সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ

জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ



জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ

জাহান্নাম ধ্বংসের ঘর

বান্দার ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা অর্জন ও কৃতকার্য হওয়ার নিদর্শন হচ্ছে, তার অন্তকরণ আখেরাতের স্মরন, পরকালের ভাবনায় সঞ্জীবিত ও সিক্ত হয়ে যাওয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা তার নৈকট্য-প্রাপ্ত বান্দা তথা অলি-আউলিয়াদের প্রশংসা করে বলেন :
إِنَّا أَخْلَصْنَاهُمْ بِخَالِصَةٍ ذِكْرَى الدَّارِ ﴿ص:৪৬﴾
"আমি তাদেরকে এক বিশেষগুন তথা পরকালের স্মরণ দ্বারা স্বাতন্ত্র প্রদান করেছি।"[১] অর্থাৎ পরকালীন জীবনের সুখ-দুঃখের ভাবনা।

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪

আমাদের শেষ পরিণতি যেন ভাল হয়

আমাদের শেষ পরিণতি যেন ভাল হয়



আমাদের শেষ পরিণতি যেন ভাল হয়

শেষ পরিণতি বলতে যা বুঝায় তা হল, মানুষ মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা অপছন্দ করেন তা থেকে দূরে থাকবে, সকল পাপাচার থেকে তাওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তার আনুগত্যে আত্ননিয়োগ করবে ও সৎ কাজ করতে অগ্রণী হবে। এবং এ ভাল অবস্থায় তার ইন্তেকাল হবে। এমন হলেই বলা হবে তার শেষ পরিণতি ভাল হয়েছে। ভাল পরিনতি সম্পর্কে এ কথা হাদিসে এসেছে,
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : (إذا أراد الله بعبده خيرا استعمله) قالوا : كيف يستعمله؟ قال: (يوفقه لعمل صالح قبل موته) رواه أحمد(১২০৩৬)
সাহাবী আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : 'যখন আল্লাহ কোন মানুষের কল্যাণ করতে চান তখন তাকে সুযোগ করে দেন।" সাহাবাগন জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কিভাবে সুযোগ করে দেন ? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: 'মৃত্যুর পূর্বে তাকে সৎকাজ করার সামর্থ দান করেন।'[১]

বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা

 বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা



বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা

১.ভূমিকা

ঈমান হচ্ছে একজন মুসলিমের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাওহীদ ও একত্ববাদ হচ্ছে এই ঈমানের মূল ভিত্তি। আর শির্ক ও বিদআত হচ্ছে এই মূল ভিত্তি বিধ্বংসী। আমাদের  দেশে এই ভয়াবহ শির্ক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার বড় অভাব। সেজন্য সমগ্র সমাজে রয়েছে শির্কের ছড়াছড়ি। অনেক ক্ষেত্রে বিদআত বলে শির্ককে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়। এর কারণ হলো শির্ক ও বিদআত সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকা। মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশটিকে শির্ক ও বিদআত মুক্ত করার গুরু দায়িত্ব আমাদের সকলেরই। আর এ জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন শির্ক ও বিদআত সম্পর্কে অস্বচ্ছ ধারণা। সেই প্রেক্ষাপটে এখানে বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক ও বিদআত সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে।

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

আল্লাহর জন্য ভালোবাসা



আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

“আল্লাহর জন্য ভালোবাসা” সম্পর্কে জাহেলী যুগে মানুষের কোন ধারণা ছিল না। স্বাদেশিকতা বংশ সম্পর্ক বা অনুরূপ কিছু ছিল তাদের পরস্পর সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আল্লাহর বিশেষ দয়ায় ইসলামের আলো উদ্ভাসিত হল। পরস্পর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় উৎকর্ষতা আসল। ধর্মীয় সম্পর্ক সর্বোচ্চ ও সুমহান সম্পর্ক হিসেবে রূপ লাভ করল। এ-সম্পর্কের উপরেই প্রতিদান, পুরস্কার, ভালোবাসা ও ঘৃণা সাব্যস্ত হল। ইসলামের বিকাশের সাথে সাথে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ইত্যাদি পরিভাষা চালু হল।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা-এর অর্থ হচ্ছে, এক মুসলিম ভাই অপর মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণ ও আল্লাহর আনুগত্য কামনা করা। সম্পদের মোহ, বংশ বা স্থান ইত্যাদির কোন সংশ্লিষ্টতা এক অপরের সম্পর্কের ও ভালোবাসার মানদণ্ড হবে না।

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০১৪

ব্যভিচার হতে তওবা

ব্যভিচার হতে তওবা



ব্যভিচার হতে তওবা

প্রশ্ন: আমি জানি না আমার ঠিক কি করা উচিত? আমি বড় একটা গুনাহ করে ফেলেছি। আমি জানি, আমাদের সুন্দর ধর্মে “ধর্মগুরুর কাছে স্বীকারোক্তি” এ রকম কিছু নেই। কিন্তু আমি যেনা করে ফেলেছি। আমি আল্লাহর কাছে তওবা করতে চাই এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই। আমি সূরা নূরের মধ্যে পেয়েছি যে, আমার মত ব্যক্তি কোন পুতপবিত্রা নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। এখন আমার কী করা উচিত? আমি আশা করব আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাআলা আমার জন্য জাহান্নামের শাস্তি লাঘব করেন।

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

 এক:

আপনি আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হবেন না। আল্লাহ তাআলার এই বাণীটি অধ্যয়ন করুন: 
“বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”।[সূরা যুমার, আয়াত: ৫৩]

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪

আল-কুরআন ও তার সুমহান মর্যাদা

আল-কুরআন ও এর সুমহান মর্যাদা
সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে কোনো বক্রতা রাখেন নি। সরলরূপে; যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয় সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে। নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান, তারা তাতে অনন্তকাল অবস্থান করবে। আর যেন সতর্ক করে তাদেরকে যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়

ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়

ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। ঘুষ হচ্ছে স্বাভাবিক ও বৈধ উপায়ে যা কিছু পাওয়া যায় তার উপর অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত বেতন/ভাতা পাওয়া সত্ত্বেও যদি বাড়তি কিছু অবৈধ পন্থায় গ্রহণ করে তাহলে তা ঘুষ হিসাবে বিবেচিত। অনেক সময় স্বীয় অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঘুষ দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় টাকা-পয়সা ছাড়াও উপহারের নামে নানা সমগ্রী প্রদান করা হয়। সুতরাং যেভাবেই হোক, আর যে নামেই হোক তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي»
“ঘুষ প্রদানকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপরই আল্লাহর লা‘নত[1]।”

বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব

 বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব



বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব

সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা এবং বিদ‘আত থেকে সতর্ক থাকা ওয়াজিব

প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন, আমাদের উপর নেয়ামতকে সম্পূর্ণ করেছেন এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে আমাদের জন্য মনোনীত করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তার সেই বান্দা ও রাসূলের উপর যাকে প্রেরণ করা হয়েছে তাঁর রবের আনুগত্যের দিকে আহ্বানকারী এবং বাড়াবাড়ি, বিদআত ও পাপ থেকে সতর্ককারী হিসেবে। আল্লাহ তাঁর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন, সকল সাথীবর্গ এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর পথের অনুসারী ও তাঁর সুন্নাতের অনুসারীদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

স্ত্রীর সাথে সহবাসের দুয়া কোনটি? আর এক রাতে যতবার সহবাস করব ততো বারই কি পড়তে হবে?

 স্ত্রীর সাথে সহবাসের দুয়া কোনটি? আর এক রাতে যতবার সহবাস করব ততো বারই কি পড়তে হবে?



 স্ত্রীর সাথে সহবাসের দুয়া কোনটি? আর এক রাতে যতবার সহবাস করব ততো বারই কি পড়তে হবে?

প্রশ্ন: স্ত্রীর সাথে সহবাসের দুয়া কোনটি? আর এক রাতে যতবার সহবাস করব ততো বারই কি পড়তে হবে?

উত্তরঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমঃ

আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেনঃ 
তোমাদের কেউ যদি স্ত্রী সহবাসের সময় এই দুআ পড়েঃ 
باسْمِ اللَّهِ أَللَُّهُمَّ جَنِّبْنِي الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা। 
অর্থাৎ, আল্লাহুর নামে (মিলন) করছি, হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে যে সন্তান তুমি দান করবে তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখ। 
অতঃপর এ সহবাসের মাধ্যমে কোন সন্তান দেয়া হলে শয়তান কখনও তার কোন ক্ষতি করতে সক্ষম হবে না। (বুখারী)

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

তাওহীদ ও ঈমান (১ম পর্ব)

তাওহীদ ও ঈমান (১ম পর্ব)



তাওহীদ ও ঈমান (১ম পর্ব)

يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴿২১﴾ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ ﴿২২﴾ (سورة البقرة : ২১-২২)
হে মানব সকল! তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের ইবাদত কর যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, এতে তোমরা আল্লাহ ভীরু ও মুত্তাকী হতে পারবে। যিনি তোমাদের জন্যে ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্যে ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব তোমরা জেনে- শুনে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও সমকক্ষ করোনা। (সূরা বাকারা : ২১-২২)

১- তাওহীদ:

