বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী 


প্রশ্নঃ (৮১) কবরের উপর নির্মাণ কাজ করা কি?
উত্তরঃ কবরের উপর নির্মাণ কাজ করা হারাম। যেমন কবর পাকা করা, কবরের চার পাশে প্রাচীর নির্মাণ করা, গম্বুজ ইত্যাদি তৈরী করা ইত্যাদি। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন। কারণ এতে কবরবাসীকে অতিরিক্ত সম্মান করার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কবরবাসীদেরকে উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করারও ভয় রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ কবরের অবস্থাই তাই। অধিকাংশ মানুষই কবরবাসীদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করে থাকে। আল্লাহর কাছে কিছু পাওয়ার আশায় কবরবাসীর উসীলায় দু’আ করে থাকে। কবরবাসীদের কাছে দু’আ করা এবং বিপদা-পদ দূর করার জন্য তাদের কাছে ফরিয়াদ করা বড় শির্কের অন্তর্ভুক্ত, যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৪

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)



ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী 



প্রশ্নঃ (১) তাওহীদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোন জিনিসকে একক হিসাবে নির্ধারণ করা। ‘না’ বাচক ও ‘হ্যাঁ’ বাচক উক্তি ব্যতীত এটির বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়। 

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর


ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী 


প্রশ্নঃ (১৮৪) ইসলামে ছালাতের বিধান কি? কার উপর ছালাত ফরয?
উত্তরঃ ছালাত ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রুকন; বরং এটা কালেমায়ে শাহাদাতের পর দ্বিতীয় রুকন। এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটা ইসলামের মূল খুঁটি। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, 
وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ 
“ইসলামের মূল খুঁটি হচ্ছে, ছালাত।” 

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৪

পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান

পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান



পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান

বোন! তুমি কি পুরুষের সঙ্গে কাজ করছ?
বোন! আমি মর্মাহত, আমি ব্যথিত এবং খুবই দুঃখিত আমি। না, আমার কোন কারণে নয়, শুধু তোমার জন্য এবং শুধু তোমার কল্যাণের কথা চিন্তা করেই। তুমি কাজ করছ! তাও আবার পুরুষের সঙ্গে এবং তাদের মাঝে থেকেই। কারণ, এটা তোমার দীনদারি খতম করে দিবে, তোমার চরিত্রের ওপর কলঙ্কের ছাপ এঁটে দিবে। এটা আমার মায়াকান্না নয়, আমার কথাগুলো তুমি নাক ছিট্কে ফেল দিও না এবং মনে কর না আমি খুব বাড়াবাড়ি করছি, বরং আমার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। আছে এর যুক্তি সংগত কারণ। মনে রেখো, ইসলামের সম্পর্ক ছাড়া তোমার সঙ্গে আমার আর কোন সম্পর্কই নেই। এবং এর সঙ্গে আমার কোন ইহজাগতিক স্বার্থও সংশ্লিষ্ট নয়। বরং এর দ্বারা আমার সময় ও শ্রম ব্যয় হচ্ছে, মেধার ক্ষয় হচ্ছে। আশা করছি আমার এ কথাগুলোর মূল্য তুমি দিবে। আমি যা বলছি তুমি তা বারবার চিন্তা করবে। তবে অবশ্যই তুমি আমাকে তোমার একান্ত হিতাকাঙ্ক্ষী জ্ঞান করবে।

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

জামাআতের গুরুত্ব, পরিপ্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ

জামাআতের গুরুত্ব, পরিপ্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ



জামাআতের গুরুত্ব, পরিপ্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ

আল্লাহ তাআলা সালাতের মর্যাদা সমুন্নত করেছেন। পবিত্র কুরআনের বহু জয়গায় সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন । সালাতের প্রতি যত্নবান ও জামাআতভুক্ত হয়ে সালাত আদায়ের আদেশ করেছেন। সালাতকে গুরুত্বপূর্ন ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ও আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:—
 وأقيموا الصلاة وآتوا الزكاة واركعوا مع الراكعين - سورة البقرة :43
আর সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং সালাতে রুকুকারীদের সাথে রুকু কর। (বাকারা-৪৩) 
আর এর প্রতি অবমাননা এবং তা আদায়ে অলসতা মুনাফিকের আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে :—
إن المنافقين يخادعون الله وهو خادعهم وإذا قاموا إلى الصلاة قاموا كسالى - سورة النساء :142
মুনাফিকরা অবশ্যই প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে অথচ তারা প্রকারান্তরে নিজেদেরই প্রতারিত করছে । বস্তুতঃ তারা যখন সালাতে দাড়ায় তারা দাড়ায় একান্ত শিথিলভাবে। (সূরা নিসা-১৪২)

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত



মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

ভূমিকা
حمدالله وصلاة وسلاماعلى سيدنا محمد بن عبد الله.................
হামদ ও সালাতের পর।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরই সালাতের স্থান। কালেমার পর এটি সর্বোত্তম আমল। ইসলামের স্তম্ভসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মজবুত স্তম্ভ এটি। সুতরাং সালাত ব্যতীত মুসলমানের ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না। কেননা সালাত স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন। এটি শারীরিক ইবাদাতের মূল। সালাতই সকল উম্মাতের দীন। আসমানী শরীয়াতের কোনটিই সালাতমুক্ত ছিল না। কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে এটি ফরজে আঈন। আল্লাহ তা'আলা মিরাজ রজনীতে আসমানে সালাত ফরজ করেছেন। অন্যান্য ইবাদাত এমনটি নয়। অতএব সালাতের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। এটি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ। কোন অবস্থায়ই এটি ছাড়া যাবে না। অন্যান্য রোকনগুলোর ব্যাপারে অবশ্য কিছুটা সহজ করা হয়েছে।[১]

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

আয়েশা রাদিআল্লাহু ‘আনহার ফজিলত

আয়েশা রাদিআল্লাহু ‘আনহার ফজিলত



আয়েশা রাদিআল্লাহু ‘আনহার ফজিলত

ভূমিকা :
উম্মুল মুমেনিন আয়েশা রাদিআল্লাহু ‘আনহার মর্যাদা বলার অপেক্ষা রাখে না, ইসলাম ধর্মে তিনি এক অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব, তার সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের বাণী উল্লেখ করাই যথেষ্ট। বিশেষ করে যার ব্যাপারে কুরআন নাযিল হয়েছে, যার বিষয়টি কিয়ামত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা হবে, তার বিষয়ে নতুন কিছু লেখার সাধ্য আমাদের লিখনির নেই। কারণ, আল্লাহর ফয়সালার পর কোন ফয়সালা নেই, আল্লাহর বাণীর পর কোন বাণী নেই। তবুও হতভাগা কিছু লোক তার ব্যাপারে অপবাদ আর কুৎসা রটনা করে নিজেদের আখেরাত বরবাদ করছে।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৪

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (১ম পর্ব)

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (১ম পর্ব)

(শরী‘আত ও বাস্তবতার নিরীখে একটি সুদৃঢ় পর্যালোচনা)


بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি; তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই; আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তাকে পথ প্রদর্শনকারীও কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢﴾ [ سورة آل عمران: 102 ]
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পনকারী না হয়ে কোন অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করো না।” - ( সূরা আলে ইমরান: ১০২ );

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (২য় পর্ব)

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (২য় পর্ব)

(শরী‘আত ও বাস্তবতার নিরীখে একটি সুদৃঢ় পর্যালোচনা)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

তৃতীয় ক্ষেত্র: সমাজ ও জাতি কেন্দ্রিক একজন নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্যের পরিধি সমাজ ও পুরো জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর সে কর্তব্য হচ্ছে, তাদের মাঝে আল্লাহর দিকে আহ্বান, সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজে নিষেধ, কল্যাণ কামনা ও সংস্কার করার মত কাজের আঞ্জাম দেয়া

আর এখানে আমি সাধারণভাবে এই দাওয়াতের গুরুত্ব, তার আবশ্যকতা ও ফলাফল, অতঃপর বিশেষকরে নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট শরীআতের কিছু দলীল-প্রমাণাদি উল্লেখ করছি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ وَمَنۡ أَحۡسَنُ قَوۡلٗا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٣ وَلَا تَسۡتَوِي ٱلۡحَسَنَةُ وَلَا ٱلسَّيِّئَةُۚ ٱدۡفَعۡ بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ فَإِذَا ٱلَّذِي بَيۡنَكَ وَبَيۡنَهُۥ عَدَٰوَةٞ كَأَنَّهُۥ وَلِيٌّ حَمِيمٞ ٣٤  [ سُورَةُ فُصِّلَتۡ: 33 - 34 ]
“কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা, যে আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, ‘আমি তো অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।’ ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত।” - ( সূরা ফুসসিলাত: ৩৩ - ৩৪ )

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৪

সালাত ত্যাগকারীর বিধান

সালাত ত্যাগকারীর বিধান



সালাত ত্যাগকারীর প্রতি শরীয়তের বিধান

প্রশ্ন ১: আমার বড় ভাই তিনি সালাত পড়েন না, এ কারণে আমি কি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখব, না সম্পর্ক ছিন্ন করবো? প্রকাশ থাকে যে, তিনি আমার সৎ ভাই (বিমাতার ছেলে)।

উত্তর ১:
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত পরিত্যাগ করে, যদি সে সালাত ওয়াজিব হওয়ার (অপরিহার্যতার) বিষয়টি স্বীকার করে, তবে ওলামাদের -দু'টি মতের সবচেয়ে সহীহ- মত অনুযায়ী সে বড় কুফরী করবে। আর যদি সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারকারী-অবিশ্বাসী হয়, তা হলে ওলামাদের সর্বসম্মত মতে সে কাফের হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে নাবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদ হলো :
رَأْسُ الْأَمْرِ الْإِسْلاَمُ؛ وَعَمُوْدُهُ الصَّلاَةُ؛ وَذُرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ ِفيْ سَبِيْلِ اللَّهِ
"কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে সালাত এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ বা সংগ্রাম করা।" [হাদীসটি ইমাম আহমাদ, তিরমিযী এবং ইবনে মাজাহ সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন]

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

মঙ্গলবারে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ক্ষতিকর, এ ধারণা অমূলক

মঙ্গলবারে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ক্ষতিকর, এ ধারণা অমূলক

      

মঙ্গলবারে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ক্ষতিকর, এ ধারণা অমূলক

প্রশ্নশুনেছি যে, মঙ্গলবারে সহবাস না করা আবশ্যক, কেননা সেদিন একটি জিনিস আগমন করে, যে প্রত্যেক সহবাসকারীকে অভিসম্পাত করে। মনে করা হয়, এর ফলে ভবিষ্যতে তারা ক্ষতির সম্মুখিন হবে।

উত্তর -
আল-হামদুলিল্লাহ

আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে সত্য বুঝার তাওফিক দান করুন। যা বললেন তা একান্তই কুসংস্কার এবং নব আবিষ্কৃত বিষয়। কুরআন ও হাদিসে এর কোন দলিল নেই, বরং এসব হল পথভ্রষ্ট ও বিপথগামীদের প্রচারণা। যেমন তারা বলেছে : চাদ যখন বৃশ্চিকরাশি, অথবা রশ্মির নিচে, অথবা চাদ যখন পুরোপুরি আলোকরহিত পর্যায়ে পৌঁছে, চাদের এজাতীয় ক্ষণে সহবাস করা তারা মাকরুহ বলেছে। দেখুন : রায়েদ সাবরি, মুজামুল বিদায়ি: ৬৫৬  

জানাযার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৭০টি প্রশ্ন (১ম পর্ব)


মূল: আল্লামা শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ.

অনুবাদকের কথা
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর। জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একজন মুসলিমকে পবিত্র ক্বুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথনির্দেশ মেনে চলতে হবে। মানুষের এই নশ্বর পৃথিবীতে আগমন করার সময় যেমন তার অভিভাবকের কতিপয় দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে, তেমনি তার মৃত্যুর সময়ও জীবিতদের কিছু করণীয় রয়েছে। আর এ সবকিছুই আমাদের পবিত্র দ্বীনে ইসলামে সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে। কল্যাণের এমন কোন দিক নেই, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বাৎলে দিয়ে যান নি। অনুরূপভাবে এমন কোন অকল্যাণ নেই, যা থেকে তিনি আমাদেরকে সতর্ক করে যাননি। অতএব, কোন মুসলিম মৃত্যুমুখে পতিত হলে তাকে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ স্মরণ করাতে হবে। অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করলে সুন্নাতী তরীক্বায় তার কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একজন মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যুর পরে তাকে দাফনের পর পর্যন্ত অসংখ্য কুসংস্কার এবং অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। এমন সময় মানুষের কি কি করণীয় এবং কি কি বর্জনীয়, সে সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা এই ছোট্ট পুস্তিকায় প্রশ্নোত্তর আকারে দেওয়া হয়েছে।

জানাযার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৭০টি প্রশ্ন (২য় পর্ব)

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

     প্রশ্ন ৩৬: মৃতের ক্ববরে মাটি দেওয়ার সময় শরীআতসম্মত কোন দোআটি পড়তে হয়? ﴿مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ﴾ [سورة طه: 55] পড়ার কোন হাদীছ আছে কি?
উত্তরঃ কতিপয় বিদ্বান বলেন, ক্ববরে তিন মুঠো মাটি দেওয়া সুন্নাত তবে
﴿مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَىٰ [سورة طه: 55]
পড়ার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন হাদীছ বর্ণিত হয় নি

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৪

সহবাসের দোয়া ভুলে গেলে কি হয় ?

সহবাসের দোয়া ভুলে গেলে কি হয় ?



সহবাসের দোয়া ভুলে গেলে কি হয় ?

প্রশ্ন: সহবাসের পূর্বে যদি দোয়া ভুলে যাই, তাহলে শয়তান আমাদের সতর দেখে ফেলে, অথবা এ ধরণের কিছু ঘটে। এ শ্রুতি কী সঠিক ? আর আমি যদি স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করি এবং তার সতর দেখি, এ জন্য কী সহবাসের দোয়া বলা ওয়াযিব ?

উত্তর:
আল-হামদুলিল্লাহ

প্রথমত:
যে তার স্ত্রীর সাথে সহবাসের করার ইচ্ছা পোষণ করে, তার জন্য বলা সুন্নত :
" بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا"
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা।
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান হতে বাঁচান এবং আমাদেরকে যদি কোন সন্তান দেন তাকেও শয়তান হতে বাঁচান। [বুখারি : (৬৩৮৮) ও মুসলিম : (১৪৩৪)]

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪

খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান

খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান



খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান

পানাহারের বিধান 

যেসব খাদ্য ও পানীয় পবিত্র-উপকারী তা হালাল আর যা নাপাক ও ক্ষতিকর তা হারাম। মূলত উপকারী খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়ের ব্যাপারে বিধান হচ্ছে তা হালাল ও বৈধ। হ্যাঁ, যে সব খাদ্য ও পানীয়ের ব্যাপারে আল্লাহ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, অথবা যার মধ্যে নিশ্চিত ও স্পষ্ট ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে, তা হারাম ও নিষিদ্ধ। যেমন : 
 যেসব খাদ্য, পানীয় বা পোশাক-আশাকের মধ্যে আত্মা বা শরীরের উপকারীতা রয়েছে, আল্লাহ তা হালাল করে দিয়েছেন। যাতে বান্দা এর দ্বারা শক্তি সঞ্চয় করে তার এবাদতে ব্রতী হতে সক্ষম হয়। 
আল্লাহ তাআলা বলেন, 
'হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।' (সূরা বাকারা : ১৬৮)

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফতোয়া (১ম পর্ব)

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফতোয়া (১ম পর্ব)



আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ إِلَّا رِجَالٗا نُّوحِيٓ إِلَيۡهِمۡۖ فَسۡ‍َٔلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلذِّكۡرِ إِن كُنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ٤٣ ﴾ [النحل: ٤٣]
“তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষই প্রেরণ করেছিলাম; তোমরা যদি না জান, তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর।”  (সূরা আন-নাহল: ৪৩)।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফতোয়া (২য় পর্ব)

গাড়ীর চালকের সাথে ছাত্রীদের ভ্রমণ

প্রশ্ন: প্রশ্নকারী বলেন: কিছু সংখ্যক মানুষ (আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত দান করুক) তাদের মেয়েদেরকে মাদরাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে অপরিচিত ড্রাইভারদের সাথে প্রেরণ করেন এবং তারা এই কাজের ফলাফলের দিকে লক্ষ্য করেন না। সুতরাং আমি (আপনাদের নিকট) তাদের উদ্দেশ্যে নসিহত বা উপদেশ কামনা করছি, বিশেষ করে মাদরাসাসমূহ খোলার সময়ের ব্যাপারে?
উত্তর: এই কাজটি দু’ভাবে হতে পারে:
প্রথমত: চালকের সাথে যাত্রী হিসেবে কয়েকজন নারী হওয়া, যেখানে তাদের কেউ একাকী নয়; সুতরাং এমতাবস্থায় তাতে কোনো সমস্যা নেই, যখন তা শহরের অভ্যন্তরে হবে; কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: « لا يخلون رجل بامرأة » “অবশ্যই কোনো একজন পুরুষ একজন নারীকে নিয়ে নির্জনে অবস্থান করবে না”; আর এটা নির্জনতা নয়; তবে শর্ত হল চালকের মধ্যে আমানতদারিতা থাকতে হবে; সুতরাং চালক যদি বিশ্বস্ত না হয়, তবে মহিলাদের সাথে প্রাপ্তবয়স্ক বুদ্ধিমান মাহরাম পুরুষ না থাকলে তার সাথে ভ্রমণ করা বৈধ হবে না।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস গোসল না করা

অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস গোসল না করা

অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস গোসল না করা

প্রশ্ন: আমি অসুস্থ, হাসপাতালে আমার অপারেশন হয়েছে। হাসপাতাল থেকে চলে আসার সময় ডাক্তার আমাকে বলেছেন, পাঁচ মাসের মধ্যে পানি দ্বারা গোসল করা যাবে না। অথচ এ পাঁচ মাসের মধ্যে রমযানুল মোবারক রয়েছে। আমি এখন কি করব, ডাক্তারের কথা মত গোসল ত্যাগ করব?, না গোসল করব, সালাত আদায় করব ও রমযানের সিয়াম পালন করব?

উত্তর :

আল-হামদুলিল্লাহ

স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, গোসল না করার ব্যাপারে আপনি অপারগ। তাই গোসল ফরয হলে তায়াম্মুম করাই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। 

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

সহবাসের সময় মনি (বীর্য) নির্গত না হলেও গোসল ওয়াজিব

সহবাসের সময় মনি (বীর্য) নির্গত না হলেও গোসল ওয়াজিব


সহবাসের সময় মনি (বীর্য) নির্গত না হলেও গোসল ওয়াজিব

প্রশ্ন: সহবাসের পর যদি মনি নির্গত না হয়, তবে কি গোসল করা ওয়াযিব? না-কি মনি নির্গত ব্যতীত গোসল ওয়াযিব হয় না ?

উত্তর:
আল-হামদুলিল্লাহ
এ ব্যাপারে সকল আলেম একমত যে, সহবাসের ফলে গোসল ওয়াযিব হয়।
আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়াহ : (৩১/১৯৮)
স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে, মনি নির্গত না হলেও গোসল ওয়াযিব হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ সিদ্ধান্ত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহুর হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন :
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ).
“যদি পুরুষ তার চার শাখার (হাত-পার) উপর বসে যায়, অতঃপর তাতে সে মিহনত করে, তবেই তার উপর গোসল ওয়াযিব হল।” বুখারি : (২৯১), 

স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনও সমস্যা আছে কি না?

স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনও সমস্যা আছে কি না?


   
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনও সমস্যা আছে কি না?

প্রশ্নস্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনো সমস্যা আছে কি না?

উত্তর -
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার।

প্রথমত: স্বামী স্ত্রী কর্তৃক পরস্পরকে উপভোগ করা আল্লাহ বৈধ করেছেন। উপভোগের কোন পদ্ধতি অবৈধ করা হয়নি। তবে পায়ু পথে সঙ্গম করাকে অবৈধ করা হয়েছে। এমনিভাবে মাসিক ও প্রসুতিবস্থায় সঙ্গম করাও না জায়েজ। তবে সর্বাবস্থায় স্পর্শ, চুম্বন, দর্শন, মৈথুন জায়েজ।

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে টেলিফোনে যৌনালাপ

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে টেলিফোনে যৌনালাপ



স্বামী-স্ত্রীর মাঝে টেলিফোনে যৌনালাপ

প্রশ্ন - টেলিফোনে স্বামী-স্ত্রীর যৌনালাপে লিপ্ত হওয়া এবং একে অন্যকে উত্তেজিত করা, যাতে তাদের একজনের অথবা উভয়ের বীর্যপাত ঘটে ( হাত ব্যবহার না করেই; কেননা হাত ব্যবহার করা হারাম) - এরূপ করা কি বৈধ হবে? বিশেষ করে আমার স্বামী প্রায়শঃ সফরে থাকেন, ফলে প্রতি চার মাস পর-পর আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হয়।

উত্তর -
আলহামদুলিল্লাহ

এ-ধরনের প্রশ্ন শায়খ সালেহ আল উসাইমীন রা. কে করা হয়েছিল। তিনি উত্তরে বলেছিলেন:
এতে কোনো ক্ষতি নেই, বরং এরূপ করা জায়েয।
প্রশ্ন: যদি হাত ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : হাত ব্যবহারের বিষয়টি প্রশ্নাতীত নয়। হাত ব্যবহার শুধু তখন জায়েয যখন ব্যক্তি যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করবে।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

সমকামী এবং সে এর এলাজ প্রার্থী

সমকামী এবং সে এর এলাজ প্রার্থী

       

সমকামী এবং সে এর এলাজ প্রার্থী

প্রশ্ন- আমি মুসলমান। আমার বয়স ষোল। আমি সবসময় নামাজ পড়ি ও রোজা রাখি। আমি আমার জীবনে সৎ ও ভদ্র। তবে সমস্যা হল আমি সমকামী। শুরুতে আমি আমার পিতাকে নিয়ে ভাবতাম। আমার মনে হয় জেনিটিক কারণে আমি সমকামী হয়েছি। আমি খারাপ চিত্র দেখি। তবে আমি এ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাই। আমি জীবনে কখনো যৌনকর্মে লিপ্ত হই নি। আমি সত্যি সত্যিই আল্লাহকে ভয় করি। আমি তাঁকে সবসময়ই ডাকি যাতে তিনি আমাকে সাহায্য করেন। 
আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন আপনি আমাকে বাস্তব কিছু পরামর্শ দেবেন যাতে আমি এই দুর্যোগ থেকে রেহাই পেতে পারি।

উত্তর- 
আলহামদুলিল্লাহ
দুয়া করি আল্লাহ তোমাকে এই মারাত্মক ব্যাধি থেকে অতি দ্রুত আরোগ্য দান করুন। তোমার হৃদয়কে সকল পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করুন। নিশ্চয় আল্লাহ এ-বিষয়ে ক্ষমতাবান। 
এধরনের বিশাল পাপে জড়িত হওয়ার শাস্তি যে শুধু পরকালেই হবে তা নয়, বরং দুনিয়ার জীবনেও এ শাস্তির অংশবিশেষ ভোগ করতে হয়। যদি সার্বক্ষণিক আফসোস ও যন্ত্রণা হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে রাখে তাহলে এটাই তো শাস্তি হিসেবে যথেষ্ট। এর সাথে যদি মারাত্মক রোগ-ব্যাধি সংযোগ হয়, যেগুলোর ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা একমত যে তা সমকামীদের হয়ে থাকে, তাহলে তো আর কথাই নেই। প্রশ্ন নং ১০০৫০ থেকে এব্যাপারে আরো দিকনির্দেশনা নেবে বলে আশা রাখি। 

স্ত্রীর সাথে ইন্টারনেটে চ্যাট করে পুলকিত হওয়া প্রসঙ্গে

স্ত্রীর সাথে ইন্টারনেটে চ্যাট করে পুলকিত হওয়া প্রসঙ্গে 

প্রশ্ন: আমি সৌদি আরবে কাজ করি। আলহামদু লিল্লাহ, আমি যথাসাধ্য সুন্নতের পাবন্দ থাকার চেষ্টা করি। আমি রীতিমত মসজিদে নামাজ আদায় করি। এই প্রথমবার আমি আমার ফ্যামিলিকে দেশে রেখে আসি বাচ্ছাদের পড়াশোনার প্রয়োজনে। আমি যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলি, অডিও এবং ভিজুয়াল উভয় পদ্ধতিতে, আমি তখন মাঝে-মধ্যে স্ত্রীকে তার দেহের বিশেষ অংশ দেখাতে বলি। এর দ্বারা আমি যৌন উত্তেজনা অনুভব করি, যা ঠেকিয়ে রাখা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। অতঃপর আমি হস্তমৈথুন করে নিজেকে শান্ত করি। স্ত্রীর আশ্রয় ব্যতীত অন্য কোনোভাবে যৌনক্ষুধা মেটানো যাবে না বলে সূরা মুমিনুনে (আয়াত:২৩:৬)  যে বাণী রয়েছে আমার এ কর্ম কি তার আওতায় পড়বে? আমি জানি হস্তমৈথুন হারাম। তবে সে তো আমার স্ত্রী যার প্রতি আমি তাকাচ্ছি। আমার কি করণীয় আসা করি জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযা দান করুন। 

উত্তর: 
আল হামদুলিল্লাহ।

চ্যাট প্রোগ্রামে স্ত্রীর সাথে কথা বলে অথবা তাকে দেখে তৃপ্তি আস্বাদন বৈধ রয়েছে। তবে শর্ত হল অন্য কেউ যেন স্বামী-স্ত্রীর আলাপচারিতা শুনতে না পায় অথবা স্ত্রীর শরীরের কোনো অংশ দেখতে না পায় সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন। 
হস্তমৈথুনের ব্যাপারে সাধারণ ব্যাকরণ হল যে, তা হারাম। তবে যদি কেউ যিনায় লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বোধ করে তবে তার কথা ভিন্ন। 

যিনা-ব্যভিচারকারী পুরুষ অথবা নারী কি তাওবার পর বিবাহ করতে পারে?

যিনা-ব্যভিচারকারী পুরুষ অথবা নারী কি তাওবার পর বিবাহ করতে পারে?

       

যিনা-ব্যভিচারকারী পুরুষ অথবা নারী কি তাওবার পর বিবাহ করতে পারে?

প্রশ্ন- আমি একজন মুসলিম নারী। আমি তিন বছর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করি। আমি এখনো শিখছি। আমার একটি প্রশ্ন আছে: আমি জেনেছি যে মুসলমান হওয়ার পর যদি অবৈধভাবে যৌনগমন করা হয় তাহলে ইসলামি পদ্ধতিতে বিবাহ করা যাবে না। কথাটা সঠিক কিনা জানতে চাই। যদি সঠিক হয় তাহলে যা অতীতে করেছি- এবং যার উপর আমি লজ্জিত- তা শুদ্ধ করার উপায় কী?

উত্তর- 
আলহামদুলিল্লাহ 
যিনা-ব্যভিচারকারীর জন্য তাওবা করা অত্যাবশ্যক। কেননা ব্যভিচার মহাপাপসমূহের একটি। ইসলামি শরিয়ত এসব বিষয় হারাম করেছে। আর যে এসব করবে তার জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তির ওয়াদা। ইরশাদ হয়েছে: 
{আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে না এবং যারা আল্লাহ যে নাফসকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না। আর যারা ব্যভিচার করে না। আর যে তা করবে সে আযাবপ্রাপ্ত হবে। কিয়ামতের দিন তার আযাব বর্ধিত করা হবে এবং সেখানে সে অপমানিত অবস্থায় স্থায়ী হবে। { সূরা আল ফুরকান: ৬৮-৬৯} 

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪

আমরা কি উদযাপন করব?

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

নিশ্চয় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তার প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি আর আমাদের অন্তরের যাবতীয় কদর্যতা ও মন্দ কাজ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন তাকে পথভ্রষ্ট করবে এমন কেউ নেই আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোনো পথপ্রদর্শনকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই আর মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল; আল্লাহ তার উপর এবং তার পরিবার-পরিজন ও সঙ্গী-সাথী সকলের উপর সালাত ও অগণিত সালাম পেশ করুন।
অতঃপর...
একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে জরুরি যে বিশ্বাস রয়েছে তন্মধ্যে হলো, আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের মাধ্যমে আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন, তাকে পাঠানোর মাধ্যমেই তার নিয়ামতকে সম্পূর্ণ করেছেন আর মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দ্বীনে বাড়ানো বা কমানোর কোনো সুযোগ দেন নি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ ﴾ [المائ‍دة: ٣]
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” [মায়েদা: ৩]
রাসূলুল্লাহ আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম বলেন,
«قَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا كَنَهَارِهَا، لَا يَزِيغُ عَنْهَا بَعْدِي إِلَّا هَالِكٌ»
“আমি তোমাদেরকে এমন একটি সুস্পষ্ট পথের উপর রেখে গেলাম যার রাত্রি দিনের মত; এর থেকে ধ্বংসে পতিত ব্যক্তি বাদে কেউ বিচ্যুত হবে না।” [ইবনে মাজাহ] (হাদীসটি সহীহ)