মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে অভিনন্দন বিনিময়ের বিধান

হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে অভিনন্দন বিনিময়ের বিধান



হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে অভিনন্দন বিনিময়ের বিধান

আল্‌হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু 'আলা খাতামিল আম্বিয়াই ওয়াল-মুরসারীন।
সকল প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার জন্যে। সালাত ও সালাম শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।

অভিনন্দন বিনিময়ের কিছু উপলক্ষ :

১. পারস্পরিক স্বাভাবিক অভিনন্দন। যা একে অপরকে নতুন কোন নিয়ামত অর্জন বা মুসিবত থেকে মুক্তির প্রাক্কালে দিয়ে থাকে। উদ্দেশ্য আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন এবং একজন মুসলিম ভাইকে আনন্দিত ও উৎসাহিত করা। এটা কোন দিনক্ষণ বা মাস, বৎসরের আগমন-প্রস্থানের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যেমন, বিবাহ, নতুন সন্তান লাভ, পরীক্ষায় কৃতকার্য, চাকুরি লাভ করা ইত্যাদি উপলক্ষে অভিনন্দন প্রদান।
এরূপ অভিনন্দন আদান-প্রদানে শরীর কোন সমস্যা নেই এটি একটি মানবিক স্বভাবগত বিষয়, বরং আশা করা যায় এতে অভিনন্দন প্রদানকারী ছাওয়াব পাবেন। কারণ তিনি একজন মুসলিম ভাইকে প্রফুল্ল করলেন। আনন্দিত করলেন। যাতে সে উৎসাহ বোধ করবে। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহ. এর মতে। মুবাহ কাজ ভাল নিয়তে সম্পর্কিত হলে কল্যাণ মূলক কর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। আর মন্দ নিয়তে সম্পাদন করলে মন্দ কর্মের ভিতর গণ্য হয়।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

বইঃ সুন্নাতে রাসূল (সা:) ও চার ইমামের অবস্থান - ফ্রি ডাউনলোড

বইঃ সুন্নাতে রাসূল (সা:) ও চার ইমামের অবস্থান - ফ্রি ডাউনলোড



বইঃ সুন্নাতে রাসূল (সা:) ও চার ইমামের অবস্থান 
লেখক: আবূ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স, ঢাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৯ (৬০৮কেবি)

শিয়া আকিদার অসারতা (১ম পর্ব)


بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি; তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি; তাঁর উপর ভরসা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। সুতরাং আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই; আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তাকে পথ প্রদর্শনকারীও কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের নেতা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, যাকে তিনি সত্যসহকারে কিয়ামতকে সামনে রেখে সুসংবাদ দাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, সে সঠিক পথ পাবে; আর যে ব্যক্তি তাঁদের অবাধ্য হবে, সে তার নিজেরই ক্ষতি করবে এবং সে আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
অতঃপর...

শিয়া আকিদার অসারতা (২য় পর্ব)

তাদের ভ্রান্ত আকিদার পঞ্চম বিষয়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং হাসান, হোসাইন ও আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমকে অপমান করা
মুহাম্মদ বাকের আল-মজলিসী ফারসি ভাষায় উল্লেখ করেন, যার আরবি (বাংলা) অনুবাদ হল:
“নু‘মানী ইমাম মুহাম্মদ বাকের আ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: যখন ইমাম মাহদী আত্মপ্রকাশ করবে, তখন তাকে ফেরেশতাদের দ্বারা পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হবে এবং তার নিকট সর্বপ্রথম যিনি বায়‘আত (আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ করবেন, তিনি হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম; অতঃপর আলী আ.। আবার শাইখ তুসী ও নু‘মানী ইমাম রেজা আ. থেকে বর্ণনা করেন, ইমাম মাহদী আত্মপ্রকাশের অন্যতম নিদর্শন হল, তিনি অচিরেই বিবস্ত্র অবস্থায় সূর্যের গোলকের সামনে আত্মপ্রকাশ করবেন[65]

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

কৌতুকেও নয় মিছে কথা



কৌতুকেও নয় মিছে কথা

রিকশা থেকে নেমে মানি ব্যাগ খুলে ভাড়া দিতে গিয়ে হয়তো দেখলেন খুচরো দশ টাকা নেই। এবার কী করবেন? নিশ্চয় আপনি পাশের মুদির দোকানে গিয়ে বলবেন, ভাই একশ টাকা খুচরো হবে? মুহূর্ত বিলম্ব না করে দোকানি নির্বিকার ভঙ্গিতে জবাব দেবেন, ‘না ভাই আমার কাছে কোনো খুচরো নেই’। অথচ সত্য হলো, তার ক্যাশে একশ টাকার খুচরো পর্যাপ্ত রয়েছে। তেমনি জিনিস কিনতে গিয়ে দেখবেন দোকানীরা দামদরের এক পর্যায়ে ক্রেতাকে পটাতে বলেন, ‘এটা আমি ... দিয়ে কিনেছি। আপনাকে এই দামে দিলে আমার কোনো লাভই থাকে না ভাই।’ তারপর দিব্যি তিনি ওই তথাকথিত কেনা দামেই দিয়ে দেন। ক্রেতার মন ভেজাতে কেউ বলেন, ‘আপনাকে এই দামে বেঁচলে কেবল আমার চালানটা উঠবে ভাই’ কিংবা এটা আমার কেনা দাম, এরচে কম বলবেন না ইত্যাদি বাক্যও উচ্চারণ করেন।

সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্যত্র হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাব

সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্যত্র হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাব



সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্যত্র হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাব

 প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) একদা বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেভাবে ছালাত আদায় করতেন আমি কি তোমাদের সেভাবে ছালাত আদায় করে দেখাব না? অতঃপর তিনি ছালাত আদায় করলেন। কিন্তু তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত অন্য কোন সময় দু’হাত উত্তোলন করলেন না’ (তিরমিযী ১/৩৫)। তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। আবার বারা ইবনে আযিব (রাঃ) বলেন, ‘নবী করীম (ছাঃ) তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত আর কখনো হাত উঠাতেন না’ (আবূদাঊদ ১/১০৯)। এক্ষণে ছালাতে রাফ‘ঊল ইয়াদায়েন করার প্রমাণে হাদীছদ্বয়ের বিপক্ষে যুক্তি কি?
-ছিয়াম বিন সাইফুদ্দীন মধুপুর, টাংগাঈল।

উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছ দু’টি সহ ‘রাফ‘ঊল ইয়াদায়েন’ না করার পক্ষে যে সকল দলীল পেশ করা হয়, তার সবগুলিই যঈফ
 প্রশ্নে বর্ণিত ১ম হাদীছটি ইমাম আবুদাঊদ বর্ণনা করে বলেন, 
هَذَا مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ وَلَيْسَ هُوَ بِصَحِيحٍ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ 
‘এটা লম্বা হাদীছের সংক্ষিপ্ত রূপ। আর এই শব্দে এটি ছহীহ নয়’ (আবুদাঊদ হা/৭৪৮)। 
উল্লেখ্য যে, উপমহাদেশের ছাপা আবুদাঊদে হাদীছের শেষে ইমাম আবুদাঊদের উক্ত মন্তব্যটি নেই। কিন্তু অন্যান্য ছাপা আবুদাঊদে তা রয়েছে। এদেশে ছাপা আবুদাঊদ থেকে উক্ত মন্তব্য তুলে দেওয়ার রহস্য অজ্ঞাত।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

আল্লাহ্‌ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?

আল্লাহ্‌ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?



আল্লাহ্‌ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?

বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকা “মাসিক মদীনা”র প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রদত্ত একটি উত্তরের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। উত্তরটি আল্লাহ্‌ ও তাঁর গুণাবলী সংক্রান্ত এবং উহা কুরআন-হাদীস ও সালফে সালেহীনের আকীদাহ্ বিরোধী। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য মুসলমান সমাজে তুলে ধরা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। তাই বিষয়টির বিস্তারিত আলোচনায় আমরা প্রবৃত্ত হলাম।

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

মদিনায় গমনকারীদের মারফতে রাসূলের জন্য সালাম পাঠানোর বিধান

মদিনায় গমনকারীদের মারফতে রাসূলের জন্য সালাম পাঠানোর বিধান



মদিনায় গমনকারীদের মারফতে রাসূলের জন্য সালাম পাঠানোর বিধান

প্রশ্ন: হাজীদের যারা মদিনায় গমন করেন তাদের মারফতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর জন্য সালাম প্রেরণের বিধান কি? 
উত্তর: 
আলহামদু লিল্লাহ,

জান্নাতী রমণীর জন্য কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া

জান্নাতী রমণীর জন্য কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া



জান্নাতী রমণীর জন্য কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া

একজন রমণী জীবন চলার পথে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হয়। কখনো শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে ইসলাম বিরোধী কাজ করে ফেলে। কখনো অলসতা বশতঃ ইবাদত-বন্দেগীতে গাফলতি করে বসে। সুবুদ্ধি হলে নিজের ভুল বুঝতে পারলে তখন ফিরে আসতে চায় সৎ সত্য পথে। তাই নিম্নে কতিপয় সমস্যার উল্লেখ করে তার সমাধান দেয়া হল যাতে করে মুসলিম বোন তা থেকে উপকৃত হতে পারেন।

প্রশ্নঃ প্রায় দশ বছর আগে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামতের মাধ্যমে আমি বালেগা (প্রাপ্ত বয়স্কা) হই। কিন্তু যে বছর বালেগা হই সে বছর রামাযান পাওয়া সত্বেও তার ছিয়াম আমি আদায় করি নি। এখন কি আমাকে সেই বছরের ছিয়াম আদায় করতে হবে? এবং সেই সাথে কি কাফ্‌ফারাও দিতে হবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ উক্ত মাসের ছিয়াম ক্বাযা আদায় করা তোমার উপর আবশ্যক। সেই সাথে তওবা করবে, আল্লাহর কাছে অন্যায়ের ক্ষমা চাইবে এবং কাফ্‌ফারা আদায় করবে। আর তা হল, প্রতি দিনের বিনিময়ে একজন মিসকিনকে এলাকার লোকদের প্রধান খাদ্য যেমন চাউল বা খেজুর বা গম ইত্যাদী থেকে অর্ধ ছা তথা প্রায় সোয়া এক কেজি পরিমাণ খাদ্য। (-শাইখ ইবনু বায (রহঃ)।)

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

জান্নাতী রমণী (১ম পর্ব)

 জান্নাতী রমণী (১ম পর্ব)


  
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জান্নাতী নারীর পরিচয়
  
ভূমিকাঃ

আল্‌ হামদু লিল্লাহ ওয়াছ্‌ ছালাতু ওয়াস্‌ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্‌।
পুরুষের জন্য নারী সহোদরের মত মূল্যবান। সে তার জীবন সঙ্গী। একজন অপরজনের পরিপুরক। উভয়ের প্রতি আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধ নাযিল করেছেন এবং তাদেরকে তাদের কর্মের উপর প্রতিফল প্রদানের অঙ্গিকার করেছেন। পূণ্যের ঠিকানা জান্নাতে পাপের ঠিকানা অন্যস্থানে। সেই জান্নাত লাভের আশায় জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কামনায় নারী-পুরুষ সকলকেই সেই পথ Aej¤^b করতে হবে।
আলোচ্য পুস্তকে একজন মুসলিম রমণী কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করে জান্নাত লাভে ধন্য হতে পারবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত এবং পূর্বসূরী নেক মনিষীদের বচন থেকে জান্নাতী রমণীর পরিচয় গুণাবলী তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যেক মুমিন নারীর উচিত হচ্ছে উক্ত গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান হাসিল করা এবং তদানুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলা।

জান্নাতী রমণী (২য় পর্ব)

 জান্নাতী রমণী (২য় পর্ব)



কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জান্নাতী নারীর পরিচয়


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

জান্নাতী রমণীর পর্দার বিবরণঃ
ইসলামী শরীয়ত নারীর ইজ্জত-আবরু হেফাযতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তার মর্যাদা শ্রেষ্ঠত্বকে সমুন্নত সুউচ্চ করেছে। নারীর পোষাক এবং সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যে সমস্ত শর্তারোপ করা হয়েছে তা শুধু তাকে সংরক্ষণ করার জন্যই, সৌন্দর্যের প্রকাশের মাধ্যমে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে তার সকল পথ বন্ধ করার জন্য। এটা নারীর ¯^vaxbZv‡K ক্ষুন্ন করা নয়; বরং তাকে লোলুপ দৃষ্টির ছোবল থেকে রক্ষা করা এবং তার পবিত্রতা সৌন্দর্যের মানকে সংরক্ষিত করা। সেই সাথে মহান স্রষ্টা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করতঃ তাঁর রেযামন্দী লাভ করে জান্নাতের অধিকারী হওয়া।
ইসলামী পর্দার মর্যাদা:
পর্দা আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর আনুগত্য। কেননা তাঁদের আনুগত্য প্রতিটি নর-নারীর উপর ফরয করা হয়েছে।
আল্লাহ্‌ তাআলা নারীদেরকে পর্দার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ করেন:
]وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا مَا ظَهَرَ مِنْهَا[
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন সাধারণত: প্রকাশমান স্থান ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। (সূরা নূর- ৩১)

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব

নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব



নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব

ভূমিকা
নারী জাতি সাধারণত: তিন প্রকার রক্তস্রাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
যথা:
১) হায়েয মাসিক রক্তস্রাব)।
২) ইস্তেহাযাহ হায়েয ও নেফাসের দিন উত্তীর্ণ হওয়ার পর যে রক্তস্রাব হয়)।
৩) নেফাস সন্তান প্রসবের পরের রক্তস্রাব)।

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩

পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে

পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে

   


পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে

প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি পেশাব শেষ করে পেশাবের স্থান ধৌত করে নেয়। কিন্তু যখনই সে নড়াচড়া করে ও দাঁড়ায়, তখন অনুভব হয় যে, কয়েক ফোটা পেশাব বের হয়েছে। এ জন্য সে দীর্ঘ সময় পেশাবের স্থানে বসে থাকে আর বলে : কি করব ? সে কি তার এ অনুভূতি ও ধারণা ত্যাগ করে অযূ পূর্ণ করে নেবে ? না, পরিপূর্ণ পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ? আশা করি উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাদের কল্যাণ করুন।

উত্তর :
আল-হামদুলিল্লাহ

এ বিষয়টি ওয়াসওয়াসা ও সন্দেহ থেকে সৃষ্টি হয়। আর এগুলো তৈরি হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। তবে কারো কারো ব্যাপারে প্রকৃত পক্ষেই এমন ঘটে। আর প্রকৃত হলে, সে তাড়াহুড়ো করবে না, বরং পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, অতঃপর পানি দ্বারা পেশাবের স্থান ধৌত করবে। এরপর যদি কোন কিছুর আশঙ্কা থাকে, তাহলে লজ্জাস্থানের আশপাশে লুঙ্গি বা পায়জামায় পানি ছিটিয়ে দেবে। অতঃপর অযূ শেষ করার পর যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, সে দিকে সে ভ্রুক্ষেপ করবে না। ওয়াসওয়াসা ত্যাগ করার জন্য এ পদ্ধতি তার জন্য সহায়ক হবে।

বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে যে ব্যক্তি মারা গেল সে কি শহীদ?

বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে যে ব্যক্তি মারা গেল সে কি শহীদ?

     


প্রশ্ন : 
আমার ভাই বৈদ্যুতিক খুটির পাশে দাঁড়িয়েছিল, ফলে বৈদ্যুতিক তার তার শরীর স্পর্শ করে, আর সে শর্ট খেয়ে সাথে সাথে মারা যায়। তাকে কি শহীদ গণ্য করা হবে ?  দাফন করার জন্য আমরা যখন তার উপর সালাত পড়ি, তখন এতো বেশী মানুষ জড়ো হয়েছিল যে, মসজিদে পর্যন্ত তাদের সংকুলান হয়নি। তাকে মাটি দেয়ার জন্য আমাদের যে গ্রুপটি কবরস্থান পর্যন্ত যায়, তাও বেশ দীর্ঘ ও বড় ছিল। কারণ, সে আমাদের সবার কাছেই প্রিয় ছিল। কিয়ামতের দিন এরা কি তার জন্য সুপারিশ করবে ? অধিকন্তু সে ছিল যুবক, ভদ্র ও নামাযি।

উত্তর : 
আল-হামদুলিল্লাহ