নেক আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
১) আপনি কি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চান ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
বান্দা তার প্রতিপালকের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় সেজদা অবস্থায় অতএব তোমরা সেজদা অবস্থায় - বেশী করে দো'আ কর। (সহীহ মুসলিম)
বান্দা তার প্রতিপালকের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় সেজদা অবস্থায় অতএব তোমরা সেজদা অবস্থায় - বেশী করে দো'আ কর। (সহীহ মুসলিম)
২) আপনি কি একটি হজ্বের সাওয়াব কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
রমজান মাসে ওমরা আদায় করা হজের সমপরিমাণ অথবা আমার সাথে হজ করার সমপরিমাণ। (বুখারী মুসলিম)
রমজান মাসে ওমরা আদায় করা হজের সমপরিমাণ অথবা আমার সাথে হজ করার সমপরিমাণ। (বুখারী মুসলিম)
৩) আপনি কি জান্নাতে একটি ঘর কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ তৈরি করল আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর তৈরি করবেন। (সহীহ মুসলিম )
যে আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ তৈরি করল আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর তৈরি করবেন। (সহীহ মুসলিম )
৪) আপনি কি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ সন্তুষ্ট হন ঐ ব্যক্তির উপর যে কোন খাবার খেলে এবং কোন পানীয় পান করলে এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে। (সহীহ মুসলিম)।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সন্তুষ্ট হন ঐ ব্যক্তির উপর যে কোন খাবার খেলে এবং কোন পানীয় পান করলে এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে। (সহীহ মুসলিম)।
৫) আপনি কি চান আপনার দো'আ কবুল হোক ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দো'আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (আবু দাউদ)
আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দো'আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (আবু দাউদ)
৬) আপনি কি চান যে, আপনার জন্য পূর্ণ এক বৎসরের রোজার সাওয়াব লেখা হোক ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা পূর্ন এক বৎসরের রোজার সমপরিমাণ। (বুখারী মুসলিম )
প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা পূর্ন এক বৎসরের রোজার সমপরিমাণ। (বুখারী মুসলিম )
৭) আপনি কি পাহাড় পরিমাণ সাওয়াব কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি নামাজ পড়া পর্যন্ত জানাজায় উপস্থিত থাকে তার জন্য এক ক্বীরাত সাওয়াব আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত উপস্থিত থাকে তার জন্য দু ক্বীরাত সওয়াব। বলা হল, দুই ক্বীরাত কি? বললেন, বড় দুইটি পাহাড়ের অনুরূপ। (বুখারী ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি নামাজ পড়া পর্যন্ত জানাজায় উপস্থিত থাকে তার জন্য এক ক্বীরাত সাওয়াব আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত উপস্থিত থাকে তার জন্য দু ক্বীরাত সওয়াব। বলা হল, দুই ক্বীরাত কি? বললেন, বড় দুইটি পাহাড়ের অনুরূপ। (বুখারী ও মুসলিম)
৮) আপনি কি জান্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে থাকতে চান ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
আমি এবং ইয়াতীমের জামিনদার জান্নাতে এভাবে থাকব, এ সময় তিনি তাঁর হাতের মাধ্যমা ও শাহাদাত (তর্জ্জনী) আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করলেন। (সহী বুখারী )
আমি এবং ইয়াতীমের জামিনদার জান্নাতে এভাবে থাকব, এ সময় তিনি তাঁর হাতের মাধ্যমা ও শাহাদাত (তর্জ্জনী) আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করলেন। (সহী বুখারী )
৯) আপনি কি আল্লাহর পথের মুজাহিদের সাওয়াব অথবা রোজাকারী বা রাত্রি জাগরণকারীর সওয়াব কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
বিধবাদের বা মিসকীনদের জন্য যে প্রচেষ্টা করে তার প্রতিদান আল্লাহর পথে জিহাদকারীর অনুরূপ। বর্ণনাকরারী বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন "এবং বিরতিহীন ভাবে নামাজ আদায়কারীর মত ও নিয়মিত রোজা আদায়কারীর মত।" (বুখারী ও মুসলিম )
১০) আপনি কি চান যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই আপনার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দান করুন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের - মুখের - এবং দুই ঊরুর মধ্যবর্তী - লজ্বা - স্থানের হেফাজতের নিশ্চয়তা দান করবে আমি নিজেই তার জান্নাতের জিম্মাদারী গ্রহণ করব। (বুখারী ও মুসলিম )
যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের - মুখের - এবং দুই ঊরুর মধ্যবর্তী - লজ্বা - স্থানের হেফাজতের নিশ্চয়তা দান করবে আমি নিজেই তার জান্নাতের জিম্মাদারী গ্রহণ করব। (বুখারী ও মুসলিম )
১১) আপনি কি চান যে, মৃত্যুর পর আপনার আমল বন্ধ হয়ে না যাক ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
মানুষ যখন মরে যায় তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায় তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না। সদ্কায়ে জারিয়া। এমন জ্ঞান, যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও নেক সন্তান যদি তার জন্য দো'আ করে। (সহীহ মুসলিম)
১২) আপনি কি জান্নাতের ভান্ডারসমূহের মধ্য হতে কোন ভান্ডার কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্দুল্লাহ বিন কায়েসকে বলেন, হে আব্দুল্লাহ বলো,
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
এটা হলো জান্নাতের ভান্ডারসমূহের মধ্য একটি ভাণ্ডার। (বুখারী ও মুসলিম )
১৩) আপনি কি সারা রাত্রি দাঁড়িয়ে নামায আদায়ের প্রতিদান কামনা করেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাত সহকারে আদায় করে সে যেন অর্ধ রাত্রি দন্ডয়মান হয়ে নামাজ আদায় করল এবং যে ব্যক্তি প্রভাতের নামায - ফজরের নামাজ - জামাত সহকারে আদায় করল সে যেন, সারা রাত নামাজ আদায় করল। (মুসলিম )
যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাত সহকারে আদায় করে সে যেন অর্ধ রাত্রি দন্ডয়মান হয়ে নামাজ আদায় করল এবং যে ব্যক্তি প্রভাতের নামায - ফজরের নামাজ - জামাত সহকারে আদায় করল সে যেন, সারা রাত নামাজ আদায় করল। (মুসলিম )
১৪) আপনি কি চান আপনার সওয়াবের পাল্লা ভারী হোক ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
দুটি কথা রহমানের নিকট অতি প্রিয়, মূখে উচ্চারণে খুবই সহজ, কিয়ামতের দিন পাল্ল্লায় খুব ভারী হবে।
দুটি কথা রহমানের নিকট অতি প্রিয়, মূখে উচ্চারণে খুবই সহজ, কিয়ামতের দিন পাল্ল্লায় খুব ভারী হবে।
(سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ العَظِيمِ )
"সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজিম।" (সহীহ বুখারী)।
১৫) আপনি কি চান যে আপনার রিযিক প্রশস্ত হোক এবং হায়াত বৃদ্ধি হোক ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি তার রিযিক প্রশস্ত হতে ও তার মৃত্যুর পর তার সুনাম চর্চা অবশিষ্ট থাকতে আনন্দ বোধকরে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। (সহীহ বুখারী )
যে ব্যক্তি তার রিযিক প্রশস্ত হতে ও তার মৃত্যুর পর তার সুনাম চর্চা অবশিষ্ট থাকতে আনন্দ বোধকরে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। (সহীহ বুখারী )
১৬) আপনি কি চান যে, আল্লাহ আপনার সাথে সাক্ষাৎ করাকে পছন্দ করুন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে আল্লাহ ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। ( সহীহ বুখারী )
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে আল্লাহ ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। ( সহীহ বুখারী )
১৭) আপনি কি কামনা করেন যে, আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাত সহকারে আদায় করে সে আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। (মুসলিম)
যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাত সহকারে আদায় করে সে আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। (মুসলিম)
১৮) আপনি কি কামনা করেন যে, আপনার পাপসমূহ মার্জনা করা হোক তা যত বেশীই হোক না কেন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি দৈনিক একশত বার বলবে,
যে ব্যক্তি দৈনিক একশত বার বলবে,
(سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ )
তার পাপগুলো মুছে দেয়া হবে যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য ও হয়। ( সহীহ বুখারী )
১৯) আপনি কি কামনা করেন যে, আপনার মাঝে ও জাহান্নামের আগুনের মাঝে সত্তর বছরের দূরত্ব সৃষ্টি হোক ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে - জিহাদে গিয়ে - একদিন রোজা রাখবে আল্লাহ তার চেহারার মাঝে ও জাহান্নামের মাঝে সত্তর বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। ( সহীহ বুখারী )
যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে - জিহাদে গিয়ে - একদিন রোজা রাখবে আল্লাহ তার চেহারার মাঝে ও জাহান্নামের মাঝে সত্তর বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। ( সহীহ বুখারী )
২০) আপনি কি কামনা করেন যে, আল্লাহ আপনার উপর রহমত বর্ষণ করুন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার সালাত -দুরুদ- আদায় করবে আল্লাহ এ কারণে তার উপর দশবার রহমত বর্ষন করবেন। (মুসলিম)
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার সালাত -দুরুদ- আদায় করবে আল্লাহ এ কারণে তার উপর দশবার রহমত বর্ষন করবেন। (মুসলিম)
২১) আপনি কি কামনা করেন যে, আল্লাহ আপনাকে মহিমান্বিত করুন ?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
কোন ব্যক্তি যখন আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয় আল্লাহ তাকে সমুন্নত করেন। ( সহীহ মুসলিম )
কোন ব্যক্তি যখন আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয় আল্লাহ তাকে সমুন্নত করেন। ( সহীহ মুসলিম )
সমাপ্ত
লেখক: আবুল কালাম আযাদ আনোয়ার
تأليف: أبو الكلام أزاد أنوار
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
আরও পড়ুনঃ আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় আমলসমূহ
আরও পড়ুনঃ হৃদয়সংলগ্ন ত্রিশটি আমল
আরও পড়ুনঃ অন্তরের আমল: দ্বীনদারি
আরও পড়ুনঃ মুসলিম নারীর অবশ্যই পালনীয় কতিপয় আমল
আরও পড়ুনঃ পুন্যের অসংখ্য পথ
আরও পড়ুনঃ কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস
আরও পড়ুনঃ কিয়ামুল লাইলের সমপরিমাণ সওয়াব
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন