বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০১৪

ব্যভিচার হতে তওবা

ব্যভিচার হতে তওবা



ব্যভিচার হতে তওবা

প্রশ্ন: আমি জানি না আমার ঠিক কি করা উচিত? আমি বড় একটা গুনাহ করে ফেলেছি। আমি জানি, আমাদের সুন্দর ধর্মে “ধর্মগুরুর কাছে স্বীকারোক্তি” এ রকম কিছু নেই। কিন্তু আমি যেনা করে ফেলেছি। আমি আল্লাহর কাছে তওবা করতে চাই এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই। আমি সূরা নূরের মধ্যে পেয়েছি যে, আমার মত ব্যক্তি কোন পুতপবিত্রা নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। এখন আমার কী করা উচিত? আমি আশা করব আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাআলা আমার জন্য জাহান্নামের শাস্তি লাঘব করেন।

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

 এক:

আপনি আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হবেন না। আল্লাহ তাআলার এই বাণীটি অধ্যয়ন করুন: 
“বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”।[সূরা যুমার, আয়াত: ৫৩]

 দুই:

আপনি নিষ্কলুষভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করুন। হারামের সকল পথ বন্ধ করে দিন। এই পাপে পুনরায় পতিত হওয়ার সকল উপায় উপকরণ কর্তন করুন। এছাড়া বেশি বেশি নেক কাজ করুন। কারণ নেককাজ বদকাজকে দূরীভূত করে দেয়।

 তিন:

আপনি যদি আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ তওবা করে নেন তখন “ব্যভিচারী” বিশেষণ হতে আপনি রেহাই পাবেন। সেক্ষেত্রে পুতপবিত্র নারীকে বিয়ে করা আপনার জন্য জায়েয হবে।

 চার:

আল্লাহর কাছে দোয়া করার ক্ষেত্রে মুমিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত। ‘আমার জন্য জাহান্নামের শাস্তি লাঘব করুন’ মুমিন এই দোয়া না করে বরং দোয়া করবে ‘হে আল্লাহ, আমাকে জাহান্নামের শাস্তি হতে নাজাত দিন। হে আল্লাহ, আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন’। সাথে সাথে মুমিন নেক আমল করে যাবে এবং বদ আমল হতে তওবা করে নিবে। 


সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব



আরও পড়ুনঃ প্রেম-ভালোবাসা
আরও পড়ুনঃ ব্যভিচা
আরও পড়ুনঃ তওবার বিবরণ
আরও পড়ুনঃ তাওবার ফজিলত

“প্রশ্নোত্তর” বিষয়ের উপর আরও পড়তে এইখানে ক্লিক করুন।
“ফতোওয়া” বিষয়ের উপর আরও পড়তে এইখানে ক্লিক করুন।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।

1 টি মন্তব্য: