রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (১ম পর্ব)


 প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (১ম পর্ব)

সূচিপত্র

বিষয়                                           
ভূমিকা                                                  
সুন্নাতের পরিচয় ও গুরুত্ব                                 
সুন্নাতের পরিচয়                                          
সুন্নাতের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব
বিদআতের পরিচয় ও পরিণাম:
বিদআতের সংজ্ঞা                                         
বিদআতের পরিণাম                                       
খতম শব্দের অর্থ ও প্রয়োগ                               
খতমে কুরআন                                           
খতমে ইউনুস                                           
খতমে বুখারী                                            
খতমে না-রী                                             
খতমে ইয়াসিন                                           
খতমে শিফা                                             
খতমে তাহলিল                                           
খতমে তাসমিয়াহ                                         
খতমে খাজেগান                                         
খতমে জালালী                                           
খতমে দুরুদে মাহি                               
ইখলাস দ্বারা কুরআন খতম                      
অভিজ্ঞতা বনাম ধর্মীয় বিশ্বাস                      
পরিশেষ                                         
গ্রন্থপঞ্জি তালিকা

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (২য় পর্ব)

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (২য় পর্ব)



  
 প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (২য় পর্ব)
  
১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

খতম শব্দের অর্থ ও প্রয়োগ

      খতম’ শব্দটি মূলত আরবী ‘ ختم   শব্দের বাংলা ব্যবহার। যার মূল অর্থ হচ্ছে : কোনো বস্তুতে মোহর লাগানো বা তাকে সিলযুক্ত করা। কর্ম যুগে শব্দটির অর্থ হয়কাজটি শেষ করা। এভাবে বিভিন্ন শব্দযোগে তার বিভিন্ন অর্থ হয় যেমনমাটি দ্বারা মুখ বন্ধ করাএড়িয়ে যাওয়াহৃদয়ে মোহর এঁটে দেওয়া তথা অবুঝ করে দেওয়াকোনো বস্তুর শেষে পৌঁছা ইত্যাদি। কিতাব বা কুরআন শব্দযোগে তার অর্থ হয়: সম্পূর্ণটুকু পড়ে শেষ করা।[30]    
      কুরআনে শব্দটি ক্রিয়ামুলে শুধুমাত্র হৃদয়ে মোহর এঁটে দেওয়ার অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন :
﴿ خَتَمَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ وَعَلَىٰ سَمۡعِهِمۡۖ وَعَلَىٰٓ أَبۡصَٰرِهِمۡ غِشَٰوَةٞۖ وَلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ ٧ ﴾ [البقرة: ٧]
‘‘আল্লাহ তাদের হৃদয়ে ও কানে মোহর এঁটে দিয়েছেনআর তাদের চোখের উপর রয়েছে আবরণ রয়েছে’’[31]

মঙ্গলবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৫

জুমু‘আর দিনের বিধান

জুমু‘আর দিনের বিধান



জুমু‘আর দিনের বিধান

ভূমিকা 
                           
            জুমু‘আর দিন একটি বরকত পূর্ণ দিন। আল্লাহ তা‘আলা এ দিনটিকে সমস্ত দিনের উপর ফযিলত দিয়েছেন এবং উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ দিনটিকে নেয়ামত স্বরূপ নির্বাচন করেছেন। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের এ দিবসটি থেকে আল্লাহ তা‘আলা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ফলে তারা এ দিবসটি সম্পর্কে ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। শনিবার ও রবিবারের তুলনায় জুমু’আর দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য ঘটনা রাজির জন্ম দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে অনেক কিছুই এ দিবসটিতে সংঘটিত হয়েছে। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের-উম্মতে মুহাম্মদী-কে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু’আর দিনের প্রতি পথ দেখান।
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় সাহাবী হতে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أضل الله عز وجل عن الجمعة من كان قبلنا؛ فكان لليهود يوم السبت، وكان للنصارى يوم الأحد، فجاء الله عز وجل بنا فهدانا ليوم الجمعة، فجعل الجمعة والسبت والأحد، وكذلك هُم لنا تبع يوم القيامة، ونحن الآخِرون من أهل الدنيا، والأولون يوم القيامة، المقضي لهم قبل الخلائق» [رواه مسلم، والنسائي، ابن ماجة].
“আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পূর্ববর্তীদেরকে জুমু‘আ থেকে বঞ্চিত করেন। ইয়াহুদীদের জন্য শনিবার এবং খৃষ্টানদের জন্য রবিবারকে নির্ধারণ করেন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু‘আর দিবসটির প্রতি পথ দেখান। জুমু‘আর পর শনিবার এবং তারপর রবিবার নির্ধারণ করেন। যেভাবে দিবসের দিক দিয়ে তারা আমাদের পিছনে আছে, কিয়ামতের দিনও তারা আমাদের পিছনে থাকবে। দুনিয়াতে আমাদের আগমন পরে হলেও কিয়ামতের দিন আমরাই প্রথম হব। সমস্ত মাখলুকের পূর্বে আমাদের ফায়সালা করা হবে”।[1]

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

ফেসবুক হোক দাওয়াতের বাতায়ন

ফেসবুক হোক দাওয়াতের বাতায়ন



ফেসবুক হোক দাওয়াতের বাতায়ন

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় প্রতিটি মানুষই এখন কম-বেশি ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করেন। কেবল পাশ্চাত্য বিশ্বই নয়, আমাদের দেশেও সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষত ফেসবুকের বিস্তার ব্যাপক। ফেসবুক এখন পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত মিডিয়া। এক নতুন শক্তির নাম ফেসবুক। ফেসবুক নিয়ে আলোচনা আছে, আছে সমালোচনাও। এর নেতিবাচক ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ইতিবাচক ব্যবহারও। একদিকে এর মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীরা মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে। অশ্লীলতা ও নগ্নতাকে সহনীয় করে তুলছে। নাস্তিকতা ও ধর্মে অবিশ্বাস তৈরি করছে। অন্যদিকে এর মাধ্যমে হাজারও মুসলিম ভাইবোন নিজেদের কল্যাণকর চিন্তা ও জনহিতকর আইডিয়া অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ফেসবুকে পেজ ও গ্রুপ খুলে বিভিন্ন কমিউনিটির লোকেরা এক হয়ে এর মাধ্যমে হাজার হাজার ভালো কাজ করা করছেন। জরুরী প্রয়োজনে রক্ত দেওয়া, ক্যান্সার আক্রান্ত আল্লাহর বান্দার পাশে দাঁড়ানো কিংবা বন্যা, শীতসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানবতার সেবায় এগিয়ে যাওয়া- সবই চলছে ফেসবুককে কেন্দ্র করে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৫

ইমাম ও ইমামতি

ইমাম ও ইমামতি 



ইমাম ও ইমামতি

আল্ হাল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্, আম্মা বাদ:
ইমাম ও ইমামতি ইসলাম ধর্মের এবং মুসলিম সমাজের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল প্রয়োজনীয় বিষয়। একটি দেশ থেকে নিয়ে একটি গ্রাম পর্যন্ত এমনকি একটি পরিবারেও এই পদের প্রয়োজনীয়তা লক্ষণীয়। তাই এই বিষয়টির সম্পর্কে আমাদের সমাজের প্রত্যেক ইমামকে বিশেষ ভাবে এবং অন্যান্য মুসলিমদের সাধারণ ভাবে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। উক্ত কারণে বিষয়টির অবতারণা। আল্লাহ যেন সঠিক লেখার এবং তার প্রতি আমল করার তাওফীক দেন। আমীন।

শুক্রবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)


প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)

بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ভুমিকা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। শ্রেষ্ঠ রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক...অতঃপর,
তাওহীদ বিষয়ক এ প্রশ্নোত্তরসমূহ চয়ন করেছি মহান আল্লাহর কালাম ও তাঁর রসূলের বাণী অতঃপর উত্তম জাতীর বিশিষ্ট আলেমগণের আলোচিত মাসয়ালা-মাসায়েল থেকে। আর আমাদের এ পুস্তিকা সংকলনের সম্মানজনক সূযোগ করে দিয়েছে রিয়াদ  মহানগরীর শাফা এলাকার ‘দাওয়াত ও নির্দেশনা সহযোগী অফিসে’র জ্ঞান-গবেষণা বিভাগ। উদ্দেশ্য হচ্ছে পুস্তিকা প্রণয়ন করে মহামর্যাদাবান আল্লাহর দীন গ্রহণকারীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা এবং তা থেকে অন্যান্য মুসলিমদের ব্যাপাক ফায়দা অর্জন। এ পুস্তিকার নাম দেয়া’’ (التوحيد بين السائل والمجيب) [বা প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ]।
আমি যেহেতু জ্ঞান-গবেষণা বিভাগের সদস্য, সেহেতু এ পুস্তকটি প্রণয়ন করেছি শিক্ষাদানের সিলেবাস হিসেবে।

বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)


প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

{প্রশ্ন: ১০৬} জাদুর আভিধানিক এবং পারিভাষিক অর্থ কী?
উত্তর: আভিধানিক অর্থ হলো: সূক্ষ্ম কারচুপি। পারিভাষিক অর্থ হলো: মন্ত্র পাঠ করে ঝাড়া, গিরায় ফুঁক দেওয়া, তাবিজ করা এবং ঐ ধরনের অন্যান্য কাজ করা যা দ্বারা অন্যের ক্বলবে, শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আর ঐ প্রতিক্রিয়ায় কেউ রোগাক্রান্ত হয়, পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়, কারো মৃত্যু ঘটে কিংবা স্বামী-স্ত্রী পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৫

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে



যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

প্রশ্ন: আমাদের স্থানীয় ইমাম মানুষকে কতিপয় বিদআতের দিকে আহ্বান করেন। কিছু দ্বীনদার ভাই দলিল-প্রমাণসহ এ ব্যাপারে তাঁকে সাবধান করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি এ বিদআতগুলোর পক্ষে অটল অবস্থানে রয়েছেন। যদি জানা যায় যে, আজকের খোতবায় খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবেন যেমন- মিলাদ, শবে বরাত, ইত্যাদি সেক্ষেত্রে আপনারা কি এ পরামর্শ দিবেন যে, সে ব্যক্তি জুমার খোতবা শুনতে যাবে না। কেউ যদি মসজিদে গিয়ে শুনতে পায় যে, খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন তখন সে ব্যক্তির করণীয় কী? সে কী খোতবার মাঝখানে উঠে বাড়ীতে এসে যোহরের নামায আদায় করবে? অন্যথায় সে কী করবে? এ ধরণের খোতবা শুনায় হাজির থাকলে ব্যক্তি কি গুনাহগার হবে? কারণ কিছু ভাই নসিহত করার পরও খতীবসাহেব তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির উপর অটল অবস্থানে রয়েছেন। কেউ যদি খোতবার মধ্যে দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস উল্লেখ করে তার ক্ষেত্রেও কি একই হুকুম প্রযোজ্য? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ।