মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (৩য় পর্ব)

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (৩য় পর্ব)



১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

জুম'আ

জুমআর নামায

জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।

মহান আল্লাহ বলেন,

(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (কুরআন মাজীদ ৬২/৯)

মহানবী (সাঃ) বলেন, “দুনিয়াতে আমাদের আসার সময় সকল জাতির পরে। কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা সকলের অগ্রবর্তী। (সকলের আগে আমাদের হিসাব-নিকাশ হবে।) অবশ্য আমাদের পূর্বে ওদেরকে (ইয়াহুদী ও নাসারাকে) কিতাব দেওয়া হয়েছে। আমরা কিতাব পেয়েছি ওদের পরে। এই (জুমআর) দিনের তা’যীম ওদের উপর ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা তাতে মতভেদ করে বসল। পক্ষান্তরে আল্লাহ আমাদেরকে তাতে একমত হওয়ার তওফীক দান করেছেন। সুতরাং সকল মানুষ আমাদের থেকে পশ্চাতে। ইয়াহুদী আগামী দিন (শনিবার)কে তা’যীম করে (জুমআর দিন বলে মানে) এবং নাসারা করে তার পরের দিন (রবিবার)কে।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত)

সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (২য় পর্ব)

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (২য় পর্ব) 



১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

তাশাহহুদের বৈঠক

দ্বিতীয় রাকআতের সকল কর্ম (শেষ সিজদাহ) শেষ করে মহানবী (সাঃ) দুই সিজদার মাঝের বৈঠকের মত বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসে যেতেন এবং ডান পায়ের পাতাকে খাড়া করে রাখতেন। (বুখারী, আবূদাঊদ, সুনান ৭৩১নং)

তাশাহহুদের জন্য বসতে আদেশ দিয়ে নামায ভুলকারী সাহাবীকে তিনি বলেছেন, “--- অতঃপর তুমি যখন নামাযের মাঝে বসবে, তখন স্থির হবে এবং বাম ঊরুকে বিছিয়ে দিয়ে তাশাহহুদ পড়বে।” (আবূদাঊদ, সুনান ৮৬০ নং, বায়হাকী)

আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমার দোস্ত (সাঃ) আমাকে কুকুরের মত (দুই পায়ের রলাকে খাড়া রেখে, দুই পাছার উপর ভর করে ওহাত দু’টিকে মাটিতে রেখে) বসতে নিষেধ করেছেন। (আহমাদ, মুসনাদ ২/২৬৫, ত্বায়ালিসী, ইবনে আবী শাইবা) উক্ত প্রকার বসাকে তিনি শয়তানের বৈঠক বলে অভিহিত করেছেন। (মুসলিম, সহীহ ৪৯৮নং, আহমাদ, মুসনাদ)

তাশাহ্‌হুদে বসে তিনি ডানহাতের চেটোকে ডান ঊরু (জাং) বা হাঁটুর উপর রাখতেন, আর বামহাতের চেটোকে রাখতেন বাম জাং বা হাঁটুর উপর বিছিয়ে। (মুসলিম, সহীহ ৫৮০নং, আহমাদ, মুসনাদ) ডানহাতের কনুই-এর শেষ প্রান্ত ডান জাং-এর উপর রাখতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৯৫৭নং, নাসাঈ, সুনান) অর্থাৎ কনুইকে পায়ের রলার উপর না রেখে ঊরুর উপর পাঁজরে লাগিয়ে রাখতেন।

এক ব্যক্তি নামাযে বাম হাতের উপর মাটিতে ঠেস দিয়ে বসলে তিনি তাঁকে বারণ করে বলেছিলেন, “এরুপ হল ইয়াহুদীদের নামায।” (বায়হাকী,হাকেম, মুস্তাদরাক, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩৮০নং) “এরুপ বসো না। কারণ, এটা তো তাদের বৈঠক, যাদেরকে আযাব দেওয়া হবে।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩৮০নং) “এটা হল তাদের বৈঠক, যাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত।” (আবূদাঊদ, সুনান ৯৯৩ নং, আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ)

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (১ম পর্ব)

স্বালাতে মুবাশ্‌শির (১ম পর্ব) 



১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব

শুরুর কথা 

মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ‘স্বালাতে মুবাশ্‌শির’-এর দ্বিতীয় খন্ড পাঠকের হাতে উপস্থিত হল। তার জন্য তাঁর দরবারে লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করি। দ্বীনের অন্যতম খুঁ টির একটি কাঠামো পেশ করতে পেরে আমি নিজেকে যেমন ধন্য মনে করছি, তেমনি আশা করছি দুআ ও সওয়াব লাভের।

কেবল সহীহ হাদীসকে ভিত্তি করেই, অধিক ক্ষেত্রে কে কি বলেছেন তা উল্লেখ না করেই কেবল সহীহ দিকটা তুলে ধরেছি আমার এই পুস্তিকায়। মানুষের মনে সহীহ শিক্ষার চেতনা ও বাসনার কথা খেয়াল রেখেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আল্লাহ যেন তা কবুল করেন, তাই আমার কামনা।

বিভিন্ন বিতর্কিত মাসায়েলে আমি বর্তমান বিশ্বের প্রধান ৩টি রত্ন; বর্তমান বিশ্বের অদ্বিতীয় মুহাদ্দিস আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ নাসেরুদ্দ্বীন আলবানী, আল্লামা শায়খ ইবনে বায এবং আল্লামা ও ফকীহ্‌ শায়খ ইবনে উষাইমীন (রাহিমাহুমুল্লাহু জামীআন)গণের হাদীস লব্ধ ও সহীহ দলীল ভিত্তিক মতকে প্রাধান্য দিয়েছি। আর এ কথা অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আমি তাঁদের প্রত্যেকের; বরং প্রত্যেক হ্‌ক-সন্ধানী রব্বানী আলেমের ভক্ত ও অনুরক্ত। তা বলে কারো অন্ধভক্ত নই। পক্ষান্তরে প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য অধিকারীর অধিকার সঠিকরুপে আদায় করা। উলামার যথার্থ কদর করা। প্রত্যেক হ্‌ক-সন্ধানীর অনুরক্ত হওয়া; যদিও বা তাঁদের কোন কোন অভিমত আমার-আপনার বুঝের অনুকূল নয়। বলা বাহুল্য, খাঁটি সোনা স্বর্ণকারই চিনতে পারে; স্বর্ণ-ব্যবসায়ী নয়।

‘নামায’ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ‘নামায’ শব্দটি ফারসী, উর্দু , হিন্দী ও আমাদের বাংলা ভাষায় আরবী ‘সালাত’ অর্থেই পরিপূ র্ণ রুপে ব্যবহৃত বলেই আমি ‘সালাত’-এর স্থানে ‘নামায’ই ব্যবহার করেছি। তাছাড়া বাংলাভাষীর অধিকাংশ মানুষ ‘সালাত’ শব্দটির সাথে পরিচিত নয়। তাই পরিচিত ও প্রসিদ্ধ শব্দই ব্যবহার করতে আমি প্রয়াস পেয়েছি। আর এতে শরয়ী কোন বাধাও নেই। সুতরাং এ বিষয়ে সুহৃদ পাঠকের কাছে আমার ইজতিহাদী  কৈফিয়ত পেশ করে সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত
আব্দুল হামীদ আল-মাদানী
  আল-মাজমাআহ
সঊদীআরব

প্রয়োজনের তাকীদে যা কিছু লিখি, সবই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। আল্লাহ যেন তা আমাকে দান করেন এবং কাল কিয়ামতে এরই অসীলায় আমাকে, আমার শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা ও ওস্তাযগণকে, আর এ বই-এর উদ্যোক্তা, প্রকাশক ও সকল আমলকারী পাঠককে তাঁর মেহ্‌মান-খানা বেহেশ্তে স্থান দেন। আমীন।

বইঃ মুখতাসার যাদুল মা‘আদ - ফ্রি ডাউনলোড

বইঃ মুখতাসার যাদুল মা‘আদ - ফ্রি ডাউনলোড


বই: মুখতাসার যাদুল মা‘আদ
মুল রচনা: ইবনুল কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ (রহ)
সংক্ষেপায়নে: মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ)
অনুবাদ: আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামীয়া লাইব্রেরী

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

বদ নজর লাগা ও বদ নজরের কুপ্রভাব

বদ নজর লাগা ও বদ নজরের কুপ্রভাব



বদ নজর লাগা ও বদ নজরের কুপ্রভাব

• কুরআন থেকে (বদ নজরের) দলীলঃ

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ
وَقَالَ يَا بَنِيَّ لَا تَدْخُلُوا مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ وَادْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ، وَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ حَيْثُ أَمَرَهُمْ أَبُوهُمْ مَا كَانَ يُغْنِي عَنْهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا حَاجَةً فِي نَفْسِ يَعْقُوبَ قَضَاهَا وَإِنَّهُ لَذُو عِلْمٍ لِمَا عَلَّمْنَاهُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ এবং (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) বললেন হে আমার প্রিয় সন্তানগণ! তোমরা সবাই (শহরে) কোন এক প্রবেশ পথে প্রবেশ করো না বরং বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করিও । আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কোন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব না। কেননা প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী কেবল আল্লাহ। তার উপর আমার আস্থা রয়েছে। ভরসাকারীকে ভরসা করলে তার প্রতিই করতে হবে। আর যখন তারা দিয়েছিলেন অথচ আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত কোন কিছু থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। তবুও ইয়াকুবের (আলাইহিস সালাম) অন্তরে একটি আশা ছিল যে, তিনি তা পূর্ণ করেছেন। নিশ্চয় তিনি ইলমে (নবুওয়াতের) বাহক ছিলেন। অথচ অনেক লোক তা জানে না। (সূরা ইউসুফঃ ৬৭-৬৮)

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার



স্ত্রীর উপর স্বামীর অনস্বীকার্য অধিকার

স্ত্রীর উপর স্বামীরও অনস্বীকার্য অধিকার রয়েছেঃ-

প্রথম অধিকার হল বৈধ কর্মে ও আদেশে স্বামীর আনুগত্য। স্বামী সংসারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সংসার ও দাম্পত্য বিষয়ে তার আনুগত্য স্ত্রীর জন্য জরুরী। যেমন কোন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক, অফিসের ম্যানেজার বা ডিরেক্টর প্রভৃতির আনুগত্য অন্যান্য সকলকে করতে হয়।

স্ত্রী সাধারণতঃ স্বামীর চেয়ে বয়সে ছোট হয়। মাতৃলয়ে মা-বাপের (বৈধ বিষয়ে) আদেশ যেমন মেনে চলতে ছেলে-মেয়ে বাধ্য, তেমনি শবশুরালয়ে স্বামীর আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলাও স্ত্রীর প্রকৃতিগত আচরণ। তাছাড়া ধর্মেও রয়েছে স্বামীর জন্য অতিরিক্ত মর্যাদা। অতএব প্রেম, সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলতা বজায় রাখতে বড়কে নেতা মানতেই হয়। প্রত্যেক কোম্পানী ও উদ্যোগে পার্থিব এই নিয়মই অনুসরণীয়। অতএব স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে তা নারী-পরাধীনতা হবে কেন। তবে অন্যায় ও অবৈধ বিষয়ে অবশ্যই স্বামীর আনুগত্য অবৈধ। কারণ যাদেরকে আল্লাহ কর্তৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে অবৈধ ও অন্যায় কর্তৃত্ব দেননি। কেউই তার কর্তৃত্ব ও পদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে পারে না। তাছাড়া কর্তা হওয়ার অর্থ কেবলমাত্র শাসন চালানোই নয়; বরং দায়িত্বশীলতার বোঝা সুষ্ঠুভাবে বহন করাও কর্তার মহান কর্তব্য।

যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পতিব্রতা সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.
‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।[1]

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার



স্বামীর উপর স্ত্রীর অনস্বীকার্য অধিকার

স্বামীর উপর স্ত্রীর বহু অধিকার আছে, যা পালন করা স্বামীর পক্ষে ওয়াজেব। সেই সমস্ত অধিকার নিম্নরূপঃ- 

১- আর্থিক অধিকারঃ-

ক- স্বামী বিবাহ-বন্ধনের সময় বা পূর্বে যে মোহর স্ত্রীকে প্রদান করবে বলে অঙ্গীকার করেছে তা পূর্ণভাবে আদায় করা এবং তা হতে স্ত্রীকে বঞ্চিতা করার জন্য কোন প্রকার টাল-বাহানা না করা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً﴾
‘‘সুতরাং তাদেরকে তাদের ফরয মোহর অর্পণ কর।’’[6]

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু‘আ (দু‘আ-এ মাসূরাহ্‌)

সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু (দুআ-এ মাসূরাহ্‌) 



সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু (দুআ-এ মাসূরাহ্‌)

নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) নামাযে বহু প্রকার দুআ (প্রার্থনা) করতেন। এক এক সময়ে এক এক প্রকার দুআ তিনি পাঠ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতেন। সাহাবাগণকে ‘তাহিয়্যাত’ শিখানোর পর বলেছিলেন, “এরপর তোমাদের মধ্যে যার যা ইচ্ছা ও পছন্দ সেই দুআ বেছে নিয়ে দুআ করা উচিৎ।” (বুখারী ৮৩৫, মুসলিম, মিশকাত ৯০৯নং) অবশ্য সেই দুআ অপেক্ষা আর কোন্‌ দুআ অধিকতর পছন্দনীয় হতে পারে, যা তিনি নিজে পড়েছেন বা অপরকে শিখিয়েছেন? তাঁর ঐ সকল দুআকে ‘দুআয়ে মাসূরাহ্‌’ বলা হয়, যা নিম্নরুপ:-

এক:
اَللّهًمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَ مِنَ الْمَغْرَمِ।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল মা’সামি অ মিনাল মাগরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পাপ ও ঋণ হতে পানাহ চাচ্ছি। (বুখারী, মুসলিম, প্রভৃতি, মিশকাত ৯৩৯নং)

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ 



ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ 

এক:
أَسْتَغْفِرُ الله 
উচ্চারণ:- আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, 
অর্থ:- আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি (৩ বার) 

দুই:
اَللّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্‌কাস সালা-মু তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।
অর্থ:- হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কি ঘটেছিল কারবালায়? কারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুকে হত্যা করেছে?

কি ঘটেছিল কারবালায়? কারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুকে হত্যা করেছে?
(কারবালার ঘটনা সম্পর্কে একটি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ-যা অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিবে ইনশাআল্লাহ)


এই প্রবন্ধে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
১) ভূমিকা
২) কারবালার প্রান্তরে রাসূলের দৌহিত্র হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু নিহত হওয়ার প্রকৃত ঘটনা।
৩) ফুরাত নদীর পানি পান করা থেকে বিরত রাখার কিচ্ছা।
৪) কারবালার প্রান্তরে হুসাইনের সাথে আরও যারা নিহত হয়েছেন।
৫) কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত ধারণা ঠিক নয়।
৬) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বের হওয়া ন্যায়সংগত ছিল কি?
৭) কারবালার ঘটনাকে আমরা কিভাবে মূল্যায়ন করব?
৮) মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপ করার ক্ষেত্রে শিয়া মাজহাবের মতামত।
৯) আশুরার দিনে আমাদের করণীয় কী?
১০) শিয়াদের বর্ণনায় আশুরার রোযা।
১১) আশুরার দিনে মাতম করার ভিত্তি কোথায়?
১২) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যায় ইয়াযীদ কতটুকু দায়ী?
১৩) তাহলে কে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যা করল?
১৪) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যাকারী নির্ধারণে ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর অভিমত।
১৫) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর ভাষণই প্রমাণ করে যে ইয়াযীদ তাঁর হত্যার জন্য সরাসরি দায়ী নয়।
১৬) আলী ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা হুসাইনকে হত্যার জন্য কুফাবাসীদেরকে দায়ী করেছেন?
১৭) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মাথা কোথায় গিয়েছিল?
১৮) যেমন কর্ম তেমন ফল।
 ১৯) ইয়াযীদ সম্পর্কে একজন মুসলিমের ধারণা কেমন হওয়া উচিত।
২০) উপসংহার।

আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়; সমস্যা



আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়; সমস্যা
আমার জীবনের প্রথম বন্ধু আবদুল মালেকঅবুঝ বয়সে ও আর আমি একসঙ্গে মাদরাসায় যেতাম। আমার আর ওর বাড়ি থেকে খাবার আনত ওর বড় ভাই। আমি যখন দুনিয়ার ভালো-মন্দ কিছুই বুঝতাম না, তখন ও অনেক কিছুই বুঝত। ও প্রায়ই মাদরাসা পালিয়ে বাড়িতে যেত। পড়াশুনার বাইরের জগতের প্রতিই ওর ছিল যত আগ্রহ। বছর পার না হতেই সে মাদরাসায় না পড়ার জন্য নানা বাহানা খুঁজতে লাগল। অবশ্য ওর বাবা ওকে মাদরাসায় পড়ানোর জন্য চেষ্টায় কসুর করেন নি। একদিন সে সত্যিই মাদরাসাকে বিদায় জানাল।

শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮

কোরবানী শরিয়তের বিধান হওয়ার দলিল-প্রমাণ এবং এ দলিলগুলো কোরবানি ওয়াজিব হওয়া নির্দেশ করে; নাকি মুস্তাহাব হওয়া?

কোরবানী শরিয়তের বিধান হওয়ার দলিল-প্রমাণ এবং এ দলিলগুলো কোরবানি ওয়াজিব হওয়া নির্দেশ করে; নাকি মুস্তাহাব হওয়া?



কোরবানী শরিয়তের বিধান হওয়ার দলিল-প্রমাণ এবং এ দলিলগুলো কোরবানি ওয়াজিব হওয়া নির্দেশ করে; নাকি মুস্তাহাব হওয়া?

প্রশ্ন: আমি আপনাদের ওয়েবসাইটে বিদ্যমান কোরবানী সংক্রান্ত ফতোয়াগুলো পড়েছি। সেগুলোতে কোরবানীকে সুন্নত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, এর পক্ষে জোরালো কোন দলিল ওয়েবসাইটে নেই। অনুগ্রহ করে আপনারা কোরবানী করা সুন্নত; ওয়াজিব নয়‑ এই মর্মে কিছু দলিল কি উল্লেখ করতে পারেন? বিশেষতঃ "যে ব্যক্তির সামর্থ্য রয়েছে, কিন্তু কোরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়" [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৩১২৩] এ হাদিস সম্পর্কে কী বলবেন?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

ফাজায়েলে আ’মাল বা এই জাতীয় কিতাব পড়া জায়েজ নয়

ফাজায়েলে আ’মাল বা এই জাতীয় কিতাব পড়া জায়েজ নয়




ফাজায়েলে আ’মাল পড়া জায়েয নয় এবং এতে বর্ণিত কাহিনীতে বিশ্বাস করে এমন ইমামের পেছনে নামায পড়াও জায়েয নয়


সৌদী আরবের গবেষণা ও ফাত্‌ওয়া ইস্যুকারী স্থায়ী কমিটির ফতোয়া নাম্বার – ২১৪১২
ফাত্‌ওয়া আল-লাজ্‌নাহ আদ্-দা’ইমাহ, খণ্ড- ২, পৃষ্ঠা- ২৮২-২৮৪। 

প্রশ্নঃ

শাইখ মুহাম্মাদ যাকারিয়া (রহ) ভারত ও পাকিস্তানের বিখ্যাত ধর্মীয় পণ্ডিতগণের মধ্যে একজন, বিশেষ করে তাবলীগ জামায়াতের (ইসলামের দিকে ডাকে এমন একটি দল) অনুসারীদের মধ্যে। তাঁর লিখা অনেকগুলো কিতাব রয়েছে যার মধ্যে “ফাজায়েলে আ’মাল” একটি, যেটি তাবলীগী গ্রুপগুলোর ধর্মীয় আলোচনার সময় পড়া হয়ে থাকে এবং যেটিকে এই গ্রুপের সদস্যরা সহীহ আল বুখারীর মতই শ্রদ্ধা করে। আমি তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। এই বইটি পড়তে গিয়ে আমি দেখলাম যে এর মধ্যে কিছু কিছু বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও অবিশ্বাস্য। সুতরাং আমি আমার এই সমস্যাটা আপনাদের সুবিখ্যাত কমিটির কাছে পেশ করছি, এই আশায় যে আপনারা এর সমাধান দিতে পারবেন। এই বর্ণনাগুলোর মধ্যে হচ্ছে আহমেদ রিফাঈর লিখা একটি বর্ণনা, যেখানে তিনি দাবী করেন যে হজ্জ্ব সমাপনের পর তিনি রাসুলুল্লাহ, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জেয়ারত করতে যান এবং নিম্নলিখিত কবিতাংশটি পাঠ করেনঃ

“যখন আমি দূরে ছিলাম, আমি আমার আত্মাকে পাঠিয়ে দিতাম আমার পক্ষ থেকে মাটিকে চুম্বন করার জন্যে। এখন যেহেতু আমি স্বশরীরে ও আত্মায় উপস্থিত, আপনার ডান হাত বাড়িয়ে দিন যেন আমি চুম্বন করতে পারি।”

এই বাক্যগুলো পড়ার পর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ডান হাত বের হয়ে আসে আর তিনি তাতে চুম্বন করেন। এই ঘটনাটি বর্ণিত আছে আস সুয়ূতী রচিত “আল হাওয়ী” নামক গ্রন্থে।

তিনি আরো দাবী করেন যে এ মহান ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিল প্রায় ৯ (অথবা ৯০) হাজার মুসলিম এবং তারা সবাই সেই বরকতময় হাতও দেখতে পান, যার মধ্যে শাইখ আবদুল কাদের জ্বিলানী (রহ) ও তখন মসজিদে নববীতে ছিলেন। এই কাহিনীর আলোকে আমি নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো উত্থাপন করতে চাইঃ

১। এটি কী কোন সত্য ঘটনা নাকি ভিত্তিহীন গল্প?

২। সুয়ূতী রচিত “আল হাওয়ী” কিতাবটির সম্বন্ধে আপনাদের মত কী যেটির মধ্যে এই কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে?

৩। যদি এই গল্প সঠিক না হয়, এমন কোন ঈমামের পেছনে নামাজ পড়া জায়েজ হবে কী যেই এই গল্পটি বয়ান ও বিশ্বাস করেন?

৪। এমন কিতাব কোন মসজিদের ধর্মীয় আলোচনা সভায় পড়া জায়েজ হবে কী, যেহেতু ব্রিটেনে তাবলীগ গ্রুপগুলি মসজিদে এই কিতাবটি পড়ে থাকে? এই বইটি সৌদী আরবেও ব্যাপক প্রচলিত, বিশেষ করে মদীনা মুনাওয়ারাতে কারণ এর লেখক দীর্ঘ সময়ের জন্য সেখানে বসবাস করতেন।

শ্রদ্ধেয় উলামাবৃন্দ, দয়া করে আমাদেরকে সন্তোষজনক জবাব দিয়ে পথ দেখাবেন কী, যেন আমি এটিকে স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করে বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী ও অন্য সকল মুসলিমদের মাঝে বিলি করতে পারি এই বিষয়ে কথা বলার সময়?

উত্তরঃ

এই গল্পটি মিথ্যা এবং একদম ভিত্তিহীন। মৃতব্যাক্তি সম্বন্ধে সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, নবী-রাসুল বা সাধারণ মুসলিম যেই হোন না কেন, তিনি তাঁর কবরে নড়া-চড়া করতে পারেন না। যে বর্ণনা করা হয় যে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাফেঈ-র জন্যে বা অন্য কারো জন্যে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন – এটি সত্য নয়; বরং এটি একটি ভিত্তিহীন বিভ্রম, যা কোনমতেই বিশ্বাস করা উচিত নয়।

বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মাঝে তীব্র বিরোধ, আমরা কি তাকে তালাক দেয়ার উপদেশ দিব?

স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মাঝে তীব্র বিরোধ, আমরা কি তাকে তালাক দেয়ার উপদেশ দিব?



স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মাঝে তীব্র বিরোধ, আমরা কি তাকে তালাক দেয়ার উপদেশ দিব?

প্রশ্ন: আমি একজন বিবাহিত পুরুষ। আমার কয়েকজন সন্তান ও একজন স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু, স্ত্রীর সাথে সব সময় আমার ঝগড়া লেগে থাকে। আমি অনেকবার তার সাথে আমার সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছি; কিন্তু কোন কাজ হয় নাই। সে তালাকের প্রতি সন্তুষ্ট নয়। জৈবিক দিক থেকেও সে আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। আমাদের এখানে প্রথাগতভাবে দ্বিতীয় বিবাহ অনুমতি নয়। কিংবা মানুষ বিবাহিত পুরুষের কাছে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে দেয় না। আমার আশংকা হচ্ছে- এভাবে চলতে থাকলে আমি হারামে লিপ্ত হতে পারি। আপনারা আমাকে অবহিত করুন ও গাইড করুন। আমি আশা করব আপনারা আমাকে উপদেশ দিবেন, কিভাবে আমি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এর ভাল সমাধান কী হতে পারে? আল্লাহ্‌ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

পবিত্রতার ক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসা এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায়

পবিত্রতার ক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসা এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায়



পবিত্রতার ক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসা এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায়

প্রশ্ন: আমি ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ুর সমস্যায় ভুগে আসছি। প্রায় সময় আমি শুচিবায়ুর কারণে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ি যে, আমার ওযু ছুটে গেছে; নাকি যায়নি। এরপর এ নিয়ে আমি নিজের সাথে ঝগড়া করতে থাকি। যখন আমি পাকস্থলিতে কিছু শব্দ শুনতে পাই তখন আরও বেশি হতবুদ্ধি হয়ে পড়ি। আমি যেটা জানি সেটা হচ্ছে- এ শব্দের কোন ধর্তব্য নেই। কিন্তু কিছু শব্দ পায়ুপথেও হয়ে থাকে। আমি যা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। এ ধরণের ক্ষেত্রে কি কোন সমস্যা আছে; নাকি এতে ওযু ভেঙ্গে যাবে? সবসময় ওযু করা সহজ কাজ নয়; বিশেষতঃ আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে থাকি বা বাসার বাহিরে থাকি। কারণ এর জন্য অনেক সময় প্রয়োজন হয়। আমাকে হিযাব খুলতে হয়, মোজা খুলতে হয়। এছাড়া নির্ঝঞ্ঝাটে আমার ইবাদত পালন বাধাগ্রস্ত হয়। তবে, কার্যত যদি আমার ওযু ভেঙ্গে গিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমার ওযু করতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু, আমি ওয়াসওয়াসার কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমার শুধু মনে হয় যদি আমার ওযু না ভেঙ্গে থাকে, কিন্তু আমি পুনরায় ওযু করলাম এতে তো কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু আমি যদি নামায ছেড়ে না দেই, আমার নামায যদি কবুল না হয়। কেননা আমি ধারণা করতেছি আমার ওযু আছে। কিন্তু, বাস্তবে হয়তো আমার ওযু নেই। আমি খুবই উদ্বিগ্ন, আল্লাহ্‌ কি আমার তওবা ও আমার ইবাদত কবুল করবেন; নাকি করবেন না। উদাহরণতঃ সম্প্রতি আমি জেনেছি যে, ওযুর ক্ষেত্রে আমার একটা ভুল হত সেটা হচ্ছে- শুধু শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কানের ছিদ্র পরিস্কার করলে হবে না; গোটা কান পরিস্কার করতে হবে। এরপর থেকে আমি সঠিকভাবে সেটা করে আসছি। কিন্তু, আমি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন আমার আগের ওযু ও নামাযের ব্যাপারে; এই ভুলের কারণে না জানি কবুল না হয়। আমি বুঝতে পারছি যে, আমি বাধ্যগত শুচিবায়ুতে আক্রান্ত। কখনও কখনও নামাযের মধ্যে আমার এমন কিছু উদ্ভট চিন্তা ও চোখের সামনে কিছু উদ্ভট চিত্র ভেসে উঠে; যেগুলো নিয়ে আমি চিন্তা করতে চাই না। আমার মনে হয়, এগুলো আমার নামায নষ্ট করে দিল। সুনির্দিষ্টভাবে নাপাকিটা কী? ধুলা? চুল? পায়খানার গন্ধ?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

রবিবার, ১ জুলাই, ২০১৮

শরয়ি আমলগুলোর স্তরভেদ ও প্রত্যেক স্তরের উদাহরণ

শরয়ি আমলগুলোর স্তরভেদ ও প্রত্যেক স্তরের উদাহরণ



শরয়ি আমলগুলোর স্তরভেদ ও প্রত্যেক স্তরের উদাহরণ

প্রশ্ন: ফরয (আবশ্যকীয়), মুস্তাহাব (আবশ্যকীয় নয়), মুবাহ (ঐচ্ছিক), মাকরুহ (অপছন্দনীয়) ও হারাম (নিষিদ্ধ)। আমি আশা করব, আপনারা আমাকে প্রত্যেক শ্রেণীর একটি করে উদাহরণ জানাবেন।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮

পেশাব করার পর নিজের পোশাকের পবিত্রতার ব্যাপারে সন্দেহ হচ্ছে

পেশাব করার পর নিজের পোশাকের পবিত্রতার ব্যাপারে সন্দেহ হচ্ছে




পেশাব করার পর নিজের পোশাকের পবিত্রতার ব্যাপারে সন্দেহ হচ্ছে

প্রশ্ন: আমি পড়াশুনার জন্য বিদেশে অবস্থানরত ছাত্র। আমি সারাদিন আমার কর্মস্থলে কাটিয়ে থাকি। যখন আমার পেশাব করার প্রয়োজন হয় তখন আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করি। সেটা এ কারণে যে, বসার স্থানে নাপাকি থাকতে পারে। তাছাড়া মানসিকভাবে আমি সেখানে বসাটাকে গ্রহণ করতে পারছি না। তবে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি যাতে করে পেশাবর ছিটা থেকে নিরাপদ থাকতে পারি। আমি পেশাব থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য টিস্যু পেপার ব্যবহার করি। (সতর্কতার সাথে) দাঁড়িয়ে পেশাব করার পরও পেশাবের বিন্দু বিন্দু যে ফোটা পায়জামাতে পড়ে থাকতে পারে সেটার হুকুম কি? এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া; আর ধারণা হওয়া দুই ক্ষেত্রের বিধান কি আলাদা? এক্ষেত্রে কি শুধু পানি ছিটিয়ে দেয়া যথেষ্ট; নাকি যে স্থানে পেশাবের ছিটা পড়েছে বলে ধারণা হয় সে স্থান মুছে ফেলতে হবে? এ সম্পর্কে বেশি বেশি প্রশ্ন করা কি ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ু?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

শিশুদের নাম রাখার আদবসমূহ

শিশুদের নাম রাখার আদবসমূহ




শিশুদের নাম রাখার আদবসমূহ

প্রশ্ন: আমি আমার ছেলের নাম রাখতে চাই। এ সংক্রান্ত ইসলামী আদবগুলো কি কি?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

যিনি তার মৃত পিতাকে ভালবাসেন এবং তাঁর প্রতি ইহসান করতে চান

যিনি তার মৃত পিতাকে ভালবাসেন এবং তাঁর প্রতি ইহসান করতে চান



যিনি তার মৃত পিতাকে ভালবাসেন এবং তাঁর প্রতি ইহসান করতে চান

প্রশ্ন: আমি আপনার কাছে এ প্রশ্নটি পাঠাচ্ছি ঠিক কিন্তু আমার পিতা (আল্লাহ্‌র তাঁকে দয়া করুন)-এর ব্যাপারে উদ্বিগ্নতা আমাকে তাড়িত করছে। আমার পিতা মারা গেছেন দুই বছর হল। বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের অধিকার আদায়ে তাঁর কসুর ছিল। যেমন- 
১. তিনি নিয়মিত ফরয নামায আদায় করতেন না। কখনও নামায পড়তেন। কখনও অলসতা করে নামায পড়তেন না। কিন্তু, নামাযের ফরযিয়তকে অস্বীকার করতেন না। 
২. তিনি খুব কম সময় রমযানের রোযা রাখতেন। তিনি যুক্তি দিতেন যে, তিনি অসুস্থ। তাকে হার্টের ঔষুধ খেতে হয়, তিনি দুর্বল রোযা রাখতে পারেন না। তিনি ধুমপায়ী ছিলেন। আমার ধারণা তিনি যেহেতু ধুমপান বাদ দিতে পারতেন না তাই নিয়মিত রোযা রাখতেন না। 
৩. দীর্ঘদিন আগে আমাদের একটি মুদি দোকান ছিল। আমার জানা মতে ও যতটুকু আমার স্মরণে আছে তিনি দোকানের পণ্য সামগ্রীর যাকাত আদায় করতেন না। আমাদের আর্থিক সংকট ছিল। ব্যবসাতে আমরা লাভবান হতে পারিনি। তাই পরবর্তীতে আমরা দোকানটি বিক্রি করে দিয়েছি। 
৪. কখনও তিনি হয়তো এমন পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন যা দিয়ে হজ্জ করতে পারতেন; কিন্তু তিনি হজ্জ আদায় করেননি। তিনি সব সময় আমাকে বলতেন: আমি হজ্জে যেতে চাই; কিন্তু পারছি না। কারণ তাঁর দুই চোখে জটিল সমস্যায় ভুগতেন। তাকে ভিড়, সূর্যের আলো ও ক্লান্তি এড়িয়ে চলতে হত। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর কিছু লোক তাঁর পক্ষ থেকে বদলি হজ্জ আদায় করেছেন। আমার মনে হয় আলাদা আলাদাভাবে তারা তিনজন। তারা কেউ তাঁর আত্মীয়-স্বজন নয়। 
আমি আমার বাবাকে অনেক ভালবাসি। যারাই বাবার সাথে পরিচিত হয়েছেন সবাই তাকে ভালবাসতেন। তাই আমি আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করি, বাবার প্রতি আমার সদাচরণ হিসেবে আমি এখন কী করতে পারি? আমি তাকে ভালবাসি। তার ব্যাপারে কবরের আযাব ও কিয়ামত দিবসের আযাবের আশংকা করছি।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮

আলেম কে?

আলেম কে?



আলেম কে?

প্রশ্ন: কার ক্ষেত্রে “আলেম” অভিধা ব্যবহার করা সঠিক? “ইসলাম শিক্ষা”-র শিক্ষকের ক্ষেত্রে কি এই অভিধা ব্যবহার করা ঠিক হবে? নাকি শুধুমাত্র বড় পর্যায়ের শাইখদের ক্ষেত্রে? কারণ এ ইস্যুটি আমাদের দেশ নাইজেরিয়াতে সালাফিদের পরিমণ্ডলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা থাকা কি আবশ্যকীয়

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা থাকা কি আবশ্যকীয়



স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা থাকা কি আবশ্যকীয়

প্রশ্ন: ইসলামে এমন কোন দলিল আছে কি যা স্বামী-স্ত্রীর একে অপরকে ভালোবাসা আবশ্যক করে? যদি উত্তর হয়: ভালোবাসা থাকা আবশ্যক, তাহলে একজন পুরুষ কিভাবে একাধিক নারীকে বিয়ে করতে পারে?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

প্রচণ্ড শীতের দিনে ফরজ গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা

প্রচণ্ড শীতের দিনে ফরজ গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা


প্রচণ্ড শীতের দিনে ফরজ গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা

প্রশ্ন: প্রচণ্ড শীতের দিনে গোসল ফরজ হলে আমি কি তায়াম্মুম করে নামায পড়তে পারি? উল্লেখ্য, যে সরঞ্জামাদি থাকলে আমি অবিলম্বে পবিত্র হতে পারি সেগুলো আমার কাছে নেই। তাছাড়া আমি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত; আমার পিঠ রোগগ্রস্ত, আমাকে সাংঘাতিক কষ্ট দিচ্ছে।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮

অলসতা করে নামায বর্জন করা

অলসতা করে নামায বর্জন করা



অলসতা করে নামায বর্জন করা

প্রশ্ন: আমি যদি অলসতা করে নামায না পড়ি আমি কি কাফের হিসেবে গণ্য হব? নাকি গুনাহগার মুসলমান হিসেবে গণ্য হব?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

ইমাম আহমাদ এর মতানুযায়ী, অলসতা করে নামায বর্জনকারী কাফের এবং এটাই অগ্রগণ্য মত। কুরআন, হাদিস, সফলে সালেহীন এর বাণী ও সঠিক কিয়াস এর দলিল এটাই প্রমাণ করে। [আল-শারহুল মুমতি আলা-যাদিল মুসতানকি (২/২৬)]