মাযারে প্রচলিত বিদআতসমূহ
মাযারে প্রচলিত বিদআতসমূহ
স্মরণ রেখ, শর্তহীনভাবে, নির্দিষ্ট দিন-মাস ও সময় ব্যতীত দলবদ্ধ না হয়ে কবর যিয়ারত করা পুরুষের জন্য সুন্নত। কারণ, এর মাধ্যমে তার অন্তরে মৃত্যুর স্মরণ সদা জাগ্রত থাকবে। মগ্ন হবে সে পরকাল চিন্তায়। পার্থিবের ব্যাপারে সৃষ্টি হবে নিরাসক্তি ও নৈরাশ্য। এ উদ্দেশ্য ব্যতীত ভিন্ন কোন কারণে কবর জেয়ারতে গমন অবৈধ সর্বৈবে।
কবর জেয়ারতের উদ্দেশ্যে দূর-দূরান্ত হতে ভ্রমণ করা, কিংবা কবর জেয়ারতের জন্য দিন-মাস ও সময় নির্ধারণ করা, কবরকে কেন্দ্র করে উৎসব ও ওরস যাপন, তাতে আলোকসজ্জা, কেবল কবরকে উদ্দেশ্য করে কবরস্থানে মসজিদ নির্মাণ, নারীদের কবর জেয়ারতে গমন, (এ নিষেধাজ্ঞা কেবল এমন নারীর জন্য, যে তথায় গমন করে শরিয়ত বিরোধী কাজে অংশ নেয় ; যার উদ্দেশ্য কবর জেয়ারতের মাধ্যমে মৃত্যুর স্মরণ করা, পরকালের চিন্তা মনে জাগ্রত রাখা, তার জন্য অবৈধ নয়) কবরের উপর চাদর টানান, পাকা করা, কবরস্থান বা কবরের শিয়রে মৃতের মৃত্যু তারিখ, তাদের নাম, কোরআনের আয়াত- ইত্যাদি অঙ্কন করা, কবরের উপর ...নির্মাণ, এক ...চেয়ে উঁচু কবর বানান, পুণ্যের কাজ মনে করে কবরের পাশে সালাত আদায়, কবরের পাশেই আবাস স্থাপন, মসজিদের সাথে যে আচরণ ও সম্মান প্রদর্শন কাম্য, তা কবরের সাথে করা, -এ উদ্দেশ্য করে কবরকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপন করা যে, এর মাধ্যমে কবর-বাসীর চিত্ত বিনোদন হবে, এবং সে প্রাপ্ত হবে অশেষ সওয়াব- এসব কিছুই মাকরূহ, হারাম ও চূড়ান্ত বেদআত।
যারা এরূপ কাজে অংশ নেয়, তাদের অধিকাংশের উদ্দেশ্য এই থাকে যে, তারা তাদের উক্ত পূর্বসূরিদের মনে করে প্রয়োজন পূরণকারী ও সমস্যার সমাধান দাতা। তারা তাদের কাছে নিজেদের ইচ্ছাগুলো পেশ করে- তাই, তাদের সন্তুষ্ট রাখতে এ কাজগুলোয় অংশ নেয়। বস্তুত: প্রয়োজন পূরণ ও সমস্যার সমাধান এক আল্লাহ ব্যতীত আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কবর-বাসী এ মহান পূর্বসূরিগণ স্বয়ং ছিলেন আল্লাহ তা'আলার মুখাপেক্ষী, জীবিতকালে তাদের প্রতি বক্তব্যে, কথায়-আচরণে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পেত। এই কারণে তারা মহান ছিলেন যে, সমস্ত কিছুই তারা প্রার্থনা করতেন একমাত্র আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ব্যতীত অপর কাউকে সমাধান দাতা হিসেবে স্বীকার করতেন না। সুতরাং, কীভাবে অন্যের জন্য সমাধান দাতা হতে পারেন তারা ? মুসলমানদের সমাজে এ অপ-সংস্কারের বিস্তৃতি ঘটেছে মূলত: ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অনুকরণের ফলশ্রুতিতে। এরা পয়গম্বর ও মহান ব্যক্তিত্বদের মৃত্যুর পর তাদের সমাধিগুলো বাধাই করে এভাবে এবাদত করত।
কবর জেয়ারতের উদ্দেশ্যে দূর-দূরান্ত হতে ভ্রমণ করা, কিংবা কবর জেয়ারতের জন্য দিন-মাস ও সময় নির্ধারণ করা, কবরকে কেন্দ্র করে উৎসব ও ওরস যাপন, তাতে আলোকসজ্জা, কেবল কবরকে উদ্দেশ্য করে কবরস্থানে মসজিদ নির্মাণ, নারীদের কবর জেয়ারতে গমন, (এ নিষেধাজ্ঞা কেবল এমন নারীর জন্য, যে তথায় গমন করে শরিয়ত বিরোধী কাজে অংশ নেয় ; যার উদ্দেশ্য কবর জেয়ারতের মাধ্যমে মৃত্যুর স্মরণ করা, পরকালের চিন্তা মনে জাগ্রত রাখা, তার জন্য অবৈধ নয়) কবরের উপর চাদর টানান, পাকা করা, কবরস্থান বা কবরের শিয়রে মৃতের মৃত্যু তারিখ, তাদের নাম, কোরআনের আয়াত- ইত্যাদি অঙ্কন করা, কবরের উপর ...নির্মাণ, এক ...চেয়ে উঁচু কবর বানান, পুণ্যের কাজ মনে করে কবরের পাশে সালাত আদায়, কবরের পাশেই আবাস স্থাপন, মসজিদের সাথে যে আচরণ ও সম্মান প্রদর্শন কাম্য, তা কবরের সাথে করা, -এ উদ্দেশ্য করে কবরকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপন করা যে, এর মাধ্যমে কবর-বাসীর চিত্ত বিনোদন হবে, এবং সে প্রাপ্ত হবে অশেষ সওয়াব- এসব কিছুই মাকরূহ, হারাম ও চূড়ান্ত বেদআত।
যারা এরূপ কাজে অংশ নেয়, তাদের অধিকাংশের উদ্দেশ্য এই থাকে যে, তারা তাদের উক্ত পূর্বসূরিদের মনে করে প্রয়োজন পূরণকারী ও সমস্যার সমাধান দাতা। তারা তাদের কাছে নিজেদের ইচ্ছাগুলো পেশ করে- তাই, তাদের সন্তুষ্ট রাখতে এ কাজগুলোয় অংশ নেয়। বস্তুত: প্রয়োজন পূরণ ও সমস্যার সমাধান এক আল্লাহ ব্যতীত আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কবর-বাসী এ মহান পূর্বসূরিগণ স্বয়ং ছিলেন আল্লাহ তা'আলার মুখাপেক্ষী, জীবিতকালে তাদের প্রতি বক্তব্যে, কথায়-আচরণে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পেত। এই কারণে তারা মহান ছিলেন যে, সমস্ত কিছুই তারা প্রার্থনা করতেন একমাত্র আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ব্যতীত অপর কাউকে সমাধান দাতা হিসেবে স্বীকার করতেন না। সুতরাং, কীভাবে অন্যের জন্য সমাধান দাতা হতে পারেন তারা ? মুসলমানদের সমাজে এ অপ-সংস্কারের বিস্তৃতি ঘটেছে মূলত: ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অনুকরণের ফলশ্রুতিতে। এরা পয়গম্বর ও মহান ব্যক্তিত্বদের মৃত্যুর পর তাদের সমাধিগুলো বাধাই করে এভাবে এবাদত করত।
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ.
আপনি বলুন, হে আহলে কিতাবিগণ ! আমরা এবং তোমরা একমত-এমন ঐকমত্যে এসো যে, আল্লাহ ব্যতীত আমরা কারো এবাদত করব না, তার সাথে কোন শরিক করব না, আল্লাহ ব্যতীত আমরা একে অপরকে প্রভুর স্বীকৃতি প্রদান করব না। যদি তারা পিছু হটে যায়, তবে তোমরা বলে দাও-সাক্ষী থাক, আমরা মুসলমান।