দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা
আল্লাহ তা‘আলা
বলেছেন, ﴿ وَقَالَ رَبُّكُمُ
ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ ٦٠ ﴾ (غافر: ٦٠)
“তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক
আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” (সূরা গাফের
৬০ আয়াত)
তিনি বলেন,
﴿ ٱدۡعُواْ رَبَّكُمۡ تَضَرُّعٗا وَخُفۡيَةًۚ
إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ٥٥ ﴾ (الاعراف: ٥٤)
“তোমরা কাকুতি-মিনতি সহকারে ও সংগোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, নিশ্চয় তিনি সীমালংঘন কারীদেরকে পছন্দ করেন না।” (সূরা আ’রাফ ৫৫ অয়াত)
তিনি আরও বলেন, وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي
قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ ١٨٦ ﴾ (البقرة: ١٨٦)
“আর আমার দাসগণ যখন আমার সম্বন্ধে
তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন তুমি বল, আমি
তো কাছেই আছি। যখন কোন প্রার্থনাকারী আমাকে ডাকে, আমি তার
ডাকে সাড়া দিই।” (সূরা
বাক্বারাহ১৮৬ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
﴿ أَمَّن يُجِيبُ
ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ ﴾ [النمل: ٦٢]
“অথবা (উপাস্য) তিনি, যিনি আর্তের আহবানে
সাড়া দেন যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন।” (সূরা নামল ৬২ আয়াত)
1/1473 وَعَنْ النُّعْمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ
الله عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الدُّعَاءُ هُوَ العِبَادَةُ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
১/১৪৭৩। নু’মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দো‘আই
হল (মূল) ইবাদত।” (আবূ দাউদ তিরমিযী হাসান
সহীহ)[1]
2/1474 وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا،
قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَحِبُّ الجَوَامِعَ مِنَ
الدُّعَاءِ، وَيَدَعُ مَا سِوَى ذَلِكَ . رواه أَبُو داود بإسناد جيدٍ
২/১৪৭৪। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু
আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অল্প শব্দে বহুল
অর্থবোধক দো‘আ পছন্দ করতেন এবং তা ছাড়া অন্য দো‘আ পরিহার করতেন।’ (আবূ
দাউদ, উত্তম সানাদে)[2]
3/1475 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ أَكثَرُ دُعَاءِ النَّبِيّ صلى
الله عليه وسلم: «اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ
حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» متفقٌ عَلَيْهِ .
زاد مسلم في روايتهِ قَالَ: وَكَانَ أَنَسٌ إِذَا أَرَادَ أَنْ
يَدْعُوَ بِدَعْوَةٍ دَعَا بِهَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدُعَاءٍ دَعَا
بِهَا فِيهِ.
৩/১৪৭৫। আনাস
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকাংশ দো‘আ এই হত, ‘আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্য়্যা হাসানাহ, অফিল
আ-খিরাতে হাসানাহ, অক্বিনা আযাবান্নার।’ অর্থাৎ
হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের
আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও। (বুখারী ও
মুসলিম)[3]
মুসলিমের অন্য বর্ণনায়
বর্ধিত আকারে আছে, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন একটি দো‘আ করার ইচ্ছা করতেন, তখন ঐ দো‘আ
করতেন। আবার যখন (বিভিন্ন) দো‘আ করার ইচ্ছা করতেন, তখন তার মাঝেও ঐ দো‘আ করতেন।
4/1476 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه: أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى،
وَالعَفَافَ، وَالغِنَى» .
رواه مسلم
৪/১৪৭৬। ইবনে মাসঊদ
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ করতেন,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অত্তুক্বা অলআফা-ফা
অলগিনা।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েত, পরহেজগারি, অশ্লীলতা
হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)[4]
5/1477 وَعَنْ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ
عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَؤلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِني،
وَعَافِني، وَارْزُقْنِي» .
رواه مسلم
وفي روايةٍ له عن طارق: أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم، وَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، كَيْفَ أَقُولُ
حِيْنَ أَسْأَلُ رَبِّي ؟ قَالَ: «قُلْ:
اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِني، وارْزُقْنِي، فَإِنَّ
هَؤُلاَءِ تَجْمَعُ لَكَ دُنْيَاكَ وَآخِرَتَكَ».
৫/১৪৭৭। ত্বারেক ইবনে
আশ্য়্যাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কেউ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাকে নামায শিখাতেন। তারপর তাকে এই দো‘আ পাঠ করতে আদেশ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী, অরহামনী, অহদিনী, অ আ-ফিনী, অরযুক্বনী।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে
ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে
সঠিক পথ দেখাও, আমাকে নিরাপত্তা দান কর এবং আমাকে জীবিকা
দাও। (মুসলিম)[5]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ত্বারেক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যখন তাঁর নিকটে একটি লোক এসে নিবেদন করল, ‘হে
আল্লাহর রসূল! যখন আমি আমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করব, তখন কি বলব?’ তখন তিনি বললেন, “বল, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলী---।’ কারণ, এই শব্দগুলিতে তোমার ইহকাল-পরকাল
উভয়ই শামিল রয়েছে।”
6/1478 وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ
العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «اَللهم مُصَرِّفَ القُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى
طَاعَتِكَ» . رواه مسلم
৬/১৪৭৮। আব্দুল্লাহ ইবনে
আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ ক্বুলূবানা আলা
ত্বা-আ’তিক।’
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের
হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। (মুসলিম)[6]
7/1479 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَوَّذُوا بِاللهِ مِنْ جَهْدِ البَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ،
وَسُوْءِ القَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ». متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ قَالَ سُفيَانُ: أَشُكُّ أنِّي زِدْتُ وَاحِدَةً مِنْهَا .
৭/১৪৭৯। আবূ হুরাইরা
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে বল, ‘(আল্লা-হুম্মা
ইন্নী আঊযু বিকা) মিন জাহদিল বালা-ই অদারাকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বাযবা-ই
অশামা-তাতিল আ’দা-’।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য), দুর্ভাগ্যের
নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি। (মুসলিম)[7]
এক বর্ণনায় সুফিয়ান
বলেছেন, ‘আমার সন্দেহ হয় যে, ঐ
কথাগুলির মধ্যে একটি কথা আমি বাড়িয়ে দিয়েছি।’
8/1480 وَعَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى
الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم أَصْلِحْ لِي دِينِيَ الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي،
وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرتِيَ الَّتي
فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ
المَوتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ» . رواه مسلم
৮/১৪৮০। উক্ত রাবী হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ইসমাতু আমরী, অ আস্ব্লিহ লী দুন্য়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মাআ-শী, অ
আস্ব্লিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মাআ-দী। অজআলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুলি
খাইর্। অজআলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুলি শার্র্।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি
আমার দ্বীনকে শুধরে দাও, যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী।
আমার পার্থিব জীবনকে শুধরে দাও, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে।
আমার পরকালকে শুধরে দাও, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার
জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে
আরামদায়ক কর। (মুসলিম)[8]
8/1481 وَعَنْ عَلِيٍّ رضي الله
عنه قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ
اللهِ صلى الله عليه وسلم: «قُلْ: اَللهم
اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي».
وفي رواية: «اَللهم إنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالسَّدَادَ» . رواه مسلم
৯/১৪৮১। আলী
রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “তুমি
বল, ‘আল্লাহুম্মাহদিনী অসাদ্দিদনী।’ অর্থাৎ
হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত কর ও সোজাভাবে রাখ।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অস্সাদা-দ’ অর্থাৎ
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়েত ও সরল পথ কামনা করছি। (মুসলিম) [9]
10/1482 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ، وَالكَسَلِ،
وَالجُبْنِ، وَالهَرَمِ، وَالبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ،
وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ» .
وفي رواية: «وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» . رواه مسلم
১০/১৪৮২। আনাস
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি
অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল
ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)’
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা
ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও
মানুষের প্রতাপ থেকে)।
11/1483 وَعَنْ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيق رضي الله
عنه: أَنَّه قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: عَلِّمْنِي دُعَاءً
أَدْعُوْ بِهِ فِي صَلاَتِي، قَالَ: «قُلْ: اَللهم إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ
يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ،
وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحِيمُ». متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ: «وَفِي
بَيتِيْ» وَرُوِيَ: «ظُلماً
كَثِيراً» وَرُوِي: «كَبِيراً»
بالثاء المثلثة وبالباء الموحدة ؛ فينبغي أنْ يجمع بينهما فيقال: كَثِيراً
كَبِيراً .
১১/১৪৮৩। আবূ বকর
সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ‘আমাকে এমন দো‘আ শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি আমার নামাযে
প্রার্থনা করব।’ তিনি বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাঁউ অলা
য়্যাগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা অরহামনী, ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম। (বুখারী-মুসলিম) [11]
এক বর্ণনায় আছে, ‘(যা দিয়ে আমি আমার নামাযে) এবং আমার ঘরে (প্রার্থনা করব।)’ ‘যুলমান কাসীরান’-এর স্থলে কোন কোন বর্ণনায়
‘যুলমান কাবীরান’ও বর্ণনা করা হয়েছে।
সুতরাং উচিত হল, উভয় বর্ণনা একত্র করে ‘যুলমান
কাসীরান কাবীরান’ বলা।
12/1484 وَعَنْ أَبي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: أَنَّه كَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ: «اَللهم اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي، وَإِسرَافِي
فِي أَمْرِي، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنّي،
اَللهم اغْفِرْ لِي جِدِّي وَهَزْلِي ؛ وَخَطَئِي وَعَمْدِي ؛ وَكُلُّ
ذَلِكَ عِنْدِي، اَللهم اغْفِرْ لِي مَا
قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَنتَ
أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، وَأَنْتَ عَلَى
كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ». متفق عَلَيْهِ
১২/১৪৮৪। আবূ মুসা আশআরী
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মাগফির লী খাত্বীআতী অজাহলী অইসরা-ফী ফী আমরী, অমা আন্তা আ‘লামু বিহী মিন্নী। আল্লা-হুম্মাগফির লী জিদ্দী
অহাযলী অখাত্বাঈ অআম্দী, অকুল্লু যা-লিকা ইন্দী।
আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু
অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল
মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখ্খিরু অআন্তা আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি
আমার পাপ, মুর্খামি, কর্মে সীমালঙ্ঘনকে
এবং যা তুমি আমার চেয়ে অধিক জান, তা আমার জন্য ক্ষমা করে
দাও। আল্লাহ গো! তুমি আমার অযথার্থ ও যথার্থ, অনিচ্ছাকৃত ও
ইচ্ছাকৃত-ভাবে করা পাপসমূহকে মার্জনা করে দাও। আর এই প্রত্যেকটি পাপ আমার আছে।
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে
মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা তুমি অধিক জান।
তুমিই অগ্র-সরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী এবং তুমি প্রতিটি বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। (বুখারী ও মুসলিম)[12]
13/1485 وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا:
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: «اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ
وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ» .
رواه مسلم
১৩/১৪৮৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু
আনহা হতে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ দো‘আতে এই শব্দগুলি
বলতেন,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা ‘আমিলতু অ
মিন শার্রি মা লাম আ‘মাল।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত (পুণ্যের) মন্দ থেকে
আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (অথবা অপরের কৃত পাপের ব্যাপক শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা
করছি।) (মুসলিম) [13]
14/1486 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ
عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ مِن دُعَاءِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ،
وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ» . رواه مسلم
১৪/১৪৮৬। ইবনে উমার
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি দো‘আ ছিল,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন যাওয়া-লি নি’মাতিকা অতাহাউবুলি আ-ফিয়াতিকা অফুজাআতি নিক্বমাতিকা অজামী-ই
সাখাত্বিক।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার
প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয়
প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)[14]
15/1487 وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله
عليه وسلم، يَقُولُ: «اَللهم
إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخْلِ وَالهَرَمِ، وَعَذَابِ
القَبْرِ، اَللهم آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا،
وَزَكِّها أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا، اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ
يَنْفَعُ؛ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ ؛ وَمِنْ
دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجابُ لَهَا»
.رواه مسلم
১৫/১৪৮৭। যায়েদ ইবনে
আরক্বাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ
পাঠ করতেন,
“আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু
বিকা মিনাল আজ্যি অলকাসালি অলবুখ্লি অলহারামি অ আযা-বিল ক্বাব্র্। আল্লা-হুম্মা
আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা অযাক্কিহা আন্তা খাইরু মান যাক্কা-হা, আন্তা
অলিয়্যুহা অমাউলা-হা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ইলমিল লা য়্যানফা’, অমিন ক্বালবিল লা য়্যাখশা’, অমিন নাফসিল
লা তাশবা’, অমিন দা’ওয়াতিল লা
য়্যুস্তাজা-বু লাহা।”
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, স্থবিরতা এবং কবরের আযাব থেকে
পানাহ চাচ্ছি। হে আল্লাহ আমার আত্মায় তোমার ভীতি প্রদান কর এবং তাকে পবিত্র কর, তুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী। তুমিই তার অভিভাবক ও প্রভু। হে আল্লাহ
আমি তোমার নিকট সেই ইলম থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা কোন উপকারে
আসে না। সেই হৃদয় থেকে পানাহ চাচ্ছি , যা বিনয়ী হয় না। সেই
আত্মা থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা তৃপ্ত হয় না এবং সেই দো‘আ থেকে পানাহ চাচ্ছি , যা কবুল হয় না। (মুসলিম)[15]
16/1488 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ
عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ
تَوَكَّلْتُ، وإلَيْكَ أنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وإلَيْكَ حَاكَمْتُ . فَاغْفِرْ
لِي مَا قَدَّمْتُ، وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أعْلَنْتُ، أنتَ
المُقَدِّمُ، وأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لا إِلٰهَ إِلاَّ أنْتَ» . زَادَ بَعْضُ الرُّوَاةِ: «وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ». متفق عَلَيْهِ
১৬/১৪৮৮। ইবনে আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আটি পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু অবিকা আ-মানতু,
অ আলাইকা তাওয়াক্কালতু, অ ইলাইকা আনাবতু, অবিকা খা-স্বামতু অ ইলাইকা হা-কামতু ফাগ্ফিরলী মা ক্বাদ্দামতু
অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু আন্তাল মুক্বাদ্দিমু
অআন্তাল মুআখ্খিরু লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা
(অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।)’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি
তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপরেই ঈমান (বিশ্বাস)
রেখেছি, তোমার উপরেই ভরসা করেছি, তোমার
দিকে অভিমুখী হয়েছি, তোমারই সাহায্যে বিতর্ক করেছি, তোমারই নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছি। অতএব তুমি আমার পূর্বের, পরের, গুপ্ত ও প্রকাশ্য পাপকে মাফ করে দাও।
তুমিই অগ্র-সরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী। তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। (কোন কোন
বর্ণনাকারীর বর্ধিত বর্ণনা) তোমার তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার ও সৎকাজ করার সাধ্য
নেই। (বুখারী ও মুসলিম) [16]
17/1489 وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا:
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدعُو بِهَؤُلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ،
وَعَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ شَرِّ الغِنَى وَالفَقْرِ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح ؛ وهذا لفظ أَبي
داود .
১৭/১৪৮৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু
আনহা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই
শব্দাবলী যোগে দো‘আ করতেন,
‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিন্নারি
অআযাবিন্নারি, অমিন শার্রিল গিনা অলফাক্ব্র।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি
জাহান্নামের ফিতনা থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে এবং ধনবত্তা
ও দারিদ্র্যের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান সহীহ, এ-শব্দগুলি আবূ দাউদের)[17]
18/1490 وَعَنْ زِيَادِ بنِ عِلاَقَةَ عَن
عَمِّهِ، وَهُوَ قُطْبَةُ بنُ مالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَان النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأخْلاَقِ،
وَالأعْمَالِ، والأهْواءِ». رواه
الترمذي، وقال: حديث حسن
১৮/১৪৯০। যিয়াদ ইবনে
ইলাক্বাহ স্বীয় চাচা কুত্ববাহ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ
পড়তেন, “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন মুনকারা-তিল
আখলা-ক্বি অলআ’মা-লি অলআহওয়া-’।”
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম ও কু-প্রবৃত্তি
থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিযী হাসান)[18]
19/1491 وَعَنْ شَكَلِ بنِ حُمَيدٍ رضي الله
عنه قَالَ: قُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ،
علِّمْنِي دُعَاءً، قَالَ: «قُلْ: اَللهم إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي، وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي، وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي،
وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي، وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
১৯/১৪৯১। শাকাল ইবনে
হুমাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল!
আমাকে একটি দো‘আ শিখিয়ে দিন।’ তিনি
বললেন, “বল,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি সাম্য়ী, অমিন শার্রি বাস্বারী, অমিন শার্রি লিসানী, অমিন শার্রি ক্বালবী, অমিন শার্রি
মানিইয়্যী।”
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
অবশ্যই আমি তোমার নিকট আমার কর্ণ, চক্ষু, রসনা, অন্তর এবং বীর্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে শরণ চাচ্ছি। (আবূ দাউদ, তিরমিযী,
হাসান)[19]
20/1492 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالجُنُونِ،
وَالجُذَامِ، وَسَيِّيءِ الأَسْقَامِ» . رواه أَبُو داود بإسناد صحيحٍ
২০/১৪৯২। আনাস
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা
ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বারাস্বি অলজুনূনি অলজুযা-মি অমিন সাইয়্যিইল আসক্বা-ম।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ!
অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ
এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সানাদ) [20]
21/1493 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه
قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُوعِ، فَإِنَّهُ
بِئْسَ الضَّجِيعُ، وَأَعُوذُ بِكَ منَ الخِيَانَةِ، فَإِنَّهَا بِئْسَتِ
البِطَانَةُ» . رواه أَبُو
داود بإسناد صحيح
২১/১৪৯৩। আবূ হুরাইরা
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি পাঠ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল জূ-’, ফাইন্নাহু
বি’সায্ যবাজী-’। অ আঊযু বিকা মিনাল
খিয়ানাহ, ফাইন্নাহা বি’সাতিল
বিত্বা-নাহ।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি
তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে পানাহ চাচ্ছি, কারণ তা নিকৃষ্ট
শয়ন-সাথী। আর আমি খেয়ানত থেকেও পানাহ চাচ্ছি, কারণ তা
নিকৃষ্ট সহচর। (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ
সানাদ)[21]
22/1494 وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه: أَنَّ
مُكَاتِباً جَاءَهُ فَقَالَ: إِنِّي عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي، قَالَ:
ألاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهنَّ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلٍ
دَيْناً أَدَّاهُ اللهُ عَنْكَ؟ قُلْ: «اَللهم اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي
بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ».
رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
২২/১৪৯৪। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একজন ‘মুকাতিব’ (লিখিত
চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ কৃতদাস) তাঁর নিকট
এসে নিবেদন করল, ‘আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।’ (এ কথা
শুনে) তিনি বললেন, ‘তোমাকে কি এমন দো‘আ
শিখিয়ে দিব না, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর পর্বত সমপরিমাণ
ঋণও থাকে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমার
পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। বল, ‘আল্লা-হুম্মাকফিনী
বিহালা-লিকা আন হারা-মিক, অআগনিনী বিফাযবলিকা আম্মান
সিওয়া-ক।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার
হালাল রুযী দিয়ে হারাম রুযী থেকে আমার জন্য যথেষ্ট কর এবং তুমি ছাড়া অন্য সকল থেকে
আমাকে অমুখাপেক্ষী কর। (তিরমিযী হাসান)[22]
23/1495 وعَنْ عِمْرانَ بنِ الحُصينِ رَضي اللهُ عنْهُمَا، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم علَّم أَباهُ حُصيْناً كَلِمتَيْنِ يدعُو بهما: «اللَّهُمَّ أَلهِمْني رُشْدِي، وأَعِذني مِن شَرِّ نفسي» . رواهُ الترمذيُّ وقَالَ: حديثٌ حسنٌ
২৩/১৪৯৫। ইমরান ইবনুল হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে
বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর (রাবী)
পিতা হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে দু’টি কালিমা শিখিয়েছেন যা
দিয়ে তিনি দো‘আ করতেন: “হে আল্লাহ!
আমার অন্তকরণে হিদায়েত পৌঁছাও, আর হৃদয়ের অনিষ্ঠটা থেকে
আমাকে রক্ষা কর।” (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[23]
24/1496 وَعَنْ أَبي الفَضلِ العَبَّاسِ بنِ
عَبدِ المُطَّلِبِ رضي الله عنهقَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي
شَيْئاً أَسْألُهُ اللهَ تَعَالَى، قَالَ: «سَلوا اللهَ العَافِيَةَ» فَمَكَثْتُ أَيَّاماً، ثُمَّ جِئْتُ فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ
عَلِّمْنِي شَيْئاً أَسْألُهُ الله تَعَالَى، قَالَ لي: «يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه
وسلم، سَلُوا اللهَ العَافِيَةَ في الدُّنيَا وَالآخِرَةِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
২৪/১৪৯৬।
আবূল ফায্ল আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি বললাম,
‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন জিনিস শিক্ষা দান করুন, যা
মহান আল্লাহর কাছে চেয়ে নেব।’ তিনি বললেন, “আল্লাহর
নিকট নিরাপত্তা চাও।” অতঃপর আমি কিছুদিন থেমে থাকার পর পুনরায়
এসে বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেব।’ তিনি আমাকে
বললেন, “হে আব্বাস! হে আল্লাহর রসূলের চাচা! আল্লাহর কাছে
দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা কর।” (তিরমিযী
হাসান সহীহ)[24]
25/1497 وَعَنْ شَهْرِ بنِ حَوشَبٍ، قَالَ:
قُلْتُ لأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، يَا أُمَّ المُؤمِنِينَ، مَا كَانَ
أَكثَرُ دُعَاءِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِذَا كَانَ عِنْدَكِ ؟
قَالَتْ: كَانَ أَكْثَرُ دُعَائِهِ: «يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» . رواه الترمذي،
وقال: حديث حسن
২৫/১৪৯৭। শাহর ইবনে
হাওশাব হতে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা কে বললাম, হে মুমিন জননী! আল্লাহর
রসূল যখন আপনার নিকট অবস্থান করতেন, তখন কোন দো‘আ তিনি অধিক মাত্রায় পাঠ করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ এই দো‘আ পড়তেন, ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি ষাবিবত ক্বালবী আলা দীনিক।’ অর্থাৎ হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের
উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। (তিরমিযী,
হাসান) [25]
26/1498 وَعَنْ أَبِيْ الدَّردَاءِ رضي الله عنه،
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «كَانَ مِنْ دُعَاءِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَلَام: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ، وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ،
وَالْعَمَلَ الذِّيْ يُبَلِّغُنِيْ حُبَّكَ
اَللهم اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِن نَّفْسِيْ، وَأَهْلِيْ، وَمِنَ
الْمَاءِ الْبَارِدِ»
روَاهُ الترمذيُّ وَقَالَ: حديثٌ حسنٌ
২৬/১৪৯৮। আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দাউদ (আঃ)-এর এতটি দো‘আ
ছিল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুববাকা ওয়া হুববা
মাইয়্যুহিববুকা ওয়াল ‘আমালাল্লাযী ইউবাল্লিগুনী হুববাকা, আল্লাহুম্মাজআল হুববাকা আহাববা ইলাইয়্যা মিন নাফসী ওয়া আহলী ওয়া
মিনাল মাইল বারিদ” (হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার ভালবাসা
চাচ্ছি এবং সেই লোকের ভালবাসা চাচ্ছি, যে তোমাকে ভালবাসে, আর এমন আমল চাচ্ছি, যা আমাকে তোমার
ভালবাসার নিকট পৌঁছিয়ে দিবে। হে আল্লাহ! আমার কাছে তোমার ভালবাসাকে আমার জীবন, আমার পরিবার-পরিজন ও ঠাণ্ডা পানির চেয়ে অধিক প্রিয় কর)। (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[26]
27/1499
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «أَلِظُّوا بـ ( يَاذا الجَلاَلِ والإكْرامِ )». رواه الترمذي، ورواه النسائي من رواية ربيعة بن عامِرٍ الصحابي، قَالَ
الحاكم: حديث صحيح الإسناد
২৭/১৪৯৯। আনাস
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ইয়া যাল জালালি অলইকরাম!’ বাক্যটি
আবশ্যিকভাবে বড্ড গুরুত্ব দাও।” (তিরমিযী,নাসায়ী সাহাবী রাবীআহ ইবন আমের থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকেম বলেছেন, হাদিসটির সনদ সহীহ)।[27]
28/1500 وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَة رضي الله عنه
قَالَ: دَعَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم بِدُعَاءٍ كَثِيْرٍ، لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئاً، قُلْنَا يَا رَسُوْلَ
اللهِ دَعَوْتَ بِدُعَاءٍ كَثِيرٍْ لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئاً، فَقَالَ: «أَلَا
أَدُلُّكُمْ عَلىٰ مَا يَجْمَعُ ذَلِكَ كُلَّهُ ؟ تَقُوْلُ: «اَللهم
إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِمَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ،
َوأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحمَّدٌ، وَأَنْتَ
المُسْتَعَانُ، وَعَلَيْكَ الْبَلَاغُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ»
رواهُ الترمذيُّ وقَالَ: حديثٌ حَسَنٌ .
২৮/১৫০০। আবূ উমামাহ্
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগণিত
দো‘আ করেছিলেন, তার কোনটি আমরা স্মরণ রাখতে পারলাম না। আমরা বললাম, হে আল্লাহর
রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ! আপনি অধিক সংখ্যক দো‘আ করেছেন, তার কিছুই
আমরা মনে রাখতে পারিনি। তিনি বললেন: তোমাদেরকে আমি কি এরূপ একটি দো‘আ শিখিয়ে দেব
না, যা সব দো‘আকে সংযুক্ত করবে? তোমরা বল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরি
মা সাআলাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ওয়া আ‘উযু
বিকা মিন শাররি মাস্তা‘আযাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম, ওয়া আনতাল মুসতা‘আনু ওয়া আলাইকাল বালাগ, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা, ইল্লা
বিল্লাহ” (হে আল্লাহ! তোমার নিকট সেই সকল কল্যাণ কামনা করছি, যা তোমার নবী
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার নিকট প্রার্থনা করেছেন। আর তোমার নিকট
সেই সকল অকল্যাণ হতে আশ্রয় কামনা করছি যে সকল অকল্যাণ হতে তোমার নবী মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তুমিই সাহায্যকারী। তোমার
নিকট সব পৌঁছে যাবে এবং তোমার সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বিরত থাকার ও পুণ্য করার
ক্ষমতা কারো নেই। (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[28]
29/1501 وَعَنِ ابْنِ مَسعُود رضي الله
عنه، قَالَ: كَانَ مِنْ دُعَاءِ رَسُوْلِ اللهصلى الله عليه وسلم: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ
مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ
إِثْمٍ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالفَوْزَ بِالْجَنَّةِ، وَالنَّجَاةَ
مِنَ النَّارِ» .
২৯/১৫০১। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি দো‘আ ছিল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মুজিবাতি
রহমাতিকা, ওয়া ‘আযাইমা মাগফিরাতিকা, ওয়াস সালামাতা মিন কুলি ইসমিন ওয়াল গনীমাতা মিন কুলি বিররিন, ওয়াল ফাওযা বিল জান্নাতি ওয়ান নাজাতা মিনান নার” (হে
আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার রহমত নির্ধারণকারী বিষয় প্রার্থনা করছি, তোমার মাগফিরাতের কার্যকারণসমূহ প্রার্থনা করছি, আর
(প্রার্থনা করছি) প্রতিটি গুনাহ হতে দূরে থাকা ও প্রতিটি নেকী লাভ করা এবং
জান্নাতের সাফল্য ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি)[29]
[3] সহীহুল বুখারী ৪৫২২, ৬৩৮৯, মুসলিম ২৬৮৮, তিরমিযী ৩৪৮৩, আবূ
দাউদ ১৫১৯, আহমাদ ১১৫৭০, ১১৫৩৮, ১২৭৫১, ১২৭৭৪, ১৩১৬৮, ১৩৫২৪, ১৩৬৫৩
[8] মুসলিম ২৭২০
[10] সহীহুল বুখারী ২৮২৩, ৪৭০৭, ৬৩৬৭, ৬৩৬৯, ৬৩৭১, মুসলিম ২৭০৬, তিরমিযী ৩৪৮৪, ৩৪৮৫, নাসায়ী ৫৪৪৮-৫৪৫২, ৫৪৫৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৬, ৫৪৯৫, ৫৫০৩, আবূ দাউদ ১৫৪০, ৩৯৭২, আহমাদ
১১৭০৩, ১১৭৫৬, ১১৮১৬, ১২৪২২, ১৩৬৬৩, ১২৭২০, ১২৭৬০, ১২৮২১, ১২৮৯১
[11] সহীহুল বুখারী ৮৩৪, ৬৩২৬, ৭৩৮৮, মুসলিম ২৭০৫, তিরমিযী
৩৫৩১, নাসায়ী ১৩০২, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৫, আহমাদ ৮, ২৯
[13] মুসলিম ২৭১৬, নাসায়ী ১৩০৭, ৫৫২৩, ৫৫২৪ থেকে ৫৫২৮, আবূ
দাউদ ১৫৫০, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৯, আহমাদ
২৩৫১৩, ২৪৫৬১, ২৫২৫৬, ২৫৬৭৩, ২৫৮৩৬
[16] সহীহুল বুখারী ১১২০, ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯, মুসলিম ৭৬৯, তিরমিযী ৩৪১৮, নাসায়ী
১৬১৯, আবূ দাউদ ৭৭১, ইবনু মাজাহ ১৩৫৫, আহমাদ ২৭০৫, ২৭৪৩, ২৮০৮, ৩৩৫৮, ৩৪৪৮, মুওয়াত্তা
মালিক ৫০০, দারেমী ১৪৮৬
[17] সহীহুল
বুখারী ৮৩৩, ২৩৯৭, ৬৩৬৮,
৬৩৭৫, ৬৩৭৬, ৬৩৭৭,
৭১২৯, মুসলিম ৫৮৭, ৫৮৯, নাসায়ী ১৩০৯, ৫৪৫৪, ৫৪৬৬, ৫৪৭২, ৫৪৭৭, ৫৪০৪, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৮, আহমাদ ২৪০৫৭, ২৪০৬১, ২৫৭৯৫, আবূ
দাউদ ১৫৪৩, তিরমিযী ৩৪৮৯
[18] তিরমিযী ৩৫৯১
[23] আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম
তিরমিযী এরূপই বলেছেন। সম্ভবত (এরূপ হাসান বলাটা) তিরমিযীর কোন কোন কপিতে এসেছে।
কিন্তু বূলাক ছাপায় (২/২৬১) তিনি বলেনঃ হাদীসটি গারীব। অর্থাৎ দুর্বল। এর সনদের
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এরূপ হওয়াই উচিত। কারণ এর সনদে বিচ্ছিন্নতা এবং দুর্বলতা
রয়েছে। (এর বর্ণনাকারী শাবীবকে হাফিয যাহাবী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন)। এটিকে ইবনু
হিববান (২৪৩১) ও আহমাদ (৪/৪৪৪) অন্য সূত্রে اللهم قني شر نفسي واعزم على رشدي أمري ভাষায়
বর্ণনা করেছেন। এ ভাষার সনদটি শাইখাইনের (বুখারী এবং মুসলিমের) শর্তানুযায়ী সহীহ্।
আর ইমাম আহমাদ (৪/২১৭) বর্ণনা করেছেন যে, রসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেনঃ اَللهم
اغْفِرْ لِـى ذَنْبِى خَطَـئِى وَعَمْدِى اَللهم إِنِّى أَسْتَهْدِيكَ لأَرْشَدِ
أَمْرِى وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِى এর
সনদটিও ভালো।
[24] তিরমিযী ৩৫৯৪
[26] আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম
তিরমিযী এরূপই বলেছেন। অথচ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ
হাদীসটির সনদে আব্দুল্লাহ্ ইবনু রাবী‘য়াহ্ দেমাস্কী রয়েছেন।
আর তিনি হচ্ছেন মাজহূল যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন।
[28] এ হাদীসটি দুর্বল। লাইস ইবনু
আবী সুলাইমের মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটার কারণে। দেখুন “য‘ঈফা” (৩৩৫৬), “য‘ঈফু তিরমিযী” (৩৫২১) ও “য‘ঈফু আদাবিল মুফরাদ” (৬৭৯)।
[29] আমি (আলবানী) বলছিঃ হাকিম এরূপই
বলেছেন অথচ এর সনদের মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছেন যার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।
বিস্তারিত জানতে দেখুন “য‘ঈফা” (২৯০৮)। তিনি “য‘ঈফা” হাদীসটিকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। এর বর্ণনাকারী খালাফ ইবনু
খালীফাহ্ হেফযের দিক থেকে বিতর্কিত ব্যক্তি। কেউ কেউ তাকে মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে
দোষী করেছেন। হাফিয যাহাবী তাকে “আয্যু‘য়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর ইবনু ওয়াইনাহ্ বলেছেনঃ তিনি মিথ্যা
বলেন। হাফিয ইবনু হাজার “আত্তাক্বরীব” গ্রন্থে
বলেনঃ তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। দু‘আটির
শুধুমাত্র প্রথম (اللهم إني أسألك موجبات رحمتك وعزائم مغفرتك) এ
অংশের সাথে মিল রয়েছে অবশিষ্ট অংশের মিল নেই এরূপ সহীহ্ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। দেখুন
“সহীহাহ্” (৩২২৮)
_________________________________________________________________________________
হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ণয় : শাইখ মুহাম্মাদ
নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ.
অনুবাদক : বিশিষ্ট আলেমবর্গ
অনুবাদ সম্পাদনা : আব্দুল হামীদ ফাইযী
সূত্র : ইসলামহাউজ
আরও পড়ুনঃ হাদীসের নির্বাচিত দোয়াসমূহ
আরও পড়ুনঃ আল-হিসনুল ওয়াকী বা প্রতিরোধক দূর্গ
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয়
আরও পড়ুনঃ চিন্তা ও উৎকন্ঠার ইসলামি এলাজ
আরও পড়ুনঃ ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ
আরও পড়ুনঃ সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ
আরও পড়ুনঃ নামাযের দো‘আ ও যিক্র
আরও পড়ুনঃ দোয়া করার কিছু আদব-কায়দা
আরও পড়ুনঃ এমন দোয়া যা কবুল হয় না
আরও পড়ুনঃ দো‘আ করছেন কিন্তু সাড়া পাচ্ছেন না?
আরও পড়ুনঃ যে সব ভুল-ভ্রান্তির কারণে দু'আ কবুল হয়না
আরও পড়ুনঃ দো‘আ করছেন কিন্তু সাড়া পাচ্ছেন না?
আরও পড়ুনঃ যে সব ভুল-ভ্রান্তির কারণে দু'আ কবুল হয়না
আরও পড়ুনঃ দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে
আরও পড়ুনঃ দু‘আ
আরও পড়ুনঃ যখন চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে
আরও পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর মুনাজাত
“দু’আ” বিষয়ের উপর আরও পড়তে এইখানে ক্লিক করুন।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
আল্লাহ আপনাকে উওম প্রতিদান দান করুন ।
উত্তরমুছুন