শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

কুরবানী: ফযিলত ও আমল

কুরবানী: ফযিলত ও আমল

إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد
কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক  বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা বান্দাহ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কুরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাধ্যম হল কুরবানী তাই এর নাম কুরবানীর ঈদ। এই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে এজন্য একে কুরবানীর ঈদ বলে। এ ঈদের অপর নাম ঈদুল আদ্বহা। আরবি শব্দ আদ্বহা অর্থ কুরবানীর পশু, যেহেতু এই দিনে কুরবানীর পশু যবেহ করা হয়, তাই একে ঈদুল আদ্বহা বলা হয়।

আল-কোরআন ও সুন্নাহ হতে সংকলিত শরীয়তসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক

শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী

১- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আল্লাহর কোরআন অথবা, তাঁর নামসমূহ  অথবা তাঁর গুনাবলীসমূহ দ্বারা
২- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আরবী বা অন্য যে কোনো ভাষায়, যার অর্থ জানা যায়
৩- এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (রোগ চিকিৎসায়) ঝাড়-ফুঁকের কোনোই ক্ষমতা নাই, বরং রোগ শিফা’র সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই
৪- ঝাড়-ফুঁক যেন হারাম অবস্থায় না হয় অর্থাৎ নাপাক অবস্থায় অথবা, কবর বা পায়খানায় বসে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

 স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইআর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

অতঃপর
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের জন্য লেনদেনের ব্যাপারে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সুস্পষ্ট পরিপূর্ণ নিয়ম-পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন, অন্য কোন ব্যবস্থা বা পদ্ধতিই তার সমকক্ষ হবে না; আর লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি তা সুদের সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তা হবে যুলুম এবং ন্যায় ও সঠিক পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার অন্তর্ভুক্ত; যে সুদ থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবের মধ্যে এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছেন; আর সকল মুসলিম তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪

কুর‘আন-সুন্নাহ্‌ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ

কুর‘আন-সুন্নাহ্‌ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ



কুর‘আন-সুন্নাহ্‌ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ

• কুরআনের নির্বাচিত দোআ:

- ﴿ رَبَّنَا ظَلَمۡنَآ أَنفُسَنَا وَإِن لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٢٣ ﴾ [الاعراف: ٢٣] 
(১) হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুল্ম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে রহম না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।[1]

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে



গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

الحمد لله رب العالمين، وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، أما بعد:
আল্লাহ তাআলা মানব জাতীকে অতীব সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। চোখ, কান ও অন্তর দ্বারা মানবজাতীকে সৌন্দর্য মন্ডিত করেছেন। আর ক্বিয়ামতের দিন মানব জাতির প্রত্যেককে আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজির হতে হবে এবং জিজ্ঞাসার সম্মূখীন হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে স্বীয় মাখলুকের মধ্যে চিন্তা-ফিকির করার যে নির্দেশ মানুষকে দিয়েছেন সে অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর মাখলুক সম্পর্কে চিন্তা- ফিকির করে, তবে সে অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টির মহত্ব, তার সৌন্দর্য মন্ডিত কারীগরি ও নিঁখুত আবিস্কারের পরিপূর্ণতা প্রত্যক্ষ করবে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,
((وَفِي أَنفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ)) (الذاريات:২১).
তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না? (জারিয়াত: ২১)

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) এর বিধান

ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) এর বিধান

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা বহুজাত বিশিষ্ট পণ্য বাজারজাত পদ্ধতি বাংলাদেশে নতুন হলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অর্ধ শতকের বেশি সময় আগে এটি চালু হয়েছিল। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং, ডিরেক্ট সেলিং ও রেফারেন্স মার্কেটিং হিসাবেও এটি পরিচিত। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং মূলত ডিস্ট্রিবিউটরদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রি করার একটি প্রক্রিয়া। আধুনিক অভিধানে এর সংজ্ঞা এভাবে দেয়া হয় : 
(Multi-level marketing, also known as MLM or network marketing, is a business
structure where products are sold through a networking process as opposed to a
storefront. ... is a way of selling goods and services through distributors)
 

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত



তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ (الاسراء: ٧٩) 
অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,
﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ (السجدة: ١٦) 
অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সেজদা ১৬ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,   
﴿ كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧ ﴾ (الذاريات: ١٧) 
অর্থাৎ তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। (সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত)

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব

ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব



ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব

الحمد لله رب العالمين، وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمدٍ وعلى آله وصحبه أجمعين. وبعد:
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে খাবার গ্রহণের আদব বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। কেননা খাওয়া-দাওয়া আমাদের প্রাত্যহিক বিষয়। তাই এ বিষয়ের আদব ভাল করে রপ্ত করাও জরুরি। উলামগণ এ বিষয়টিকে বিশ্লিষ্ট আকারে বর্ণনা করেছেন। ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। কেননা এ বিষয়ে বহু হাদীস, ও শরয়ী টেক্সট রয়েছে। শরীয়ত মানবজীবনের সকল দিককেই যথার্থরূপে গুরুত্ব দিয়েছে। উপরন্তু যে দিকটি মুসলমানের জীবনে বেশি উপস্থিত সে দিকটির উপর শরীয়তের গুরুত্ব প্রদানের মাত্রাও সমানুপাতিক হারে অধিক।

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন

এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন



এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন

প্রশ্ন: আমরা অফিসে বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগী ও নেককাজের তেমন কোন সময় পাই না। অফিসের পর বাকী যে সামান্য সময় পাই এর মধ্যে আমরা কি কি আমল করতে পারি এবং এ সময়কে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি?

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়ার আদব

ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়ার আদব



ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়ার আদব

ঘুম আল্লাহ তাআলার একটি বিশাল নেয়ামত , এর মাধ্যমে তিনি নিজ বান্দাদের উপর বিরাট অনুগ্রহ করেছেন। এবং তাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। আর নেয়ামতের দাবি হল শুকরিয়া আদায় করা তথা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَمِنْ رَحْمَتِهِ جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ﴿73﴾ (القصص 73)
তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা রাত্রে বিশ্রাম গ্রহণ কর ও তার অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। [1]

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

নামায শিক্ষা

নামায শিক্ষা



بسم الله الرحمن الرحيم

অনুবাদকের ভূমিকা
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দরুদ ও সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি, যিনি সমগ্র বিশ্বমানবতার নবী, নবীকূলের শিরোমনি সৃষ্টিকুলের রহমত ও কল্যাণের প্রতীক। আমি শায়খ ডঃ আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আলী আযযাইদের সালাত বিষয়ক গ্রন্থ "তালীমুস সালাহ" পাঠান্তে উপলব্ধি করি যে, এটির বঙ্গানুবাদ সর্বসাধারণের জন্য খুবই উপকারী হবে। কেননা বইটিতে নামায বিষয়ক বিধি-বিধান সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার সুহৃদ সাথি সাঈদুর রহমান মোল্লার সৎ পরামর্শে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও সমাজের উপকারের আশায় অনুবাদের কাজ আরম্ভ করি। বইটিকে পরিমার্জি করতে সাইফুল্লাহ ভাই, শফীউল আলম ভাই, মৌলানা আব্দুর রাউফ শামীম ও মৌলানা আমীর আলী প্রমুখ সম্পাদনার কাজে সহযোগিতা করেছেন। যাঁরা আমাকে এ কাজে উৎসাহ দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন, আল্লাহর কাছে তাদের মঙ্গল কামনা করছি। অনুবাদে লেখকের মূল বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশের চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি এই অনুবাদ বাংলা ভাষা-ভাষীদের নিকট সমাদৃত হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই পুস্তক থেকে উপকৃত হবার তাওফীক দিন। আমীন!

অনুবাদক

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি



নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি 

নবীজির চারিত্রিক গুণাবলি:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট, সৌরভে সুবাসিত, গঠনে মধ্যম, দেহে সবল, মস্তক ছিল বড়, দাড়ি ছিল ঘন, হস্ত ও পদ-দ্বয় ছিল মাংসল, উভয় কাঁধ ছিল বড়, চেহারায় ছিল রক্তিম ছাপ, নেত্র দ্বয় ছিল কালো, চুল ছিল সরল, গণ্ড দ্বয় কোমল। চলার সময় ঝুঁকে চলতেন, মনে হত যেন উঁচু স্থান হতে নিচুতে অবতরণ করছেন। যদি কোন দিকে ফিরতেন, পূর্ণ ফিরতেন। মুখমণ্ডলের ঘাম সুঘ্রাণের কারণে মনে হত সিক্ত তাজা মুক্তো। তার উভয় কাঁধের মাঝখানে নবুয়তের মোহর ছিল্তঅর্থাৎ সুন্দর চুল ঘেরা গোশতের একটি বাড়তি অংশ।

নবীজীর চরিত্র:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুমহান, পূর্ণ ও শ্রেষ্ঠতর চরিত্রে সুসজ্জিত, সবদিকে অতুলনীয়। মহান আল্লাহ বলেন :
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ (سورة القلم:৪)
"এবং নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত"। (সূরা কালাম :৪)

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

জানাযার কিছু বিধান

 জানাযার কিছু বিধান



জানাযার কিছু বিধান

তালকিন ও তৎসংশ্লিষ্ট আলোচনা

প্রশ্ন-১. তালকিন কি ও তার নিয়ম কি?
উত্তর: মুমূর্ষূ ব্যক্তিকে কালিমা স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং তাকে কালিমা পাঠ করার দীক্ষা দানকে আরবিতে ‘তালকিন’ বলা হয় যখন কারো উপর মৃত্যুর আলামত জাহির হয়, তখন উপস্থিত ব্যক্তিদের উচিত তাকে لا إله إلا الله বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে বলা। উপস্থিত লোকদের সাথে এ কালিমা একবার পাঠ করাই তার জন্য যথেষ্ট, তবে পীড়াপীড়ি করে তাকে বিরক্ত করা নিষেধ।
প্রশ্ন-২. মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কিবলামুখী করার বিধান কি?
উত্তর: আলেমগণ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কেবলামুখী করা মুস্তাহাব বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
 «الكعبة قبلتكم أحياء وأمواتا» (رواه أبوداود فى الوصايا بلفظ «البيت الحرام قبلتكم أحياء وأمواتا»(
“বায়তুল্লাহু তোমাদের জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায় কিবলা”। ইমাম আবু দাউদ ওসিয়ত অধ্যায়ে বর্ণনা করেন, “বায়তুল হারাম তোমাদের জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায় কিবলা”।  

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৪

কুরআনুল কারিমের কসম করার বিধান

কুরআনুল কারিমের কসম করার বিধান

কারো নামে কসম করার অর্থ তাকে সম্মান দেওয়া ও তার সত্তাকে পবিত্র জ্ঞান করা। এ জাতীয় সম্মানের হকদার একমাত্র আল্লাহ ‘তাআলা। যে আল্লাহ ‘তাআলা ব্যতীত কোনো সত্তার নামে কসম বা শপথ করল সে মূলত আল্লাহর সম্মান ও অধিকারে ঐ সত্তাকে শরিক ও অংশীদার করল। অতএব এটা শিরক। আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম করা কবিরা গুনাহ, তবে তা শিরক নয়। শিরক কবিরা গুনা থেকেও বড়, হোক সেটা ছোট শিরক। যে পীরের নামে কসম করল, সে পীরকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করল; যে নবী-অলি-বুজর্গের নামে কসম করল সে তাদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করল; অনুরূপ আল্লাহ ও তার গুণাগুণ ব্যতীত কোনো বস্তুর নামে যে কসম করল, সে আল্লাহর অধিকার তথা বিশেষ সম্মানে ঐ বস্তুকে শরিক করল ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
((مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ)). وقال ابن مسعود رضي الله عنه: ((لأَنْ أَحْلِفَ بِاللَّهِ كَاذِبًا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْلِفَ بِغَيْرِهِ صَادِقًا)).
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কারো নামে শপথ করল সে কুফরি করল, অথবা শিরক করল”।[1] 

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৪

ভাল মৃত্যুর উপায়

ভাল মৃত্যুর উপায়



 ভাল মৃত্যুর উপায়

প্রশ্ন: ভালো মৃত্যুর কোন আলামত আছে কি?

উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

এক:  

হুসনুল খাতিমা বা ভাল মৃত্যু...

 ভাল মৃত্যু মানে- মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহর ক্রোধ উদ্রেককারী গুনাহ হতে বিরত থাকতে পারা, পাপ হতে তওবা করতে পারা, নেকীর কাজ ও ভাল কাজ বেশি বেশি করার তাওফিক পাওয়া এবং এ অবস্থায় মৃত্যু হওয়া। এই মর্মে আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে সহিহ হাদিসে এসেছে তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- 
“আল্লাহ যদি কোন বান্দার কল্যাণ চান তখন তাকে (ভাল) কাজে লাগান।” সাহাবায়ে কেরাম বললেন: কিভাবে আল্লাহ বান্দাকে (ভাল) কাজে লাগান? তিনি বলেন: “মৃত্যুর পূর্বে তাকে ভাল কাজ করার তাওফিক দেন।” [মুসনাদে আহমাদ (১১৬২৫), তিরমিযি (২১৪২), আলবানি ‘সিলসিলা সহিহা’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ সাব্যস্ত করেছেন (১৩৩৪)।

সংক্ষেপে বিয়ের রুকন, শর্ত ও ওলি বা অভিভাবক এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তসমূহ

 সংক্ষেপে বিয়ের রুকন, শর্ত ও ওলি বা অভিভাবক এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তসমূহ



সংক্ষেপে বিয়ের রুকন, শর্ত ও ওলি বা অভিভাবক এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তসমূহ

প্রশ্ন: বিয়ের রুকন ও শর্ত কি কি?

উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য। 

• ইসলামে বিয়ের রুকন বা খুঁটি তিনটি: 

এক:

বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া: যেমন- বর-কনে পরস্পর মোহরেম হওয়া; ঔরশগত কারণে হোক অথবা দুগ্ধপানের কারণে হোক। বর কাফের কিন্তু কনে মুসলিম হওয়া, ইত্যাদি। 

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০১৪

মুসলিম জীবনে সততা ও সত্যবাদিতা

মুসলিম জীবনে সততা ও সত্যবাদিতা



মুসলিম জীবনে সততা ও সত্যবাদিতা

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।" (সূরা আত-তাওবা আয়াত- ১১৯)

বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০১৪

ফতোওয়া হজ্জ: হজ্জ সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৯০টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া হজ্জ: হজ্জ সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৯০টি প্রশ্নোত্তর



ফতোওয়া হজ্জ: হজ্জ সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৯০টি প্রশ্নোত্তর
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী 

প্রশ্নঃ (৪৪৯) বেনামাযীর হজ্জের বিধান কি? যদি এ ব্যক্তি তওবা করে, তবে সমস্ত ইবাদত কি কাযা আদায় করতে হবে?
উত্তরঃ নামায পরিত্যাগ করা কুফরী। নামায ছেড়ে দিলে মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। একথার দলীল হচ্ছে কুরআন, সুন্নাহ্‌ ও ছাহাবায়ে কেরামের উক্তি। অতএব যে লোক নামায পড়ে না তার জন্য মক্কা শরীফে প্রবেশ করা বৈধ নয়। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,
]يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا[
“হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা হচ্ছে একেবারেই অপবিত্র, অতএব তারা যেন এ বছরের পর মসজিদুল হারামের নিকটেও আসতে না পারে।” (সূরা তাওবাঃ ২৮)

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০১৪

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার



তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার

এ শিরোনামের অধীন চারটি বিষয় আলোচনা করব: 
. ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ
. কুরআন-হাদিসের তাবিজ
. তাবিজ ঝুলানো কোন প্রকার শিরক
. চিকিৎসা পদ্ধতি, শরয়ী ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজের পার্থক্য

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী

 পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী



পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী

প্রশ্ন: আসরের ওয়াক্ত কখন শেষ হয়? বিশেষ করে ঘড়ির কাঁটার হিসেবে?

মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের উপর দিবানিশি মোট ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। সাথে সাথে এগুলো আদায়ের জন্য তাঁর সুসামঞ্জস্যপূর্ণ হেকমত অনুযায়ী পাঁচটি সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যাতে করে বান্দাহ্‌ এ সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে তার প্রতিপালকের সাথে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে। এটা মানব অন্তরের জন্য অনেকটা বৃক্ষের গোড়ায় পানি সিঞ্চনের মত বিষয়। বৃক্ষকে যেমন বেড়ে উঠার জন্য নিয়মিত পানি দিতে হয়; মানব অন্তরকেও স্রষ্টার ভালোবাসায় স্থিতিশীল থাকার জন্য নিয়মিত সালাতের আশ্রয় নিতে হয়। একবারে সব পানি ঢেলে দিয়ে যেমন বৃক্ষের সঠিক প্রবৃদ্ধি আশা করা যায় না, মানব হৃদয়ও তদ্রূপ।  

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের তৈরি?

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের তৈরি?

প্রশ্ন: আমি দু’টি কিতাবে পড়েছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি, আল্লাহ তাকে স্বীয় নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তার কারণে অন্যান্য মখলুক সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান পরিপক্ব নয়, অতএব আমাকে স্পষ্ট করে বলুন। শোকরান।

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ,
এ জাতীয় একটি প্রশ্ন সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড ‘লাজনায়ে দায়েমা’র নিকট করা হয়েছিল, আমরা এখানে প্রশ্নসহ তা উল্লেখ করছি: “প্রশ্ন: অনেক মানুষের বিশ্বাস, সকল বস্তু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর থেকে সৃষ্টি, আর তার নূর আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি তারা এ মর্মে হাদিস বর্ণনা করে: “আমি আল্লাহর নূর, আর প্রত্যেক বস্তু আমার নূর থেকে সৃষ্ট”তারা আরো বর্ণনা করে: “আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর সৃষ্টি করেছেন”এ জাতীয় হাদিসের কোনো ভিত্তি আছে কি? তাদের আরেকটি হাদিস নিম্নরূপ:
" أنا عرب بلا عين أي رب أنا أحمد بلا ميم أي أحد "
“আমি আরব আইন ব্যতীত অর্থাৎ আমি رب (রব), আমি আহমদ মীম ব্যতীত অর্থাৎ আমি أحد (আহাদ), একক সত্ত্বা বা আল্লাহ”। এ জাতীয় কথার কোনো ভিত্তি আছে কি?

মসজিদের বিধানসমূহ

মসজিদের বিধানসমূহ




মসজিদের বিধানসমূহ


এক- মসজিদসমূহ পরিষ্কার করা, মসজিদ সুগন্ধময় রাখা এবং মসজিদ সংরক্ষণ করা। 
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহ হতে হাদিস বর্ণিত, তিনি বলেন,
« أمر رسول الله صلى الله عليه و سلم ببناء المساجد في الدور وأن تنظف، وتطيب »
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিভিন্ন বাড়ীতে বাড়ীতে (তথা এলাকায়) মসজিদ বানানো [1] এবং মসজিদকে পরিষ্কার করা ও সুগন্ধময় করার নির্দেশ দেন[2]

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান

প্রথম ফতোয়া

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান
শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা অথবা একস্থান থেকে অপর স্থানে নেওয়ার বিধান কি? এবং অযু ব্যতীত কুরআন তিলাওয়াত করার বিধান কি?

তিনি উত্তরে বলেন: “জমহুর (অধিকাংশ) আহলে ইলমের নিকট অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা জায়েয নয়। চার ইমামের ফতোয়া এটাই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ এ ফতোয়া প্রদান করতেন। আমর ইবনে হাযম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি সহি হাদিসে এসেছে, যা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামান বাসীদের নিকট লিখে পাঠান:
((أَنْ  لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ)).
“পবিত্র সত্তা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”সনদের বিচারে হাদিসটি জায়্যিদএ হাদিসের একাধিক সনদ রয়েছে, যার একটি অপরটি দ্বারা শক্তিশালী হয়।