তাওহীদ হচ্ছে বান্দাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যে আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয়। রুবুবিয়্যাত (প্রভুত্ব), উলুহিয়্যাত (উপাস্যত্ব) এবং আসমা ও সিফাত (নির্ধারিত সত্ত্বাবাচক ও গুনবাচক নাম)-এর ক্ষেত্রে তাঁর কোন শরীক ও সমকক্ষ নেই।

তাওহীদ ও ঈমান (২য় পর্ব)

তাওহীদ ও ঈমান (২য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

তাওহীদ ও ঈমান (২য় পর্ব)

কিয়ামতের আলামত

 কিয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান:
কিয়ামত কখন সঙ্ঘঠিত হবে এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ ব্যতীত আর কারো জানা নেই। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
يَسْأَلُكَ النَّاسُ عَنِ السَّاعَةِ قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُونُ قَرِيبًا ﴿৬৩﴾ (الأحزاب: ৬৩)
লোকেরা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বল, এ বিষয়ের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে, আর তোমার কি জানা আছে, কিয়ামত হয়ত খুব নিকটে।[১]

তাওহীদ ও ঈমান (৩য় পর্ব)

তাওহীদ ও ঈমান (৩য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
 ২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

তাওহীদ ও ঈমান (৩য় পর্ব)

জাহান্নামের বিবরণ

জাহান্নাম হচ্ছে আযাবের আবাস যেটি মহান আল্লাহ তাআলা পরকালে কাফের, মুনাফেক এবং বদকার মুমিনদের জন্য তৈরী করেছেন।
এখানে আমরা আল্লাহ চাহেতো ধ্বংসের আবাস জাহান্নাম ও তার নানাবিধ শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করব। যাতে জাহান্নাম সম্পর্কে মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং তা থেকে বেঁচে থাকার তাড়না সৃষ্টি হয়। জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য অতি জরুরী হচ্ছে ঈমান ও সৎকর্ম সম্পাদন এবং শিরক সহ যাবতীয় অন্যায় অপরাধ পরিহার করণ। মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি হে আল্লাহ তুমি আমাদের জান্নাত দান কর এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান কর। জাহান্নাম সম্পর্কিত আমাদের আলোচনা কোরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত বিষয়াবলীর মাঝেই সীমিত থাকবে।

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০১৪

তাওহীদের বিশ্বাস

তাওহীদের বিশ্বাস



তাওহীদের বিশ্বাস

১ম অধ্যায়
তাওহীদ

১। আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেছেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
"আমি জিন এবং মানব জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।" (যারিয়াত . ৫৬)।
২। আল্লাহ তা'আলা আরো এরশাদ করেছেন,
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ (النحل: ৩৬)
"আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি। [তাঁর মাধ্যমে এ নির্দেশ দিয়েছি] তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, আর তাগুতকে বর্জন করো।" (নাহল: ৩৬)

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০১৪

সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা



সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত পর্যন্ত সঠিকভাবে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাদের প্রতি অধিক দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি তার বান্দাদের যে কোন উপায়ে ক্ষমা করতে ও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পছন্দ করেন।

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০১৪

তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি: আকীদার ব্যাপারে ৫০টি প্রশ্নোত্তর

তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি: আকীদার ব্যাপারে ৫০টি প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন-১: সেই তিনটি মূলনীতি কি যা জানা মানুষের উপর ফরয?
উত্তর: তা হল: কোনো বান্দা কর্তৃক তার রবকে, দ্বীনকে এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম)কে জানা।

প্রশ্ন-২: আপনার রব বা প্রভু কে?
উত্তর: আমার রব আল্লাহ যিনি আমাকে এবং নিখিল বিশ্বকে তার নেয়ামত দ্বারা লালন পালন করছেন, তিনিই একমাত্র আমার মাবুদ যিনি ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই।
এর প্রমাণ হল আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢ ﴾ [الفاتحة: ٢]
“সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব-জগতের রব্ব।”
আল্লাহ ব্যতীত যা কিছু রয়েছে তা হচ্ছে ‘আলাম বা সৃষ্টিকুল, আর সেই সৃষ্টিকুলের অন্তর্ভুক্ত একজন হচ্ছি আমি।

আমার জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন – একজন মুসলিম বোনের গল্প!

আমার জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন – একজন মুসলিম বোনের গল্প!



আমার জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন – একজন মুসলিম বোনের গল্প!

আজ আমি আপনাদের সাথে আমার হিজাব শুরু করার আগের ও পরের জীবনের কথা শুনাতে চাই। আমি ২০ বছর বয়সী একজন মুসলিম মেয়ে যার জন্ম আরব উপসাগরীয় এলাকায়-ইসলামের আদি জন্মভূমিতে।আমি বিশ্বাস করতাম হিজাব তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।যদিও আমার মা হিজাব পড়তেন, তিনি আমাকে বা আমার বোনকে তা পড়ার ব্যাপারে জোর করেন নি। তিনি মনে করতেন কাজটা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করা উচিত, নতুবা তার আওতার বাইরে চলে গেলেই আমরা হিজাব পড়া ছেড়ে দিব। আমি মনে করি ধারণাটা কিছু মাত্রায় সঠিক।

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (১ম পর্ব)

 অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (১ম পর্ব)



অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (১ম পর্ব)

লেখকের কথা
الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى اما بعد.
আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় ও রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর প্রতি শত কোটি দরূদ ও সালাম পাঠ করছি। আল্লাহ তাআলা পাঠকদের সঙ্গে এক ধরনের আত্মার বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন। সেই বন্ধনের টানে অযোগ্যতা ও শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি আমাকে ক্ষুদ্র উপঢৌকন দিয়ে পাঠকের আতিথেয়তার দুয়ারে উপস্থিত করেন। হয়ত পরম অতিথিপরায় আত্মীয় (পাঠকগণ) উপঢৌকনের ক্ষুদ্রতা ও স্বল্পমূল্যতা সত্ত্বেও আমাকে সাদরে বরণ করেন এবং তাদের উদার হৃদয়ে আমাকে স্থান দেন। পাঠকদের এই উদারতাই আমাকে বারবার লিখতে অনুপ্রাণিত করেসাহস যোগায় মনে। আল্লাহ তাআলার করুণা এবং পাঠকগণের উদারতায় আবার তাদের সামনে হাজির হলাম। এবারের আয়োজন আলেম-তালেবে ইলমদের জন্য। ইলমের ফযীলতআলেমের মর্যাদাপাঠ ও পঠন পদ্ধতিশিক্ষাগ্রহণ এবং শিক্ষাপ্রদানে নববী আদর্শউস্তাদ-শাগরেদদের সঙ্গে যাপিত আচরণইলম সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের সঙ্গে আচরণ ইত্যাদি বিষয় বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (২য় পর্ব)

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (২য় পর্ব)

২য় পরিচ্ছেদ:
ইলম অন্বেষণের বিভিন্ন ঘটনা

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

দু‘আ

দু‘



দু‘আ

আভিধানিক অর্থে দুআ :
দুআ শব্দের অর্থ আহ্বান, প্রার্থনা। শরীয়তের পরিভাষায় দুআ বলে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার রোধকল্পে মহান আল্লাহকে ডাকা এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। দুআ শব্দ পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়েছে। নিম্নে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হল।

১- ইবাদত :
মহান আল্লাহ বলেন :
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِين. (المؤمن : ৬০ )
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দিব, যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরে জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্চিত হয়ে।' (আল-মু'মিন-৬০)

স্ত্রী উপভোগের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?

স্ত্রী উপভোগের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?



স্ত্রী উপভোগের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?

প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হচ্ছে স্ত্রী তার স্বামীর সাথে থাকার পরে কখন তার উপর গোসল ফরজ হবে? গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- তারা সহবাসে লিপ্ত হয়নি। যা ঘটেছে সেটা হচ্ছে তারা হাত দিয়ে একে অপরকে উপভোগ করেছে। পরবর্তী দিনের রোজা শুরু করার আগে কি গোসল করা তাদের উপর ফরজ?

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

 নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত দুইটি বিষয়ের কোন একটি পাওয়া গেলে গোসল ফরজ হবে।

রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব

সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব


সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব

بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথম প্রবন্ধ
(সৌভাগ্যময় ঘর)

ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে ইসলামের পথে পরিচালিত করেছেন এবং আমাদেরকে তার অনুসারী বানিয়েছেন; আল্লাহ যদি আমাদেরকে হেদায়াত না করতেন, তাহলে আমরা হেদায়াত পেতাম না; আমি আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার প্রশংসা করছি এবং তাঁর নি‘য়ামতের ব্যাপারে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি; আর তাঁর নিকট তাঁর অনুগ্রহ ও করুনা বৃদ্ধির আবেদন করছি; আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, যিনি একক, যাঁর কোনো শরীক নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, যাঁকে তিনি হেদায়েত ও সত্য দীনসহ সুসংবাদ বাহক ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন; তিনি সত্যের দিকে আহ্বান করেছেন এবং কল্যাণের পথ প্রদর্শন করেছেন; আল্লাহ তাঁর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ ও কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যে ব্যক্তি তাঁর হেদায়েতের অনুসরণ করবে তার উপর রহমত, শান্তি ও বরকত বর্ষণ করুন।