মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০১৪

প্রতিবেশীর হক

প্রতিবেশীর হক


                                             
ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাপ পরিণতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ারও কেউ নাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।

খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় ইসলামী মূলনীতি

খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় ইসলামী মূলনীতি



খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় ইসলামী মূলনীতি 

ইসলাম ফিতরাত তথা প্রকৃতির ধর্ম। ইসলাম প্রকৃতিবান্ধব; প্রকৃতির অনুকূল সব কিছুই সমর্থন করে, যাবৎ না তা মানুষের ইহ বা পরকালীন ক্ষতির কারণ হয়। শরীরচর্চায় শরীরের উপকার আছে বলে ইসলাম বরাবরই একে উৎসাহিত করে। অলস অকর্মণ্য স্থানুদের ইসলাম পছন্দ করে না। খোদ মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন কর্মচঞ্চল, সজীব, প্রাণবন্ত বলিষ্ঠ ঈমানদারকে। দেখুন কুরআনেই এর প্রমাণ রয়েছে।

মূসা আলাইহিস সালামের ঘটনা আমরা জানি। তিনি  ফেরাউনের কবল ছেড়ে শু‘আইব আলাইহিস সালামের এলাকায় গেলেন। তাঁর দুই মেয়েকে পশুদের পানি পান করাতে সহযোগিতা করলেন। মেয়ে দুটি নবী মূসা আলাইহিস সালামের নৈতিক সততা ও শারীরিক শক্তিমত্তা উভয়ই খেয়াল করেছেন। আল্লাহর নবীর বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতী কন্যা হিসেবে তাই বাবার কাছে এসে তাদের একজন পিতাকে প্রস্তাব দিলেন- আল্লাহর ভাষায় :  
﴿ قَالَتۡ إِحۡدَىٰهُمَا يَٰٓأَبَتِ ٱسۡتَ‍ٔۡجِرۡهُۖ إِنَّ خَيۡرَ مَنِ ٱسۡتَ‍ٔۡجَرۡتَ ٱلۡقَوِيُّ ٱلۡأَمِينُ ٢٦ ﴾ [القصص: ٢٦]  
‘নারীদ্বয়ের একজন বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনি তাকে মজুর নিযুক্ত করুন। নিশ্চয় আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে সে উত্তম, যে শক্তিশালী বিশ্বস্ত।’ {সূরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৬} 

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

লাইলাতুল কদর: রমাদানের উপহার

লাইলাতুল কদর: রমাদানের উপহার



লাইলাতুল কদর: রমাদানের উপহার

সূরা কাদর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

১ নিশ্চয়ই আমি এটা অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে;
২ তুমি কি জান সেই মহিমান্বিত রজনীটি কি ?
৩ মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম।
৪ ঐ রাত্রিতে ফেরেশতাগণ ও (তাদের সর্দার) ‘রুহ’ অবতীর্ণ হর প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে।
৫ শান্তিই শান্তি, সেই রজনী ঊষার অভ্যুদয় পর্যন্ত।

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

ঈদুল ফিতর ও যাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান

ঈদুল ফিতর ও যাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান



ভূমিকা
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর।
তারপর,
আলেমগণ সবসময় শরীয়তের বিধানকে সহজ ও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসার ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান ছিলেন; যাতে তারা এর দ্বার উপকৃত হতে পারে। এর কিছু নমূনা হচ্ছে, দীর্ঘ কিতাবসমূহকে সংক্ষিপ্তকরণ, গ্রন্থসমূহে ছোট আকারে উপস্থাপন, এর দ্বারা যে এ সব গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়া সহজ হয়, পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ ও বিশেষ সবার মধ্যে প্রসার লাভ করে।
তাই ‘মুআসসাসাতু আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ’ তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চাইলো, যাতে করে শরীয়তের বিধানকে মানুষের দোর-গোড়ায় পৌঁছাতে পারে।
আর এ কারণে ‘ঈদুল ফিতর ও সাদাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান’ রচনা করেছে। এতে কোনো দলীল-প্রমাণ, আলেদের ভাষ্য কিংবা মাযহাবের মতামতের সৃদৃঢ়করণের কাজ করা হয় নি। শুধু মাসআলা ও বিধি-বিধান ও কারা তা বলেছে সেটাই নির্দেশ করা হয়েছে।
এটি এ বিষয়ে একটি বড় গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত অংশ, যা অচিরেই ‘আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ’ ওয়েবসাইটে আসবে ইনশাআল্লাহ। তখন পাঠকগণ মাযহাবের বিস্তারিত তথ্য, মুহাক্কিক আলেমদের ভাষ্য, প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতের দলীল, ইত্যাদি দেখতে পাবে। যা অত্যন্ত স্পষ্ট জ্ঞান-গর্ভ, গবেষণা নীতি অনুযায়ী হবে।
আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমরা যা জেনেছি তা দ্বারা আমাদের উপকৃত করুন আর যা আমাদের উপকৃত করবে তা যেন তিনি আমাদের জানান।

ইলমী বিভাগ, মুআসসাসাতু আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

রোযার ফযীলত ও শিক্ষা: আমাদের করণীয়

রোযার ফযীলত ও শিক্ষা: আমাদের করণীয়



 রোযার ফযীলত ও শিক্ষা: আমাদের করণীয়

রোযা ইসলামের অন্যতম ফরয ইবাদাত। ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের কল্যাণের জন্য রোযার বিধান চালু হয়েছে। ইসলাম হচ্ছে মুসলিমের পাঁচ স্তম্ভ বিশিষ্ট ঘর। রোযা হচ্ছে সেই ঘরের তৃতীয় স্তম্ভ।

রোযার পরিচয়
رمضان শব্দটি رمض শব্দ হতে নির্গত। এর অর্থ পুড়িয়ে ফেলা। রোযা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। রমযান গুনাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়। তাই এর নাম রমযান।
পরিভাষায় সুবহে সাদিক হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনসম্ভোগ হতে বিরত থাকার নাম রোযা।
রমযানের রোযা কেন ফরজ করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন:
 ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [البقرة: ١٨٣] 
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরয করা হয়েছিল। সম্ভবতঃ এর ফলে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে।’’(সূরা আল বাকারা: ১৮৩)

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০১৪

বদর যুদ্ধ

বদর যুদ্ধ


মদীনা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রায় ১৫০ কি:মি: দূরে অবস্থিত এই সেই ঐতিহাসিক বদর প্রান্তর

বদর যুদ্ধ

সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি শক্তিশালী সুদৃঢ়, পদানতকারী বিজয়ী কর্তৃত্বশীল, প্রকাশ্য সত্য, মৃদু কান্নার শব্দও যার শ্রবণ থেকে গোপন থাকে না, যার মহত্বের কাছে ক্ষমতাধর নরপতিরা হীন হয়ে গেছে। তিনি তাঁর প্রজ্ঞা অনুযায়ী ফয়সালা করেন, আর তিনি মহাবিচারক।
আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, তিনি পূর্বের ও পরের সবার ইলাহ। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, যাঁকে তিনি সকল সৃষ্টিকুল থেকে বেঁছে নিয়েছেন, বদর প্রান্তরে ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করেছেন।
আল্লাহ তাঁর উপর সালাত পেশ করুন, অনুরূপ তার পরিবার-পরিজন, সকল সাহাবী এবং কিয়ামত পর্যন্ত সুন্দরভাবে তাদের অনুসারীদের সবার উপর। আর তিনি তাদের উপর যথাযথ সালামও প্রদান করুন।

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান



রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নিজ দয়ায় সামনে অগ্রসরমান পাগুলোকে সাহায্য করেন, আপন করুণায় ধ্বংসপ্রায় জীবনগুলোকে উদ্ধার করেন এবং যাকে তিনি ইচ্ছা করেন তাকে সহজতর পথ জান্নাতের রাস্তাকে সহজ করে দেন, ফলে তাকে আখিরাতের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। আমি তাঁর স্তুতি গাই তাবৎ সুস্বাদ ও বিস্বাদ বিষয়ের জন্য।
আমি সাক্ষ্য প্রদান করি যে একমাত্র তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই; তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তিনি সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী; প্রতিটি অন্তরই (তাঁর সামনে) লাঞ্ছিত ও দুর্দশাগ্রস্ত। আর আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনে আপন রবের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন।