বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার



স্ত্রীর উপর স্বামীর অনস্বীকার্য অধিকার

স্ত্রীর উপর স্বামীরও অনস্বীকার্য অধিকার রয়েছেঃ-

প্রথম অধিকার হল বৈধ কর্মে ও আদেশে স্বামীর আনুগত্য। স্বামী সংসারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সংসার ও দাম্পত্য বিষয়ে তার আনুগত্য স্ত্রীর জন্য জরুরী। যেমন কোন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক, অফিসের ম্যানেজার বা ডিরেক্টর প্রভৃতির আনুগত্য অন্যান্য সকলকে করতে হয়।

স্ত্রী সাধারণতঃ স্বামীর চেয়ে বয়সে ছোট হয়। মাতৃলয়ে মা-বাপের (বৈধ বিষয়ে) আদেশ যেমন মেনে চলতে ছেলে-মেয়ে বাধ্য, তেমনি শবশুরালয়ে স্বামীর আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলাও স্ত্রীর প্রকৃতিগত আচরণ। তাছাড়া ধর্মেও রয়েছে স্বামীর জন্য অতিরিক্ত মর্যাদা। অতএব প্রেম, সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলতা বজায় রাখতে বড়কে নেতা মানতেই হয়। প্রত্যেক কোম্পানী ও উদ্যোগে পার্থিব এই নিয়মই অনুসরণীয়। অতএব স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে তা নারী-পরাধীনতা হবে কেন। তবে অন্যায় ও অবৈধ বিষয়ে অবশ্যই স্বামীর আনুগত্য অবৈধ। কারণ যাদেরকে আল্লাহ কর্তৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে অবৈধ ও অন্যায় কর্তৃত্ব দেননি। কেউই তার কর্তৃত্ব ও পদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে পারে না। তাছাড়া কর্তা হওয়ার অর্থ কেবলমাত্র শাসন চালানোই নয়; বরং দায়িত্বশীলতার বোঝা সুষ্ঠুভাবে বহন করাও কর্তার মহান কর্তব্য।

যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পতিব্রতা সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.
‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।[1]

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার



স্বামীর উপর স্ত্রীর অনস্বীকার্য অধিকার

স্বামীর উপর স্ত্রীর বহু অধিকার আছে, যা পালন করা স্বামীর পক্ষে ওয়াজেব। সেই সমস্ত অধিকার নিম্নরূপঃ- 

১- আর্থিক অধিকারঃ-

ক- স্বামী বিবাহ-বন্ধনের সময় বা পূর্বে যে মোহর স্ত্রীকে প্রদান করবে বলে অঙ্গীকার করেছে তা পূর্ণভাবে আদায় করা এবং তা হতে স্ত্রীকে বঞ্চিতা করার জন্য কোন প্রকার টাল-বাহানা না করা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً﴾
‘‘সুতরাং তাদেরকে তাদের ফরয মোহর অর্পণ কর।’’[6]

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু‘আ (দু‘আ-এ মাসূরাহ্‌)

সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু (দুআ-এ মাসূরাহ্‌) 



সালামের আগে শেষ তাশাহ্‌হুদের পরের দু (দুআ-এ মাসূরাহ্‌)

নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) নামাযে বহু প্রকার দুআ (প্রার্থনা) করতেন। এক এক সময়ে এক এক প্রকার দুআ তিনি পাঠ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতেন। সাহাবাগণকে ‘তাহিয়্যাত’ শিখানোর পর বলেছিলেন, “এরপর তোমাদের মধ্যে যার যা ইচ্ছা ও পছন্দ সেই দুআ বেছে নিয়ে দুআ করা উচিৎ।” (বুখারী ৮৩৫, মুসলিম, মিশকাত ৯০৯নং) অবশ্য সেই দুআ অপেক্ষা আর কোন্‌ দুআ অধিকতর পছন্দনীয় হতে পারে, যা তিনি নিজে পড়েছেন বা অপরকে শিখিয়েছেন? তাঁর ঐ সকল দুআকে ‘দুআয়ে মাসূরাহ্‌’ বলা হয়, যা নিম্নরুপ:-

এক:
اَللّهًمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَ مِنَ الْمَغْرَمِ।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল মা’সামি অ মিনাল মাগরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পাপ ও ঋণ হতে পানাহ চাচ্ছি। (বুখারী, মুসলিম, প্রভৃতি, মিশকাত ৯৩৯নং)

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ 



ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ 

এক:
أَسْتَغْفِرُ الله 
উচ্চারণ:- আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, 
অর্থ:- আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি (৩ বার) 

দুই:
اَللّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্‌কাস সালা-মু তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।
অর্থ:- হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কি ঘটেছিল কারবালায়? কারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুকে হত্যা করেছে?

কি ঘটেছিল কারবালায়? কারা হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুকে হত্যা করেছে?
(কারবালার ঘটনা সম্পর্কে একটি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ-যা অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিবে ইনশাআল্লাহ)


এই প্রবন্ধে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
১) ভূমিকা
২) কারবালার প্রান্তরে রাসূলের দৌহিত্র হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু নিহত হওয়ার প্রকৃত ঘটনা।
৩) ফুরাত নদীর পানি পান করা থেকে বিরত রাখার কিচ্ছা।
৪) কারবালার প্রান্তরে হুসাইনের সাথে আরও যারা নিহত হয়েছেন।
৫) কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত ধারণা ঠিক নয়।
৬) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বের হওয়া ন্যায়সংগত ছিল কি?
৭) কারবালার ঘটনাকে আমরা কিভাবে মূল্যায়ন করব?
৮) মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপ করার ক্ষেত্রে শিয়া মাজহাবের মতামত।
৯) আশুরার দিনে আমাদের করণীয় কী?
১০) শিয়াদের বর্ণনায় আশুরার রোযা।
১১) আশুরার দিনে মাতম করার ভিত্তি কোথায়?
১২) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যায় ইয়াযীদ কতটুকু দায়ী?
১৩) তাহলে কে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যা করল?
১৪) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যাকারী নির্ধারণে ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর অভিমত।
১৫) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর ভাষণই প্রমাণ করে যে ইয়াযীদ তাঁর হত্যার জন্য সরাসরি দায়ী নয়।
১৬) আলী ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা হুসাইনকে হত্যার জন্য কুফাবাসীদেরকে দায়ী করেছেন?
১৭) হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মাথা কোথায় গিয়েছিল?
১৮) যেমন কর্ম তেমন ফল।
 ১৯) ইয়াযীদ সম্পর্কে একজন মুসলিমের ধারণা কেমন হওয়া উচিত।
২০) উপসংহার।

আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়; সমস্যা



আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়; সমস্যা
আমার জীবনের প্রথম বন্ধু আবদুল মালেকঅবুঝ বয়সে ও আর আমি একসঙ্গে মাদরাসায় যেতাম। আমার আর ওর বাড়ি থেকে খাবার আনত ওর বড় ভাই। আমি যখন দুনিয়ার ভালো-মন্দ কিছুই বুঝতাম না, তখন ও অনেক কিছুই বুঝত। ও প্রায়ই মাদরাসা পালিয়ে বাড়িতে যেত। পড়াশুনার বাইরের জগতের প্রতিই ওর ছিল যত আগ্রহ। বছর পার না হতেই সে মাদরাসায় না পড়ার জন্য নানা বাহানা খুঁজতে লাগল। অবশ্য ওর বাবা ওকে মাদরাসায় পড়ানোর জন্য চেষ্টায় কসুর করেন নি। একদিন সে সত্যিই মাদরাসাকে বিদায় জানাল।