে।
(১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রওজা যিয়ারতের সময়ে তাঁর কাছে শাফায়াত চাওয়া। এটা ভুল কাজ।
(২) দোয়া করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কবরের দিকে মুখ করে দাঁড়ানো। শুদ্ধ হলো- কাবার দিকে মুখ রাখা। কবরের দিকে মুখ করে দোয়া করা মর্মে কোন সহীহ হাদীস নেই।
(৩) কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা সফর করা ভুল। শুদ্ধ হলো মসজিদে নববী যিয়ারতের জন্য সফর করা।
প্রঃ ২০৯- অজ্ঞতার কারণে হাজীগণ সাধারণতঃ কি কি ধরনের ভুল-ত্রুটি করে থাকে?
উঃ- নিম্নবর্ণিত ভুল-ত্রুটি করতে দেখা যায়।
(১) আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান আছেন মনে করে। এরূপ মনে করা ভুল। কেননা আল্লাহ উপরে আরশে আছেন। এজন্যই আমরা দু'হাত উপরে উঠিয়ে দোয়া করি।
(২) রোগবালা থেকে মুক্তির নিয়তে মক্কা-মদীনা থেকে পাথর-মাটি বহন করে আনে। এটা ঠিক নয়।
(৩) কেউ কেউ তাবীজ কবজ ব্যবহার করে। এটা শির্ক।
নবীজি বলেছেন :
أ-إِنَّ الرُّقى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
(ক) অর্থাৎ কুফ্রী ঝাড়ফুঁক, তাবীজ কবজ ব্যবহার ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির জন্য যাদু করা শির্ক। (আবূ দাউদ ৩৮৮৩)
ب-مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ
(খ) যে ব্যক্তি (শরীরে) তাবীজ ঝুলালো সে শির্ক করল। (আহমাদ ১৬৯৬৯)
(৪) নামাযে গাফলতি ও অলসতা প্রদর্শন করা।
(৫) ধূমপান করা।
(৬) দাড়ি কেটে ফেলা।
(৭) বেগানা মেয়েদের সান্নিধ্যে যাওয়া, তাদের সাথে গল্প-গুজব করা, তাদের দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকানো।
(৮) স্মৃতিস্বরূপ হজ্জের ছবি উঠিয়ে আনা।
(৯) অশ্লীল ও ফাহেশা কথা বলা।
(১০) না জেনে মাস্আলা বলা ও ফতোয়া দেয়া এটা ঠিক নয়।
(১১) মেয়েরা পুরুষদের কাছে গিয়ে ভীড় করা।
(১২) হারামে না গিয়ে ঘরে নামায পড়া।
(১৩) কবরের আযাব থেকে বাঁচার নিয়তে যমযমের পানি দিয়ে কাফনের কাপড় ধুয়ে আনা। এটি মারাত্মক ভুল আকীদা।
(১৪) ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ এর কোন কোনটা করে ফেলা।
(১৫) মসজিদে হারাম ও এর দরজা-জানালা মুছে তা নিজের গায়ে মুছা ভুল।
(১৬) মাহরাম পুরুষ ছাড়া মেয়েদের হজ্জে যাওয়া। এটা জায়েয নয়।
(১৭) নিজের হজ্জ আগে না করে অন্যের বদলী হজ্জ করতে যাওয়া। এও জায়েয নয়।
২০শ অধ্যায়
সফরের আদব
প্রঃ ২১০- সফর সংক্রান্ত বিষয়ে শরীয়তের বিধি-বিধান কি?
উঃ- যে কোন সফরে বের হওয়ার সময় কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত নিম্নবর্ণিত আদবগুলো মেনে চলা উচিত।
(১) সফরের পূর্বে অভিজ্ঞ লোকদের সাথে পরামর্শ করে এবং দু'রাক'আত ইস্তেখারার নামায পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। (বুখারী)
(২) যারা হজ্জ বা উমরা করতে যাবেন তারা আগে থেকেই মাস্আলাগুলো জেনে নেবেন।
(৩) হালাল মাল নিয়ে হজ্জ বা উমরায় যাবেন।
(৪) অসিয়তনামা লিখে যাবেন। ঋণ আছে কিনা তাও লিখে দিয়ে যাবেন। কারণ আপনি ফিরে আসতে পারবেন কিনা তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
(৫) পরিবারের লোকদেরকে তাকওয়া অর্জনের এবং ইসলামী জীবন যাপন করার অসিয়ত করে যাবেন।
(৬) সাথী হিসেবে নেককার লোক বাছাই করে নেবেন।
(৭) পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন থেকে বিদায় নিয়ে যাবেন। (ইবনে মাজাহ)
(৮) বৃহস্পতিবার এবং দিনের শুরুতে সফরে রওয়ানা দেয়া মুস্তাহাব। (বুখারী)
(৯) ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়াটি পড়ে রওয়ানা দেবেন। দোয়াটি নিম্নরূপ :
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
(তিরমিযী ৩৪২৬)
(১০) গাড়ী বা বিমানে উঠেই তিনবার 'আল্লাহু আকবার' বলা, অতঃপর সফরের দোয়া পড়া।
দোয়াটি নিম্নরূপ :
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهচ্ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ - اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هٰذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنْ الْعَمَلِ مَا تَرْضٰى- اَللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هٰذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ - اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاূءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ. (মুসলিম ১৩৪২)
(১১) একাকী সফরে না যাওয়া উত্তম। (বুখারী)
(১২) সফরে তিনজন হলে একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়া। (আবূ দাউদ)
(১৩) পথে ঘাটে উপরে উঠার সময় 'আল্লাহু আকবার' এবং নীচে নামার সময় 'সুবহানাল্লাহ' বলবেন। (বুখারী)
(১৪) বেশী বেশী দোয়া করা। কেননা মুসাফিরের দোয়া কবূল হয়। (তিরমিযী)
(১৫) গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। চরিত্র হেফাযতে রাখা।
(১৬) সঠিকভাবে সালাত আদায় করা। তিলাওয়াত, যিকর ও তাসবীহ পাঠ করা।
(১৭) পথের সঙ্গী ও দুর্বলকে সহায়তা করা। পারলে টাকা পয়সা দেয়া।
(১৮) কাজ শেষে দেরী না করে তাড়াতাড়ি সফর থেকে চলে আসা। (বুখারী)
(১৯) রাতের বেলা ঘরে ফেরার চেষ্টা না করা ভাল।
(২০) সফর শেষে মুস্তাহাব হলো নিজ ঘরে প্রবেশের পূর্বে নিকটতম মসজিদে দু'রাকআত নফল সালাত আদায় করা। (বুখারী)
(২১) নিজ গ্রামে ও ঘরে প্রবেশের নির্ধারিত দোয়া পড়া। (মুসলিম)
(২২) পরিবারের লোকজনের জন্য হাদিয়া উপঢৌকন নিয়ে আসা এবং ঘরে ফিরে তাদের সাথে কোমল ব্যবহার করা।
(২৩) সফর থেকে এসে এলাকার লোকজনের সাথে মু'আনাকা (কোলাকুলি) ও মুসাফা করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর থেকে ফিরে তাঁর সাথীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন। (বুখারী)
(২৪) হানাফী মাযহাবে পথের দূরত্ব ৪৮ মাইলের বেশী হলে এটাকে সফর ধরা হয়। সফরের হালাতে যুহর, আসর ও এশার ৪ রাক'আত ফরয সালাতগুলো ২ রাক'আত করে কসর করে পড়তে হয়। সুন্নত নফল পড়া লাগে না। ইচ্ছা করলে পড়তে পারেন। তবে সফরের হালাতে ফজরের দু'রাক'আত সুন্নাত এবং বেতরের নামায পড়তেই হবে। কেউ কেউ যুহর ও আসরকে একত্রে কসর করে যুহর বা আসরের সময় এবং মাগরিব ও এশাকে একত্র করে মাগরিব বা এশার ওয়াক্তে জমা করে আদায় করে থাকে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও এমনভাবে করতেন বলে দলীল আছে। (মুসলিম)
(২৫) সফররত অবস্থায় 'জুমুআ' না পড়লে গোনাহ হবে না। তখন 'জুমুআর' বদলে জুহর পড়ে নেবেন। সফরে সালাতরত অবস্থায় কিবলা উল্টাপাল্টা হয়ে গেলেও নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে কিবলা কোন দিকে এটা একটু চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করে নিতে হবে।
২১শ অধ্যায়
কুরআনে বর্ণিত দোয়া
১- رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
১। হে আমাদের প্রভু! দুনিয়াতে আমাদের কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও। আর আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও।১
২- رَبَّنَا لا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِيْنَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْراً كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلا تُحَمِّلْنَا مَا لا طَاقَةَ لَنَا بِهৃ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنْتَ مَوْلانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
২। হে আমাদের রব! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না।
হে আমাদের রব! পূর্ববর্তীদের উপর যে গুরুদায়িত্ব তুমি অর্পণ করেছিলে সে রকম কোন কঠিন কাজ আমাদেরকে দিও না।
হে আমাদের রব! যে কাজ বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই এমন কাজের ভারও তুমি আমাদের দিও না। তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি আমাদের মাওলা। অতএব কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য কর।[৬]
৩- رَبَّنَا لا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
৩। হে আমাদের রব! যেহেতু তুমি আমাদেরকে হেদায়াত করেছ, কাজেই এরপর থেকে তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করিও না। তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দাও। তুমিতো মহাদাতা।[৭]
৪- رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
৪। হে আমার পরওয়ারদেগার! তোমার কাছ থেকে আমাকে তুমি উত্তম সন্তান-সন্ততি দান কর। নিশ্চয়ই তুমিতো মানুষের ডাক শোনো।[৮]
৫- رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
৫। হে আমাদের রব! আমাদের গুনাহগুলো মাফ করে দাও। যেসব কাজে আমাদের সীমালঙ্ঘন হয়ে গেছে সেগুলোও তুমি ক্ষমা কর। আর (সৎপথে) তুমি আমাদের কদমকে অটল রেখো এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য কর।[৯]
৬- رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلٰى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
৬। হে রব! নবী-রাসূলদের মাধ্যমে তুমি যে পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছো তা তুমি আমাদেরকে দিয়ে দিও। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে তুমি অপমানিত করিও না। তুমিতো ওয়াদার বরখেলাফ কর না।[১০]
৭- رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
৭। হে আমাদের রব! তুমি যা কিছু নাযিল করেছো, তার উপর আমরা ঈমান এনেছি। আমরা রাসূলের কথাও মেনে নিয়েছি। কাজেই সত্য স্বীকারকারীদের দলে আমাদের নাম লিখিয়ে দাও।[১১]
৮- رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
৮। হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের উপর যুলম করেছি। এখন তুমি যদি আমাদের ক্ষমা না কর, আর আমাদের প্রতি রহম না কর তাহলে নিশ্চিতই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।[১২]
৯- رَبَّنَا لا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
৯। হে রব! আমাদেরকে জালিম সম্প্রদায়ের সাথী করিও না।[১৩]
১০- رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاূءِ
১০। হে আমার মালিক! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও এবং আমার ছেলে-মেয়েদেরকেও নামাযী বানিয়ে দাও। হে আমার মালিক! আমার দোয়া তুমি কবুল কর।[১৪]
১১- رَبَّنَا اغْفِرْلِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
১১। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যেদিন চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ হবে সেদিন তুমি আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং সকল ঈমানদারদেরকে তুমি ক্ষমা করে দিও।[১৫]
১২- رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَداً
১২। হে আমাদের রব! তোমার অপার অসীম করুণা থেকে আমাদেরকে রহমত দাও। আমাদের কাজগুলোকে সঠিক ও সহজ করে দাও।[১৬]
১৩- قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي - وَيَسِّرْ لِيْ أَمْرِي -وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِيْ - يَفْقَهُوا قَوْلِيْ
১৩। হে আমার রব! আমার বক্ষকে তুমি প্রশস্ত করে দাও। আমার কাজগুলো সহজ করে দাও। জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা সহজেই বুঝতে পারে। [১৭]
১৪- رَبِّ زِدْنِي عِلْماً
১৪। হে রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।[১৮]
১৫- رَبِّ لاَ تَذَرْنِيْ فَرْداً وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
১৫। হে রব! আমাকে তুমি নিঃসন্তান অবস্থায় রেখো না। তুমিতো সর্বোত্তম মালিকানার অধিকারী।[১৯]
১৬- رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ - وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
১৬। হে রব! শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আমি এ থেকেও তোমার নিকট পানাহ চাই যে, শয়তান যেন আমার ধারে কাছেও ঘেষতে না পারে।[২০]
১৭- رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَاماً ু إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرّاً وَّمُقَاماً
১৭। হে আমাদের রব! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিও। এর আযাব তো বড়ই সর্বনাশা। আশ্রয় ও বাস্থান হিসেবে এটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।[২১]
১৮- رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَاماً
১৮। হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এমন স্ত্রী-সন্তান দান কর যাদের দর্শনে আমাদের চক্ষুশীতল হয়ে যাবে। তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের ইমাম (অভিভাবক) বানিয়ে দাও।[২২]
১৯-২২- رَبِّ هَبْ لِيْ حُكْماً وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِيْنَ - وَاجْعَلْ لِيْ لِسَانَ صِدْقٍ فِي الآخِرِينَ - وَاجْعَلْنِيْ مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ - وَلا تُخْزِنِيْ يَوْمَ يُبْعَثُوْنَ
১৯। হে রব! আমাকে জ্ঞান-বুদ্ধি দান কর এবং আমাকে নেককার লোকদের সান্নিধ্যে রেখো।
২০। এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমার সুখ্যাতি চলমান রেখো।
২১। আমাকে তুমি নিয়ামতে ভরা জান্নাতের বাসিন্দা বানিয়ে দিও।
২২। যেদিন সব মানুষ আবার জীবিত হয়ে উঠবে সেদিন আমাকে তুমি অপমানিত করো না।১৯-২২
২৩- رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحاً تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
২৩। হে প্রতিপালক! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতার প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছো এর শোকরগোজারী করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার দয়ায় আমাকে তোমার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করে দাও।২৩
২৪- رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ
২৪। হে রব! ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তুমি আমাকে সাহায্য কর।২৪
২৫- رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
২৫। হে রব! আমাকে তুমি নেককার সন্তান দান কর।২৫
২৬- رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحاً تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي
২৬। হে রব! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতার প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছ এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার ছেলে-মেয়ে ও পরবর্তী বংশধরকেও নেককার বানিয়ে দাও।২৬
২৭- رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإِيْمَانِ وَلا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلاًّ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَحِيْمٌ
২৭। হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের মাফ করে দাও। আমাদের আগে যেসব ভাইয়েরা ঈমান এনেছে, তুমি তাদেরও মাফ করে দাও। আর ঈমানদার লোকদের প্রতি আমাদের অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিও না। হে রব! তুমিতো বড়ই দয়ালু ও মমতাময়ী।[২৩]
২৮- رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
২৮। হে আমাদের রব! আমাদের জন্য তুমি আমাদের নূরকে পরিপূর্ণ করে দাও। তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর। তুমি তো সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।[২৪]
২৯- رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِناً وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
২৯। হে আমার রব! আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে, যারা মুমিন অবস্থায় আমার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদেরকে এবং সকল মুমিন পুরুষ-নারীকে তুমি ক্ষমা করে দাও।[২৫]
৩০-رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِياً يُنَادِي لِلإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأَبْرَارِ
৩০। হে আমার রব! নিশ্চয়ই আমরা এক আহ্বানকারীকে আহ্বান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তাতেই আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, হে আমাদের প্রতিপালক! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা কর ও আমাদের পাপরাশি মোচন কর এবং পুণ্যবানদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু দান কর।[২৬]
২২শ অধ্যায়
হাদীসে বর্ণিত দোয়া
মন খুলে, হৃদয় উজাড় করে আল্লাহ তা'আলার নিকট দোয়া করুন।
৩১- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ - اللَّهُمَّ اغْسِلْ قَلْبِي بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنْ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
৩১। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, জাহান্নামের ফিতনা ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে। কবরের ফিতনা ও কবরের 'আযাব থেকে। আশ্রয় চাচ্ছি, সম্পদের ফিতনা ও দারিদ্রের ফিতনার ক্ষতি থেকে।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি মাসীহিদ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।
হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধৌত করে দাও। আমার অন্তরকে গুনাহ থেকে পরিষ্কার করে দাও। যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে তুমি পরিষ্কার করে থাকো। হে আল্লাহ! থেকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত তুমি যে বিশাল দূরত্ব সৃষ্টি করেছ আমার আমলনামা থেকে আমার গুনাহগুলো ততটুকু দূরে সরিয়ে দাও। হে আল্লাহ! আমার অলসতা, গুনাহ ও ঋণ থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই।[২৭]
৩২- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْهَرَمِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَامِ
৩২। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, বার্ধক্য, কৃপণতা থেকে। আশ্রয় চাই তোমার নিকট কবরের আযাব ও জীবন মরনের ফিতনা থেকে।[২৮]
৩৩- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ
৩৩। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই, কঠিন বালা-মুসিবত, দুর্ভাগ্য ও শত্রুদের বিদ্বেষ থেকে।[২৯]
৩৪- اللَّهُمَّ أَصْلِحْ لِي دِينِي الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي - وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتِي فِيهَا مَعَاشِي - وَأَصْلِحْ لِي آخِرَتِي الَّتِي فِيهَا مَعَادِي - وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ - وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ
৩৪। হে আল্লাহ! আমার দ্বীনকে আমার জন্য সঠিক করে দিও যা কর্মের বন্ধন। দুনিয়াকেও আমার জন্য সঠিক করে দাও যেখানে রয়েছে আমার জীবন যাপন। আমার জন্য আমার পরকালকে পরিশুদ্ধ করে দাও, যা হচ্ছে আমার অনন্তকালের গন্তব্যস্থল। প্রতিটি ভাল কাজে আমার জীবনকে বেশী বেশী কাজে লাগাও এবং সকল অমঙ্গল ও কষ্ট থেকে আমার মৃত্যুকে আরামদায়ক করে দিও।[৩০]
৩৫- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُد্তুى وَالتُّقٰى وَالْعَفَافَ وَالْغِنٰى
৩৫। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়াত তাকওয়া ও পবিত্র জীবন চাই। আরো চাই যেন কারো কাছে দ্বারস্থ না হই।[৩১]
৩৬- اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ- اَللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجَابُ لَهَا
৩৬। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য ও কবরের 'আযাব থেকে।
হে আল্লাহ! তুমি আমার মনে তাকওয়ার অনুভূতি দাও, আমার মনকে পবিত্র কর, তুমি-ই তো আত্মার পবিত্রতা দানকারী। তুমিই তো হৃদয়ের মালিক, অভিভাবক ও বন্ধু।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই এমন 'ইল্ম থেকে যে 'ইল্ম কোন উপকার দেয় না, এমন হৃদয় থেকে যে হৃদয় বিনম্র হয় না, এমন আত্মা থেকে যে আত্মা পরিতৃপ্ত হয় না এবং এমন দোয়া থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যে দোয়া কবূল হয় না।[৩২]
৩৭- اللَّهُمَّ اهْدِنِيْ وَسَدِّدْنِي - اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُد্তুى وَالسَّدَادَ
৩৭। হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াত দান কর, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত কর। হে আল্লাহ! তোমার নিকট হেদায়াত ও সঠিক পথ কামনা করছি।[৩৩]
৩৮- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
৩৮। হে আল্লাহ! তোমার দেয়া নেয়ামাত চলে যাওয়া ও অসুস্থতার পরিবর্তন হওয়া থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই তোমার পক্ষ থেকে আকষ্মিক গজব আসা ও তোমার সকল অসন্তোষ থেকে।[৩৪]
৩৯- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ
৩৯। হে আল্লাহ! আমি আমার অতীতের কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যে কাজ আমি করিনি তার অনিষ্টতা থেকেও আশ্রয় চাই।।[৩৫]
৪০- اَللَّهُمَّ إِِنِّيْ أِعُوْذُبِكَ أِنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أِعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ
৪০। হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর যদি অজান্তে শিক হয়ে থাকে তবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।[৩৬]
৪১- اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو - فَلاَ تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ - وَأَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهচ্ - لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
৪১। হে আল্লাহ! তোমার রহমত প্রত্যাশা করছি। সুতরাং তুমি আমার নিজের উপর তাৎক্ষণিকভাবে কোন দায়িত্ব অর্পণ করে দিও না। আর আমার সব কিছু তুমি সহীহ শুদ্ধ করে দাও। তুমি ছাড়া আর কোন মা'বুদ নেই।[৩৭]
৪২- اللَّهُمَّ اجْعَلِ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي وَنُورَ صَدْرِيْ وَجِلاَءَ حُزْنِيْ وَذَهَابَ هَمِّيْ
৪২। হে আল্লাহ! কুরআনকে তুমি আমার হৃদয়ের বসন্তকাল বানিয়ে দাও, বানিয়ে দাও আমার বুকের নূর এবং কুরআনকে আমার দুঃখ ও দুঃশ্চিন্তা দূর করার মাধ্যম বানিয়ে দাও।[৩৮]
৪৩- اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلٰى طَاعَتِكَ
৪৩। হে অন্তরের পরিবর্তন সাধনকারী রব! আমাদের অন্তরকে তোমার অনুগত্যের দিকে পরিবর্তন করে দাও।[৩৯]
৪৪- يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
৪৪। হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তুমি তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ।[৪০]
৪৫- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
৪৫। হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি।[৪১]
৪৬- اللَّهُمَّ أَحْسِنْ عَاقِبَتَنَا فِي الأُمُورِ كُلِّهَا وَأَجِرْنَا مِنْ خِزْيِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ
৪৬। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সকল কাজের পরিণতি সুন্দর ও উত্তম করে দাও এবং আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা, অপমান এবং আখেরাতের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দিও।[৪২]
৪৭- رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَيَّ - وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَيَّ - وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَيَّ وَاهْدِنِي وَيَسِّرْ هُدَايَ إِلَيَّ - وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ بَغَى عَلَيَّ - اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي لَكَ شَاكِرًا لَكَ ذَاكِرًا لَكَ رَاهِبًا لَكَ مِطْوَاعًا إِلَيْكَ مُخْبِتًا أَوْ مُنِيبًا - رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي - وَاغْسِلْ حَوْبَتِي - وَأَجِبْ دَعْوَتِي - وَثَبِّتْ حُجَّتِي - وَاهْدِ قَلْبِي - وَسَدِّدْ لِسَانِي - وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِي
৪৭। হে আমার রব! তুমি আমাকে সাহায্য কর, আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না। আমাকে সহায়তা কর, আমার বিপক্ষে কাউকে সহায়তা করো না। আমাকে কৌশল শিখিয়ে দাও, আমার বিপক্ষে কাউকে চক্রান্ত করতে দিও না। আমাকে হেদায়ত দাও, হেদায়তের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও। আমার বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করে, তার বিপক্ষে আমাকে সাহায্য কর। আমাকে তোমার অধিক শুকরগুজার, যিক্রকারী বান্দা বানিয়ে দাও। তাওফিক দাও যাতে তোমাকে অধিক ভয় করি। তোমার আনুগত্য করি। তাওফিক দাও যাতে আমি তোমার প্রতি বিনয়ী হই, তাওবাকারী প্রত্যাবর্তনশীল বান্দা হই।
হে আমার রব! তুমি আমার তাওবা কবূল কর। আমার অপরাধটুকু ধুয়ে ফেল। আমার দু'আ কবূল কর। আমার যুক্তিগুলো অকাট্য করে দাও। আর অন্তরকে হেদায়েতের পথে পরিচালিত কর, আমার ভাষাকে সঠিক করে দাও এবং আমার কলব থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দাও।[৪৩]
৪৮- اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ -صلى الله عليه وسلم- وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ -صلى الله عليه وسلم- وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ وَعَلَيْكَ الْبَلاَغُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
৪৮। হে আল্লাহ! তোমার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার কাছে যেসব কল্যাণকর জিনিস চেয়েছিলেন সেগুলো আমাকেও তুমি দাও। আর তোমার নিকট ঐ অমঙ্গল-অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই, যে অমঙ্গল থেকে তোমার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় চেয়েছিলেন। সাহায্য তো শুধু তোমার কাছে চাইতে হয় এবং সবকিছু পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্বও তোমার। তুমি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোন নেক কাজ করা কিংবা গুনাহ করার কোন শক্তি নেই।[৪৪]
৪৯- اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِيْ وَمِنْ شَرِّ بَصَرِيْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِيْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّيْ
৪৯। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি আমার জিহ্বা ও অন্তর এবং আমার ভাগ্য এসব অঙ্গের অনিষ্টতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই।[৪৫]
৫০- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئْ الأَسْقَامِ
৫০। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট শ্বেতরোগ পাগলামি ও কুষ্ঠ রোগসহ সকল জটিল রোগ থেকে আশ্রয় চাই।[৪৬]
৫১-اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ
৫১। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি অসৎ চরিত্র, অপকর্ম এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে আশ্রয় চাই।[৪৭]
৫২- اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
৫২। হে আল্লাহ! তুমিতো ক্ষমার ভাণ্ডার, ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ কর। কাজেই আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।[৪৮]
৫৩- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ - وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي - وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةً فِي قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ - وَأَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ - وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُنِي إِلَى حُبِّكَ
৫৩। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নেক কাজ করা, অসৎ কাজ পরিত্যাগ এবং মিসকীনদের ভালবাসার গুণাবলী দাও। আরো প্রর্থানা করিছ যে, তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর। আর যখন তুমি কোন জাতিকে কোন প্রকার ফিতনায় ফেলার ইচ্ছা কর তখন আমাকে ফিতনামুক্ত মৃত্যু দান কর। তোমার ভালবাসা আমি চাই, যারা তোমাকে ভালবাসে তাদের ভালবাসাও চাই এবং এমন আমলের ভালবাসা আমি চাই, যে আমল আমাকে তোমার ভালবাসার নিকট পৌঁছে দেবে।[৪৯]
৫৪- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ الْخَيْرِ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ- وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ الشَّرِّ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَاذَ بِهِ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ - وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ - وَأَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ كُلَّ قَضَاءٍ قَضَيْتَهُ لِي خَيْرًا
৫৪। হে আল্লাহ! দুনিয়া ও আখিরাতের আমার জানা অজানা যত কল্যাণ ও নেয়ামাত আছে তা সবই আমি চাই। দুনিয়া ও আখিরাতের আমার জানা-অজানা সকল অকল্যাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ঐ সব কল্যাণ চাচ্ছি যা তোমার বান্দা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেয়েছিলেন এবং তোমার নিকট ঐ সব অমঙ্গল থেকে আশ্রয় চাচ্ছি যা থেকে তোমার বান্দা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় চেয়েছিলেন।
হে আল্লাহ! আমি তো বেহেশতে যেতে চাই। আর সে কথা ও কাজের তাওফীক চাই যা সহজেই আমাকে বেহেশতে পৌঁছাবে। হে আল্লাহ! জাহান্নামের আগুন থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই এবং যে কথা ও কাজ মানুষকে জাহান্নামবাসী করে সেগুলো থেকেও তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আর প্রতিটি কাজের বিচারে আমার জন্য কল্যাণকর ফায়সালা করে দিও।[৫০]
৫৫- اَللَّهُمَّ احْفَظْنِيْ بِالإسْلامِ قَائِمًا وَاحْفَظْنِيْ بِالإسلامِ قَاعِدًا وَاحْفَظْنِيْ بِالإسْلامِ رِاقِدًا وَلاَ تشمتْ بِيْ عَدُوَّا وَلاَ حَاسِدًا - اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ كُلِّ خَيْرٍ خَزَائِنُهُ بِيَدِكَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ كُلِّ شَرٍّ خَزَائِنُهُ بِيَدِكَ
৫৫। হে আল্লাহ! দাঁড়ানো অবস্থায় ইসলামের মাধ্যমে আমাকে হেফাযত করিও, বসা অবস্থা ইসলামের মাধ্যমে হেফাযত করিও এবং শোয়া অবস্থা ইসলামের মাধ্যমে আমাকে হেফাযত করিও। আমার বিপদে শত্রুকে আনন্দ করার সুযোগ দিও না। শত্রুকে আমার জন্য হিংসুটে হতে দিও না।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ঐ সব কল্যাণের প্রার্থনা করছি, যেসব কল্যাণ তোমার হাতে রয়েছে। সে সব অকল্যাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যা তোমার হাতে রয়েছে।[৫১]
৫৬- اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي
৫৬। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে হেদায়াত কর, নিরাপদে রাখ এবং আমাকে রিযিক দান কর।[৫২]
৫৭- اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
৫৭। হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলম করে ফেলেছি। আর তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু রব।[৫৩]
৫৮- اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ خَاصَمْتُ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الَّذِي لاَ يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ يَمُوتُونَ
৫৮। হে আল্লাহ! তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার প্রতি-ই ঈমান এনেছি এবং তোমার উপর-ই তাওয়াক্কুল করেছি। আর তোমার নিকট-ই ফায়সালা চেয়েছি।
হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের আশ্রয় চাচ্ছি তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তুমি চিরস্থায়ী, যাঁর মৃত্যু নেই। আর জ্বিন ও মানব তো সবাই মরে যাবে।[৫৪]
৫৯- اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي وَبَارِكْ لِي فِيمَا رَزَقْتَنِي
৫৯। হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহকে ক্ষমা করে দাও, আমার ঘরে প্রশস্ততা দান কর এবং আমার রিযিকে বরকত দাও।[৫৫]
৬০- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ وَرَحْمَتِكَ فَإِنَّهُ لاَ يَمْلِكُهَا إِلاَّ أَنْتَ
৬০। হে আল্লাহ! তোমার নিকট অনুগ্রহ ও দয়া চাই। কারণ অনুগ্রহ ও দয়ার মালিক তুমি ছাড়া কেউ না।[৫৬]
৬১- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي وَالْهَدْمِ وَالْغَرَقِ وَالْحَرِيقِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا
৬১। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট যমীন ধসে পড়া, ধ্বংস হওয়া, পানিতে ডুবা ও আগুনে পোড়া থেকে আশ্রয় চাই। মৃত্যুর সময় শয়তানের ছোবল থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তোমার নিকট তোমার পথে পৃষ্ঠপ্রদর্শন হয়ে মৃত্যু থেকে। তোমার নিকট আশ্রয় চাই দংশনজনিত মৃত্যু থেকে।[৫৭]
৬২- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْجُوعِ فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيعُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخِيَانَةِ فَإِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ
৬২। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে আশ্রয় চাই। করণ এটা নিকৃষ্ট শয্যাসঙ্গী। খেয়ানত থেকেও তোমার কাছে আশ্রয় চাই। কারণ এটা নিকৃষ্ট বন্ধু।[৫৮]
৬৩- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَالْقَسْوَةِ وَالْغَفْلَةِ وَالْعَيْلَةِ وَالذِّلَّةِ وَالْمَسْكَنَةِ - وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَالْكُفْرِ وَالْفُسُوْقِ وَالشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَالسَّمْعَةِ وَالرِّيَاءِ - وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الصَّمَمِ وَالْبَكَمِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَالْبَرَصِ وَسيء الأسْقَامِ
৬৩। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য, নিষ্ঠুরতা, গাফিলতি, অভাব-অনটন, হীনতা, নিঃস্বতা থেকে আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই দারিদ্র্য, কুফরী, পাপাচার, ঝগড়াঝাটি, কপটতা, সুনাম-কামনা করা ও লোক দেখানো ইবাদত থেকে।
আশ্রয় চাই তোমার নিকট বধিরতা, বোবা, পাগলামী, কুষ্ঠরোগ ও শ্বেত রোগসহ সকল খারাপ রোগ থেকে।[৫৯]
৬৪- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْفَقْرِ وَالْقِلَّةِ وَالذِّلَّةِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ
৬৪। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দারিদ্র্য, স্বল্পতা, হীনতা থেকে আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই যালিম ও মাযলুম হওয়া থেকে।[৬০]
৬৫- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ يَوْمِ السُّوْءِ وَمِنْ لَيْلَةِ السُّوْءِ وَمِنْ سَاعَةِ السُّوْءِ وَمِنْ صَاحِبِ السُّوْءِ وَمِنْ جَارِ السُّوْءِ فِي دَارِ الْمَقَامَةِ
৬৫। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই খারাপ দিন, খারাপ রাত, বিপদ মুহূর্ত, অসৎসঙ্গী এবং স্থায়ীভাবে বসবাসকারী খারাপ প্রতিবেশী থেকে।[৬১]
৬৬- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَسْتَجِيْرُبِكَ مِنَ النَّارِ
৬৬। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাতের প্রার্থনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাচ্ছি।[৬২]
৬৭- اَللَّهُمَّ فَقِّهْنِيْ فِي الدِّيْنِ
৬৬। হে আল্লাহ! আমাকে দ্বীনের পাণ্ডিত্য দান কর।[৬৩]
৬৮- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ
৬৭। হে আল্লাহ! জেনে বুঝে তোমার সাথে শির্ক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই এবং না জেনে শির্ক করা থেকে তোমার নিকট ক্ষমা চাই।[৬৪]
৬৯- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
৬৮। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী 'ইল্ম, পবিত্র রিযিক এবং কবূল আমলের প্রার্থনা করছি।[৬৫]
৭০- رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُورُ
৭০। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার তাওবা কবূল কর। নিশ্চয়ই তুমি তাওবা গ্রহণকারী ও অতিশয় ক্ষমাশীল।[৬৬]
৭১- اللَّهُمَّ طَهِّرْنِي مِنَ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْهَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ اللَّهُمَّ طَهِّرْنِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ
৭১। হে আল্লাহ! আমাকে যাবতীয় গোনাহ ও ভুলভ্রান্তি থেকে পবিত্র কর। হে আল্লাহ! আমাকে গোনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন কর যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। হে আল্লাহ! আমাকে বরফ, শীতল ও ঠাণ্ডা পানি দ্বারা পবিত্র কর।[৬৭]
৭২- اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَرَبَّ إِسْرَافِيلَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ حَرِّ النَّارِ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ.
৭২। হে আল্লাহ! হে জিব্রাইল, মিকাইল ও ইসরাফিলের রব! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের উত্তাপ ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই।[৬৮]
৭৩- اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي.
৭৩। হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে হেদায়েতের অনুপ্রেরণা দান কর। আমার অন্তরের অনিষ্টতা থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রাখো।[৬৯]
৭৪- اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَّ يَنْفَعُ.
৭৪। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি উপকার দানকারী ইলম চাই, এমন ইলম থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যা কোন উপকারে আসে না।[৭০]
৭৫ اَللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِنَا - وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا - وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلاَمِ - وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ - وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ ু وَبَارِكْ لَنَا فِيْ أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوْبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا - وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ - وَاجْعَلْنَا شَاكِرِيْنَ لِنِعَمِكَ مثنين بِهَا عَلَيْكَ قَابِلِيْنَ لَهَا وَأَتْمِمْهَا عَلَيْنَا.
৭৫। হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরসমূহে ভালবাসা স্থাপন করে দাও। আমাদের নিজেদের মাঝে সংশোধন করে দাও। আমাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত কর। অন্ধকার গোমরাহী থেকে বাঁচিয়ে আলোকিত হিদায়াতের পথে নিয়ে যাও। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখ। আমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, অন্তরসমূহসহ আমাদের স্ত্রী-পুত্র সন্তানদের মাঝে বরকত দান কর। আমাদের তাওবা কবূল কর। তুমিতো দয়াময় তওবা কবুলকারী। আমাদেরকে তোমার প্রশংসা করে তোমার নেয়ামতের শুকরিয়া করার তাওফীক দাও। তুমি তোমার নেয়ামত আগ্রহভরে গ্রহণ করার তাওফীক দাও এবং তা আমাদের প্রতি পরিপূর্ণরূপে দান কর।[৭১]
৭৬- اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَسْأَلَةِ وَخَيْرَ الدُّعَاءِ وَخَيْرَ النَّجَاحِ وَخَيْرَ الْعَمَلِ وَخَيْرَ الثَّوَابِ وَخَيْرَ الْحَيَاةِ وَخَيْرَ الْمَمَاتِ - وَثَبِّتْنِيْ وَثَقِّلْ مَوَازِيْنِيْ وَحَقِّقْ إِيْمَانِيْ وَارْفَعْ دَرَجَاتِيْ وَتَقَبَّلْ صَلاَتِيْ وَاغْفِرْ خَطِيْئَتِيْ وَأَسْأَلُكَ الدَّرَجَاتُ الْعُلَى مِنَ الْجَنَّةِ - اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ فَوَاتِحِ الْخَيْر وَخَوَاتِمَهُ وَجَوَامِعَهُ وَأَوَّلَهُ وَظَاهِرَهُ وَبَاطِنَهُ وَالدَّرَجَاتِ الْعُلَى مِنَ الْجَنَّةِ آَمِيْنَ - اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا آتي وَخَيْرَ مَا أَفْعَلُ وَخَيْرَ مَا أَعْمَلُ وَخَيْرَ مَا بَطَنَ وَخَيْرَ مَا ظَهَرَ وَالدَّرَجَاتِ العُلَى مِنَ الْجَنَّةِ آمِيْن -اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ أَنْ تَرْفَعَ ذِكْرِيْ وَتَضَعَ وِزْرِيْ وَتُصْلِحَ أَمْرِيْ وَتَطْهَرْ قَلْبِيْ وَتَحْصِنَ فَرْجِيْ وَتَنَوَّرَ قَلْبِيْ وَتَغْفِرَ لِيْ ذَنْبِيْ - اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ أَنْ تُبَارِكَ فِيْ نَفْسِيْ وَفِيْ قَلْبِيْ وَفِيْ سَمْعِيْ وَفِيْ بَصَرِيْ وَفِيْ رُوْحِيْ وَفِيْ خَلْقِيْ وَفِيْ خُلُقِيْ وَفِيْ أَهْلِيْ وَفِيْ مَحْيَايَ وَفِيْ مَمَاتِيْ وَفِيْ عَمَلِيْ فَتَقَبَّلْ حَسَنَاتِيْ وَأَسْأَلُكَ الدَّرَجَاتِ الْعُلَى مِنَ الْجَنَّةِ آمِيْنْ
৭৬। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি উত্তম প্রার্থনা, দু'আ, উত্তম সফলতা, উত্তম আমল, উত্তম সাওয়াব, উত্তম জীবন ও উত্তম মৃত্যু কামনা করছি। আমাকে তুমি অটল অবিচল রাখ। আমার আমলনামা ভারী করে দাও, আমার ঈমানকে সুদৃঢ় কর, আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। আমার সলাত কবূল কর এবং আমার গুনাহ ক্ষমা কর। জান্নাতের সর্বোচ্চ আসনে আমাকে অধিষ্ঠিত কর।
হে আল্লাহ! আমাকে তুমি কল্যাণের শুরু, শেষ, পূর্ণাঙ্গ, প্রকাশ্য অপ্রকাশ্যসহ জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান কর। আমীন!
হে আল্লাহ! আমি যা উপস্থিত করছি, কর্ম করছি ও আমল করছি এবং এসবের উত্তম প্রতিদান অর্জনের জন্য তোমার নিকট মুনাজাত করছি। আর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব কিছুর কল্যাণসহ জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা তোমার কাছে চাই। আমীন!
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এই মর্মে প্রার্থনা করছি যে, তুমি আমার মর্যাদা বুলন্দ কর, আমার গোনাহর বোঝা সরিয়ে নাও। আমার সবকিছু ঠিক করে দাও, আমার অন্তরকে পবিত্র কর, আমার লজ্জাস্থানকে হেফাজাত কর, আমার অন্তরকে আলোকিত কর, আমার গুনাহ ক্ষমা কর।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, আমার মন ও আত্মায়, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিতে বরকত দান কর। বরকত দান কর আমার রুহে, আকৃতিতে, চরিত্র-মাধুর্যে, আমার পরিবারে, আমার জীবনে, মৃত্যুতে এবং আমার আমলে বরকত দান কর। সুতরাং আমার নেক আমল কবূল কর। জান্নাতের সর্বোচ্চ আসনে তুমি আমাকে অধিষ্ঠিত করিও। আমীন!
৭৭- اَللَّهُمَّ جَنِّبْنِيْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَهْوَاءِ وَالأَعَمَالِ وَالأَدْوَاءِ
৭৭। হে আল্লাহ! আমাকে অসৎ চরিত্র, কুপ্রবৃত্তি, অপকর্ম ও অপ্রতিষেধক (ঔষধ) থেকে দূরে রাখ।৭৭
৭৮- اَللَّهُمًَّ قَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ وَاخْلُفْ عَلَيَّ كُلَّ غَائِبَةٍ لِيْ بِخَيْرٍ
৭৮। হে আল্লাহ! আমাকে যে রিযিক দান করেছ এতে তুমি আমাকে তুষ্টি দান কর এবং বরকত দাও। আর আমার প্রতিটি অজানা বিষয়ের পরে আমাকে তুমি কল্যাণ এনে দাও।[৭২]
৭৯- اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابًا يَسِيرًا
৭৯। হে আল্লাহ! আমার হিসাবকে তুমি সহজ করে দাও।[৭৩]
৮০- اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
৮০। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার যিকর, কৃতজ্ঞতা এবং তোমার উত্তম ইবাদাত করার তাওফীক দাও।[৭৪]
৮১- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ إِيمَانًا لاَ يَرْتَدُّ وَنَعِيمًا لاَ يَنْفَدُ وَمُرَافَقَةَ النَّبِيِّ -صلى الله عليه وسلم-فِي أَعْلَى جَنَّةِ الْخُلْدِ
৮১। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এমন ঈমানের প্রার্থনা করছি, যে ঈমান হবে দৃঢ় ও মজবুত, যা নড়বড়ে হবে না, চাই এমন নেয়ামত যা ফুরিয়ে যাবে না। এবং চিরস্থায়ী সুউচ্চ জান্নাতে প্রিয় নবী মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে থাকার তাওফীক আমাকে দিও।[৭৫]
৮২- اللَّهُمَّ قِنِي شَرَّ نَفْسِي وَاعْزِمْ لِي عَلَى أَرْشَدِ أَمْرِي - اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَخْطَأْتُ وَمَا عَمَدْتُ وَمَا عَلِمْتُ وَمَا جَهِلْتُ
৮২। হে আল্লাহ! আমাকে আমার আত্মার অনিষ্টতা থেকে রক্ষা কর। পথনির্দেশপূর্ণ কাজে আমাকে তুমি দৃঢ় রাখ। হে আল্লাহ! আমি যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি, ভুল করি, ইচ্ছা বশতঃ করি, যা জেনে করি এবং না জেনে করি- এসব কিছুতে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও।[৭৬]
৮৩- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الْعَدُوِّ وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ
৮৩। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ঋণের প্রভাব ও আধিক্য, শত্রুর বিজয় এবং শত্রুদের আনন্দ উল্লাস থেকে আশ্রয় চাই।[৭৭]
৮৪- اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
৮৪। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে রিযিক দান কর, আমাকে নিরাপদে রাখ, ক্বিয়ামাতের দিনের সংকীর্ণ স্থান থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।[৭৮]
৮৫- اللَّهُمَّ أَحْسَنْتَ خَلْقِي فَأَحْسِنْ خُلُقِي.
৮৫। হে আল্লাহ! তুমি আমার আকৃতি ও অবয়বকে সুন্দর করেছ। অতএব আমার চরিত্রকেও সুন্দর করে দাও।[৭৯]
৮৬- اَللَّهُمَّ ثَبِّتْنِيْ وَاجْعَلْنِيْ هَادِيًا مَهْدِيًّا.
৮৬। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে অটল-অবিচল রাখ এবং আমাকে পথপ্রদর্শক ও হিদায়াতপ্রাপ্ত হিসেবে গ্রহণ করে নাও।[৮০]
৮৭- اَللَّهُمَّ آتِنْيْ الْحِكْمَةَ الَّتِيْ مَنْ أُوْتِيْهَا فَقَدْ أُوْتِيَ خَيْرًا كَثِيْراً.
৮৭। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হেকমত দান কর। যাকে তুমি হেকমত দান করেছ, তাকে অনেক কল্যাণ দান করা হয়েছে। আমীন!
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِهِ وَأَصْحَابِهِ أَجْمَعِيْنَ
হে আল্লাহ! প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (স) ও তাঁর পরিবার পরিজন ও সকল সাহাবায়ে কেরাম (রা) এর প্রতি দুরূদ ও সালাম বর্ষিত কর।
সমাপ্ত
المراجع والمصادر
তথ্যপুঞ্জি
১- المغني في فقه الحج والعمرة- للشيخ لسعيد باشنفر
২- خالص الجمان ু للشيخ محمد الأمين الشنقيطي
৩- التحقيق والإيضاح لكثير من مسائل الحج والعمرة ু عبد العزيز بن باز
৪- مناسك الحج والعمرة ু للشيخ محمد صالح العثيمين
৫- حجة النبي (صـ) ু للشيخ محمد ناصر الدين الألباني
৬- فتاوى تتعلق بأحكام الحج والعمرة ু للشيخ عبد العزيز بن باز
৭- ৬০ سوالا ০০০০ الحج والاعتمار ু للشيخ محمد صالح العثيمين
৮- دليل الحج والعمرة ু وزارة الشئون الإسلامية والأوقاف ু بالسعودية
৯- صفة الحج والعمرة ু المكتب العلمي
১০- مرشد المعتمر والحاج والزائر ু للشيخ سعيد القحطاني
১১- الحاج أحكامه-أسراره-منافعه ু للشيخ عبد الرحمن الدوسري
১২- المنهج للمعتمر والحاج ু للشيخ سعود الشريم
১৩- أحوال النبي (صـ) في الحج ু للشيخ فيصل على البعداني
১৪- تيسير العلام ু للشيخ عبد الله بسام
১৫- فقه السنة ু للشيخ السيد سابق
১৬- دروس الحج ু الهيئة العالمية للتعريف بالإسلام
১৭- أخطاء في الحج ু من موقع انترنت
১৮- برنامج عشر ذي الحجة
১৯। হজ্জ ও উমরার নিয়মাবলী- মোহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমিন।
২০। হাদীসের সম্বল- আস-সুলাই দাওয়া সেন্টার, রিয়াদ।
২১। সহীহ হজ্জ উমরা- আকরামুজ্জামান আব্দুস সালাম
২২। হজ্জে রাসূলুল্লাহ- শামসুল হক সিদ্দিক
২৩। হজ্জ ও উমরা-তিতুমীর হজ্জ কাফেলা
২৪। হারাম শরীফের দেশ : ফযীলত ও আহকাম- সিরাজ নগর উম্মুলকুরা ট্রাষ্ট
*'মাবরূর হজ্জ' এমন হজ্জকে বলা হয় যে হজ্জে হাজীকে কোন গুনাহ স্পর্শ করে না।
হাসান বসরী (রহঃ) বলেন : হজ্জে মাবরূর হলো, যে হজ্জে মানুষ দুনিয়া বিমূখ হয়ে যাবে এবং আখিরাত মুখী হয়ে ঘরে ফিরে আসবে, (ফিকহুস সুন্নাহ)
হাদীসে বর্ণিত আছে যে, হজ্জ পালনকারীর কল্যাণমূলক আমল হলোঃ ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো এবং নরম ও কোমল ভাষায় কথা বলা।
তথ্যসূত্র:
তথ্যসূত্র:
[১] আল-বাদায়ে' আস-সানায়ে'
[২] (সূরা আলে ইমরান : ৯৭)
[৩] (বুখারী ১৫২৬, মুসলিম ১১৮১)
[৪] (সূরা বাকারা ২০১)
[৫](বাকারা : ১২৫
১ সূরা আল-বাকারা ২ : ২০১।
[৬] সূরা আল-বাকারা ২ : ২৮৬।
[৭] সূরা আলে-ইমরান ৩ : ৮।
[৮] সূরা আলে-ইমরান ৩ : ৩৮।
[৯] সূরা আলে-ইমরাহ ৩ : ১৪৭।
[১০] সূরা আলে-ইমরান ৩ : ১৯৪।
[১১] সূরা আল-মায়িদা ৫ : ১৮৩।
[১২] সূরা আল-আ'রাফ ৭ : ২৩।
[১৩] সূরা আল-আ'রাফ ৭ : ৪৭।
[১৪] সূরা ইবরাহীম ১৪ : ৪০।
[১৫] সূরা ইবরাহীম ১৪ : ৪১।
[১৬] সূরা কাহ্ফ ১৮ : ১০।
[১৭] সূরা হূদ ২০ : ২৫।
[১৮] সূরা হূদ ২০ : ১১৪।
[১৯] সূরা আম্বিয়া ২১ : ৮৯।
[২০] সূরা মু'মিনূন ২৩ : ৯৭-৯৮।
[২১] সূরা আল-ফুরক্বান ২৫ : ৬৫-৬৬।
[২২] সূরা আল-ফুরক্বান ২৫ : ৭৪।
১৯-২২ সূরা আশ-শু'আরা ২৬ : ৮৩,৮৪,৮৫,৮।
২৩ সূরা আন-নাম্ল ২৭ : ১৯।
২৪ সূরা 'আনকাবূত ২৯ : ৩০।
২৫ সূরা আস-সাফ্ফাত ৩৭ : ১০০।
২৬ সূরা আহকাফ ৪৬ : ১৫।
[২৩] সূরা হাশর ৫৯ : ১০।
[২৪] সূরা তাহরীম ৬৬ : ৮।
[২৫] সূরা নূহ ৭১ : ২৮।
[২৬] সূরা আলে ইমরান ৩ : ১৯৩
[২৭] বুখারী ও মুসলিম
[২৮] বুখারী ৬৩৬৭ ও মুসলিম ২৭০৬
[২৯] বুখারী
[৩০] (মুসলিম ২৭২০)
[৩১] (মুসলিম ২৭২১)
[৩২] (মুসলিম ২৭২২)
[৩৩] (মুসলিম)
[৩৪] মুসলিম
[৩৫] মুসলিম ২৭১৬
[৩৬] সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৭১৬
[৩৭] আবূ দাউদ ৫০৯০
[৩৮] মুসনাদ আহমাদ ৩৭০৪
[৩৯] মুসলিম ২৬৫৪
[৪০] মুসনাদে আহমাদ ২১৪০
[৪১] তিরমিযী ৩৫১৪
[৪২] মুসনাদে আহমাদ ১৭১৭৬
[৪৩] আবূ দাউদ ১৫১০
[৪৪] (তিরমিযী ৩৫২১)
[৪৫] (আবূ দাউদ ১৫৫১)
[৪৬] (আবূ দাউদ ১৫৫৪)
[৪৭] (তিরমিযী ৩৫৯১)
[৪৮] (তিরমিযী ৩৫১৩)
[৪৯] আহমাদ ২১৬০৪
[৫০] ইবনে মাজাহ ৩৮৪৬
[৫১] (সহীহ আল-জামেউস সগীর ১২৬০)
[৫২] (মুসলিম)
[৫৩] (বুখারী ৮৩৪)
[৫৪] (বুখারী ৭৪৪২ ও ৭৩৮৩)
[৫৫] (মুসনাদে আহমদ)
[৫৬] (তাবারানী)
[৫৭] (নাসায়ী ৫৫৩১)
[৫৮] (আবূ দাঊদ ৫৪৬)
[৫৯] (সহীহ জামেউস সগীর ১২৮৫)
[৬০] (নাসায়ী, আবূ দাঊদ)
[৬১] (সহীহ জামেউস সগীর ১২৯৯)
[৬২] (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
[৬৩] (বুখারী- ফাতহুলবারী, মুসলিম)
[৬৪] (মুসনাদে আহমদ)
[৬৫] (ইবনে মাজাহ)
[৬৬] (আবূ দাঊদ, তিরমিযী ৩৪৩৪)
[৬৭] (নাসাঈ ৪০২)
[৬৮] (নাসাঈ ৫৫১৯)
[৬৯] (ইবনে মাজাহ ৩৪৮৩)
[৭০] (ইবনে মাজাহ ৩৮৪৩)
[৭১] (হাকিম)
৭৭ (হাকিম)
[৭২] (হাকিম)
[৭৩] (মিশকাত ৫৫৬২)
[৭৪] (আবূ দাউদ ১৫২২)
[৭৫] (ইবনে হিব্বান)
[৭৬] (হাকিম)
[৭৭] (নাসায়ী ৫৪৭৫)
[৭৮] (নাসায়ী ১৬১৭)
[৭৯] (জামে সগীর ১৩০৭)
[৮০] (বুখারী- ফাতহুল বারী)
_________________________________________________________________________________
প্রণয়নে :
অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
সম্পাদনা :
ড. মোহাম্মাদ মানজুরে ইলাহী
ড. শামসুল হক সিদ্দিক
মাও. আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
মুফতী সানাউল্লাহ নজির আহমদ
প্রকাশনায় : এশিয়ান ট্রাভেলস নেটওয়ার্ক লিঃ
তত্বাবধানে : তাআউন ফাউন্ডেশন-এর পক্ষে
মোঃ রফিকুল ইসলাম
সর্বস্বত্ত্ব : গ্রন্থকার কর্তৃক সংরক্ষিত
লেখক : অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম
تأليف : الأستاذ محمد نور الإسلام
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
المكتب التعاوني للدعوة وتوعية الجاليات بالربوة بمدينة الرياض
আরও পড়ুনঃ প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (১ম পর্ব)
আরও পড়ুনঃ যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি
আরও পড়ুনঃ যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল
আরও পড়ুনঃ হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]
আরও পড়ুনঃ নারীর হজ ও উমরা
আরও পড়ুনঃ কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান
আরও পড়ুনঃ কোরবানি : তাৎপর্য ও আহকাম
আরও পড়ুনঃ কুরবানী: ফযিলত ও আমল
আরও পড়ুনঃ কুরবানীর মাসায়েল
আরও পড়ুনঃ কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান
আরও পড়ুনঃ ঈদের বিধিবিধান
আরও পড়ুনঃ নবীগৃহে ঈদ
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন