শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

কুরআনুল কারিমের ছেঁড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

কুরআনুল কারিম আল্লাহ তা‘আলার কালাম, যা তিনি জিবরিল ‘আলাইহিস সালামের মাধ্যমে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। অতএব যে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর ইমান রাখে, তার উপর কুরআনুল কারিমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও অপমানের স্থান থেকে তা রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্যকোনো মুসহাফ/ কুরআন যদি পুরনো হয়, ছিড়ে যায় ও তার পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তাহলে এমন জায়গায় রাখা যাবে না, যেখানে অপমানের সম্মুখীন হয়, ময়লা-আবর্জনায় পতিত হয়, মানুষ বা জীব-জন্তু দ্বারা পিষ্ট হয়।
পুরনো কুরআন যদি বাঁধাই করে পাঠ উপযোগী করা সম্ভব হয়, তাহলে পরিত্যক্ত না রেখে ব্যবহার করাই শ্রেয়। অনুরূপ প্রকাশক বা কারো অবহেলা ও ভুলের কারণে কুরআনুল কারিম যদি ভুল ছাপা হয়, আর সংশোধন করা সম্ভব হয়, তাহলে সংশোধন করে পাঠ উপযোগী করা জরুরি।
পুরনো বা ভুলছাপার কুরআন যদি পাঠ উপযোগী করা সম্ভব না হয়, তাহলে অসম্মান ও বিকৃতি থেকে সুরক্ষার জন্য মুসহাফগুলো পোড়ানো কিংবা নিরাপদ স্থানে দাফন করা জরুরি। 
শায়খ সালেহ আল-ফাওযান বলেন: “পোড়ানো ও দাফন করা উভয় পদ্ধতি সাহাবিদের থেকে প্রমাণিত”[1]

নবীর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা ও তার প্রভাব

সুন্নতে নববীকে আঁকড়ে ধরা ও জীবনে এর প্রভাব

উপস্থাপকের কথা,
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার, দরূদ ও সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর হে আল্লাহ আপনি তাঁর উপর রহমত ও শান্তি নাযিল করুন।
আজকের এ মহিমান্বিত রাতে আমরা সবাই সৌভাগ্যবান – আশা করি আপনারা সকলেও- যে, আমরা এক মহান আলেমের সাথে মিলিত হয়েছি। তিনি তার মূল্যবান সময় ও ত্যাগ ইলম এবং তালিবে ইলমের খেদমতে দিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছে এর বিনিময়ে সাওয়াব ও প্রতিদান ছাড়া তিনি পার্থিব কোনো কিছু আশা করেন না। তিনি হলেন মহামান্য শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালিহ আল-উসাইমীন, সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য, মসজিদে ‘উনাইযার ইমাম ও খতীব, প্রফেসর, ইমাম মুহাম্মদ ইবন স‘উদ আল-ইসলামিয়া, আল-কাসিম শাখা।  
“সুন্নতে নববীকে আঁকড়ে ধরা ও জীবনে এর প্রভাব” সম্পর্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা প্রাঙ্গণে মদিনা উৎসব কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ১ম আলোচনা সভায় আমাদের ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও দো‘আ কামনা করছি।
সম্মানিত পিতা শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালিহ আল-‘উসাইমীনকে তার আলোচনা পেশ করার অনুরোধ করছি - আল্লাহ তার ও তার ইলমের দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমকে উপকৃত করুন- । আলোচনা শেষে শাইখ মহোদয় লিখিত প্রশ্নের উত্তর দিবেন। ধন্যবাদ।

উপার্জন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ

উপার্জন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد :
অর্থ-সম্পদ আল্লাহ তাআলার অন্যতম নিয়ামাত। এ নিয়ামাত অর্জন করার জন্য রয়েছে নানাবিধ ব্যবস্থা। বেঁচে থাকার জন্য কোনো না কোনো পর্যায়ে অর্থসম্পদের প্রয়োজন পড়ে। মানবজীবনে এটি শরীরের রক্তের সাথে তুলনাযোগ্য। জীবনকে স্বার্থক করার ক্ষেত্রে উপার্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষ অনেক কিছু করতে চায়, কিন্তু উপার্জন তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। উপার্জনের উপর নির্ভর করে ব্যক্তির অর্থ-সম্পদ অর্জিত হয়। এটি বাস্তব এবং খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। উপার্জন করার ক্ষেত্রে কী করণীয় রয়েছে এবং কী বর্জন করতে হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।   

পর্দাহীনতার পরিণতি

ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাপ পরিণতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ারও কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।

সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান

ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান



ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান

আমাদের দেশে ইনস্যুরেন্স বা বীমা কোম্পানিগুলো অধিকাংশই বাণিজ্যিক, যা সবই প্রতারণা ও সুদ নির্ভর। তাই এ সকল কোম্পানিতে চাকুরী করা বা তাতে অর্থ লগ্নি করা হারাম।
আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি (ওআইসির একটি শাখা সংস্থা) এবং সউদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, সব ধরণের বাণিজ্যিক বীমা হারাম। চাই তা জীবন বীমা হোক বা সম্পদের বীমা হোক।

তার কারণ সমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হল:

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

মা দিবস!

মা দিবস!

মা দিবস!

আল হামদুলিল্লাহ্ ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ আম্মা বাদ

‘মা দিবস’ অর্থ: সারা দিন, দিনমান, অহোরাত্র। তাই মা দিবস অর্থ দাঁড়ায়, মার জন্য একটি পুরো দিন। অর্থাৎ বছরের এক দিন মায়ের জন্য নিবেদন করবেন। তাঁর সেবায় কাটাবেন। তাঁকে খুশী রাখবেন। সেই দিনটিতে তাঁর পাশে থাকবেন। বিভিন্ন কার্য-কলাপের মধ্য দিয়ে সেই দিনটি পালন করবেন। কিছু লোকের পরিভাষায় একেই বলা হচ্ছে মা দিবস।
মায়ের জন্য এমন একটি দিন আবিষ্কারের পিছনে কারণ কি? তা খোঁজ করলে, জানা যায়, পৃথিবীতে মায়ের সন্তানাদি নাকি এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তাদের হাতে মায়ের সেবা করার মত ও  মায়ের পাশে থাকার মত কোন সময় নেই। অবশ্য অন্য কিছুর জন্য তাদের যথেষ্ট সময় থাকে! তাই প্রয়োজন হয়েছে একটি দিবসের। কারণ বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে একটি দিনও যদি মায়ের জন্য নির্দিষ্ট না করা যায় তো, লোকেরা কী বলবে?! জগত কী ভাববে?! মায়ের সম্মানের কী হবে?! জননীর ঋণ শোধ হবে কী ভাবে?!

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরূদ) পড়ার অর্থ, ফযিলত, পদ্ধতি ও স্থানসমূহ

ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের মন্দ পরিণতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেওয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।

শুক্রবার, ২ মে, ২০১৪

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা (১ম পর্ব)

ভূমিকা
সব প্রশংসা আল্লাহর, আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, তাঁর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি, তাঁর কাছে আমাদের অন্তরের সব কলুষ ও আমাদের কৃত সব পাপ থেকে পানাহ চাই। তিনি যাকে হিদায়াত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না, আর তিনি যাকে পথ-ভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, আমি আরো  সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহর অসংখ্য সালাত ও সালাম তাঁর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন, সাহাবীগণ ও কিয়ামত পর্যন্ত একনিষ্ঠতার সাথে তাঁর অনুসারী সকলের উপর বর্ষিত হোক।  
অতঃপর, এটি একটি সংক্ষিপ্ত গবেষণা যাতে “মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা” বর্ণনা করেছি। আর তা হলো জান্নাত ও জাহান্নামের তুলনামূলক আলোচনা। এমন জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামত যা কেউ লাভ করলে সে মহা সফল্য অর্জন করল, আর জাহান্নামের আযাব যেখানে কাউকে শাস্তি দেয়া হলে সে স্পষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে আমি সংক্ষেপে পঁচিশটি পরিচ্ছেদে দারুস সালাম তথা শান্তির নিকেতনে যাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছি এবং এর নিয়ামতরাজি ও সেখানে পৌঁছার পথ সম্পর্কে আলোচনা করেছি আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাতের অধিবাসী করু! আর দারুল বাওয়ার তথা ধ্বংস ও আযাবের স্থান জাহান্নাসম্পর্কে সতর্ক করেছি এবং কি কারণে মানুষ জাহান্নামে যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। আল্লাহর কাছে আমরা জাহান্নাম থেকে পানাহ চাচ্ছি।

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা (২য় পর্ব)

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
জান্নাত ও জাহান্নামের স্তরসমূহ
প্রথমত: জান্নাতের স্তরসমূহ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ لَّا يَسۡتَوِي ٱلۡقَٰعِدُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ غَيۡرُ أُوْلِي ٱلضَّرَرِ وَٱلۡمُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ دَرَجَةٗۚ وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٩٥ دَرَجَٰتٖ مِّنۡهُ وَمَغۡفِرَةٗ وَرَحۡمَةٗۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمًا ٩٦ ﴾ [النساء: ٩٥،  ٩٦] 
“বসে থাকা মুমিনগণযারা ওযরগ্রস্ত নয় এবং নিজদের জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীগণ এক সমান নয়। নিজদের জান ও মাল দ্বারা জিহাদকারীদের মর্যাদা আল্লাহ বসে থাকাদের উপর অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ প্রত্যেককেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আল্লাহ জিহাদকারীদেরকে বসে থাকা মুমিনদের উপর মহা পুরস্কার দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তাঁর পক্ষ থেকে অনেক মর্যাদাক্ষমা ও রহমত। আর আল্লাহ ক্ষমাশীলপরম দয়ালু [সূরা আন-নিসা: ৯৫-৯৬]

বৈধ ও অবৈধ অসীলা

অনুবাদকের কথা

সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, দুরুদ এবং সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন এবং সকল সাহাবীর  উপর।
অতঃপর আল সুলাইল ইসলামিক সেন্টার (অসীলা) নামক পুস্তিকাটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার কর্মসূচী গ্রহণ করলে, বাংলায় অনুবাদের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়, বইটি আদ্দোপান্ত পড়ে এর যথাযথ গুরুত্ব অনুভব করি, কেননা ভারত উপমহাদেশে এরকম একটি বই অত্যন্ত প্রয়োজন, কারণ সেখানে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে বহু জায়গায় শির্ক এবং বিদআতের মত গুরুতর অপরাধমূলক কাজ-কর্ম ব্যাপক হারে চলছে। বহু লোক অন্ধ অনুকরণ এবং কুপ্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে এ ধরনের মারাত্মক অপরাধে লিপ্ত অথচ তাদের অনেকেই জানে না যে, তা কুরআন হাদীস সম্মত নয় বরং কুরআন এবং হাদীস এর কঠোর নিন্দা করে তা বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০১৪

শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত

শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত



শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত 

সীমাহীন প্রজ্ঞার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তা আলা কিছু মাস ও দিবসকে অন্যান্য মাস ও দিবসের উপর মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। উদ্দেশ্য সৎ কর্ম সম্পাদনে মানুষের প্রেরণা উৎসাহে নতুন মাত্রা সংযোগ করা। অধিক মাত্রায় আমলে সালেহ করে উৎকর্ষ সাধনের পথ সুগম করা। তবে মানব ও জিন জাতির দুষ্টচক্র আল্লাহর বান্দাদেরকে সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে সদা সক্রিয়। তাইতো অবস্থান নিয়েছে সম্ভাব্য সকল পথে যা কিছু উত্তম তা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে। আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির মৌসুম অসার কর্ম, আয়েশ আস্বাদন, প্রবৃত্তিচর্চা ও অযাচিত সুখ উপভোগের উপযুক্ত সময় হিসেবে উপস্থাপন করে। 
পরিচ্ছন্ন হৃদয় তবে ধর্ম বিষয়ে জাহিল, অথবা স্বার্থলুব্ধ ব্যক্তি , ধর্মীয় বা সামাজিক নেতৃত্ব ধরে রাখার লিপ্সা যাকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত এরূপ ব্যক্তিদের শয়তান উৎসাহ প্রদানের পাত্র বানায়। সৎকর্ম চর্চা ও সুন্নত অনুসরণে অধিক মাত্রায় সচেতন হতে হবে এমন মূহুর্তগুলো বিদআতপূর্ণ কর্মকাণ্ডে ভরে দিতে এদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুমাত্রায়।