শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৩

তাক্বদীরঃ আল্লাহ্‌র এক গোপন রহস্য (২য় পর্ব)

তাক্বদীরঃ আল্লাহ্‌র এক গোপন রহস্য (২য় পর্ব)




১ম পর্ব | ২য় পর্ব

তাক্বদীর কেন্দ্রিক প্রচলিত কিছু ভুল-ভ্রান্তি

আমাদের সমাজে কতিপয় ভুল-ভ্রান্তি প্রচলিত আছে, যেগুলি তাক্বদীরে বিশ্বাসের পরিপন্থী এসব ভুল-ভ্রান্তি মানুষ কখনও কথায়, কখনও কাজে আবার কখনও বিশ্বাসে করে থাকে। তাক্বদীর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলাতে আমরা এ জাতীয় ২/১টি ভুল-ভ্রান্তির কথা উল্লেখ করেছি। নীচে প্রচলিত আরো এরূপ কতিপয় ভুল-ভ্রান্তি তুলে ধরা হলঃ

১. তাক্বদীর বিরোধী কথাবার্তা বলাঃ 
যেমন: বিপদাপদ এলে কেউ কেউ তাক্বদীরকে মেনে না নিতে পেরে বলে, হে আল্লাহ! আমি কি করেছি? অথবা বলে, আমি এমন ফলাফলের যোগ্য নই! অনুরূপভাবে কেউ কেউ কারো বিপদ এলে তার উদ্দেশ্যে বলে, বেচারার এমন বিপদ হল, অথচ সে এমন মুছীবতের যোগ্য নয়; তাক্বদীর তার প্রতি অবিচার করেছে!
এসব তাক্বদীর বিরোধী কথাবার্তা। সবকিছুতে যে আল্লাহ্‌র হিকমত রয়েছে, সে সম্পর্কে তার অজ্ঞতা থাকার কারণেই সে এমন কথাবার্তা বলে। কেননা আল্লাহ বান্দার কাছ থেকে যা নিয়েছেন বা তাকে যা দিয়েছেন, সবইতো একমাত্র তাঁরই। তাঁর প্রত্যেকটি কর্মে রয়েছে হিকমত এবং রহস্য, যা বান্দা জানে না। অতএব, এ জাতীয় বাক্য ব্যবহার বর্জন করতে হবে[161]

২. মুছীবত এলে ‘যদি’ শব্দ ব্যবহার করাঃ 
সম্পদ নষ্ট, শস্য-ফসলের ক্ষতি, সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হলে অথবা অন্য যে কোন বিপদাপদ এলে চিন্তিত, রাগান্বিত ও বিরক্ত হয়ে অনেকেই বলে, যদি আমি এমন করতাম, তাহলে এমনটি হত না অথবা, আমি যদি এমন করতাম, তাহলে এমন হত! আমি যদি সফর না করতাম, তাহলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতাম!
এ ধরনের বাক্য ব্যবহার মারাত্মক ভুল এবং ব্যক্তির অজ্ঞতার পরিচায়ক। কারণ মুছীবতে বান্দাকে ধৈর্য্যধারণ এবং তওবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এসব ক্ষেত্রে ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহার করলে বান্দার আফসোস এবং দুশ্চিন্তা বাড়া ছাড়া কমে না। তাছাড়া এতে তাক্বদীরের বিরোধিতার ভয়তো থেকেই যায়।[162]
সেকারণেই আল্লাহ মুনাফিক্বদেরকে ভর্ৎসনা করে তাদের এ ধরণের বাক্য তুলে ধরে বলেন,
 ﴿لَوْ كَانَ لَنَا مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ مَّا قُتِلْنَا هَاهُنَا [سورة آل عمران: 154]
‘আমাদের যদি কিছু করার থাকততাহলে আমরা এখানে নিহত হতাম না’ (আলে ইমরান ১৫৪)
﴿الَّذِينَ قَالُوا لِإِخْوَانِهِمْ وَقَعَدُوا لَوْ أَطَاعُونَا مَا قُتِلُوا [سورة آل عمران: 168]
‘তারা হলো সব লোকযারা (যুদ্ধে না যেয়ে) বসে থাকে এবং তাদের ভাইদের সম্বদ্ধে বলেযদি তারা আমাদের কথা শুনততবে নিহত হত না’ (আলে ইমরান ১৬৮) আল্লাহ তাদের এ জাতীয় কথার জবাব দিয়েছেন এভাবে,
﴿قُلْ فَادْرَءُوا عَنْ أَنفُسِكُمُ الْمَوْتَ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ [سورة آل عمران: 168]
‘তাদেরকে বলে দিনএবার তোমরা তোমাদের নিজেদের উপর থেকে মৃত্যুকে সরিয়ে দাওযদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’ (আলে ইমরান ১৬৮)
আমরা কোন কিছু অর্জনের যথারীতি প্রচেষ্টা চালানো সত্ত্বেও যদি তা অর্জন করতে না পারি, তাহলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রদর্শিত নীতিমালা মেনে চলতে হবে। তিনি বলেছেন, এমতাবস্থায় তোমাদের কেউ যেন না বলে, ‘আমি যদি এমন এমন করতাম’। বরং সে যেন বলে,
 «فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ قَدَرُ اللهُِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ»
‘এটিই আল্লাহ নির্ধারিত তাক্বদীর এবং তিনি যা চেয়েছেন, তা-ই হয়েছে। কেননা ‘যদি’ শয়তানের কাজের পথ খুলে দেয়’।[163]
হাদীছটিতে স্পষ্ট ঘোষণা করা হল যে, কোন কিছু ঘটে যাওয়ার পরে ‘যদি’ কোন ফায়দা দেয় না। সুতরাং তাক্বদীরের উপর খুশী থাকতে হবে এবং আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে এর প্রতিদানের প্রত্যাশী হতে হবে। সাথে সাথে ভবিষ্যতে আরো ভাল কিছু অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।[164]
তবে বিপদাপদ ছাড়াই কল্যাণকর কোন কিছুর আশা করে ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ আল্লাহ যদি আমাকে ধন-সম্পদ দিতেন, তাহলে তাঁর পথে অনেক ব্যয় করতাম। গতকাল যদি আমি ক্লাসে যেতাম, তাহলে অনেক উপকৃত হতাম।[165]

৩. তাক্বদীর বিরোধী কার্যকলাপ করাঃ 
যেমন: বিপদাপদ এলে সহ্য করতে না পেরে কাপড় ছেড়া, চুল ছেড়া, বুক চাপড়ানো, গালে আঘাত করা, বিলাপ করা, বদ দোআ করা, ধ্বংস কামনা করা ইত্যাদি। এগুলি সবই জাহেলী এবং তাক্বদীর বিরোধী কর্মকাণ্ড।[166]

৪. মৃত্যু কামনা করাঃ 
অনেকেই বালা-মুছীবতে ধৈর্য্যধারণ না করতে পেরে নিজের মৃত্যু কামনা করে। কিন্তু এটি মস্ত বড় ভুল, কোন মুমিনের জন্য মৃত্যু কামনা করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি মৃত্যু কামনা করেই, তাহলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশিত নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে কামনা করতে হবে[167]:
 «اللَّهُمَّ أَحْيِنِى مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِى وَتَوَفَّنِى إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِى»
‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনি ঐসময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন, যে পর্যন্ত আমার জন্য আমার যিন্দেগী কল্যাণকর হয়। আর আপনি আমাকে ঐ সময়ে মৃত্যু দান করুন, যখন মারা গেলে মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়’।[168]
আল্লামা আব্দুর রহমান সা‘দী[169] (রহেমাহুল্লাহ) উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, অসুস্থতা, দরিদ্রতা, ভয়-ভীতি ইত্যাদি বিপদাপদে মৃত্যু কামনা করতে হাদীছটিতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এরূপ মৃত্যু কামনার মধ্যে অনেকগুলি ক্ষতি রয়েছে। তন্মধ্যে: ক. বিপদাপদে বান্দাকে ধৈর্য্য ধরতে বলা হয়েছে; কিন্তু মৃত্যু কামনা করে সে এই নির্দেশের খেলাফ করে। খ. এমন মৃত্যু কামনা মানুষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। তাকে অলস ও নিস্তেজ করে ফেলে এবং তার হৃদয়ে হতাশার অনুপ্রবেশ ঘটায়। গ. মৃত্যু কামনা করা চরম বোকামী এবং অজ্ঞতা। কারণ সে জানে না যে, মৃত্যুর পরে তার কি হবে। হতে পারে, যে সমস্যা থেকে সে মুক্তি পেতে চাইছে, মৃত্যুর পরে তাকে তার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ইত্যাদি।[170]

৫. আত্মহত্যা করাঃ 
কেউ কেউ বিপদাপদ, দুঃখ-দুর্দশা ইত্যাদিতে জর্জরিত হয়ে জীবনের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার জন্য আত্মহত্যার মত জঘন্য পথ বেছে নেয়। কিন্তু এটি তাক্বদীর এবং আল্লাহ্‌র সিদ্ধান্তে আত্মসমর্পণের সম্পূর্ণ বিরোধী। মহান আল্লাহ এমন জঘন্য কর্মকে হারাম করেছেন এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তির জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে,
﴿وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا, وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ عُدْوَانًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا [سورة النساء: 29-30]
‘আর তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন এবং যুলমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবেতাকে অচিরেই আমরা জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব। আর ইহা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য’ (নিসা ২৯-৩০)।  ভেবে দেখুন, দুনিয়ার বালা-মুছীবত থেকে নিষ্কৃতির আশায় কোন মর্মন্তুদ শাস্তির দিকে সে পা বাড়ায়![171]

৬. কন্যা সন্তান জন্ম নিলে নারায হওয়াঃ 
মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কতিপয় মানুষ জাহেলী যুগের অজ্ঞ মানুষদের মত আচরণ করে। কন্যা সন্তান জন্ম নিলে মুখ কালো করে ফেলে। মেডিকেল-ক্লিনিকে গেলে আপনি এমন ভূরি ভূরি দৃশ্য দেখতে পাবেন। ছেলে হলে ডাক্তার-নার্সরাও খুব খুশী হয়ে খবরটি পরিবেশন করেন; কিন্তু মেয়ে হলে ব্যাপারটি ঘটে সম্পূর্ণ উল্টা। এটি সম্পূর্ণ তাক্বদীর বিরোধী এবং জাহেলী আচরণ মহান আল্লাহ জাহেলী যুগের এহেন আচরণের নিন্দা করে বলেন,
 ﴿وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِالْأُنثَىٰ ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ, يَتَوَارَىٰ مِنَ الْقَوْمِ مِن سُوءِ مَا بُشِّرَ بِهِ ۚ أَيُمْسِكُهُ عَلَىٰ هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُ فِي التُّرَابِ ۗ أَلَا سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ [سورة النحل: 58-59]
খন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখ কালো হয়ে যায় এবং সে অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে সে (বাঁচিয়ে) রাখবে নাকি তাকে মাটির নীচে পুতে ফেলবে। জেনে রেখোতাদের সিদ্ধান্ত খুবই নিকৃষ্ট’ (নাহ্‌ল ৫৮-৫৯)[172] এর আরো কিছু ক্ষতির দিক রয়েছে। যেমন: ক. এমন আচরণের অর্থ হল, আল্লাহ্‌র উপঢৌকন ফেরৎ দেওয়া; অথচ উচিৎ ছিল সাদরে এই উপহার গ্রহণ করা এবং আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করা। আল্লাহ্‌র ক্রোধের মুখোমুখি হওয়ার জন্য এই একটি পয়েন্টই যথেষ্ট। খ. এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারী জাতির মান-সম্মানে আঘাত করা হয়। গ. এমন আচরণের মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজের অজ্ঞতা, মূর্খতা, বোকামি এবং স্বল্প বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়। ঘ. এতে জাহেলী যুগের মানুষদের আচরণের সাথে সাদৃশ্যের বিষয়টিতো রয়েছেই।[173]
মানুষ জানে না, কিসে তার জন্য অধিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তাছাড়া মেয়েরাই হচ্ছে মা, বোন, স্ত্রী এবং তারাই সমাজের অর্ধেক। আর বাকী অর্ধেক হচ্ছে পুরুষ, কিন্তু তাদেরকে গর্ভে ধারণ করে মেয়েরাই। ফলে পুরো সমাজটাই যেন মেয়েদের সমাজ
তাদের মর্যাদা বর্ণনায় কুরআন এবং হাদীছে অনেক বক্তব্য এসেছে। আল্লাহ বলেন,
﴿يَهَبُ لِمَن يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاءُ الذُّكُورَ [سورة الشورى: 49]
‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র উপহার দে’ (শূরা ৪৯) এখানে আল্লাহ মেয়েদেরকে পুরুষদের আগে উল্লেখ করেছেন এবং উভয়কে উপহার হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
 «مَنِ ابْتُلِىَ مِنَ الْبَنَاتِ بِشَىْءٍ فَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ كُنَّ لَهُ سِتْرًا مِنَ النَّارِ»
‘যাকে কয়েকটি কন্যা সন্তান দিয়ে পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করে, ঐ ব্যক্তির জন্য তার কন্যারা জাহান্নাম থেকে প্রতিবন্ধক হয়’।[174]

৭. হিংসা করাঃ 
হিংসা একটি দূরারোগ্য ব্যাধি। খুব কম মানুষই এথেকে বেঁচে থাকতে পারে। সেজন্য বলা হয়,
 لاَ يَخْلُوْ جَسَدٌ مِنْ حَسَدٍ؛ وَلَكِنَّ اللَّئِيْمَ يُبْدِيْهِ، وَالْكَرِيْمَ يُخْفِيْهِ
‘কেউই হিংসা মুক্ত নয়। তবে হীন মনের মানুষ তা প্রকাশ করে; কিন্তু মহৎ ব্যক্তি তা গোপন রাখে।[175] হিংসুক কর্তৃক হিংসিত ব্যক্তির কল্যাণকর কোন কিছুর পতন কামনা অথবা হিংসুক কর্তৃক হিংসিত ব্যক্তির কল্যাণকর কোন কিছু প্রাপ্তিকে অপছন্দ করার নাম হিংসা।
হিংসা তাক্বদীর বিরোধী জঘণ্য আচরণ। কেননা হিংসুক আল্লাহ্‌র সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়। সে যেন বলতে চায়, অমুক যোগ্য নয়, তদুপরি তাকে দেওয়া হল! অমুক পাবার যোগ্য, অথচ তাকে মাহরূম করা হল! ভাবখানা এরূপ যে, হিংসুক তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করে আল্লাহকে পরামর্শ দিচ্ছে! সে এমন আচরণের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র ফায়ছালার দুর্নাম করে!
অতএব সর্বপ্রকার হিংসা বর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ্‌র সবকিছুতে প্রভূত কল্যাণ এবং হিকমত রয়েছে।[176]

৮. আল্লাহ্‌র উপর কসম করাঃ 
যেমন: কেউ কারো সম্পর্কে বলল, আল্লাহ্‌র কসম! আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করবেন না। আমাদের সমাজে এমনটি অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়। এমনকি ভাল মানুষ কর্তৃকও কখনও কখনও এমন ঘটনা ঘটে। ধরা যাক, কেউ কাউকে ভাল কাজের দা‘ওয়াত দিল, কিন্তু সে তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পাপকাজে নিমজ্জিত থাকল। এমতাবস্থায় এই দাঈ নিরাশ হয়ে তাকে উপদেশ দেওয়া ছেড়ে দেয়; বরং হয়তোবা তার উদ্দেশ্যে বলে, আল্লাহ্‌র কসম! কস্মিনকালেও আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবে না।
মনে রাখতে হবে, এ ধরণের বাক্যের ব্যবহার খুবই ভয়াবহ। ইহা একদিকে যেমন আমল বিনষ্ট হওয়ার কারণ, অন্যদিকে তেমনি তাক্বদীর বিরোধী। কেননা হেদায়াত আল্লাহ্‌র হাতে। তাছাড়া মানুষের শেষ ভাল হবে কি মন্দ হবে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। এমন বাক্য ব্যবহারকারীকে কে বলেছে যে, আল্লাহ ঐ পাপীকে ক্ষমা করবেন না? আল্লাহ্‌র রহমত আটকানোর অপচেষ্টা করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে?!
হাদীছে এসেছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
 «أَنَّ رَجُلاً قَالَ وَاللَّهِ لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لِفُلاَنٍ وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ مَنْ ذَا الَّذِى يَتَأَلَّى عَلَىَّ أَنْ لاَ أَغْفِرَ لِفُلاَنٍ فَإِنِّى قَدْ غَفَرْتُ لِفُلاَنٍ وَأَحْبَطْتُ عَمَلَكَ»
‘এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহ্‌র কসম! আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করবেন না। তখন আল্লাহ বললেন, আমার উপর কসম করে কে বলে যে, আমি অমুককে ক্ষমা করব না? (সে জেনে রাখুক!) আমি অমুককে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু তোমার আমল নষ্ট করে দিয়েছি’।[177]

তাক্বদীর বিষয়ে একজন মুমিনের করণীয়ঃ

বান্দাকে তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনতে হবে এবং শরীআতের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। বান্দা সৎকর্ম করলে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করবে। আর অন্যায় কিছু করে ফেললে আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কারণ আমাদের আদি পিতা আদম (আলাইহিস্‌সালাম) পাপ করে আল্লাহ্‌র নিকট তওবা করেছিলেন। ফলে আল্লাহ তাঁর তওবা কবূল করেছিলেন এবং তাঁকে নবী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। পক্ষান্তরে ইবলীস পাপকে আঁকড়ে ধরে ছিল। ফলে আল্লাহ তাকে অভিশাপ করেছেন এবং তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। অতএব যে পাপ করে তওবা করবে, সে প্রকৃত মানুষ হিসাবে পরিগণিত হবে। কিন্তু যে পাপ করে তাক্বদীরের দোহাই দিবে, সে ইবলীসী কর্মকাণ্ডের ধ্বজাধারী হবে। সৌভাগ্যবান সে-ই, যে তার পিতার অনুসরণ করবে। আর দুর্ভাগা সে-ই, যে তার শত্রু ইবলীসের অনুসরণ করবে।[178]
একজন মুমিনকে তাক্বদীরের চারটি স্তরের উপর বিশ্বাস করতে হবে। সে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে, আল্লাহ্‌র জ্ঞান, লিখন, ইচ্ছা এবং সৃষ্টির বাইরে কোন কিছুই ঘটে না। সে আরো বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহ তাকে তাঁর অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। ফলে সে সৎকাজ করে যাবে এবং পাপাচার বর্জন করে চলবে। আল্লাহ তাকে সৎকাজ করার এবং অসৎকাজ বর্জন করার তওফীক্ব দিলে সে আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করবে। পক্ষান্তরে সৎকাজ সম্পাদন এবং অসৎকাজ বর্জনের তওফীক্বপ্রাপ্ত না হলে আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা এবং তওবা করবে।
ইহলৌকিক সুযোগ-সুবিধা অর্জনেও বান্দাকে প্রচেষ্টা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সঠিক এবং বৈধ পন্থা অবলম্বন করতে হবে। সে তার কাঙ্খিত বস্তুটি অর্জন করতে পারলে আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করবে। আর না পারলে তাক্বদীরের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে সাথে সাথে তাকে বিশ্বাস করতে হবে, তাক্বদীরে যদি লেখা থাকে, সে সঠিক কিছু করবে, তাহলে তা কখনই ভুল হওয়ার নয়। পক্ষান্তরে তাক্বদীরে যদি লেখা থাকে, সে ভুল করবে, তাহলে তা কখনই সঠিক হওয়ার নয়
মনে রাখতে হবে, তাক্বদীরের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্রতিটি বিষয়ে জ্ঞান রাখা সবার জন্য যরূরী নয়। সংক্ষিপ্তাকারে মৌলিক বিষয়গুলি জেনে নিলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।[179]

তাক্বদীর সম্পর্কে সালাফে ছালেহীনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বাণীঃ

আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, একদিন তাঁর সামনে তাক্বদীরের কথা বলা হলে তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় তাঁর মুখের মধ্যে প্রবেশ করালেন। অতঃপর ঐ আঙ্গুলদ্বয় দ্বারা হাতের তালুতে দু’টি দাগ দিলেন এবং বললেন,
«أَشْهَدُ أَنَّ هَاتَيْنِ الرَّقْمَتَيْنِ كَانَتَا فِي أُمِّ الْكِتَابِ»
‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এই দাগ দু’টিও আল্লাহ্‌র তাক্বদীরের মূল কিতাব তথা লাওহে মাহফূযে লেখা ছিল’।[180]
* আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
«لاَ واَللهِ لاَ يَطْعَمُ رَجُلٌ طَعْمَ الْاِيْمَانِ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ»
‘আল্লাহ্‌র কসম! তাক্বদীরের প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কেউ ঈমানের স্বাদ পাবে না’।[181]
* আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,
«الْعَجْزُ وَالْكَيْسُ مِنَ الْقَدَرِ»
‘অপারগতা এবং বিচক্ষণতা তাক্বদীরেরই অংশ’।[182]
* ত্বাঊস (রহেমাহুল্লাহ) বলেন, আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর তিনশ’ ছাহাবীকে পেয়েছি, তাঁরা সকলেই বলেন,
 «كُلُّ شَيْءٍ بِقَدَرٍ»
‘সবকিছু তাক্বদীর অনুযায়ীই হয়’।[183]
* ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
«مَا غَلاَ أَحَدٌ فِي الْقَدَرِ إِلاَّ خَرَجَ مِنَ الإِسْلَامِ»
‘তাক্বদীর নিয়ে যে-ই বাড়াবাড়ি করেছে, সে-ই ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে’।[184]
* তিনি আরো বলেন,
«لَيْسَ قَوْمٌ أَبْغَضَ إَلَى اللهِ مِنَ الْقَدَرِيَّةِ»
‘আল্লাহ্‌র নিকট ক্বাদারিইয়াদের চেয়ে ঘৃণিত আর কোন সম্প্রদায় নেই’।[185]
* একদা ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) কে বলা হয়েছিল, একদল লোক বলে যে, তাক্বদীর বলতে কিছু নেই। তখন তিনি বলেছিলেন,
«أُولَئِكَ الْقَدَرِيُّونَ. أُولَئِكَ مَجُوسُ هَذِهِ الْأُمَّةِ»
ওরাই হল ক্বাদারিইয়াহ সম্প্রদায়, ওরাই এই উম্মতের মাজূসী বা অগ্নিউপাসক’।[186]
* হাসান বাছরী (রহেমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাক্বদীরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, সে কাফের হয়ে যাবে’।[187]
* ইমামু আহলিস্‌ সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ ইমাম আহমাদ (রহেমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ক্বাদারিইয়াহ, মুতাযিলাহ এবং জাহ্‌মিইয়াদের পেছনে ছালাত আদায় করা যাবে না’।[188]

তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপনের কতিপয় উপকারিতা

১. তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করলে ঈমান পূর্ণতা পায়।
২. তাক্বদীরের প্রতি ঈমান না আনলে ‘রুবূবিইয়াত’ বা প্রতিপালনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করার বিষয়টি পূর্ণতা পায় না। কেননা তাক্বদীর আল্লাহ্‌র কর্মসমূহের অন্যতম।
৩. তাক্বদীরে বিশ্বাস করলে বান্দা তার বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্টে আল্লাহ্‌র শরণাপন্ন হতে পারবে। পক্ষান্তরে কল্যাণকর কিছু ঘটলে সে তা আল্লাহ্‌র দিকে সম্বন্ধিত করতে শিখবে এবং সে জানবে যে, তার প্রতি আল্লাহ্‌র অশেষ অনুগ্রহেই এটি সম্ভব হয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
«عَجَبًا لأَمْرِ الْمُؤْمِنِ إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ وَلَيْسَ ذَاكَ لأَحَدٍ إِلاَّ لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ»
মুমিনের বিষয়টি অনেক মজার, তার সবকিছুই কল্যাণকর; মুমিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে এমনটি হয় না। কারণ খুশীর কিছু ঘটলে সে আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করে। ফলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। পক্ষান্তরে কষ্টের কিছু ঘটলে সে ধৈর্য্যধারণ করে। ফলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়’[189]
৪. তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করলে বান্দা যে কোন বিপদাপদকে হালকা মনে করতে শিখবে। কারণ যখন সে জানবে যে, তার বিপদাপদ আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকেই আসে, তখন তা তার কাছে কিছুই মনে হবে না। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ [سورة التغابن: 11]
‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করেতিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন’ (তাগাবুন ১১) আলক্বামা (রহেমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে ঐ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যার বিপদাপদ আসলে সে বিশ্বাস করে যে, তা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকেই হয়েছে। ফলে সে তাতে সন্তুষ্ট থাকে এবং তাকে অকপটে গ্রহণ করে নেয়[190]
৫. তাক্বদীরের মাধ্যমে মানুষ তাকে প্রদত্ত নেমতসমূহকে সেগুলির প্রকৃত দাতার দিকে সম্বন্ধিত করতে পারবে। কেননা আপনি তাক্বদীরের প্রতি ঈমান না আনলে উক্ত নেমতের সাথে প্রকাশ্যে জড়িত কোন ব্যক্তির দিকে সেগুলির সম্বন্ধ করবেন। সেজন্য অনেক মানুষকে রাজা-বাদশা, মন্ত্রী-এমপিদের তোষামোদ করতে দেখা যায়। অতঃপর তাঁদের কাছ থেকে কিছু অর্জন করতে পারলে উহাকে তাঁদের দিকেই সম্বন্ধিত করে এবং সৃষ্টি কর্তার অনুগ্রহের কথা ভুলে যায়। অবশ্য একথা ঠিক যে, মানুষের কৃতজ্ঞতাও আদায় করতে হবে।[191]
৬. তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করলে সুখে-দুঃখে সর্বদা সঠিক পথের উপরে টিকে থাকা সম্ভব হবে। ভাল কিছু পেলে সে আনন্দে আত্মহারা হবে না। পক্ষান্তরে বালা-মুছীবত তাকে আশাহত করতে পারবে না। সে জানবে, তার জীবনে কল্যাণকর যা কিছুই অর্জিত হয়, সবই আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকেই হয়; তার বিচক্ষণতা এবং কর্মের পারদর্শিতার বিনিময়ে নয়। মহান আল্লাহ বলেন,
 ﴿وَمَا بِكُم مِّن نِّعْمَةٍ فَمِنَ اللَّهِ [سورة النحل: 53]
‘তোমাদের নিকট যে সমস্ত নেমত আসেতা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকেই আসে’ (নাহ্‌ল ৫৩)
পক্ষান্তরে বিপদাপদ এলে সে জানবে, এটিই তার তাক্বদীরে লিপিবদ্ধ ছিল এবং তা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে পরীক্ষা। ফলে সে ধৈর্য্যহারা হবে না, আশাহত হবে না; বরং সে ধৈর্য্যধারণ করবে এবং আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে ছওয়াবের প্রত্যাশী হবে।[192]
বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ, ‘রাসূল’ নামক গ্রন্থের লেখক বোডলি (BODLEY) বলেন, ‘আমি মরুর আরবদের কাছ থেকে দুশ্চিন্তাকে পরাজিত করতে শিখেছি। কারণ মুসলিম হিসাবে তাক্বদীরের প্রতি তাদের ঈমান অটুট। আর এই ঈমান তাদেরকে যেমন নিরাপদে জীবন যাপন করতে সহযোগিতা করেছে, তেমনি তা তাদেরকে সহজ এবং সাবলীল জীবন যাপন করতে শিখিয়েছে। সেজন্য কোন বিষয়ে তারা তাড়াহুড়াও করে না; দুশ্চিন্তাগ্রস্তও হয় না। কেননা তারা বিশ্বাস করে, তাক্বদীরে যা লেখা আছে, তা হবেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকে...আমার আরব মরুভূমি ছেড়ে আসা ১৭ বছর হয়ে গেল, কিন্তু আজও আল্লাহ নির্ধারিত তাক্বদীরের ক্ষেত্রে আমি আরবদের সেই পরিচিত অবস্থান গ্রহণ করি। ফলে যেকোন বিপদাপদকে আমি ঠাণ্ডা মাথায় বরণ করে নিতে পারি। আরবদের কাছ থেকে শেখা এই স্বভাব আমার স্নায়ুবিক চাপ নিয়ন্ত্রণে উপশমকারী নানা ট্যাবলেট-ক্যাপসুলের চেয়ে বহুগুণ বেশী সফল হয়েছে[193]
৭. তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনলে পরকালের সুখ-শান্তির জন্য বান্দা সর্বাত্মক চেষ্টা করতে সক্ষম হবে; ব্যর্থতা আর হতাশা তাকে গ্রাস করতে পারবে না।[194]
৮. তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনয়ন হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা, জালিয়াতি প্রবণতাসহ অনেক মনের ব্যাধির চিকিৎসা হিসাবে কাজ করে। কেননা সে তার কোন ভাইকে নেমতের মধ্যে দেখলে, নিশ্চিত জানবে যে, আল্লাহই তাকে এই নেমত দান করেছেন। ফলে হিংসার পরিবর্তে সে তার মুসলিম ভাইয়ের নেমতে খুশী হবে এবং আল্লাহ্‌র কাছে নিজের জন্য অনুরূপ নেমত প্রাপ্তির প্রার্থনা করবে। আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান না আনলে মনের এজাতীয় ব্যাধির চিকিৎসা সম্ভব নয়।[195]
মহান আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং তদনুযায়ী সার্বিক জীবন পরিচালনার তাওফীক্ব দিন। আমীন!



সূচীপত্র

বিষয়
পৃষ্ঠা
ভূমিকা

তাক্বদীর নিয়ে আলোচনা করা কি নিষেধ?

তাক্বদীরের অর্থ

তাক্বদীরে বিশ্বাসের অপরিহার্যতাঃ

তাক্বদীরের স্তরসমূহ
প্রথম স্তর: সবকিছু সম্পর্কে আল্লাহ্‌র চিরন্তন জ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনঃ
দ্বিতীয় স্তর: আল্লাহ তাঁর চিরন্তন জ্ঞান অনুযায়ী লাউহে মাহ্‌ফূযে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে তার সবই লিখে রেখেছেন এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা
তৃতীয় স্তরঃ আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছুই হয় না একথার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করা
চতুর্থ স্তরঃ আল্লাহ্‌র রাজ্যের সবকিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন একথার প্রতি ঈমান আনা:

তাক্বদীরে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিঃ
* বিভ্রান্তির কারণঃ
* কে সর্বপ্রথম তাক্বদীরকে অস্বীকার করে?
* তাক্বদীরের ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত ফের্কাসমূহঃ
১. ক্বাদারিইয়াহঃ
২. জাবরিইয়াহঃ
* ক্বাদারিইয়াদের কতিপয় দলীল এবং তার জবাবঃ
* জাবরিইয়াদের কতিপয় দলীল এবং তার জবাবঃ

তাক্বদীর সম্পর্কে আহলুস্‌ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদাঃ

আহলুস্‌ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের নিকট আল্লাহ্‌র ‘ইরাদাহ’ (إرادة) বা ‘ইচ্ছা’-এর পরিচয়ঃ
* ইরাদাহ কাউনিইয়াহ এবং ইরাদাহ শারঈয়াহ-এর মধ্যে পারস্পরিক সম্মিলন এবং বিচ্ছিন্নতার অবস্থাসমূহ
* ইরাদাহ কাউনিইয়াহ এবং ইরাদাহ শারঈয়াহ-এর মধ্যে পার্থক্যঃ

তাক্বদীর সম্পর্কিত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাঃ
এক. আল্লাহ কর্তৃক মন্দ ও অকল্যাণ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?
দুই. মন্দ কোন কিছু আল্লাহ্‌র দিকে সম্বন্ধিত করা যাবে কি?
তিন. পাপ কাজ করে তাক্বদীরের দোহাই দেওয়ার বিধান কি?
চার. মানুষ কি বাধ্যগত জীব নাকি তার নিজস্ব ইচ্ছাশক্তি রয়েছে?
পাঁচ. পথপ্রদর্শন এবং পথভ্রষ্টকরণ কি একমাত্র আল্লাহ্‌র হাতে?
ছয়. ঝুলন্ত (معلق) এবং অনড় (مثبت أو مبرم) তাক্বদীর প্রসঙ্গ:
সাত. তাক্বদীরের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা কি যরূরী?

তাক্বদীর কেন্দ্রিক প্রচলিত কিছু ভুল-ভ্রান্তি
১. তাক্বদীর বিরোধী কথাবার্তা বলাঃ
২. মুছীবত এলে ‘যদি’ শব্দ ব্যবহার করা
৩. তাক্বদীর বিরোধী কার্যকলাপ করা
৪. মৃত্যু কামনা করা
৫. আত্মহত্যা করা
৬. কণ্যা সন্তান জন্ম নিলে নারায হওয়াঃ
৭. হিংসা করা
৮. আল্লাহ্‌র উপর কসম করা

তাক্বদীর বিষয়ে একজন মুমিনের করণীয়ঃ

তাক্বদীর সম্পর্কে সালাফে ছালেহীনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বাণীঃ

তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপনের কতিপয় উপকারিতাঃ

সূচীপত্র




[1]. দিওয়ানু আনতারা ইবনে শাদ্দাদ, (বৈরূত: মাত্ববা‘আতুল আদাব, প্রকাশকাল: ১৮৯৩ ইং)পৃ: ৯২
[2]ছহীহ মুসলিম, ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘ঈমান, ইসলাম ও ইহ্‌সানের বিবরণ এবং তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনা অপরিহার্য’ অনুচ্ছেদ (রিয়ায: বায়তুল আফকার আদ-দাওলিইয়াহ, প্রকাশকাল: ১৯৯৭ইং), হা/৮
[3]. ত্ববারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, তাহক্বীক: হামদী আব্দুল মাজীদ সিলাফী (কায়রো: মাকতাবাতু ইবনে তায়মিইয়াহ, তা.বি.),  ১০/২৪৩, হা/১০৪৪৮; শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন (সিলসিলাহ ছহীহাহ, ১/৭৫, হা/৩৪)।
[4].  জামে‘ তিরমিযী, ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘তাক্বদীর নিয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া থেকে কঠোরতা’ অনুচ্ছেদ (রিয়ায: মাকতাবাতুল মা‘আরেফ, প্রথম প্রকাশ: তা. বি.), হা/২১২৩; শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন
[5] মোল্লা আলী ক্বারী, মিরক্বাতুল মাফাতীহ শারহু মিশকাতিল মাছাবীহ, তাহক্বীক্ব: জামাল আয়তানী, ১/২৭৭, হা/৯৮, ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনা’ অনুচ্ছেদ, (বৈরূত: দারুল কুতুবিল ইলমিইয়াহ, প্রথম প্রকাশ: ২০০১ইং)।
[6].  ড. আব্দুর রহমান ইবনে ছালেহ আল-মাহমূদ, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার ফী যউয়িল কিতাবি ওয়াস্‌-সুন্নাহ ওয়া মাযাহিবিন্‌-নাস ফীহি, (রিয়ায: দারুল ওয়াত্বান, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৯৭ইং), পৃ: ২৪-২৭; মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আল-হামাদ, আল-ঈমানু বিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার, (রিয়ায: দারু ইবনে খুযায়মা, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৯৮ইং), পৃ: ১১-১৫
[7].  শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান, জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত-ত্বহাবিইয়াহ (কায়রো: দারু ইবনিল জাওযী, প্রথম প্রকাশ: ২০০৬ইং), ২/৫৩০ ও ৫৪৩ 
[8].  ইবনে ফারেস, মুজমালুল্লাগাহ, (কুয়েত: আল-মুনায্‌যামাহ আল-আরাবিইয়াহ লিত-তারবিইয়াহ, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৫ইং), ৪/১৪৭
[9].  ইবনে ফারেস, মু‘জামু মাক্বায়ীসিল্লুগাহ, (বৈরূত: দারুল ফিকর, প্রকাশকাল: ১৯৭৯ইং), ৫/৬২
[10].  ইবনে মানযূর, লিসানুল আরাব, (কায়রো: দারুল মা‘আরেফ, তা. বি.), ৫/৩৫৪৫
[11].  ছালেহ ইবনে আব্দুল আযীয ইবনে মুহাম্মাদ আলুশ্‌-শায়খ, জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, (কায়রো: দারু ইবনিল জাউযী, প্রথম প্রকাশ: ২০০৬ ইং), ১/৫৩৩
[12].  তাফসীর ইবনে কাছীর, (রিয়ায: দারু ত্বায়বাহ, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৯৯ইং), ৭/৪৮২
[13]. প্রাগুক্ত, ৬/৪২৭
[14]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮, ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘ঈমান, ইসলাম ও ইহসানের বর্ণনা, তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না, তার সাথে সম্পর্কহীনতা ঘোষণা’ অনুচ্ছেদ।
[15].  ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৩
[16].  ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৫।
[17]. মুসনাদে আহমাদ, ১১/৩০৫, হা/৬৭০৩, তাহক্বীক্ব: শু‘আইব আরনাঊত্ব, আদেল মুরশিদ প্রমুখ (বৈরূত: মুআস্‌সাসাতুর্‌ রিসালাহ, প্রথম প্রকাশ: ২০০১ইং), মুসনাদের মুহাক্কিক্বগণ বলেন, হাদীছটি ‘হাসান’
[18]. ইমাম নববী, আল-মিনহাজ শারহু ছহীহি মুসলিম ইবনিল হাজ্জাজ, (বৈরূত: দারু এহ্‌ইয়াউত্‌ তুরাছিল আরাবী, দ্বিতীয় প্রকাশ ১৩৯২হিঃ), ১/১৫৫; ইবনে তায়মিইয়াহ (রহেমাহুল্লাহ), মাজমূউ ফাতাওয়া, (মদীনাঃ বাদশাহ ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স, প্রকাশকাল: ২০০৪ইং), ৮/৪৬৬; ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী, (প্রিন্স সুলতান ইবনে আব্দুল আযীয (রহেমাহুল্লাহ)-এর অর্থায়নে মুদ্রিত, রিয়ায: প্রথম প্রকাশ: ২০০১ইং), ১১/৪৭৮।
[19]. দেখুন: ড. ওমর সুলায়মান আশক্বার, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার, (কুয়েত: মাকতাবাতুল ফালাহ, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৯০ইং), পৃ: ২৯-৩৬; আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৫৯ ইত্যাদি।
[20].  আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৫৯।
[21]. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহেমাহুল্লাহ), শিফাউল আলীল ফী মাসাইলিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার ওয়াল হিকমাতি ওয়াত্‌-তা‘লীল, (বৈরূতঃ দারুল কুতুবিল ইলমিইয়াহ, তৃতীয় প্রকাশ: তা.বি), পৃ: ৫৫
[22].  ফালাহ ইবনে ইসমাঈল, আল-ই‘তিক্বাদুল ওয়াজিব নাহ্‌ওয়াল ক্বাদার/৯।
[23].  মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৩/১৪৮
[24]. ইমাম দারেমী, আর-রাদ্দু আলাল-জাহমিইয়াহ, তাহক্বীক্ব: বদর ইবনে আব্দুল্লাহ আল-বাদ্‌র (কুয়েত: আদ-দারুস সালাফিইয়াহ, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৫ইং), ‘আল্লাহ্‌র ইলমের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ, পৃ: ১১২।
[25]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৮, ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘মুসলিম এবং কাফেরদের ছোট বাচ্চারা মারা গেলে তাদের কি হুকুম’ অনুচ্ছেদ
[26]. ছহীহ বুখারী, ৪/২০৯, হা/৬৫৯৬, ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘কলম শুকিয়ে গেছে..’ অনুচ্ছেদ, (মিশর: আল-মাকতাবাহ আস-সালাফিইয়াহ, প্রথম প্রকাশ: ১৪০০হিঃ)
[27]. আব্দুল আযীয মুহাম্মাদ, আল-কাওয়াশেফুল জালিইয়াহ আন মাআনিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, (রিয়ায: মাকতাবাতুর রিয়ায আল-হাদীছাহ, ষষ্ঠ প্রকাশ: ১৯৭৮ইং), পৃ: ৬২০।
[28]. আল-ইতিক্বাদুল ওয়াজিব নাহ্‌ওয়াল ক্বাদার/১১
[29]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৩/১৪৮
[30]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৩ ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘আদম এবং মূসা (আঃ)-এর বিতর্ক’ অনুচ্ছেদ,।
[31]. ছহীহ বুখারী, ৪/৩৮৭, হা/৭৪১৮‘তাওহীদ’ অধ্যায়, ‘তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে এবং তিনিই আরশের সুমহান অধিপতি’ অনুচ্ছেদ
[32]. সুনানে আবূ দাঊদ, হা/৪৭০৩, ‘সুন্নাহ’ অধ্যায়, ‘তাক্বদীর’ অনুচ্ছেদ; ছালেহ ইবনে আব্দুল আযীয ইবনে মুহাম্মাদ আলুশ্‌-শায়খ, জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৬৯
[33]. জামে তিরমিযী, হা/২৬৪২, ঈমান অধ্যায়, ‘এই উম্মতের মধ্যে বিভক্তি’ অনুচ্ছেদ, ইমাম তিরমিযী (রহেমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।
[34]. ছহীহ বুখারী, ২/৪২৪, হা/৩২০৮, ‘সৃষ্টির সূচনা’ অধ্যায়, ‘ফেরেশতামণ্ডলীর বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ।
[35]. জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৬৯-৫৭০; আব্দুল্লাহ জিবরীন, আত-তা‘লীক্বাতুয্‌ যাকিইয়াহ আলাল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, (রিয়ায: দারুল ওয়াত্বান, প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৮ইং), ২/১৫৭।
[36].  প্রাগুক্ত।
[37]. ইমাম ক্বুরত্বুবী, আল-জামে লিআহকামিল ক্বুরআন, (কায়রো: দারুল কুতুবিল মিছরিইয়াহ, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৬৪ইং), ৬/১২৭।
[38]. জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৭০; আত-তা‘লীক্বাতুয্‌ যাকিইয়াহ আলাল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ২/১৫৭।
[39]. ইবনে জারীর ত্ববারী, তাফসীরে ত্ববারী (জামেউল বায়ান ফী তা’বীলিল ক্বুরআন), তাহক্বীক্ব: আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুহসিন তুর্কী, (দারু হাজার/হিজর, প্রথম প্রকাশ: ২০০১ইং), ২২/২১৪, বর্ণনাটি ‘হাসান’ (মা‘আরেজুল ক্ববূল-এর ৩/৯৩৯ পৃষ্ঠার টীকা দ্র:)
[40] সাঈদ ইসমাঈল, কাশফুল গায়ূম আনিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার, (প্রকাশকাল: ১৪১৭হি:), পৃ: ৩১-৩২; মিরক্বাতুল মাফাতীহ শারহু মিশকাতিল মাছাবীহ, ১/২৪০
[41]. আব্দুর রাযযাক ইবনে আব্দুল মুহসিন আল-বাদ্‌র, তাযকিরাতুল মু’তাসী শারহু আক্বীদাতিল হাফেয আব্দিল গাণী আল-মাক্বদেসী (কুয়েত: গিরাস ফর প্রিন্টিং এণ্ড ডিস্ট্রিবিউশন, প্রথম প্রকাশ: ২০০৩ইং), পৃ: ১৫৩; আল-ঈমানু বিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/২৫২
[42] ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ১৪/৪৮৮-৪৯২।
[43]. জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৭০; হাফেয ইবনে আহমাদ হাকামী, মাআরেজুলল ক্ববূল, (দাম্মাম: দারু ইবনিল ক্বাইয়িম, তৃতীয় প্রকাশ: ১৯৯৫ ইং), ৩/৯৩৯
[44] আল-ইতিক্বাদুল ওয়াজিব নাহ্‌ওয়াল ক্বাদার/১৩
[45]. ছহীহ বুখারী, ৪/৩৯৯-৪০০, হা/৭৪৭৭, ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, ‘আল্লাহ্‌র ইচ্ছা’ অনুচ্ছেদ
[46]. শিফাউল আলীল ফী মাসায়িলিল ক্বাদার ওয়াল-হিকমাতি ওয়াত-তা‘লীল/৯৩।
[47]. আল-ইতিক্বাদুল ওয়াজিব নাহ্‌ওয়াল ক্বাদার/১৪।
[48]. মাআরেজুল ক্ববূল ৩/৯৪০
[49]. তাফসীর ইবনে কাছীর, ৭/২৬; ইবনুল জাওযী, যাদুল মাসীর ফী ইলমিত তাফসীর, (বৈরূত: আল-মাকতাবুল ইসলামী, তৃতীয় প্রকাশ: ১৯৮৪ইং), ৭/৭০ এবং অন্যান্য।
[50].  শিফাউল আলীল/১১৮
[51]. ইমাম বুখারী, খালক্বু আফআলিল ইবাদ‘বান্দাদের কর্মসমূহ’ অনুচ্ছে, (বৈরূত: মুআস্‌সাসাতুর্‌ রিসালাহ, তৃতীয় প্রকাশ: ১৯৯০ ইং), পৃ: ২৫
[52].  প্রাগুক্ত, পৃ: ২৫।
[53]. কাশফুল গায়ূম আনিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৮-১৯।
[54]. ছালেহ ইবনে আব্দুল আযীয আলুশ্‌-শায়খ, জামে শুরূহিল-আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৪১-৫৪৩।
[55].  আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/১৬৩।
[56]. ইমাম আজুর্‌রী, আশ্‌-শারীআহ, তাহক্বীক্ব: ড. আব্দুল্লাহ দুমায়জী, ‘তাক্বদীরের বিষয়টি কিভাবে এবং কেন হয়? ইত্যাদি অনুসন্ধান বর্জন করতে হবে আর ইহার প্রতি ঈমান আনতে হবে এবং আত্মসমর্পণ করতে হবে’ অনুচ্ছেদ (রিয়ায: দারুল ওয়াত্বান, তা.বি), ২/৯৫৯; ইমাম লালকাই, শারহু উছূলি ইতিক্বাদি আহলিস্‌-সুন্নাহ, ‘ইসলামে তাক্বদীর অস্বীকারের বিষয়টি কবে শুরু হয়’ অনুচ্ছেদ, (রিয়ায: দারু ত্বায়বাহ, তা.বি), ৪/৭৫০।
[57].  আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৬৪।
[58]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮,  ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘ঈমান, ইসলাম ও ইহসানের বর্ণনা, তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না, তার সাথে সম্পর্কহীনতা ঘোষণা’ অনুচ্ছেদ
[59]. ওমর সুলায়মান আশক্বার, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/২৩
[60]. আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৬৫-১৬৬; আল-ইতিক্বাদুল ওয়াজিব নাহ্‌ওয়াল ক্বাদার/২২-২৩ এবং আক্বীদার অন্যান্য বই
[61]. ড. সা‘ঊদ ইবনে আব্দুল আযীয খালাফ, ‘আল-ইনতেছার ফির-রদ্দি আলাল-মু‘তাযিলাতিল ক্বাদারিইয়াতিল আশরার’ নামক গ্রন্থের ভূমিকা, (মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাপাখানা, তৃতীয় প্রকাশ: ২০০৮ইং), ১/৫৯
[62].  প্রাগুক্ত।
[63]. ড. ইসমাঈল ক্বারনী, আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার ইন্দাল মুসলিমীন: দিরাসাহ ওয়া তাহলীল, (বৈরূত: দারুল কুতুবিল ইলমিইয়াহ, প্রথম প্রকাশ: ২০০৬ইং), পৃ: ১৯৮; আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩৩৮।
[64]. আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/, পৃ: ৩৪৮; আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার ইন্দাল মুসলিমীন: দিরাসাহ ওয়া তাহলীল/১৯৮।
[65]. আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩৩৮-৩৩৯।
[66].  প্রাগুক্ত, পৃ: ৩৬০।
[67]. ক্বাযী আব্দুল জব্বার, শারহুল উছূলিল খামসাহ, তাহক্বীক্ব: ড. আব্দুল কারীম উছমান, (কায়রো: মাকতাবাতু ওয়াহ্‌বা, প্রকাশকাল: ১৯৬৫ ইং), পৃ: ৩৬১
[68]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৮১৬, ‘মুনাফিক্বদের বৈশিষ্ট্য’ অধ্যায়, ‘আমলের বিনিময়ে কেউ কস্মিনকালেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না; বরং আল্লাহ্‌র অনুগ্রহে প্রবেশ করবে’ অনুচ্ছেদ।
[69]. ইবনু আবিল ইয্‌য, জামে শুরূহিল আক্বীদাতিত ত্বহাবিইয়াহ, ২/১১০৯; হাফেয হাকামী, আলামুস্‌ সুন্নাতিল মানশূরাহ লিতিক্বাদিত ত্বয়েফাতিন নাজিয়াতিল মানছূরাহ, তাহক্বীক্ব: আহমাদ মাদখালী, (রিয়ায: মাকতাবাতুর রুশ্‌দ, প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৮ইং), পৃ: ১৪৭।
[70]. ড. ইবরাহীম ইবনে আমের রুহায়লী, আল-মুখতাছার ফী আক্বীদাতি আহলিস সুন্নাতি ফিল ক্বাদার, (কায়রো: দারুল ইমাম আহমাদ, প্রথম প্রকাশ: ২০০৭ ইং), পৃ: ৩৫
[71]. ইবনুল ক্বাইয়িম, হাদিল আরওয়াহ্‌ ইলা বিলাদিল আফরাহ, (কায়রো: মাকতাবাতুল মুতানাব্বী, তা. বি.), পৃ: ৬৪
[72]. আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩৩৯-৩৪০
[73]. প্রাগুক্ত, পৃ: ৩৬১
[74]. ক্বাসেম ইবনে ইবরাহীম রস্‌সী, কিতাবুল আদ্‌ল ওয়াত তাওহীদ ওয়া নাফয়ুত তাশবীহ আনিল্লাহ, তাহক্বীক্ব: ড. মুহাম্মাদ আম্মারাহ, (কায়রো: দারুশ শুরূক্ব, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৮৮ইং), ১/১৪৫
   উল্লেখ্য যে, ‘রাসাইলিল্ আদ্‌ল ওয়াত-তাওহীদ’ নামে একটি সংকলনে মু‘তাযেলী-যায়দী মতবাদের পৃষ্ঠপোষক ক্বাযী আব্দুল জব্বার (মৃত: ৪১৫ হি:), ক্বাসেম ইবনে ইবরাহীম রস্‌সী (মৃত: ২৪৬ হি:), ইয়াহ্‌ইয়া ইবনে হুসাইন (মৃত: ২৯৮ হি:), শরীফ মুর্তাযা (মৃত: ৪৩৬ হি:) প্রমুখের লেখনী একত্রিত করা হয়েছে। অতএব, কিতাবুল আদ্‌ল ওয়াত তাওহীদ ওয়া নাফয়ুত তাশবীহ আনিল্লাহ, শারহুল উছূলিল খামসাহ এবং আর-রদ্দু আলাল মুজবিরাতিল-ক্বাদারিইয়াহ গ্রন্থত্রয় সুন্নী গ্রন্থ নয়। কিন্তু বিভ্রান্ত ফের্কাসমূহের অনুসারীদের কতিপয় যুক্তি সরাসরি তাদের গ্রন্থ থেকে নেওয়ার মানসেই আমরা উক্ত গ্রন্থগুলিকে রেফারেন্স বুক্‌স হিসাবে ব্যবহার করেছি।
[75]. ছহীহ মুসলিম/১০৪০, হা/২৫৭৭, ‘সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘যুলম হারাম’ অনুচ্ছেদ
[76]. ইবনুল ক্বাইয়িম, মুখতাছারুছ্‌ ছওয়ায়েক্বিল মুরসালাহ আলাল জাহ্‌মিইয়াতি ওয়াল মু‘আত্ত্বেলাহ, সংক্ষেপণ: মুহাম্মাদ ইবনুল মাওছেলী, (রিয়ায: মাকতাবাতুর রিয়ায আল-হাদীছাহ, তা. বি.), ১/৩২৫-৩২৬
[77]. শারহুল উছূলিল খামসাহ/৩৪৫
[78]. মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/১২৩
[79]. আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩২৮
[80]. শিফাউল আলীল/১১২
[81]. আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩২৯
[82]. প্রাগুক্ত, পৃ: ৩২৯-৩৩০
[83]. প্রাগুক্ত, পৃ: ৩৪৮
[84]. তাফসীর ইবনে কাছীর, ৩/৩৩৪
[85]. আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩৪৮।
[86]. শিফাউল আলীল/২২৬
[87]. আল-ক্বাযা ওয়া ক্বাদার/৩৪৯
[88]. প্রাগুক্ত, পৃ: ৩৩০-৩৩১
[89].  শিফাউল আলীল/২২৬; আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩৪৯
[90]. শিফাউল আলীল/১৯৪
[91]. জামে শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌ ত্বহাবিইয়াহ, ২/১১০৭
[92]. তাফসীরে ইবনে কাছীর, ৪/৩০
[93]. প্রাগুক্ত, ৪/৩০
[94]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/১৮; শিফাউল আলীল/১২৯।
[95]. ইয়াহ্‌ইয়া ইবনে হুসাইন, আর-রদ্দু আলাল মুজবিরাতিল-ক্বাদারিইয়াহ, তাহক্বীক্ব: মুহাম্মাদ আম্মারাহ, (কায়রো: দারুশ শুরূক্ব, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৮৮ ইং), পৃ: ৩৪ এবং এর পরবর্তী কয়েক পৃষ্ঠা
[96]ছালেহ ইবনে আব্দুল আযীয আলুশ্‌-শায়খ ১৩৭৮ হিজরীতে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেন। তাঁর দাদা শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম সঊদী আরবের এক সময়কার গ্র্যান্ড মুফতী ছিলেন। রিয়াযেই তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ইমাম মুহাম্মাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উছূলুদ্দীন’ অনুষদ থেকে লেখাপড়া শেষ করেন এবং ঐ একই অনুষদে ১৪১৬ হিজরীতে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১৪১৬ হিজরীতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ১৪২০ হিজরীতে মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন; অধ্যাবধি তিনি এই মহান দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। ‘আত-তাকমীলু লিমা ফা-তা তাখরীজুহু মিন ইরওয়াইল গালীল’, ‘মাওসূআতুল কুতুবিস সিত্তাহ’, ‘আত-তামহীদ ফী শারহি কিতাবিত-তাওহীদ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ (জামে শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌ ত্বহাবিইয়াহ-এর ভূমিকা, ১/২০-২২)
[97]. জামে শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌ ত্বহাবিইয়াহ ২/৫২৭।
[98]. নাবীল হামদী, হালিল ইনসান মুসাইয়্যার আও মুখাইয়্যার? (দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৯১ইং), পৃ: ৪৩-৪৪, ৪৭, ১০১; কাশফুল গায়ূম আনিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৩২
[99]. ড. ফুয়াদ আক্বলী, আল-ইনসান: হাল হুয়া মুসাইয়্যার আম মুখাইয়্যার?, (কায়রো: মাকতাবাতুল খানজী, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮০ইং), পৃ:১৪।
[100]. আল্লামা আব্দুর রহমান ইবনে নাছের সাদী, আদ-দুররাতুল বাহিইয়াহ শারহুল ক্বাছীদাতিত তায়িইয়াহ ফী হাল্লিল মুশকিলাতিল ক্বাদারিইয়াহ/৮৯-৯১, (রিয়ায: আযওয়াউস সালাফ, প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৮ ইং)।
[101]. মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/৪৪৯-৪৫০

[102]. আল-ই‘তিক্বাদুল ওয়াজিব নাহ্‌ওয়াল ক্বাদার/১৬-১৯।
[103]. সম্মানিত পাঠক! ‘ইরাদাহ কাউনিইয়াহ’-এর প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘আল-মাশীআহ’ (اَلْمَشِيْئَةُ) বা ইচ্ছা। আর ‘ইরাদাহ শারঈয়াহ’-এর প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘আল-মুহাব্বাতু ওয়ার-রেযা’ (اَلْمَحَبَّةُ وَالرِّضَا) বা ভালবাসা এবং সন্তুষ্টি। এতটুকু মনে রাখলেই তাক্বদীরের বেশ কয়েকটি দিক উপলব্ধি করা সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে পরিভাষা দু’টিকে আমরা আমাদের এ প্রবন্ধে আরবী ভাষাতেই ‘ইরাদাহ কাউনিইয়াহ’ এবং ‘ইরাদাহ শারঈয়াহ’ ব্যবহার করব।
[104]. ইবনে তায়মিইয়াহ, মিনহাজুস-সুন্নাহ, তাহক্বীক্ব: ড. মুহাম্মাদ রশাদ সালেম, (মুওয়াস্‌সাসাতু ক্বুরত্বুবা, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৬ ইং), ৩/১৫৬ ও ১৮০
[105]. মিনহাজুস-সুন্নাহ ৩/১৫৬, ১৮০; শিফাউল আলীল/৫৪৯-৫৫১; আল-মুখতাছার ফী আক্বীদাতি আহলিস্ সুন্নাতি ফিল ক্বাদার/৫৫-৫৬
[106]. মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ আল-উছায়মীন, শারহুল আক্বীদাতিল-ওয়াসেত্বিইয়াহ, (দারু ইবনিল জাওযী, ৪র্থ প্রকাশ: ১৪২৪ হি:), ২/২০৬
[107].  মিনহাজুস-সুন্নাহ, ৩/১৫৬; মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/১৮৮
[108]. শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ২/২০৬।
[109]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/১৮৯; তাযকিরাতুল মু’তাসী শারহু আক্বীদাতিল হাফেয আব্দিল গাণী আল-মাক্বদেসী/১৫৩; আল-ঈমানু বিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/৯৯
[110]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/১৮৮-১৮৯; মিনহাজুস্‌ সুন্নাহ, ৩/১৬৪-১৬৫; আল-মুখতাছার ফী আক্বীদাতি আহলিস্‌ সুন্নাতি ফিল ক্বাদার/৫৮
[111]. আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/৯৮
[112]  কাশফুল গায়ূম আনিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৯-২০।
[113]. ড. মুহাম্মাদ রবী‘ হাদী মাদখালী, আল-হিকমাতু ওয়াত-তা‘লীলু ফী আফ‘আলিল্লাহ, (মাকতাবাতু লীন, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৮ইং), পৃ: ২০৭
[114]. শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ২/১৯১, ২১৬-২১৮
[115]. আল-ঈমান বিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১১২
[116]. আল-হিকমাতু ওয়াত-তা‘লীলু ফী আফ‘আলিল্লাহ/২০৫
[117]. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহেমাহুল্লাহ), মাদারিজুস্‌ সালেকীন, তাহক্বীক্ব: ইমাদ আমের (কায়রো: দারুল হাদীছ, প্রকাশকাল: ২০০৩ইং), ২/১৬১
[118]. আল-হিকমাতু ওয়াত-তা‘লীলু ফী আফ‘আলিল্লাহ/২০৫; হালিল ইনসান মুসাইয়্যার আও মুখাইয়্যার?/১৮-২৩।
[119]. মাদারিজুস্‌ সালেকীন, ২/১৬৩
[120]. ইবনুল ক্বাইয়িম, মিফতাহু দারিস সা‘আদাহ, (বৈরূত: দারুল কুতুবিল ইলমিইয়াহ, প্রকাশকাল: ১৯৯৮ ইং), ২/২৯৭-৩১২
[121]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭১, ‘ছালাত’ অধ্যায়, রাতের ছালাতের দো‘আ’ অনুচ্ছেদ।
[122]. ইমাম বাগাভী, শারহুস্‌ সুন্নাহ, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘যে দো‘আ দিয়ে ছালাত শুরু করতে হবে’ অনুচ্ছেদতাহক্বীক্ব: শু‘আইব আল-আরনাঊত্ব, (বৈরূত: আল-মাকতাবুল ইসলামী, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৮৩ইং), ৩/৩৭
[123]. আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী, কাশফুল মুশকিল মিন হাদীছিছ্‌-ছহীহায়েন, (রিয়ায: দারুল ওয়াত্বান, প্রকাশকাল: ১৯৯৭ইং), ১/২০৬
[124]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ১৪/২৬৬।
[125]. মুহাম্মাদ মুতাওয়াল্লী ইবরাহীম, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার ওয়া মাওক্বেফুল মুমিন মিনহা, (কায়রো: মাত্ববা‘আতুল মাদানী, প্রথম প্রকাশ: ১৯৭৭ইং), পৃ: ২১
[126]. মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/৫১১-৫১২; মুহাম্মাদ ইবনে খলীফা আত-তামীমী, মু‘তাক্বাদু আহলিস-সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ ফী আসমায়িল্লাহিল হুসনা, (রিয়ায: আয্‌ওয়াউস-সালাফ, প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৯ইং), পৃ: ৩২২
[127]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/১৭৯।
[128]. শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ আল-উছায়মীন জগদ্বিখ্যাত একজন আলেমে দ্বীন। ১৩৪৭ হিজরীর ২৭ই রামাযান সঊদী আরবের উনায়যা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নানার কাছে তিনি ক্বুরআন শিক্ষা করেন এবং ১১ বছর বয়স না হতেই তিনি পবিত্র ক্বুরআন হেফয শেষ করেন। তাঁর পিতার দিক-নির্দেশনা মোতাবেক তিনি দ্বীনী ইলম শিক্ষায় ব্রতী হন। তাঁর শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে আল্লামা আব্দুর রহমান সাদী উল্লেখযোগ্য। কর্ম জীবনে তিনি ছাত্রদের অত্যন্ত প্রিয় এবং যোগ্য শিক্ষক ছিলেন। ১৪০২ সাল থেকে মৃত্যু অবধি হজ্জ মৌসুমে ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে তিনি কাবা শরীফ এবং মসজিদে নববীতে দারস দিতেন। শায়খ উছায়মীন সরকারী অনেকগুলি বড় বড় পদ অলংকৃত করেন। ‘শারহু রিয়াযিছ ছালেহীন’, ‘আশ্‌-শারহুল মুমতে আলা যাদিল মুসতাক্বনে’, ‘মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছায়মীন’ সহ প্রায় ৯৩টি মহা মূল্যবান গ্রন্থ তিনি রচনা করেন। ১৪২১ হিজরীর ১৫ই শাওয়াল জেদ্দায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কাবা শরীফে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহ তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণ করুন (আল-ক্বাছীম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শারীআহ’ অনুষদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ‘আর-রুওয়াদ’ গ্রন্থের ৪১-৫১ পৃষ্ঠা দৃষ্টব্য)
[129]. বুখারী, ৪/২১২, হা/৬৬১৪, ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘আদম এবং মূসা (আঃ) বিতর্ক করেছিলেন’ অনুচ্ছে; মুসলিম, হা/২৬৫২, ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘আদম এবং মূসা (আঃ)-এর বিতর্ক’ অনুচ্ছেদ
[130]. শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ২/২২৩-২২৬
[131]. প্রাগুক্ত, ২/২২৬-২২৭
[132]. শিফাউল আলীল/৩২মুহাম্মাদ ইবনে উছায়মীন, তাক্বরীবুত্‌ তাদ্‌মুরিইয়াহ, (দাম্মাম: দারু ইবনিল জাওযী, প্রথম প্রকাশ: ১৪১৯ হি:), পৃ: ১০২
[133]. আল-ঈমান বিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৮৫।
[134]. প্রাগুক্ত, পৃ: ৮১-৮৫।
[135]. আদ্‌-দুররাতুল বাহিইয়াহ শারহুল ক্বাছীদাতিত্‌ তায়িইয়াহ ফী হাল্লিল মুশকিলাতিল ক্বাদারিইয়াহ/৮৯-৯১
[136]. আল-মুখতাছার ফী আক্বীদাতি আহলিস্‌-সুন্নাতি ফিল ক্বাদার/৬৫; মা হুয়াল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/২৫
[137] মা হুয়াল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/২২।
[138]. মুহাম্মাদ ইবনে খলীল হার্‌রাস, শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, (খোবার: দারুল হিজরাহ, তৃতীয় প্রকাশ: ১৪১৫ হিঃ), পৃ: ২২৮
[139]. মাজমূউ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়িলিশ্‌-শায়খ আল-উছায়মীন, (রিয়ায: দারুল ওয়াত্বান, প্রকাশকাল: ১৪১৩ হি:), ২/৯০-৯১, প্রশ্ন নং ১৯৫
[140]. তাফসীরে ত্ববারী২০/৫১২-৫১৩
[141]. মুসনাদে আহমাদ, ৪/৪০৯-৪১০, হা/২৬৬৯, শায়খ আলবানী বলেন, ‘হাদীছটি ছহীহ’ (মিশকাত৩/১৪৫৯, হা/৫৩০৩)।
[142]. মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ উছায়মীন, রিসালাহ ফিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার, (রিয়ায: মাদারুল ওয়াত্বান, প্রকাশকাল: ১৪২৮ হিঃ), ১৪-১৮
[143]ছহীহ মুসলিম/১০৪০, হা/২৫৭৭, ‘সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘যুলম হারাম’ অনুচ্ছেদ
[144] আল্লাহ যে কারো প্রতি সামান্যতম যুলম করেন না, সে সম্পর্কে আরো জানতে হলে নিম্নোক্ত আয়াতসমূহ দেখুন: (আলে-ইমরান ১৮২, হজ্জ ১০, আনফাল ৫১, ক্বাফ ২৯, ইয়াসীন ৫৪, আম্বিয়া ৪৭, হূদ ১৭৭, যিলযাল ৭-৮ ইত্যাদি) উল্লেখ্য যে, এসব আয়াতের অধিকাংশই ইতোপূর্বে গত হয়েগেছে।
[145] ছালেহ আলুশ্‌ শায়খ, জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৬৩-৫৬৫।
[146]সুনানে আবূ দাঊদ, হা/৫০৯০, ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘সকালে কি বলবে’ অনুচ্ছেদ, ইমাম আলবানী হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।
[147] ছালেহ আলুশ্‌ শায়খ, জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত ত্বহাবিইয়াহ, ১/৫৬৩-৫৬৫।
[148] মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ১৪/৩৩১-৩৩৩।
[149] ছালেহ ইবনে ফাওযান ইবনে আব্দুল্লাহ আল-ফাওযান একজন বিখ্যাত আলেমে দ্বীন। তিনি ১৩৫৪ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ‘শারী‘আহ’ অনুষদ থেকে ১৩৮১ হিজরীতে তিনি অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ‘ফিক্বহ’ বিভাগ থেকে এম. এ. এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তাঁর শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে শায়খ আব্দুল আযীয ইবনে বায এবং মুহাম্মাদ ইবনে আমীন শানক্বীত্বী-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্তমান তিনি সঊদী আরবের ‘উচ্চ ওলামা পরিষদ’ এবং ‘গবেষণা ও ফৎওয়া বোর্ড’-এর একজন অন্যতম সদস্য। শায়খ ফাওযান ‘মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ফিল আক্বীদাতি ওয়াল ফিক্বহ’ (৪ খণ্ড), ‘শারহু কিতাবিত্‌ তাওহীদ’, ‘আহকামিল আত্ব‘ইমা ফিল ইসলাম, ‘আত-তাহক্বীক্বাতুল মারযিইয়াহ ফিল মাবাহিছিল ফারাযিইয়াহ’ সহ আরো অনেক মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন (শায়খ ফাওযান রচিত ‘আল-ফাতাওয়া’ গ্রন্থের ভূমিকা, (রিয়ায: মাত্বাবে‘উল মাদীনা, প্রথম প্রকাশ: ১৪১৫হিঃ), ১/৫-৮)
[150] জামেউ শুরূহিল আক্বীদাতিত ত্বহাবিইয়াহ, ১/২১৩।
[151] হালিল ইনসান মুসাইয়্যার আও মুখাইয়্যার?/২৪।
[152] ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৭, ‘সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হারাম’ অনুচ্ছেদ
[153] ড. ওমর সুলায়মান আশক্বার, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার, পৃ: ৬৬।
[154] আল-ঈমান বিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১২৫।
[155]. ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/৫১৭।
[156]. প্রাগুক্ত, ৮/৫৪০।
[157]. ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী, ১০/৪৩০
[158] মিরক্বাতুল মাফাতীহ শারহু মিশকাতিল মাছাবীহ, ২/২৪০।
[159]. মাজমূউ ফাতাওয়া, ৮/১৯১; শিফাউল আলীল/৫৪৫-৫৪৬; ড. ফারূক্ব আহমাদ, আল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার ফিল-ইসলাম, (বৈরূত: আল-মাকতাবুল ইসলামী, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৮৬ ইং), ১/১৭৯
[160] শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ১/৩৪৯-৩৫০।
[161]. আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৫২।
[162]. সুলায়মান ইবনে আব্দুল্লাহ, তায়সীরুল আযীযিল হামীদ ফী শারহি কিতাবিত তাওহীদ, তাহক্বীক্ব: উসামা উতায়বী, (রিয়ায: দারুছ ছুমায়ঈ, প্রথম প্রকাশ: ২০০৭ ইং), ২/১১৬০; আব্দুর রহমান ইবনে নাছের সা‘দী, আল-ক্বওলুস সাদীদ শারহু কিতাবিত তাওহীদ, তাহক্বীক্ব: ছবরী ইবনে সালামাহ, (রিয়ায: দারুছ ছাবাত, প্রথম প্রকাশ: ২০০৪ ইং), পৃ: ২৬৮-২৬৯
[163]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৬৪, ‘তাক্বদীর’ অধ্যায়, ‘দৃঢ় হওয়া, অপারগতাকে বর্জন করা, আল্লাহ্‌র সাহায্য প্রার্থী হওয়া এবং তাক্বদীরের বিষয়টি আল্লাহ্‌র উপর ছেড়ে দেওয়া’ অনু্চ্ছেদ।
[164]. মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ উছায়মীন, আল-ক্বওলুল মুফীদ আলা কিতাবিত তাওহীদ, (দাম্মাম: দারু ইবনিল জাওযী, তা. বি.), ২/৩৬১-৩৬২; আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৫২-১৫৩
[165]. আল-ক্বওলুল মুফীদ আলা কিতাবিত তাওহীদ, ২/৩৬২-৩৬৩।
[166]. ইবনুল ক্বাইয়িম, উদ্দাতুছ ছবেরীন ওয়া যাখীরাতুশ শাকেরীন, (ত্বনত্বা: দারুছ ছাহাবাহ, প্রথম প্র্রকাশ: ১৯৯০ ইং), পৃ: ৬৯
[167]. আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৫৫।
[168]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৮০, ‘দোআ এবং যিকর’ অধ্যায়, ‘বিপদাপদে মৃত্যু কামনা করা নিন্দনীয়’ অনুচ্ছেদ।
[169]শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাছের ইবনে আব্দুল্লাহ সা‘দী সঊদী আরবের প্রবীণ এবং বিজ্ঞ আলেমগণের একজন। ১২ই মুহাররম ১৩০৭ হিজরীতে সঊদী আরবের আল-ক্বাছীম অঞ্চলের উনায়যা শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি পবিত্র ক্বুরআন হেফয সম্পন্ন করেন এবং ২৩ বছর বয়সে শিক্ষক হিসাবে পাঠদান শুরু করেন। তাঁর শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে মুহাম্মাদ ইবনে আমীন শানক্বীত্বী (১২৮৯-১৩৫১হিঃ)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শায়খ উছায়মীন তাঁর সুযোগ্য ছাত্র। ‘আল-ক্বওলুল মুফীদ ফী মাক্বাছিদিত্‌ তাওহীদ’, ‘তাফসীরুল কারীমিল মান্নান’, ‘ফাতাওয়া সা‘দিইয়াহ সহ ৩৫টিরও বেশী মূল্যবান গ্রন্থ তিনি রচনা করে গেছেন। ১৩৭৬ হিজরীতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নছীব করুন (শায়খ সা‘দী প্রণীত ‘মানহাজুস সালেকীন ওয়া তাওযীহুল ফিক্বহি ফিদ্‌ দ্বীন’-এর শুরুতে মুহাক্কিক্ব আশরাফ ইবনে আব্দুল মাক্বছূদ তাঁর জীবনী উল্লেখ করেছেন (রিয়ায: আযওয়াউস সালাফ, প্রথম প্রকাশ: ২০০০ইং), পৃ: ৭-১৫)
[170]. আব্দুর রহমান ইবনে নাছের সা‘দী, বাহজাতু ক্বুলূবিল আবরার ওয়া ক্বুররাতু উয়ূনিল আখইয়ার ফী শারহি জাওয়ামি‘ইল আখবার/১৯৪-১৯৫, হা/৭৭, (রিয়ায: মাকতাবাতুল মা‘আরেফ, তৃতীয় প্রকাশ: ১৯৮৪ ইং)।
[171]. আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৫৬-১৫৭।
[172]. জাসেম দাওসারী, ছওনুল মাকরুমাত বিরি‘আয়াতিল বানাত, (কুয়েত: মাকতাবাতু দারিল আক্বছা, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৬ ইং), পৃ: ১৬
[173]. ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ফী আহকামিল মাওলূদ, তাহক্বীক্ব: সালীম ইবনে ঈদ হেলালী সালাফী, (দাম্মাম: দারু ইবনিল ক্বাইয়িম এবং জীযাহ: দারু ইবনে আফফান, প্রথম প্রকাশ: ১৪২১ হি:), পৃ: ৪৯-৫০
[174]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৯৫, ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘সন্তানের প্রতি দয়া করা, তাদেরকে চুমু খাওয়া এবং তাদের সাথে আলিঙ্গন করা’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬২৯, ‘সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘কণ্যা সন্তানদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শনের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ
[175]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ১০/১২৪-১২৫।
[176]. আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/১৫৪-১৫৫।
[177]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬২১, ‘সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘মানুষকে আল্লাহ্‌র রহমত থেকে নিরাশ করা নিষেধ’ অনুচ্ছেদ।
[178]. মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিইয়াহ, ৮/৬৪।
[179]. আল-ঈমান বিল ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার/৭১-৭২।
[180]. আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদ, আস-সুন্নাহ, ২/৪৩২, আছার/৯৫৫, তাহক্বীক্ব: মুহাম্মাদ সাঈদ ক্বাহত্বানী, (দাম্মাম: দারু ইবনিল ক্বাইয়িম, প্রথম প্রকাশ: ১৪০৬ হি:); আজুর্‌রী, আশ-শারীআহ, ২/৮৪৪, আছার/৪২১; ইমাম লালকাঈ, শারহু উছূলিল ইতিক্বাদ, ৪/৭৩৭-৭৩৮, নং ১২১৩)। বর্ণনাটি যঈফ।
[181]. শারহু উছূলিল ইতিক্বাদ, ৪/৭৩৯, আছার/১২১৮; আব্দুর রাযযাক্ব, আল-মুছান্নাফ, ১১/১১৮, আছার/২০০৮১, তাহক্বীক্ব: হাবীবুর রহমান আ‘যমী, (বৈরূত: আল-মাকতাবুল ইসলামী, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৮৩ ইং)
[182]. বুখারী, খালক্বু আফ‘আলিল ইবাদ/২৫; শারহু উছূলিল ইতিক্বাদ, ৩/৬০৭-৬০৮, আছার/৯৭০।
[183]. শারহু উছূলিল ইতিক্বাদ, ৪/৬৪০, আছার/১০২৭
[184]. প্রাগুক্ত, ৪/৬৯৯, আছার/১১৩১
[185]. আস-সুন্নাহ, ২/৪১৭, আছার/৯১২
[186]. প্রাগুক্ত, ২/৪৩৩, আছার/৯৫৮।
[187]. হাফেয যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন্নুবালা, তাহক্বীক্ব: শু‘আইব আরনাঊত্ব এবং অন্যান্য, (বৈরূত: মুওয়াস্‌সাসাতুর রিসালাহ, নবম প্রকাশ: ১৯৯৩ ইং), ৪/৫৮১
[188]. আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদ, আস-সুন্নাহ, ২/৮০৮, আছার/১৩৫৪
[189]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৯৯, ‘যুহ্‌দ এবং রিক্বাক্ব’ অধ্যায়, ‘মুমিনের সবকিছুই কল্যাণকর’ অনুচ্ছেদ
[190]. তাফসীরে ত্ববারী, ২৩/১১।
[191]. মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ উছায়মীন, শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসেত্বিইয়াহ, ২/১৮৯-১৯০
[192]. ড. ওমর সুলায়মান আল-আশক্বার, আল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার/১১০
[193]ডেল কার্নেগী, দা‘ইল ক্বালাক্ব ওয়াব্‌দাইল হায়াত, আরবী অনুবাদ: আব্দুল মুন‘ইম, (কায়রো: মাকতাবাতুল খানজী, তা. বি.), পৃ: ৩০৩-৩০৫
[194]আল-ইনতেছার ফির-রদ্দি আলাল-মু‘তাযিলাতিল ক্বাদারিইয়াতিল আশরার’ নামক গ্রন্থের ভূমিকা, ১/৬১
[195]মুহাম্মাদ হাস্‌সান, আল-ঈমান বিল-ক্বাযা ওয়াল ক্বাদার, (মানছূরাহ: মাকতাবাতু ফাইয়্যায, দ্বিতীয় প্রকাশ: ২০০৬ইং), পৃ: ২৬৮)।
_______________________________________________________________________________________

সংকলন: আব্দুল আলীম ইব্‌ন কাওসার
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।

1 টি মন্তব্য:

  1. আলহামদুলিল্লাহ অনেক চমৎকার লেখা। জাযাকাল্লাহ হু খাইরান।

    উত্তরমুছুন